চীনসহ ৩০টি দেশে করোনা, উদ্বেগ ডব্লিউএইচও'র
করোনা ভাইরাসচীনের পর সারা বিশ্বের ২৯টি দেশে ছড়িয়ে ভাইরাসটি। চীনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে অন্যান্য দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
করোনাভাইরাস নিয়ে আগে থেকেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে ডব্লিউএইচও। নতুন আক্রান্ত নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম গেব্রেইয়েসাস বলেন, চীনের বাইরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কম। কিন্তু তারা যেভাবে আক্রান্ত হচ্ছে তা উদ্বেগজনক। চীনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই এমন অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়ছে।
করোনার প্রাদুর্ভাব কমিয়ে আনার রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে আসছে বলেও জানান তিনি।
চীনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে চীনে মারা গেছে দুই হাজার ৩৪৫ জন। আক্রান্ত হয়েছে ৭৬ হাজার ২৮৮। শনিবার চীনের স্বাস্থ্য কমিশন এ তথ্য জানায়।
তারা জানায়, শুক্রবার হুবেই প্রদেশে নতুন করে ১০৯ জন মারা গেছে। এর মধ্যে ৯০ জন উহানের। আর আক্রান্ত হয়েছে ৩৯৭ জন। আগের দিন যার সংখ্যা ছিল ৯০০ জন।
এদিকে চীনের কারাগারগুলোতে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাসটি। কারাগার গুলোতে প্রায় ৫০০'শ জন আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়েছে।
চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে এ পর্যন্ত ইরানে চারজন, জাপানে তিনজন, হংকং ও দক্ষিণ কোরিয়ায় দু’জন করে এবং তাইওয়ান, ফিলিপাইন, ফ্রান্স ও ইতালিতে একজন করে মারা গেছেন। ইরানের প্রায় সমস্ত শহরে করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। করোনা আতঙ্কে ইরানে সমস্ত ফ্লাইট বাতিল করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত।
এদিকে লেবানন ও ইসরায়েলে নতুন করে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা গেছে। এছাড়া ইতালির দশটি শহরে সমস্ত স্কুল, বার ও অন্যান্য জনসমাগম এলাকা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে সরকারি কর্তৃপক্ষ।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে জাপানের প্রমোদতরীতে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় অতিবাহিত করার পর ৩৫ ব্রিটিশ নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
করোনায় আক্রান্তের দিক দিয়ে বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১০০ রোগী শনাক্ত করা গেছে। এ নিয়ে দেশটিতে আক্রান্ত রোগী ২০৪ জনে দাঁড়িয়েছে। করোনার প্রাদুর্ভাবে দেশটির দুটি শহরকে স্পেশাল কেয়ার জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চুং সে-কিউন বলেন, তার দেশ জরুরি অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।