শেয়ার বিক্রি করে পদত্যাগের মুখে দুই মার্কিন সিনেটর!
করোনা ভাইরাসনভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। পুরো বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা টালমাটাল। নিম্নমুখী রয়েছে শেয়ার বাজার। করোনা আতঙ্কে বিশ্বের সমস্ত পুঁজিবাজারের অবস্থা শোচনীয়। মুখ থুবড়ে পড়েছে শেয়ারের দাম।
এদিকে করোনা আতঙ্কে মাস খানেক আগেই নিজেদের শেয়ার বিক্রি করেছে রিপাবলিকান দুই মার্কিন সিনেটর। বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, দাম কমার আগেই অভ্যন্তরীণ খবর শুনে শেয়ার বিক্রি করে ফেলেছেন তারা। যার জন্য তাদের পদত্যাগের করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
ওই দুই সিনেটরদের মধ্যে একজন হলেন রিচার্ড বুর। গত মাসে তিনি নিজের ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রি করেছেন। আরেকদিকে কেলি লোফলার নামের আরেক সিনেটর প্রায় ৩ মিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রি করেছেন। যার প্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যমগুলো।
মার্কিন আইন অনুসারে, কংগ্রেস সদস্যরা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় গোপন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বাণিজ্য করতে পারবে না।
সিনেট ইন্টেলিজেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান বুরের নিকট মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার একটি অডিও রেকর্ড পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রেডিও চ্যানেল ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও (এনপিআর)। ওই অডিও রেকর্ডে করোনার ফলে অর্থনৈতিক মন্দাভাব শুরু হবে বলে গোয়েন্দা কমিটি সতর্ক করে। যার প্রেক্ষিতে অগ্রিমভাবে বুর তার সমস্ত শেয়ার বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ করেছে এনপিআর।
এনপিআর'র এই অভিযোগের ভিত্তিতে বুর বলেন, এনপিআর অডিওটি ভুলভাবে স্থাপন করেছে।
সিনেট ইন্টেলিজেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হওয়ায় প্রতিদিনই গোয়েন্দা সংস্থা থেকে ব্রিফিং পায় বুর।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায় ৭ ফেব্রুয়ারি। ওইদিনই বুর মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ফক্স নিউজকে জানায়, আমরা যেকোনো আক্রমণের জন্য প্রস্তুত রয়েছি। কিন্তু এর এক সপ্তাহ পরেই বুর ও তার স্ত্রী তাদের ৬ লাখ ২৮ হাজার মূল্যের শেয়ার ১০ লাখ ৭২ হাজার ডলারে বিক্রি করে দেন।
অন্যদিকে সিনেট হেলথ কমিটির সদস্য লোফলার ও তার স্বামী কয়েক মিলিয়ন মূল্যের শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছে বলে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম দ্যা ডেইলি বেস্ট'র একটি তদন্তে ধরা পরে।
ডেইলি বেস্ট তাদের প্রতিবেদনে জানায়, করোনার প্রাদুর্ভাবের দিন থেকে প্রশাসন থেকে সিনেটরদের হেলথ কমিটির কাছে ব্রিফিং করা হয়। যার ভিত্তিতে লোফলার তার সমস্ত শেয়ার বিক্রি করে দেয়। শেয়ার বিক্রির সপ্তাহখানেক বাদেই লোফলার অর্থনীতি ও পাবলিক হেলথ নিয়ে টুইটারে একাধিক পোস্ট দিয়েছেন।
এদিকে ডেইলি বেস্টের এসব তদন্তকে হাস্যকর ও ভিত্তিহীন আক্রমণ বলে অবিহিত করেছেন লোফলার। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমার সম্মতি ছাড়াই শেয়ারগুলো তৃতীয় পক্ষের পরামর্শকরা নিয়েছিলেন।