বিশ্বকে মন্দার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে আসা ৩০ দিন

  করোনা ভাইরাস


নুসরাত জাবীন বিভা, নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেব্রুয়ারি ১৭। চীনে নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে কিন্তু অন্যান্য দেশে আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজারেরও কম। বিনিয়োগকারীরা তখনো জানতেন না পরবর্তী ৩০ দিনে চীনের বাইরে ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে এই মহামারি। ফলে হঠাৎ থেমে গেছে ব্যবসা বাণিজ্য, স্টক মার্কেটে নেমেছে ধস এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ২০০৮ এর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার চেয়েও বড় পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছে।

বৈশ্বিক মন্দা যা ২০২০ সালে অকল্পনীয় ছিল তাই এখন ঘটতে যাচ্ছে। অনেক বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে দিয়েছেন এই বৈশ্বিক মহামারি অর্থনীতিকে মন্দার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আরও খারাপ সংবাদ হলো মহামারি মাত্র শুরু হয়েছে। এখনো এর তাণ্ডবলীলার আরও অনেক বাকি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং সরকার সুদের হার কমিয়ে আনছে, ঋণ নিশ্চিত করছে এবং নতুন ব্যয় প্রকাশ করছে। ভবিষ্যতের জন্য কার্যকরী অর্থনৈতিক ভিত্তি সংরক্ষণে বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করতে এবং কোম্পানি ও কর্মীদের আশঙ্কা কমাতে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

সংকটে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প সরকার বিরাট আকারে কর্মী ছাঁটাই ঠেকাতে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বিল পাশ করার জন্য কংগ্রেসকে বলেছে। কারণ বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে এবং এয়ারলাইন্স, হোটেল এবং রেস্টুরেন্টগুলো দেউলিয়া হয়ে পড়েছে।

গত শুক্রবার (২০ মার্চ) যুক্তরাজ্য সরকার জানিয়েছে, মহামারির কারণে কারো চাকরি হারানোর ভয় থাকলে সরকার তার বেতনের ৮০ শতাংশ দিয়ে দেবে। তবে মনে হয় অনেক দেরি হয়ে গেছে। গোল্ডম্যান স্যাকের ধারণা অনুযায়ী এই সপ্তাহে ২ দশমিক ২৫ মিলিয়ন আমেরিকান বেকার ভাতার জন্য আবেদন করেছে। এটি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সংখ্যা।

একইসঙ্গে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৯০৬ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১১ হাজার ৯৪৯ জন। স্পেন, ইতালি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য আংশিকভাবে বা পুরোপুরি লকডাউন করা হয়েছে। বিশ্বের ৫ম সর্বোচ্চ অর্থনীতির বড়াই করা ক্যালিফোর্নিয়া তার ৪০ মিলিয়ন নাগরিককে বাড়িতে থাকতে বলেছে।

গোল্ডম্যান স্যাকের প্রধান মার্কিন সাম্য কৌশলী ডেভিড কোস্টিন সিএনএনকে জানান, করোনাভাইরাস অকল্পনীয় আর্থিক এবং সামাজিক বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে।

সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান ক্ষতির শিকার হয়েছে পরিবহন ব্যবসায়ী ও কর্মী, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ হওয়ায় শক্তি এবং পর্যটন খাত, খনিজ তেল খাত, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, বার।

অর্থনীতিবিদরা ভাবছেন এই বৈশ্বিক মহামারি কীভাবে দুনিয়াকে বদলে দেবে। পুঁজিবাদ, সরকারের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং বিশ্বায়ন নিয়ে হয়তো আবার ভাবার সময় এসেছে।

অ্যাপলের সতর্কবার্তা

১৭ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে ছুটির দিন ছিল এবং স্টক মার্কেট বন্ধ ছিল। কিন্তু ওইদিন অ্যাপল বিপদের ঘণ্টা শুনতে পায়। তারা সতর্ক করে দেয় বছরের প্রথম তিন মাসের রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা তারা অর্জন করতে পারবে না। কারণ চীনে তাদের আইফোনের উৎপাদন কমে গেছে, চীনে অ্যাপলের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং পণ্যের চাহিদাও কমে গেছে। মহামারি তাদের চাহিদা এবং যোগান দুই ধসিয়ে দিয়েছে।

২০১৩ সালে বিশ্বব্যাংকের এক রিপোর্টে বলা হয়েছিল, আকস্মিক, গভীর এবং ব্যাপক প্রভাবের ক্ষেত্রে গুরুতর মহামারি ঠিক বিশ্বযুদ্ধের মতো।

পরের মাসে অ্যাপল আবারও সতর্ক করে দিয়ে বলে, হাজারো কোম্পানি ভয়ানক চাপে আছে। বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন এবং যথাসময়ে মালামাল সরবরাহের উপর টিকে থাকা গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ইউরোপ এবং আমেরিকায় তাদের ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিয়েছে।

চীনের পর সারা বিশ্বেই আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। উড্ডয়ন সংস্থা কাপা জানিয়েছে, সরকারি সহায়তা ছাড়া মে মাসের মধ্যেই অধিকাংশ এয়ারলাইন্স দেউলিয়া হয়ে যাবে।

করনেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য নীতির অধ্যাপক এসওয়ার প্রাসাদ বলেন, ‘পণ্য, পুঁজি ও মানুষের অবাধ প্রবাহ থেকে অনেক সুবিধা পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক সংকট, মহামারি এবং ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের প্রভাব বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়ার পথও তৈরি করেছে।’

কোম্পানি এবং রাষ্ট্রগুলো কীভাবে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে তা নিয়ে আলাপ আলোচনা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। অনেকে মনে করছেন ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে চিকিৎসা সরঞ্জামের মত ভীষণ প্রয়োজনীয় সামগ্রীগুলোর দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে হবে।

 

সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের একজন সিনিয়র অ্যাডভাইজর উইলিয়াম রেইন্সচ বলেন, ‘মহামারি আমাদের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ যার মাধ্যমে গত ৫০ বছরে বৈশ্বিক বাণিজ্যের অগ্রগতি হয়েছে তা বাতিল করে দিতে পারে না। তবে প্রশ্ন হলো এগুলো কি আগের মতো একইভাবে এবং একই মাত্রায় ব্যবহার করা হবে কিনা।’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাস আমাদের শিক্ষা দিয়েছে যে সাপ্লাই চেইন আমরা যতটা মনে করি তার চেয়েও অনেক বেশি ভঙ্গুর এবং অপ্রত্যাশিত কারণে এটি আকস্মিকভাবে ব্যাহত হতে পারে।’

বাজার ভেঙে পড়ায় নীতিনির্ধারকদের প্রতিক্রিয়া

১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আমেরিকার স্টক মার্কেট পড়েই যাচ্ছে। ইউরোপ এবং এশিয়ার মার্কেটও পড়তিতে। আমেরিকার দ্য ডো ৩৫ শতাংশ, হংকং এর হ্যাং সেং ১৮ শতাংশ এবং ইউরোপের স্টক প্রায় এক তৃতীয়াংশ পড়ে গিয়েছে।

ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের প্রধান অর্থনীতিবিদ নীল শিয়ারিং জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর স্টক মার্কেটের পায়ের নিচের মাটি রাখার সামর্থ্য সীমিত। ইতিহাস বলে, ভাইরাস যখন সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে যায় ইকুইটি মার্কেট তখন সর্বনিম্ন সীমায় চলে যায়। স্টক মার্কেট আরো কিছুদিন চাপের মধ্যে থাকবে।

মার্কিন ফেডারেল ব্যাংক তাদের সুদের হার রেকর্ড পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডও মার্চে দুই দফায় সুদের হার কমিয়েছে।

এরপর কী হবে?

শুক্রবার (২০ মার্চ) গোল্ডম্যান স্যাকস সিএনএনের কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে, দ্বিতীয় ত্রৈমাসে মার্কিন জিডিপি বার্ষিক ২৪ শতাংশ হারে কমতে পারে এবং এই বছরের শেষে বেকারত্বের হার ৯ শতাংশ বেড়ে যাবে। আকার এবং গতিতে ঐতিহাসিকভাবে ছাঁটাই এবং ব্যয় সংকোচন ঘটবে।

গোল্ডম্যানের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০০৮ সালের মহামন্দার চেয়েও খারাপভাবে অর্থনৈতিক পতন ঘটবে। সে বছরের শেষ চতুর্থাংশে জিডিপির হার ৮ দশমিক ৪ শতাংশ কমে গিয়েছিল। এবার ১৯৫৮ সালের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের ১০ শতাংশের রেকর্ডও ছাড়িয়ে যাবে।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ট্রাম্পের প্রশাসনে যোগ দিতে যাওয়া একজন অর্থনীতিবিদ এবং সিএনএনের সাবেক কন্ট্রিবিউটর কেভিন হ্যাসেট বলেন, ‘চলমান বৈশ্বিক মহামারি ১৯২৯ সালে সৃষ্টি হওয়া বিশ্বমন্দার পুনরাবৃত্তি ঘটাবে যা এক বছর স্থায়ী হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘হয় আমাদের বিশ্বমন্দার সম্মুখীন হতে হবে, না হয় জনগণকে কাজে পাঠানোর নতুন উপায় খুঁজে বের করতে হবে।’

   

হিজাব না পরা নারীদের প্রতি কঠোর হচ্ছে ইরান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হিজাব না পরে রাস্তায় বের হওয়া নারী ও তরুণীদের প্রতি কঠোর হচ্ছে ইরান। গত ১৩ এপ্রিল থেকে ‘নুর’ নামের একটি নতুন ক্যাম্পেইন শুরু করে দেশটি। এরপরই থেকেই হিজাব আইন কার্যকরে কঠোরতা শুরু হয়েছে।

ইরানে হিজাব পরিধানে কঠোর আইন রয়েছে। যারা এই আইন ভঙ্গ করেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

নারীদের ওপর চালানো ধরপাকড়ের কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেগুলোতে দেখা যাচ্ছে, হিজাব ছাড়া বাইরে বের হওয়া নারীদের ‘নৈতিকতা পুলিশের’ সদস্যরা জোরপূর্বক গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।

একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, রাজধানী তেহরানের ব্যস্ততম তেহরান স্কয়ার দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন এক মা ও মেয়ে। ওই সময় তাদের ঘিরে ধরেন পুলিশের পাঁচ নারী ও দুই পুরুষ সদস্য। যখন তারা গ্রেফতার এড়ানোর চেষ্টা করেন তখন তাদের সজোরে ধাক্কা মেরে গাড়িতে তোলা হয়।

তেহরানের শহীদী বেহেস্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনা গালিবাফ নামের এক নারী শিক্ষার্থী মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে লেখেন, তাকে মেট্রোতে উঠতে বাধা দেওয়া হয়। যখন তিনি জোরাজুরি করেন তখন তাকে একটি রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে মারধর ও যৌন হেনস্তা করা হয় বলে দাবি করেন তিনি।  

এমন পোস্ট দেওয়ার একদিন পরই এই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাকে ইভিন কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান গ্রেফতার হওয়া কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের একজন সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, গত শনিবার পুলিশের আট সদস্য তাকে ঘিরে ধরে। ওই সময় ‘বেশ্যা’, ‘নগ্ন আমেরিকার বেশ্যাপ্রেমী’ বলে তাকে গালাগালি করে। এছাড়া নারী পুলিশ সদস্য ছাড়াও পুরুষরাও গ্রেফতার করা সময় তাকে স্পর্শ করেছে বলে দাবি করেছেন এই তরুণী।




  করোনা ভাইরাস

;

ফিলিপাইনে তীব্র তাপদাহে নিঃশ্বাস নেওয়া যাচ্ছে না



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিপাইনে তীব্র তাপদাহে সবকিছু ঝলসে যাচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশটির কর্তৃপক্ষ বুধবার (২৪ এপ্রিল) কিছু এলাকার স্কুল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে এবং লোকজনকে বাইরে থাকার বিষয় সতর্কতা জারি করেছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, মার্চ, এপ্রিল ও মে সাধারণত ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে উষ্ণ ও শুষ্কতম মাস। তবে এই বছর এল নিনোর আবহাওয়ার প্রভাবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

ম্যানিলার দক্ষিণে ক্যাভিট প্রদেশের একটি সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে কাজ করেন ৬০ বছর বয়সি এরলিন তুমারন।

তিনি বলেন, ‘এত গরম যে, আপনি নিশ্বাস নিতে পারবেন না।’ রিসোর্টটিতে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তাপ সূচক ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।

এরলিন তুমারন বলেন, ‘এটা আশ্চর্যজনক যে, আমাদের পুলগুলো এখনও খালি। এই গরমে আপনি আশা করতে পারেন যে, লোকেরা এসে পুলগুলোতে সাঁতার কাটবে। কিন্তু মনে হচ্ছে তারা গরমের কারণে বাড়ির বাইরে যেতে নারাজ।’

দেশটির আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বুধবার অন্তত ৩০টি শহর ও পৌরসভায় তাপ সূচক ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি বিপদজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রাজ্যের আবহাওয়া পূর্বাভাসের প্রধান জলবায়ু বিশেষজ্ঞ আনা সোলিস বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে তাপ আরো তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সোলিস এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের বাইরে কাটানো সময় সীমিত করতে হবে, প্রচুর পানি পান করতে হবে, বাইরে যাওয়ার সময় ছাতা ও টুপি ব্যবহার করতে হবে।’

সোলিস বলেন, এল নিনোর কারণে ‘চরম তাপ’ দেশের বিভিন্ন অংশকে প্রভাবিত করছে। দেশটির প্রায় অর্ধেক প্রদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে খরায় রয়েছে।

অ্যাপাররি উত্তর পৌরসভায় মঙ্গলবার তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছে, যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

  করোনা ভাইরাস

;

ইউক্রেন-ইসরায়েল সহায়তা ও টিকটক নিষিদ্ধকরণ বিলে বাইডেনের স্বাক্ষর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে পাস হওয়া ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়া সহায়তা বিল এবং টিকটক নিষিদ্ধকরণ বিলে স্বাক্ষর করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দেশটির সিনেটে বিলগুলো অনুমোদনের পর এটি অপেক্ষায় ছিল বাইডেনের স্বাক্ষরের। অবশেষে তার স্বাক্ষরের পর বিলগুলো চূড়ান্ত আইনে পরিণত হলো।

অনুমোদিত টিকটক বিলের শর্তে বলা হয়েছে, টিকটকের চীনা মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে আগামী নয় মাসের মধ্যে তাদের শেয়ার বিক্রি করতে হবে। নয়তো এই অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে ব্লক করে দেওয়া হবে।

এর আগে মঙ্গলবার ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানের জন্য ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদন দেয় মার্কিন সিনেট।

এক বিবৃতিতে বিলটি পাস করায় আইনপ্রণেতাদের প্রশংসা করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই আইন আমাদের দেশ ও বিশ্বকে আরও বেশি সুরক্ষিত করবে। আমরা আমাদের সেই বন্ধুদের সহায়তা করছি, যারা সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও (রুশ প্রেসিডেন্ট) ভ্লাদিমির পুতিনের মতো স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষায় লড়াই করছে।

এদিকে সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদনের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, এটি গণতন্ত্রের আলোকবর্তিকা এবং মুক্ত বিশ্বের নেতা হিসেবে আমেরিকার ভূমিকাকে শক্তিশালী মনে করে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে পাস হওয়া বিদেশি সহায়তা প্যাকেজে ইসরায়েলে সামরিক ও গাজায় মানবিক সহায়তা হিসেবে ২৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়া এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মার্কিন মিত্র তাইওয়ানের জন্য ৮ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার সহায়তা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কমিউনিস্ট শাসিত চীনকে মোকাবিলায় এই অর্থ সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

  করোনা ভাইরাস

;

‘ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকির সম্মুখীন হবে’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করা দেশগুলো সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকির সম্মুখীন হবে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির পাকিস্তান সফরকে উদ্দেশ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ মন্তব্য করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

রয়টার্স জানিয়েছে, রাইসির সফরে ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য বাড়ানো নিয়ে আটটি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সোমবার (২২ এপ্রিল) ইসলামাবাদে আকস্মিক সফরে আসেন রাইসি। এ বছরের শুরুতে পাকিস্তান ও ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলার পর সম্পর্ক জোরদার করার উদ্যোগ হিসেবে রাইসি পাকিস্তান সফর করেন।

গত সপ্তাহে ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক উত্তেজনার মধ্যেই রাইসির এ সফর অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিকে, ইসলামাবাদ সফরে এসে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন রাইসি। তিনি বাণিজ্য, জ্বালানি, যোগাযোগসহ নানা বিষয়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

রাইসির পাকিস্তান সফর ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমঝোতা স্বাক্ষর সই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা ঝুঁকির কথা বলেন।

ভেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমরা ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি বিবেচনায় নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিই। তবে পাকিস্তান সরকার তাদের নিজস্ব পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণের কথা জানাতে পারে।’

গত সপ্তাহে চীন ও বেলারুশের তিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে ক্ষেপণাস্ত্র যন্ত্রাংশ সরবরাহ করায় নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, কারণ সেসব এমন উপকরণ ছিল, যা গণবিধ্বংসী অস্ত্র বিস্তারে ভূমিকা রেখেছে।

  করোনা ভাইরাস

;