বৈশ্বিক মহামারির কালে মিয়ানমারে শৃঙ্খলা

  করোনা ভাইরাস


খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

“দেশের সার্বভৌমত্ব শুধু সেনাবাহিনীর মাধ্যমেই সুরক্ষিত হয় না। বিশ্বব্যাপী মহামারির সময় এটা আরও স্পষ্ট হয়েছে।

মহামারির এই কালে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও সংবাদকর্মীরা মানুষের জীবন রক্ষায় প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করে চলেছেন।”

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর আচরণ বিশ্লেষণ করতে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাইয়ের পায়াপ বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস বিল্ডিং প্রোগ্রামে এসব কথা বলেছেন পিএইচডি গবেষক মান মান মায়াট।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত তার প্রবন্ধে মায়াট বলেন, মিয়ানমারের সংবিধান দেশটির সেনাবাহিনীকে বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে রেখেছে। সম্প্রতি সাংবিধানিক সংস্কার সম্পর্কিত সংসদীয় বিতর্ক চলাকালে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা হ্রাস করার বিষয়ে সংসদে প্রস্তাব ওঠে।

২৫ শতাংশ নির্দিষ্ট আসনের দখলদার সেনাবাহিনীর সদস্যরা তখনই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, সেনাবাহিনীর শক্তি দুর্বল করা হলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতি হবে। এ ধরনের হুমকি দেশটির ভঙ্গুর গণতান্ত্রিক উত্তরণকে প্রভাবিত করছে।

মায়াট বলেন, বিশ্বব্যাপী মহামারি চলাকালে মিয়ানমারের সংসদে সংশোধনী প্রস্তাবটির বিরোধিতা করার কারণে জার্মান সমাজবিজ্ঞানী ম্যাক্স ওয়েবারের কথা মনে পড়ে যায়। যিনি সামরিক শৃঙ্খলার প্রকৃতি বর্ণনা করে বলেন, “তারা নির্দেশ পেলে গুলি চালানো বন্ধ করার প্রশিক্ষণ পেয়েছে। শৃঙ্খলাবদ্ধ শক্তিতে ব্যক্তিগত চিন্তা বা মনন কখনওই গ্রাহ্য হয় না।” তবে সেনাবাহিনী নাগরিকদের জীবন রক্ষার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কিনা ওয়েবার তার লেখায় তা বলেননি।

মিয়ানমারের সংসদে সামরিক আইন প্রণেতারা তাদের উচ্চ পর্যায়ের কামান্ডের আদেশে সংবিধান রক্ষা করার জন্য প্রশিক্ষিত। তাদের ভোটগুলো একটি সিস্টেমের অধীনে সম্মিলিত প্রচেষ্টা হিসেবে গণ্য। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর কমান্ডে স্বতন্ত্র চিন্তাকে গ্রাহ্য করা হয় না। সামরিক সংস্কৃতির সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য, ‘শৃঙ্খলা’— এমনকি মিয়ানমারের সনদের একটি মূল নীতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সমাজবিজ্ঞানী ম্যাক্স ওয়েবার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, শৃঙ্খলা নামে প্রাচীন মিশরের শাসকরা যেমনটি করেছেন। ফেরাউনরা বিশাল পিরামিড তৈরি করার সময় হাজার হাজার দাসকে পরিচালনা করার জন্য শৃঙ্খলা ব্যবহার করেছিল। মধ্য যুগের খনি মালিকরা শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে খনি শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করতো। ওয়েবারের মতে আমেরিকার ঔপনিবেশিক আমলে আখের আবাদে দাসত্ব করা আফ্রিকানদের মধ্যে শৃঙ্খলা প্রয়োগ করা হয়েছিল।

মিয়ানমারে ২০০৮ সালের সংবিধানে সেনাকে কর্তৃত্ব দিতে দুটি প্রধান প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র ও সীমান্ত নিজের ক্ষমতায় রাখা এবং সংবিধান সংশোধনকে বাধাগ্রস্ত করার ক্ষমতা দিতে ২৫ শতাংশ সেনা আসন সংরক্ষিত করা। এটি ছিল প্রাক্তন সিনিয়র জেনারেল থান শোয়ের মস্তিষ্ক প্রসূত।

মিয়ানমারের সংবিধানের ৪৩৬ (ক) অনুচ্ছেদে একটি বাক্যের দ্বারা সনদটি তালাবদ্ধ রয়েছে, “সকল প্রতিনিধিদের পঁচাত্তর শতাংশেরও বেশি সদস্যের দ্বারা পূর্বের অনুমোদন সংশোধন করা হবে।” এর সহজ অর্থ হলো কমপক্ষে একজন সামরিক আইন প্রণেতার সম্মতি ছাড়া সনদটি সংশোধন করা যায় না।

জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন পর্যবেক্ষণ করেছে: মিয়ানমারের রাজনৈতিক ও আইনি ব্যবস্থায় দায়মুক্তি গভীরভাবে জড়িত যা কার্যকরভাবে সেনাবাহিনীকে আইনের ঊর্ধ্বে রেখেছে। সংবিধান এবং অন্যান্য আইনগুলো সেনাবাহিনীকে স্বেচ্ছাচারী করে তোলে যা তাদের বেসামরিক তদারকির বাইরে রাখে।

আধুনিক কালের সংকট এবং বিপর্যয় অবশ্য নাগরিক এবং সৈনিকের ভুমিকা অস্পষ্ট করে তোলে, বিশেষত আজকে করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে। গণতন্ত্রের প্রকৃত অর্থ : পরিকল্পিত কল্পনাতীত সামরিক শৃঙ্খলা কাটিয়ে ওঠার ক্ষমতা।

বিশ্বব্যাপী মহামারির সময়, এটি আরও স্পষ্ট হয়ে যায় যে, সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সেনাবাহিনীই একমাত্র শৃঙ্খলাবদ্ধ শক্তি নয়, কারণ চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও সংবাদকর্মীরা মানুষের জীবন রক্ষায় প্রথম সারিতে ভূমিকা পালন করছে।

অত্যাচারীর সমাধিতে সুশৃঙ্খল সৈন্যের ‘অন্ধ আনুগত্য’ বেশি দিন স্থায়ী হবে না, কারণ সমাধির কোনও জীবন নেই। যদিও জোর করে মিয়ানমারের সংবিধানে তা স্থাপন করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী মহামারি বন্ধ করতে প্রতিটি ব্যক্তির শক্তি আজ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে - কারণ কেউই এই পৃথিবীর শেষ মানুষ হতে চায় না।

   

 ৯৯ টি  রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের ৮৪টি ভূপাতিত করার দাবি ইউক্রেনের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রুশ বাহিনী ইউক্রেনে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে ৯৯টি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৫৮টি ড্রোন এবং দুই ডজনেরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে বলে দাবি করেছে।


শুক্রবার বিমান বাহিনীর এক বিবৃতিতে কিয়েভ বলেছে, ৮৪টি বিমান লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা হয়েছে। এর মধ্যে  ৫৮টি শাহেদ ড্রোন এবং ২৬টি ক্ষেপণাস্ত্র।

এই ড্রোনগুলো দিয়ে ওডেসা, খারকিভ, নিপ্রোপেট্রোভস্ক, জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে হামলা করে রাশিয়া। জাপোরিঝিয়ার গভর্নর জানিয়েছেন, এই ড্রোন হামলায় দুই নারী আহত হয়েছেন। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করেছে।

উল্লেখ্য, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুলেবা দুই দিনের সফরে ভারতে এসেছেন। শুক্রবার তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি ভারতের উপজাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গেও কথা বলবেন। রাজঘাটে গিয়ে মহত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধাও জানাবেন।

গত সপ্তাহেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট  পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।

রাশিার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, ‘পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্রসহ কোনো ন্যাটো দেশকে আক্রমণ করার কোনো পরিকল্পনা রাশিয়ার নেই।  তবে তারা যদি ইউক্রেনকে এফ ১৬ বিমান দেয়, তাহলে রাশিয়া তা ধ্বংস করে দেবে।’

পুতিন বলেছেন, ‘ওরা এফ১৬ পাবে বলে পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। কিন্তু এফ১৬ পেলেও যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি বদলাবে না।’

  করোনা ভাইরাস

;

হিজবুল্লাহর রকেট ইউনিটের উপপ্রধানকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লেবাননে শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিমান হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর রকেট ইউনিটের উপপ্রধানকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের বাজুরিয়েহতে তাদের বিমান বাহিনীর হামলায় আলী আবদেল হাসান নাইম নামের হামাসের ওই কমান্ডার নিহত হয়েছেন।

আইডিএফ জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর রকেট ফায়ারের অন্যতম নেতা এই নাইম ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে হামলা পরিচালনা ও পরিকল্পনার জন্য দায়ী।

এদিকে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়া বন্ধে ইসরায়েলকে প্রয়োজনীয় এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক আদালত সর্বসম্মতভাবে ইসরায়েলকে এই নির্দেশ দিয়েছে। তবে হামাস নেতারা বলেছেন, মানবিক সংকট ঠেকাতে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।

গাজায় রাষ্ট্র পরিচালিত গণহত্যার জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করা মামলার অংশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা নতুন ব্যবস্থার অনুরোধ করেছিল আদালতকে। পরে আদালত এই নির্দেশ দেয়।

বার্তা সংস্থা রয়র্টাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর জন্য মৌলিক খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়া বন্ধে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত। গাজার আল শিফা হাসপাতালের চারপাশে ইসরায়েলি বাহিনী এবং ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা লড়াই করার সময় এই আদেশটি এলো।

আদালতের বিচারকরা বলেছেন, গাজার মানুষরা আরও খারাপ অবস্থার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। বিচারকরা আদেশে বলেছেন, আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে যে গাজার মানুষেরা শুধুমাত্র দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে না বরং সেখানে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে।

  করোনা ভাইরাস

;

বিয়ে করলেন জোড়া মাথার অ্যাবি-ব্রিটানি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত জোড়া লাগা দুই বোন অ্যাবি ও ব্রিটানি হেনসেল তিন বছর আগে বিয়ে করেছেন মার্কিন সেনা সদস্য জোশ বোলিংকে। তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, চিন্তাভাবনাও ভিন্ন হলেও স্বামী একজনই। তারা মূলত মিনেসোটার বাসিন্দা।

মার্কিন গণমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্ট এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত অ্যাবি ও ব্রিটানির শরীর এক হলেও মাথা সম্পূর্ণ আলাদা। তাই তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, চিন্তাভাবনাও ভিন্ন। এমনকি খাবারের প্রতি ভালোবাসাতেও আসে পার্থক্য। কারণ তাদের হৃৎপিণ্ড, পিত্তাশয় ও পাকস্থলী আলাদা। তাই ক্ষুধাও আলাদা সময়ে পায়।

প্যাটি-মাইক দম্পতির ঘরে ১৯৯০ সালে জন্ম নেন এই যমজ দুই বোন। জন্মের সময় যমজ সন্তানদের আলাদা করলে তাদের বাঁচানো সম্ভব হতো না। তাই অপারেশন করে আলাদা করার সিদ্ধান্ত নেয়নি পরিবার। ১৯৯৬ সালে দ্য অপরাহ উইনফ্রে শো এবং লাইফ ম্যাগাজিনের কভারে উপস্থিতির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী আলোচনায় আসেন অ্যাবি ও ব্রিটানি।

জোশ বোলিং-এর ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ২০ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বিয়ের রিসেপশনে দম্পতি নাচ ও চুম্বন করছেন। সেখানে একটি সাদা, স্লিভলেস ব্রাইডাল গাউন এবং লেস-ব্যাক পোশাক পরেছিলেন অ্যাবি ও ব্রিটানি।

  করোনা ভাইরাস

;

মস্কোতে সন্ত্রাসী হামলায় এখনও নিঁখোজ প্রায় ১০০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে সন্ত্রাসী হামলায় সর্বশেষ নিহতের সংখ্যা ১৪০ জন বলে জানিয়েছে রাশিয়া। তারা জানিয়েছে ওই হামলায় আহতের সংখ্যা ১৮২ জন। হামলার পর ৯৫ জনের মতো এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

বাজা নিউজ সার্ভিসের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এই তালিকায় এমন লোকও রয়েছেন যাদের সঙ্গে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে আত্মীয়রা যোগাযোগ করতে পারেননি। এর মধ্যে যারা মারা গেছেন, তবে এখনও তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

গত ২২ মার্চ রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছিল। হামলার সময় সামরিক ইউনিফর্ম পরা চার সন্ত্রাসী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে, বোমা নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এর আগে সন্ত্রাসীর সংখ্যা পাঁচ বলে জানানো হয়েছিল।

ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া গেছে পাঁচ শতাধিক রাউন্ড গুলি। রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারপারসন দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ‘রাশিয়া রক্ত ​​দিয়ে এর প্রতিশোধ নেবে। সন্ত্রাসীরা বোঝে শুধু সন্ত্রাসের ভাষা। বলপ্রয়োগ না করলে এবং সন্ত্রাসীদের পরিবারসহ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে তদন্ত করে কোনও লাভ নেই।’

আরটি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তকারী সংস্থার দাবি, পরিকল্পনা করেই ওই সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। আক্রমণকারীদের জন্য ক্রোকাস সিটি হলে অস্ত্র লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।

মস্কোর দাবি, একজন অভিযুক্ত হামলাকারী অপরাধ স্বীকার করে পুরো পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। প্ল্যান ছিল, হামলাকারীরা আক্রমণ করার ইউক্রেনের দিকে চলে যাবে। এক্ষেত্রে তিন হামলাকারীর ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। রাশিয়া বলেছে, সন্ত্রাসীরা পুরো হল পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তদন্তের সময় হলটিতে রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া গেছে।

এদিকে, ওই হামলার পর থেকে ভিকটিমদের খুঁজে পেতে সাহায্য করার আবেদন জানিয়েছে রাশিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলো। ‘ক্রোকাস হেল্প সেন্টার’ নামক একটি টেলিগ্রাম চ্যাটে জড়ো হওয়া ভিকটিমদের বন্ধু এবং আত্মীয়রাও নিজেদের মতো করে খোঁজ চালাচ্ছেন।

এদিকে, বেশ কয়েকজন নিখোঁজ ব্যক্তিকে মৃত বলে নিশ্চিত করা হয়েছে, যেমন ১৫ বছর বয়সি আর্সেনি, যিনি তার মা ইরিনা ভেদেনেইভার সঙ্গে কনসার্টে গিয়েছিলেন। রবিবার শট টেলিগ্রাম চ্যানেল আর্সেনির একটি ছবি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, তিনি কনসার্ট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে দাদিকে এই ছবি পাঠিয়েছিলেন এবং তাঁর লাশ পাওয়া গেছে।

তার মাকে ইতিমধ্যেই মৃত বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। রাশিয়ার জরুরি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত নিশ্চিত মৃতদের তালিকায় মা ও ছেলে উভয়ের নাম রয়েছে।

  করোনা ভাইরাস

;