করোনা: আক্রান্ত ১০ লাখ, সুস্থ দুই লাখ মানুষ

  করোনা ভাইরাস
  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান বিশ্বে এক আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। এছাড়াও আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ লাখ। এই ভাইরাসে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫৩ হাজার ২০২ জন মানুষের। তবে আশার কথা হচ্ছে, এরইমধ্যে চিকিৎসা নিয়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ লাক ১২ হাজার ৯৯১ জন মানুষ।

যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা ১০ লাখ ১৫ হাজার ৭২৮ জন।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বের পায় প্রতিটি দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। প্রতিদিনই এসব দেশে সুস্থ হয়ে মানুষ বাড়ি ফিরছেন। মোট আরোগ্য লাভ করাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, চীনে ৭৬ হাজার ৫৭১ জন, স্পেনে ২৬ হাজার ৭৪৩ জন, ইতালিতে ১৮ হাজার ২৭৮ জন, ইরানে ১৬ হাজার ৭১১ জন, জার্মানিতে ২২ হাজার ৪৪০ জন, ফ্রান্সে ১২ হাজার ৪২৮ জন।

এদিকে আক্রান্তের দিক থেকে ইতালি, স্পেন, চীনকে পেছনে ফেলে বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৪৫ হাজার ৮৮ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তবে ভাইরাসে দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৬ হাজার ৭৫ জন। এছাড়া মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে বর্তমান বিশ্বে প্রথমে আছে ইতালির নাম। ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রাণহানি হয়েছে ১৩ হাজার ৯১৫ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১৫ হাজার ২৪২।

বিজ্ঞাপন

তাছাড়া চীনে আক্রান্ত ৮২ হাজার ১২২, মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৩২২ জনের। ইউরোপের আরেক দেশ স্পেনে ১ লাখ ১২ হাজার ৬৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ১০ হাজার ৩৪৮ জন। ফ্রান্সে করোনায় আক্রান্ত ৫৯ হাজার ১০৫, মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৩৮৭। জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৪ হাজার ৭৯৪, প্রাণহানি হয়েছে ১ হাজার ১০৭ জনের।

দক্ষিন এশিয়ার দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আরাই হাজার। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। সুস্থ হয়েছেন ১৯১ জন। এছাড়াও বাংলাদেশ ৫৬ জনকে করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন ৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৫ জন।

উল্লেখ্য, চীনের উহান শহরে গত ডিসেম্বর থেকে দেখা যাওয়া এই নতুন ভাইরাস মূলত ফুসফুসে বড় ধরণের সংক্রমণ ঘটায়। জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষ্মণ। নতুন ভাইরাসটির জেনেটিক কোড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এটি অনেকটাই সার্স ভাইরাসের মতো। এই ভাইরাস নিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে চলছে নানা তর্ক-বিতর্ক।