লকডাউনে অনলাইনে বেড়েছে শিশুদের যৌন হয়রানি
করোনা ভাইরাসকোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নে অনলাইনে শিশুদের যৌন হয়রানি বেড়েছে।
সোমবার (১৮ মে) ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন প্রণয়ন সংস্থার প্রধান এ কথা জানিয়েছেন।
স্কুল খোলার পর যখন শিক্ষকদের তদারকি আবার শুরু হবে তখন এ ধরনের ঘটনা আরো প্রকাশ পাবে বলে জানান তিনি।
মহামারির কারণে মানুষ বাড়ি থেকে কাজ করায় এবং অনলাইনে কেনাকাটা করায় সাইবার অপরাধ বেড়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের আদালতে এক শুনানির সময় বেলজিয়ান পুলিশের সাবেক প্রধান এবং ইউরোপোলের পরিচালক ক্যাথেরিন দে বোলে জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের জাতীয় আইন প্রণয়ন সংস্থা শিশুদের যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড বেড়েছে বলে রিপোর্ট করেছে। তারা অবৈধ ওয়েবসাইটে অধিক মাত্রায় প্রবেশ লক্ষ্য করে শিশুদের যৌনতা বিষয়ক কনটেন্ট প্রদর্শিত হয় এমন অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।
দে বোলে আরো বলেন, লকডাউনে শিশুরা অনলাইনে পাঠ গ্রহণ শুরু করেছে এবং অনেক সময় এমন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে যা যথেষ্ট সুরক্ষিত নয়। যৌন নির্যাতনকারীরা শিশুদের এই ক্রমবর্ধমান ইন্টারনেট ব্যবহারকেই অনৈতিকভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে।
আইনপ্রণেতাদের দে বোলে বলেন, যখন শিশুরা আবার স্কুলে যেতে পারবে এবং শিক্ষকদের সাথে কথা বলার সুযোগ পাবে তখন আমরা এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে পারব।
ইউরোপের অনেক দেশে এখনো মহামারির কারণে স্কুল বন্ধ রয়েছে।
শিশুদের বাণিজ্যিক যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে কাজ করা সুশীল সমাজের প্রতিষ্ঠান ইসিপিএটি জানায়, আগের তুলনায় এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে শিশুদের যৌন হয়রানি করা অনেক সহজ হয়ে গেছে। পেডোফাইলরা সহজেই শিশুদের সংস্পর্শে আসতে পারছে এবং নিজেদের মত অপরাধীদেরও খুঁজে পাচ্ছে। ফলে শিশুদের যৌন নির্যাতন বিষয়ক কন্টেন্টে প্রবেশ, ডাউনলোড, তৈরি এবং শেয়ার করা আরো সহজ হয়ে পড়েছে।