কাতার কোরআন প্রতিযোগিতায় মিসরীয় তরুণ প্রথম

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীকে সম্মাননা সনদ দেন কাতারের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী গানিম বিন শাহিন আল-গানিম

কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীকে সম্মাননা সনদ দেন কাতারের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী গানিম বিন শাহিন আল-গানিম

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশটির ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে দ্বিতীয় বারের মতো হওয়া ‘আওয়াল আল আওয়াইল’ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন মিসরের মোহাম্মদ সাদ আবদুল জলিল।

রোববার (১২ নভেম্বর) চূড়ান্ত বিজয়ীদের সম্মাননা সনদ তুলে দেন আওকাফ ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী গানিম বিন শাহিন আল-গানিম। টানা ১২ দিন ধরে শায়খ জাসিম বিন মোহাম্মদ বিন থানি আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার আন্তর্জাতিক পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ২৬টি দেশ থেকে ৮০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় ৪০ জন অংশ নেন, যাদের মধ্যে ১০ জন উত্তীর্ণ হন। এর আগে ২০১৬ সালে প্রতিযোগিতাটি প্রথমবার অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

প্রথম স্থান অর্জনকারী সাদ আবদুল জলিল ২০১৯ সালে মিসরের পোর্ট সাইদ কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন।

২৭ বছর বয়সী এই তরুণ বর্তমানে উলুমুল কোরআন ও কিরাত বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। কোরআনের ১০টি কিরাতে দক্ষতা অর্জনে সবার কাছে দোয়া চান তিনি।

বিজ্ঞাপন

কাতার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শেখ জাসিম বিন মোহাম্মদ কোরআন প্রতিযোগিতা ১৯৯৩ সাল থেকে শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে শুধু পুরো কোরআন হিফজের প্রতিযোগিতা চললেও পরবর্তী সময়ে অনেক শাখা করা হয়।

মানুষের মধ্যে কোরআন মাজিদ শেখার আগ্রহ তৈরি করতে বর্তমানে সব বয়সী নারী-পুরুষের জন্য পৃথকভাবে কোরআনের পাঁচটি অংশে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তা ছাড়া প্রবাসীরাও এ কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেন।

প্রতিযোগিতার আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান জাসিম ইউসুফ আল-সুলাইতি বলেন, ‘প্রায় তিন দশক আগে সব ধরনের মানদণ্ড অনুসরণ করে প্রতিযোগিতাটি কাতারে শুরু হয়। এর পর থেকে প্রতিবছর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়ছে। এখন আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’

প্রতিযোগিতার বিচারক কমিটির প্রধান ড. আহমদ ঈসা আল-মিসারাবি বলেন, ‘এ ধরনের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কাতার পবিত্র কোরআনের শিক্ষা প্রসারে অনন্য ভূমিকা রাখছে। এর মাধ্যমে ছোট-বড় ও আরব-অনারব সবার মধ্যে হিফজের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। হিফজের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন সুরক্ষিত থাকবে এবং মুসলিম উম্মাহ অনন্তকাল বেঁচে থাকবে।’