পাকিস্তানের জাতীয় মসজিদে জুমা পড়ালেন কাবার ইমাম

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কাবার ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে পাকিস্তানে মুসল্লিদের ঢল

কাবার ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে পাকিস্তানে মুসল্লিদের ঢল

কাবা শরিফের ইমাম ও খতিব শায়খ সালেহ বিন আবদুল্লাহ বিন হুমাইদ ছয় দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে পাকিস্তান রয়েছেন। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) তিনি দেশটির জাতীয় মসজিদে জুমার নামাজের ইমামতি করেন।

কাবার ইমাম ও খতিবের পেছনে নামাজ আদায়ের জন্য এদিন শাহ ফয়সাল মসজিদে মুসল্লিদের ঢল নামে। দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মসজিদে এসে সমবেত হন। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জুমার নামাজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার করে।

বিজ্ঞাপন

শায়খ হুমাইদের সঙ্গে জুমার নামাজে অংশ নেন সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত নাওয়াফ সাইদ আল-মালিকি, আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ড. হাজাল হামুদ আল-ওতাইবি, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিক, বিশিষ্ট ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

শায়েখ হুমাইদ জুমার খুতবায় মানবতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি মানবজীবনের পবিত্রতা এবং শান্তি প্রচারের কথাও বলেন। খুতবায় তিনি মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজনীয়তা, মুসলিম বিশ্বের স্থিতিশীলতা, পাকিস্তানের উন্নয়ন এবং গাজার নিরীহ মুসলমানদের কষ্ট অবসানের জন্য পরম করুণাময় আল্লাহর দরবারে বিশেষ মোনাজাত করেন।

বিজ্ঞাপন

শায়খ সালেহ বিন আবদুল্লাহ বিন হুমাইদ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ৬ দিনের সফরে পাকিস্তান এসেছেন।

খুতবা দিচ্ছেন শায়খ হুমাইদ

 

পাকিস্তান পররাষ্ট্র দফতর সূত্রে জানা গেছে, কাবার ইমাম দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভী, পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাক্কার ও সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

শাহ ফয়সাল মসজিদ পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় এবং জাতীয় মসজিদ। রাজধানী ইসলামাবাদের উত্তরে মারগালা পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত বেদুইন তাঁবুর আকৃতির এই মসজিদকে সম-সাময়িক ইসলামি স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সাধারণ মসজিদের প্রচলিত যে কাঠামো তার সঙ্গে এই মসজিদের ভেতর-বাইরের অবকাঠামোর তেমন মিল নেই।

সৌদি আরবের তৎকালীন বাদশাহ ফয়সালের আর্থিক সহায়তায় ১৯৭৬ সালে নির্মাণ শুরু হয় মসজিদটির। এর নির্মাণ খরচ হয় ১২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি হিসেবে এক হাজার কোটি টাকার বেশি।

মসজিদের মুসল্লি ধারণক্ষমতা কমপক্ষে ৭৪ হাজার। এর মধ্যে নামাজের মূল জায়গায় এক সঙ্গে ১০ হাজার, মসজিদের প্রবেশ পথের বর্ধিত অংশে ২৪ হাজার এবং মসজিদের সামনের অংশে ৪০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। তবে মসজিদের বাইরের খোলা চত্বরসহ পুরো মসজিদ কমপ্লেক্সে এক সঙ্গে আড়াই লাখের বেশি লোক জড়ো হতে পারে। বিভিন্ন দিবস ও উপলক্ষে এই পরিমাণ মানুষ অতীতে অনেকবারই জড়ো হয়েছে।