আগামী বছর থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবে ৭০ শতাংশ হাজি
আগামী বছর থেকে ৭০ শতাংশ হাজিকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সৌদি আরবে মক্কার হাজি ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম সচিব মুহাম্মদ হামিদ জমাদ্দার বলেছেন, এবারের হজযাত্রায় নানাবিধ বিশৃঙ্খলা, অনিয়ম ও জালিয়াতির কারণে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রী দফতরের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বলেও জানান তিনি।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ব্যবস্থাপনাসহ ৮৫ হাজার ১২৯ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।
হজের সময় আবহাওয়া বিষয়ে মক্কার আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, হজের সময় মক্কার তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। আর্দ্রতা থাকবে ৮৫ শতাংশ। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে, যা হজযাত্রীদের জন্য কিছুটা হলেও আরামদায়ক হবে।
বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়া হাজিরা মোয়াল্লেম নম্বর ৭ ও ৮-এর অধীনে থাকবেন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে আসা হাজিরা থাকবেন ৩, ৪, ৬, ১১, ২০, ৫৭, ৫৯, ৬০, ৭৫-৭৭, ৯৯, ১০১, ১০৩ থেকে ১৩৭ মোয়াল্লেম নম্বরের অধীনে। মিনায় হাজিদের সহায়তার জন্য ২৪/৬২ নম্বর তাঁবুতে পাঁচ দিনব্যাপী বাংলাদেশ হজ কার্যালয়ের কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পবিত্র হজপালন করতে আসা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত মুসল্লিরা আজ রাতে এশার নামাজ আদায় করে মক্কার মসজিদে হারাম থেকে প্রায় নয় কিলোমিটার দূরে মিনায় যাবেন।
সেখানে রাতযাপন হজের অন্যতম সুন্নত। রাতযাপন শেষে মুসল্লিরা মিনাতেই থাকবেন। এখানে জোহর, আসর, মাগরিব, এশা ও ফজরের নামাজ আদায় করা মুস্তাহাব।
পরদিন সূর্যোদয়ের পর মুসল্লিরা যাবেন প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে। এ ময়দানে অবস্থান হজের মূল আনুষ্ঠানিকতার একটি (ফরজ)।
ইহরামের কাপড় (আড়াই হাত বহরের আড়াই গজ কাপড় আর গায়ের চাদরের জন্য একই বহরের তিন গজ কাপড়) পরে জিকির-আজকারে মিনার পথে চলবেন হজযাত্রীরা। কেউ যাবেন গাড়িতে, কেউ হেঁটে।