কাবা চত্বর করোনামুক্ত রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টায় সৌদি

  করোনা ভাইরাস


মুফতি এনায়েতুল্লাহ, বিভাগীয় প্রধান, ইসলাম, বার্তা২৪.কম
পবিত্র কাবা, মক্কা, সৌদি আরব, ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র কাবা, মক্কা, সৌদি আরব, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এ কারণে যেসব স্থানে সারা বছর জনসমাগম থাকতো সেসব এলাকা এখন লোকশূন্য।

গত ৫ মার্চ সৌদি আরবে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর পবিত্র কাবা ঘরের মূল তাওয়াফের স্থান (মাতাফ) বন্ধ করে দেওয়া হয়। মূল মাতাফ বন্ধ থাকলেও মসজিদে হারামের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় তাওয়াফ অব্যাহত ছিল। ফাঁকা কাবার ছবি প্রকাশ্যে আসতেই নানারকম আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যদিও পরে মাতাফ বিশেষ এন্টিভাইরাস দিয়ে জীবাণুমুক্ত করার পর খুলে দেওয়া হয়েছে।

আপাতত কাবার মাতাফ এলাকা এশার নামাজের পর থেকে ফজর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হচ্ছে। উমরা পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আগ পর্যন্ত এই অবস্থা বহাল থাকবে। করোনাভাইরাস যাতে না ছড়াতে পারে তার জন্য পূর্ব সতর্কতার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে সৌদি গণমাধ্যম জানিয়েছে।

শায়খ সুদাইস কাবা চত্বর পরিষ্কারের কাজ করছেন, ছবি: সংগৃহীত

উল্লেখ্য, মাতাফের মাকামে ইবরাহিম এলাকাটিতে তাওয়াফকারীরা তাওয়াফ শেষে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায়সহ দোয়া করে থাকেন। এ ছাড়া পবিত্র কাবার দরজা, হাজরে আসওয়াদ, হাতিমে কাবা ও মাকামে ইবরাহিম কাছাকাছি স্থানে হওয়ায় উমরা যাত্রীসহ তাওয়াফকারীদের ভিড় বেশি থাকে ওই এলাকায়। অনেকে এসব স্থান স্পর্শ করে থাকেন, চুমু দেন। এ কারণেই সতর্কতার জন্য এখনও কাবা ঘর সংলগ্ন এসব এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে।

সৌদি আরব সরকার গত ২৭ ফেব্রুয়ারি উমরা ও ভিজিট ভিসায় সৌদি আরবে প্রবেশ নিষিদ্ধের পর মক্কার বাইরের লোকদের জন্যও উমরা পালন ও মসজিদে নববীতে গমন নিষিদ্ধ করে। এটা নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনার মাঝে কিছু সময়ের জন্য পুরো মাতাফ এবং বর্তমানে কাবা সংলগ্ন মাতাফ এলাকার কিছু অংশ ঘিরে রাখার পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা চলছে। তবে সব কিছু ছাপিয়ে হারামাইন কর্তৃপক্ষ এটা নিশ্চিত করতে চাইছেন, পবিত্র কাবা, মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববী এলাকায় যেন করোনাভাইরাসমুক্ত থাকে।

শায়খ সুদাইস কাবা চত্বর পরিষ্কারের কাজ করছেন, ছবি: সংগৃহীত

এমতাবস্থায় হারামাইন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দিনে ছয়বার মাতাফকে (কাবা চত্বর) ধুয়ে পরিষ্কার করে জীবাণুমুক্ত করা হয় এবং সুগন্ধি স্প্রে করা হয়। প্রত্যেক নামাজের পূর্বে একবার এবং মাঝরাতে একবার এভাবে মোট ছয় বার কাবা চত্বর পরিষ্কার করা হচ্ছে।

সোমবার (৯ মার্চ) রাতে দেখ গেছে, এশার নামাজের পর কাবা চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্তকরণ অভিযানে দেখভাল করছেন হারামাইন শরিফাইন পরিচালনা কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট শায়খ ড. আবদুর রহমান সুদাইস। জীবাণু নিরোধক ওষুধ স্প্রে করে মাকামে ইবরাহিম, হাজরে আসওয়াদ, কাবার গিলাফ ও দরজাসহ কাবার দেওয়াল পরিষ্কার করতে দেখা যায়।

সৌদি আরবে করোনোভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সন্ধানের পর থেকে হারামাইন কর্তৃপক্ষ সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে পবিত্র দুই মসজিদকে জীবাণুমুক্ত রাখতে।

কাবা চত্বরে জীবাণুনাশক স্প্রে করছেন শায়খ সুদাইস, ছবি: সংগৃহীত

এদিকে সৌদি আরবের ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী শেখ ডক্টর আবদুল লতিফ আলে শেখ মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববীসহ সৌদি আরবের অন্য মসজিদগুলোর জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। এসব নির্দেশনার অন্যতম হলো—
আজান ও নামাজের মধ্যবর্তী সময় ১০ মিনিটের মধ্যে কমিয়ে আনা; জুমার নামাজ ও খুতবা ১৫ মিনিটের মধ্যে শেষ করা; আপাতত মসজিদে নফল রোজার ইফতার না করা; মসজিদে ইতিকাফ (রাতে থাকা) না করা; মসজিদে কোনো ধরনের খাবার ও পানীয় না নেওয়া।

এতসব সতর্কতার পাশাপাশি গ্র্যান্ড মসজিদের প্রধান খতিব শায়খ ড. আবদুর রহমান সুদাইস বারবার গণমাধ্যমে এবং বিভিন্ন নামাজের আগে পূর্ব সতর্কতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বক্তব্য ও বিবৃতি দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে তিনি গ্র্যান্ড মসজিদ পরিদর্শনকারীকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি জিয়ারতকারীদের কাছ থেকে সহনশীল আচরণ প্রত্যাশা করেছেন।

কাবা চত্বরের বিভিন্ন স্থানে জীবাণুনাশক স্প্রে করছেন শায়খ সুদাইস, ছবি: সংগৃহীত

করোনা প্রতিরোধে উমরা পালনে সাময়িক নিষেধাজ্ঞাকে শরিয়তসম্মত উল্লেখ করে শায়খ সুদাইস বলেছেন, সংক্রমণজণিত যেকোনো মহামারি বা রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়লে তা থেকে দেশের মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের প্রথম কাজ। সম্প্রতি করোনা ইস্যুতে সৌদি সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা ইসলামি শরিয়তের আইনের সীমানা ও ইসলামি নীতিমালার পরিপন্থী নয়।

সৌদি গণমাধ্যম আল আরাবিয়া সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার কাবা শরিফের জুমার খুতবায় খতিব শায়খ আব্দুল্লাহ আল জুহানি ও মসজিদে নববীর জুমার খুতবায় খতিব শায়খ সালেহ আল বাদিরও প্রধান ইমামের এ মতকে সমর্থন করে জুমার বয়ানে এর যৌক্তিকতা ও গুরুত্ব তুলে ধরেন।

শায়খ আব্দুল্লাহ আল জুহানি কাবা শরিফে জুমার খুতবায় বলেন, পবিত্র দুই মসজিদের খাদেম বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ও ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মাদ বিন সালমান করোনাভাইরাস প্রতিরোধে উমরা পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে সৌদি প্রশাসনকে যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা শরিয়তের প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

কাবা চত্বরের বর্তমান চিত্র, ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের মতো মারাত্মক মহামারিতে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য মসজিদে হারাম এবং মসজিদে নববি এশার নামাজের ১ ঘণ্টা পর বন্ধ করে দিয়ে ফজরের ১ ঘণ্টা আগে খুলে দেওয়া হচ্ছে। সতর্কতামূলক এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক মনে করেন দুই পবিত্র মসজিদের প্রধান ইমাম শায়খ সুদাইস।

তিনি বলেন, সংক্রামণজনিত যেকোনো ভাইরাস ও রোগব্যাধির প্রভাব থেকে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর পরিবেশকে সুরক্ষা দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এ দায়িত্ববোধ থেকেই সৌদি সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশ্বের বিদগ্ধ ইসলামি স্কলাররাও বিষয়টি সমর্থন করেছেন।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের প্রভাব থেকে দুই পবিত্র মসজিদকে মুক্ত রাখতে উমরা পালন ও জিয়ারতের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি অনির্দিষ্টকালের জন্য উভয় মসজিদে ইতেকাফ, বিছানাপত্র বিছানো ও খাবার-দাবার আনা-নেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জমজম পানির কুলারগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে।

-আল আরাবিয়া অবলম্বনে

   

সৌদিতে আরও এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মৌসুমে হজ পালন করতে গিয়ে মো. মোস্তফা (৮৯) নামে আরও এক হজ যাত্রী মারা গেছেন। শনিবার (১৮ মে) মক্কায় মারা যান তিনি।

রোববার (১৯ মে) রাত ২টার হজ পোর্টালের আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে, গত বুধবার (১৫ মে) চলতি হজ মৌসুমে সৌদি আরবের প্রথম বাংলাদেশি এক হজযাত্রী মারা যান। মো. আসাদুজ্জামান নামের ওই ব্যক্তি মদিনায় মৃত্যুবরণ করেন।

এ দিকে পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত (১৮ মে রাত ১টা ৫৯ মিনিট) সৌদি পৌঁছেছেন ২৮ হাজার ৭৬০ জন হজযাত্রী। মোট ৭২টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২৫ হাজার ১৩ জন। এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার ৮৬২টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।

হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা এবং সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্পডেস্ক।

হেল্প ডেস্কের তথ্য মতে, এ পর্যন্ত মোট ৭২টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২৮টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২৬টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর গত মধ্যরাত পর্যন্ত ৮১ হাজার ৮৬২ জন হজযাত্রীর ভিসা ইস্যু হয়েছে। সে হিসেবে এখনো ৩ হাজার ৩৯৫ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি। সর্বশেষ শনিবার (১৮ মে) মো. মোস্তফা নামের ৮৯ বছর বয়সী হজযাত্রী মক্কায় মারা যান।

  করোনা ভাইরাস

;

নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালনে বঞ্চিত হবেন না



মুফতি এনায়েতুল্লাহ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর, বার্তা২৪.কম
হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালনে বঞ্চিত হবেন না বলে আশাবাদী বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান।

ভিসা না হওয়া হজযাত্রীরা এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। তবে বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, চলতি হজ মৌসুমে নিবন্ধিত সবার ভিসা হবে বলে আমি আশাবাদী। কয়েকটি এজেন্সির হজযাত্রী নিয়ে জটিলতা হচ্ছে, তার অর্ধেকই ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। বাকি কাজ সমাধানের পথে।

জিলহজ মাসে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে ৯ মে শুরু হওয়া হজফ্লাইট শেষ হবে ১০ জুন। এই সময়ের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজপালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন। ইতোমধ্যে ২৮ হাজার ৪ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। ৮২ হাজার ১০০ জনের ভিসা ভিসা হয়েছে। এখনও বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত ৩ হাজার ৩৩৬ জনের ভিসা হয়নি।

মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, পরিচালক, হজ অফিস, ছবি: বার্তা২৪.কম

জানা গেছে, যথাসময়ে ভিসার আবেদন না করায় ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ৫৭০, যাত্রী সংখ্যা ২৮৬), আনসারি ওভারসিস (লাইসেন্স ৬০১, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), আল রিসান ট্রাভেল এজেন্সি (লাইসেন্স ৬৭২, যাত্রী সংখ্যা ৪৪৪), মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ১০২৫, যাত্রী সংখ্যা ৩৭৫), নর্থ বাংলা হজ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (লাইসেন্স ১০৮৬, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস (লাইসেন্স ১৪৬২, যাত্রী সংখ্যা ২৫০) কে ধর্ম মন্ত্রণালয় শোকজ করে। এসব এজেন্সির মাধ্যমে ১ হাজার ৮৭৫ জনের চলতি বছর হজে যাওয়ার কথা রয়েছে।

আর আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সির নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কারও ভিসা না করায় বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এজেন্সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়ার দেশত্যাগ স্থগিত ও তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

হজ এজেন্সির মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সিসহ অভিযুক্ত এজেন্সির মালিকদের নিয়ে আমরা বসে, পয়েন্ট পয়েন্ট ধরে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করেছি। ইতোমধ্যে হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস, ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস এবং মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অন্যদেরও হয়ে যাবে। নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালন থেকে বঞ্চিত হবেন না বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এমন আশাবাদী হওয়ার কারণ জানতে চাইলে হাব সভাপতি বলেন, হজ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরব অংশে যে পরিমাণ অর্থ প্রেরণ করা দরকার এজেন্সিগুলো তা পাঠিয়েছে। আর যতটুকু সমস্যা রয়েছে, আশা করি তা সমাধান করা যাবে।

এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম, ছবি: বার্তা২৪.কম

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি এবার হজে কোনো লোক পাঠাইনি। আকবর হজ গ্রুপের মুফতি লুৎফর রহমান ফারুকী তার লাইসেন্সে সমস্যা হওয়ায় আমার লাইসেন্স ব্যবহার করে ৪৪৮ জন হজযাত্রী পাঠাচ্ছে। চলতি সমস্যা নিয়ে হাব সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে মুফতি লুৎফর রহমান সৌদি থেকে ফোনে কথা বলেছেন, তিনি আশ্বস্থ করেছেন; আজকালের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ জনের ভিসা হয়ে যাবে। আর আগামীকাল বা পরশুর মধ্যে সবার ভিসা হয়ে যাবে। তিনি মদিনার বাড়ি ভাড়া করেছেন, মক্কার বাড়িও ভাড়া হওয়ার পথে।’

  করোনা ভাইরাস

;

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগমুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করলেন বাবা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আল হুমাইদি আল হারবি, ছবি: সংগৃহীত

আল হুমাইদি আল হারবি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মৃত্যদণ্ড কার্যকরের আগ মুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে দিলেন বাবা। শেষ সময়ে জন্মদাদা বাবার এমন উদারতা দেখে উপস্থিত কর্মকর্তারা হতবাক হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে সৌদি আরবে। খবর গালফ নিউজের।

আল হুমাইদি আল হারবি নামের ওই বাবা হঠাৎ করে দণ্ড কার্যকরের স্থানে যান। সেখানে গিয়ে ঘোষণা দেন, ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন তিনি। ওই হত্যাকারীর দণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নেওয়ার আগে আল হুমাইদি আল হারবির কাছে একাধিকবার গিয়েছিলেন সরকারি কর্মকর্তারা।

কিন্তু ওই সময় তিনি ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। নিজ ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করার একমাত্র অধিকারী ব্যক্তি ছিলেন ওই বাবা। সে অনুযায়ী, বিনা শর্তে তিনি হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেন। এতে করে সেখানে থাকা সবাই বেশ অবাক হন।

আল হারবি জানিয়েছেন, ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও প্রথমে হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের মন পরিবর্তন করেন। ছেলের হত্যারকারীকে ক্ষমা করা ওই বাবার এমন উদারতার প্রশংসা করেছেন সাধারণ মানুষ। তারা এটিকে ক্ষমার একটি অনন্য উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

খবরে প্রকাশ, নিজ গোত্রের প্রতিবেশীর বন্ধুর ছেলের হাতে তার ছেলে খুন হন। দেশটির আইন অনুযায়ী বিচার শেষে হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়। সৌদি আরবের আইনে রক্তপণ নিয়ে কিংবা অভিভাবক হিসেবে খুনিকে ক্ষমা করে দেওয়ার বিধান রয়েছে।

সে হিসেবে তিনি ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক আজও আগের মতো।’

তার স্পষ্ট কথা, আমি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করেছি। এ বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তারা ক্ষমার কথা বললেও তার পরিবার ক্ষমা প্রসঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর আমাদের সম্পর্ক গত ছয় দশকের মতোই আজও আছে। ছেলের খুনের পর যেমন ছিল, এখনও সম্পর্ক তেমনি আছে।

হত্যাকারীর বাবা আবদুল মাজিদ আল হারবি বলেন, আমি নিহতের বাবাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা করি এবং সম্মান করি, তিনি আমার ভাইয়ের চেয়েও বেশি।

  করোনা ভাইরাস

;

সৌদিতে বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের হজ মৌসুমে সৌদি আরবে মো. আসাদুজ্জামান নামের এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এটিই এবারের হজে প্রথম কোনো বাংলাদেশির মৃত্যু।

শনিবার (১৮ মে) হজ পোর্টালের আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ১৫ মে আসাদুজ্জামান মদিনায় মসজিদে নববীতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পরেন। পরে তাকে কিং সালমান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ৭ নম্বর মাসকা ইউনিয়নের সাতাশী গ্রামের বাসিন্দা মো. আসাদুজ্জামান।

এদিকে শুক্রবার (১৭ মে) রাত ৩টা পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

  করোনা ভাইরাস

;