দুধ পানে অনীহা? দুগ্ধজাত এই খাবারগুলোই যোগাবে পুষ্টি
প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ পান করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা প্রায়ই শুনি এবং বলে থাকি। চোখ বন্ধ করলেই ভেসে উঠবে- বেড়ে ওঠার দিনগুলোতে কীভাবে আপনার মা আপনাকে এক গ্লাস দুধ পান করাতেন। তবে বড় হওয়ার পর অনেকেরই গ্লাসভর্তি দুধ পান চরম অপছন্দের হয়ে ওঠে।
অথচ দুধ পুষ্টি ও প্রোটিনে ভরপুর একটি সম্পূর্ণ খাবার। এটি শিশু, কিশোর, যুবক, মধ্যবয়সী কিংবা বৃদ্ধদেরও শরীরের বিকাশ ও সুস্থ থাকতে পান করা প্রয়োজন।
আমাদের দেশে দুধের তৈরি অনেক সুস্বাদু দেশি-খাবার তৈরি করা হয়। গ্লাসভর্তি দুধ পানে যাদের চরম অনীহা, তারা খাদ্য তালিকায় নিয়মিত এই খাবারগুলো রেখে দুধের প্রোটিন পেতে পারেন।
১. ঠান্ডা-মিঠাই:
ঘন, কোমল ও অত্যন্ত সুস্বাদু খাবার ‘ঠান্ডা-মিঠাই’। বিভিন্ন উৎসবে ঠান্ডা-মিঠাই খেতে দেখা যায়। তবে আমাদের দেশে গ্রীষ্মের মৌসুমে পানীয় হিসেবে এটির কদর বেশ। দুধের সাথে বাদাম, মৌরি, গোলমরিচ, এলাচ ও চিনির মিশ্রণে ঠান্ডা-মিঠাই তৈরি করা হয়। অনেক সময় স্বাদ বাড়াতে এতে বিভিন্ন রকমের রসালো ফল ও মশলা ব্যবহার করা হয়।
২. জাফরানি পোলাও:
পোলাও খেতে কম-বেশি সবাই পছন্দ করে। তবে সেটা যদি হয় জাফরানি পোলাও তাহলে তো কোনো কথাই নেই! বাসমতি চাল দিয়ে তৈরি মশলাদার ভাতই হলো জাফরানি পোলাও। এতে দুধ, চিনি, কেশর ও ড্রাইফ্রুটের ব্যবহার করা হয়।
৩. রসমালাই:
শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতীয় উপমহাদেশে দারুণ জনপ্রিয় খাবার রসমালাই। ছোট ছোট আকারের রসগোল্লাকে চিনির সিরায় ভিজিয়ে তার উপর জ্বাল করা ঘন মিষ্টি দুধ ঢেলে রসমালাই বানানো হয়। যারা দুধ পান করতে অপছন্দ করেন, তারাও রসমালাই পেলে লোভ সামলাতে পারবেন না নিশ্চয়ই!
৪. ক্ষীর ও পায়েস:
ক্ষীর ও পায়েস দুধের তৈরি জনপ্রিয় দু’টি খাবার। কোথাও কোথাও ক্ষীরকেই পায়েস বলা হলেও বাংলায় ক্ষীর ভিন্ন স্বাদের একটি দুগ্ধজাত খাবার। পায়েসও দুধ-চিনি, নারকেল ও বিশেষ ধরনের সুগন্ধি চাল দিয়ে রান্না করা হয়। দু’টি খাবারই বাঙালিদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। দুধে অনীহা থাকলেও ক্ষীর-পায়েসে অনীহা দেখানো বাঙালি নেই বললেই চলে!
৫. গোল্ডেন মিল্ক বা হলদি দধী:
গোল্ডেন মিল্ক বা হলদি দধী বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ বহু বছর ধরে পান করে আসছে। কিন্তু এখন হলুদ দুধ পশ্চিমা বিশ্বেও দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। হলদি দধীকে দেশি এনার্জি ড্রিংক এবং অনেক সাধারণ অসুস্থতার প্রতিকার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
হালকা উষ্ণ দুধ, হলুদ, কাঠ বাদাম, দারুচিনি গুঁড়া, কালো গোলমরিচের গুঁড়ার মিশ্রণে ‘হলদি দধী’ তৈরি করা হয়। স্বাদ বৃদ্ধির জন্য এতে চিনি ও মধু ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সরাসরি দুধ পানে অস্বস্তি আসলে হলদি দধী পান করে একদিকে যেমন দুধের প্রোটিন পাওয়া যায়, অপরদিকে বিভিন্ন সাধারণ রোগ প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে।