সুস্থ সর্ম্পক বজায় রাখতে যা করণীয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কৃতজ্ঞতা একটি সুখী জীবনের রহস্য। ছবি: সংগৃহীত

কৃতজ্ঞতা একটি সুখী জীবনের রহস্য। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রেমে পড়া এক আশ্চর্য অনুভূতি! একে অপরের জন্য আকাঙ্ক্ষা, খুনসুটি আর অভিমান মিটিয়ে নেয়া –এগুলো প্রেমকে এক আনন্দদায়ক যাত্রায় পরিণত করে। একটি রোমান্টিক সম্পর্ক সুখী এবং পরিপূর্ণ করার জন্য প্রচুর প্রচেষ্টা, ত্যাগ, সমঝোতার প্রয়োজন হয়। আপনি যদি এমন কোনো সম্পর্কের মধ্যে থাকেন যা আপনি কখনও শেষ করতে চান না, তবে আপনার জন্য রয়েছে কয়েকটি পরামর্শ-

সঙ্গীকে কখনই অসম্মান করবেন না

এটি উপলব্ধি করা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে প্রত্যেকের কোনো না কোনো দুর্বলতা রয়েছে। তাদের সেই দুর্বলতার মজা উড়াবেন না। এমন আচরণ করবেন করবেন যাতে তারা আপনার দ্বারা বার বার আঘাত পেতে থাকে। বরং সুযোগ পেলে সঙ্গীর প্রশংসা করুন এবং সে যে আপনার কাছে মূল্যবান সেটা তাকে অনুভব করতে দিন।

একে অপরের প্রতি স্নেহশীল থাকুন যেমনটা প্রথম সাক্ষাতে ছিলেন

সমালোচনা থেকে বিরত থাকুন। সঙ্গীর ইতিবাচক শক্তিবৃদ্ধি করুন। এতে একে অপরকে অপছন্দ করার ঝুঁকি হ্রাস করবে।। এছাড়াও, ক্ষুদ্রতম প্রশংসা বা অঙ্গভঙ্গি একে অপরের প্রতি ভালবাসা প্রদর্শন করার এক দুর্দান্ত উপায়।

সমালোচনা থেকে বিরত থাকুন।
সমালোচনা থেকে বিরত থাকুন। ছবি: সংগৃহীত

সঙ্গীর চাহিদা পূরণ করছেন তা নিশ্চিত করুন

প্রেমের সম্পর্ক এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আমরা আমাদের চাহিদা পূরণ করি এবং আমাদের সঙ্গীর চাহিদাও পূরণ করি। যখন সেই বিনিময়ে পরস্পেই সন্তুষ্ট হয় তখন ভাল অনুভূতি প্রবাহিত হতে থাকে। যখন এটি না হয়, তখনই সর্ম্পকে তিক্ততা আসে এবং সম্পর্কটি শেষ হয়ে যায়।

একই সময়ে একাধিক বিষয় নিয়ে তর্ক করবেন না

একসময়ে কেবল একটি ইস্যু নিয়ে লড়াই করুন। একে অপরের সমস্ত ভুলকে একসাথে নিয়ে আসবেন না। যদিও এটি কার্যকর করা ভীষণ শক্ত। তবে এমনটি করলে সমস্যা সমাধান করা অনেক সহজ করে তোলে।

সম্পর্কের মধ্যে তৃতীয় পক্ষের মতামত ধ্বংসাত্মক হতে পারে।
সম্পর্কের মধ্যে তৃতীয় পক্ষের মতামত ধ্বংসাত্মক হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত

"ধন্যবাদ” বলার জন্য সুযোগ মিস করবেন না

কৃতজ্ঞতা একটি সুখী জীবনের রহস্য। যখন আপনার সঙ্গী আপনার জন্য নিঃস্বার্থ ও সদয়ভাবে কিছু করেন তখন মুহুর্তগুলো লক্ষ্য করুন এবং তার জন্য ধন্যবাদ জানান।

একে অপরকে ছাড়া অন্য কাউকে জবাব দেবেন না

সম্পর্কের মধ্যে তৃতীয় পক্ষের মতামত ধ্বংসাত্মক হতে পারে। সে সম্পর্কে অনেক চিন্তাভাবনা করা। আশেপাশের লোকেরা আপনার জন্য কী চায় তা বিবেচনা করার পরিবর্তে, একে অপরের কাছ থেকে কী চান তা সেটা প্রায়োরিটি দিন।

ভ্রমণ বা শখের লক্ষ্যে পূরণের জন্য একটি ক্যালেন্ডার তৈরি করুন।
ভ্রমণ বা শখের লক্ষ্যে পূরণের জন্য একটি ক্যালেন্ডার তৈরি করুন। ছবি: সংগৃহীত

জীবনের লক্ষ্য কী তার ক্যালেন্ডার তৈরি করুন

সর্ম্পককে শক্তিশালী করতে লক্ষ্য স্থির করা কিংবা স্বপ্নের কল্পনা করা গুরুত্বপূর্ণ। আর্থিক, ভ্রমণ বা শখের লক্ষ্যে পূরণের জন্য একটি ক্যালেন্ডার তৈরি করুন। এটি ভবিষ্যতে একসাথে দেখতে সহায়তা করবে এবং একে অপরকে সমর্থন করার কথা মনে করিয়ে দেবে।

পাকা পেঁপে কেন খাবেন?



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ওজন কমানোর ডায়েটে পাকা পেঁপের স্থান সকলের আগে। তবে অনেকেই পাকা পেঁপে খেতে চান না। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই এই ফলকে ‘মহাঔষধ’ বলে মনে করেন। শিশু থেকে বয়স্ক সবার জন্য পাকা পেঁপে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। তাই নিয়ম করে পাকা পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করুন।

অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর

ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর পাকা পেঁপে ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধির যম। এ ছাড়াও পেঁপেতে আছে ক্যারোটিনয়েড, ভিটামিন সি এবং ই। যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

হজমে সহায়ক

পেঁপে মুখের রুচি ফেরায়। সেই সঙ্গে খিদেও বাড়ায় এবং পেট পরিষ্কার করে। পেট পরিষ্কার থাকলে গ্যাসের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। শুধু তা-ই নয়, যাদের অর্শের সমস্যা রয়েছে চিকিৎসকরা তাদের পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

পেঁপে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ১০০ শতাংশ ভিটামিন সি পাওয়া যায় এই পাকা পেঁপে থেকেই। শরীরে কোনও সংক্রমণ হলে, তা কমাতে চিকিৎসকরা পাকা পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেন।

;

ওজন কমবে মেথির গুণে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনলাইনে হাল ফ্যাশনের জামাকাপড় দেখেই হাত নিশপিশ করে, তবে কেনার আগেই মাথায় শত চিন্তা আসে! যা ভুঁড়ি হয়েছে, তাতে পোশাকগুলি পরলে আদৌ মানাবে তো? রোগা হতে গেলে তো ভারী কসরত করতে হবে, আর ওতেই যে বড্ড অনীহা! রোগা হতে গেলে যে জিমে গিয়ে ভারী শরীরচর্চা করতে হবে, এমনটা একেবারেই নয়। রোজ নিয়ম করে হাঁটাহাটি করে আর খাদ্যাভ্যাসে রাশ টানলেই কিন্তু ওজন কমানো যায়। এর পাশাপাশি কিছু মশলার গুণেও কিন্তু ওজন ঝরানোর প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করা যায়। মেথিরও সেই গুণ রয়েছে।

মেথি চা

চা তো খান রোজ, এ বার সেই চায়েই যোগ করুন কয়েকটা মেথির বীজ। হজমশক্তি তো বাড়বেই, সঙ্গে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণও হবে। স্বাদে তেঁতো হলেও কাজ দেবে ষোলো আনা। একেবারেই খেতে না পারলে, চায়ে যোগ করে দিন এলাচ কিংবা আদা।

কী করে বানাবেন? ফুটিয়ে তাতে কয়েক দানা মেথি মিশিয়ে দিন। তার পর চা ও এলাচ দিয়ে ফুটিয়ে নিন কিছুক্ষণ। খালি পেটে এমন চা খেলে মেদ ঝরবে খুব সহজে।

মেথির পানি

ঠাকুরমা-দিদিমারা পেট গরম হলেই মেথির পানি খাওয়ার পরামর্শ দিতেন। পেট ঠান্ডা করার পাশাপাশি এটি কিন্তু খিদেও কমায়। খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায় বলে স্বাভাবিক ভাবেই ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা নেয় এই পানীয়।

অঙ্কুরিত মেথি

ভিটামিন ও নানা খনিজপদার্থে ভরপুর মেথিবীজ হজমে সাহায্য করে। একটা পাত্রে মেথিবীজ নিয়ে তার উপর একটা ভিজে কাপড় ঢাকা দিয়ে রাখুন। মাঝেমাঝেই কাপড়টিতে পানি দিন। দিন তিনেক পর মেথি বীজের অঙ্কুরোদ্গম হবে। এই অঙ্কুরিত মেথি খেলে তা খুব সহজেই কমিয়ে দেবে শরীরের মেদ।

মেথি গুঁড়ো

মেথিতে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় ক্যারোটিনয়েড, যা দ্রুত ওজন কমায়। বাজার চলতি মেথি গুঁড়োর উপর ভরসা না করে, বাড়িতেই শুকনো খোলায় মেথি ভেজে গুঁড়িয়ে নিন। এর পর তা গরম পানিতে মিশিয়ে খান। এই পানিতে লেবু ও মধুও মেশাতে পারেন। মেথিগুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন তরকারিতেও। দেখবেন, ফল মিলছে হাতেনাতে।

;

চা-কফির নেশা কাটাবেন যেভাবে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এই সময়ে চা কিংবা কফিতে চুমুক না দিলে যে খুব ক্ষতি হবে, তা নয়। কিন্তু কোনও মতেই নেশা ছাড়তে পারছেন না। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে বা সারা দিনে কাজের মাঝে অগুণতি বার কফি পান করলে এই গরমে শারীরিক সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খালি পেটে কফি পান করলে কর্টিজলের ক্ষরণ অনেক বেড়ে যায়। মানসিক চাপ বা ‘স্ট্রেস’-এর অত্যতম কারণ এই হরমোনটি। তাই যদি চা-কফি পানে লাগাম টানতে চান, তিন পন্থা অবলম্বন করে দেখতেই পারেন।

শরীরচর্চায় মন দিন

বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শরীরচর্চা করতে শুরু করলে অনেক সময় চা বা কফির নেশা কমতে শুরু করে। কারণ, প্রশিক্ষক বা পুষ্টিবিদদের দেওয়া খাবার তালিকায় ক্যাফেইন জাতীয় পানীয়ের মাত্রায় হ্রাস টানতে বলা থাকে।

এমন মানুষদের সঙ্গে মিশুন যারা চা বা কফি পান করেন না

কথায় বলে সৎসঙ্গে স্বর্গবাস। সত্যিই যদি ক্যাফেইন জাতীয় পানীয়ের নেশা থেকে মুক্তি পেতে চান, তা হলে এমন মানুষদের সঙ্গ নিন, যারা কথায় কথায় চা, কফি পান করেন না।

চা, কফির বদলে স্বাস্থ্যকর পানীয়র অভ্যাস করুন

যখনই চা বা কফি পান করতে ইচ্ছে করবে তখন এমন কোনও পানীয় খেতে চেষ্টা করুন, যা স্বাস্থ্যকর। অনেকেই গরম থেকে মুক্তি পেতে ঠান্ডা চা বা কফি পান করে থাকেন। তার বদলে ফলের রস, স্বাস্থ্যকর শরবত খেতে পারেন।

;

মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমায় যেসব অভ্যাস



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দৈনন্দিন জীবনে কিছু অভ্যাস আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। দিনের পর দিন এই অভ্যাসগুলোর কারণেই মস্তিষ্কের ক্ষতি করে চলেছি আমরা। জেনে নিন কোন কোন অভ্যাস বাদ দিলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়বে।

১. অতিরিক্ত অন্ধকারে থাকা 

অতিরিক্ত অন্ধকারে থাকার অভ্যাস মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। এই অভ্যাস মনে বিষণ্ণতা তৈরি করে। এই বিষণ্ণতা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা মন্থর করে দেয়। এ কারণেই শীতপ্রধান দেশে আত্মহত্যার হার বেশি। প্রাকৃতিক আলোতে থাকলে আমাদের মস্তিষ্ক ভালোভাবে কাজ করে।

২. উচ্চশব্দে গান শোনা

কানে বড় হেডফোন গুজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা উচ্চস্বরে গান শোনা মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। টানা ৩০ মিনিট অতি উচ্চমাত্রার শব্দে থাকলে এক জনের শ্রবণশক্তি সম্পূর্ণরূপে লোপ পেতে পারে। শ্রবণশক্তি লোপ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও লোপ পেতে পারে। সেই সঙ্গে ব্রেনের টিস্যু নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

৩. বেশি বেশি স্ক্রিন টাইম

অতিরিক্ত ‘স্ক্রিন টাইম’ও নানা দিক থেকে মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। অফিসে গিয়ে সারাক্ষণ ল্যাপটপের সামনে বসে থাকা, বাড়ি ফিরেও মোবাইলে ওয়েব সিরিজ দেখা— সব মিলিয়ে দিনের বেশির ভাগ সময়টাই কেটে যায় পর্দার সামনে। এতে চোখের ক্ষতি তো হচ্ছেই, সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও কমে যাচ্ছে। স্ক্রিন টাইম যত বেশি হবে, ততই আমরা অন্যদের সঙ্গে কথা কম বলি, অন্য কাজেও মনোযোগ কম দিই, ফলে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে অচল হয়ে পড়ে।

৪. অতিরিক্ত একা থাকা

এখন আমাদের ফেসবুকে বন্ধুসংখ্যা হাজার হাজার হলেও নিজ জীবনের সব সমস্যা ভাগ করে নেওয়ার জন্য বন্ধুর বড় অভাব। অনেকে এমন আছেন, যারা কোনও অনুষ্ঠানবাড়িতে যেতে চান না। পারিবারিক অনুষ্ঠান হোক কিংবা অফিসের পার্টি— সব কিছুই এড়িয়ে চলতে ভালবাসেন তারা। এর প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কের উপর। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যারা কাছের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন, তারা অন্যদের তুলনায় হাসিখুশি ও কর্মদক্ষ হন। তাদের স্মৃতিশক্তিও অন্যদের তুলনায় বেশি হয়।

৫. অতিরিক্ত চিনি খাওয়া

অতিরিক্ত চিনি খাওয়াও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। এ দিকে বার্গার, ভাজাভুজি, আলুর চিপ্‌স বা নরম পানীয়ের মতো খাবার স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার জন্য দায়ী হতে পারে। অন্য দিকে, সবুজ শাকসব্জি, ফল ও বাদামজাতীয় খাবার মস্তিষ্কের ক্ষতি রোধ করে।

;