সম্পর্কের যত্নে

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা ২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

একটি সম্পর্ক দুজনে মিলে ত্রুটিহীন বানাতে হয়। ছবি: সংগৃহীত

একটি সম্পর্ক দুজনে মিলে ত্রুটিহীন বানাতে হয়। ছবি: সংগৃহীত

সম্পর্কে থাকে ছোট ছোট চাপা অভিমান। আর এই অভিমান, অভিযোগ থেকেই জন্ম হয় অনেক ভুল-বোঝাবুঝির। আবার তা ঠিকও করে নিতে হয়। তা না হলে চলবে কী ভাবে? সামান্য মতের অমিলও যেন খুব বড় হয়ে না দাঁড়ায় দুজনের মাঝে। নানা রকম অনুভূতি নিয়েই তো সম্পর্ক মজবুত থাকে।

ছোটখাটো কিছু পদক্ষেপ অনেক ভুল-বোঝাবুঝির অবসান করতে পারে। শুধু দরকার একটু চেষ্টা। জেনে নেওয়া যাক তেমনই কিছু চেষ্টা।

বিজ্ঞাপন

পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস

শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসের বিষয়টি সবারই জানা, কিন্তু অনেকেই সেটা মানেন না। সম্পর্কে ভিত্তি অনেকটাই নির্ভর করে এ দুটি বিষয়ের ওপর। বাইরের মানুষের সামনে বদনাম করা শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস না থাকার কারণেই হয়। তবে এই দুটি বিষয়ই অর্জন করে নিতে হয়। জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যায় না।

বিজ্ঞাপন

জোর করে ঝগড়া না করা

ঝগড়ার পরে ভালোবাসাও নাকি বেড়ে যায়। পুরোনো কোনো বিষয় যদি আগেই মিটমাট হয়ে যায়, তবে সেটা বর্তমান সময়ে না মনে করিয়ে দেওয়াই ভালো।

দুঃখ প্রকাশ

আপনি যা ভাবেন, যা করেন—সেটাই ঠিক। এমনটাই যদি হয় আপনার মনোভাব, তাহলে আপনার সঙ্গী ক্রমাগতভাবে কষ্ট পাবেন। ইগোর কারণে অনেক সময় নিজের ভুল স্বীকার করা হয় না। এই সম্পর্কটা এমন যে এখানে ছোট হওয়ার কিছু নেই। নিজের ভুল না থাকলেও যার দোষেই ঝগড়া হোক, তা কষ্টের।

 

রাগ, মন খারাপ সবই সম্পর্কের অনুষঙ্গ। ছবি: সংগৃহীত

আলোচনা

নিজের ভুল হোক বা সঙ্গীর, তা পেরিয়ে ভাল থাকার চেষ্টা করা যায় আলোচনার মাধ্যমেই। একে অপরকে বোঝাতে হবে নিজেদের পছন্দ-অপছন্দের বিষয়গুলো।

সময় দিন

রাগ, মন খারাপ সবই সম্পর্কের অনুষঙ্গ। এটা না হওয়ায় বরং বেমানান। তবে সময়ের সঙ্গে তা চলেও যেতে পারে। তার জন্য সময় দিতে হবে। ঝগড়া কিংবা ভুল বোঝাবুঝি হওয়া মানেই সম্পর্ক আর আগের মতো নেই, এমনটা না ভাবাই ভালো।

ভালো দিক দেখুন

একটি সম্পর্ক দুজনে মিলে ত্রুটিহীন বানাতে হয়। পরস্পরের খারাপ দিকগুলো দেখা বন্ধ করুন। পৃথিবীতে কেউই ‘পারফেক্ট’ নন। বরং ভালো দিকগুলোর প্রশংসা করুন। সঙ্গীকে বদলে যাওয়ার জন্য চাপ না দিয়ে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন। কারণ জোর করে নয় ভালোবাসায় বদলানো যায়।