গোলাপী ঠোঁটের জন্য
নরম গোলাপী ঠোঁট কে না চায়। কিন্তু বাস্তবে সে সাধ মেটেনা অনেকেরই। কারণ, ঠোঁটের রঙ বংশগত কারণেও কালচে হয়ে থাকে। এছাড়াও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি, ধূমপান, অ্যালার্জি, অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ, হরমোনের সমস্যা ইত্যাদি কারণেও ঠোঁটের রং কালচে হয়ে যায়।
তবে এসব সমস্যা দূর করে গোলাপী ঠোঁট পাওয়া সম্ভব। তাহলে জেনে নিন গোলাপী ঠোঁট পেতে কিছু ঘরোয়া উপায়—
মধু এবং চিনির স্ক্রাব
চিনি প্রাকৃতিক এক্সফলিয়েটর হিসেবে কাজ করে। ত্বকের উপর জমে থাকা মৃত কোষ দূর করে ঠোঁটের রং হালকা করতে সাহায্য করে। আর মধু ঠোঁটের নমনীয়তা বজায় রাখে। এটি ঠোঁটের কালচেভাব দূর করে এবং ঠোঁটে গোলাপিআভা যুক্ত করে।
ব্যবহারবিধি
১ টেবিল চামচ চিনির সাথে ১ টেবিল চামচ মধু মিশ্রিত করুন। এরপর মিশ্রণটি ঠোঁটে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন। ১০-১৫ রেখে নরমাল ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। গোলাপী ঠোঁটের জন্য সপ্তাহে ২ থেকে তিন দিন এই স্ক্রাবটির ব্যবহার পুনরাবৃত্তি করুন।
দুধ এবং হলুদ প্যাক
হলুদ আয়ুর্বেদে পিগমেন্টেশন চিকিৎসার জন্য মূলত পরিচিত। আর দুধ ঠোঁট কোমল রাখতে সহায়তা করে।
ব্যবহারবিধি
১ চা চামচ দুধ আর ১ চা চামচ হলুদ মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি ঠোঁটে আলতোভাবে লাগিয়ে রাখুন ৫-১০ মিনিটের জন্য। এটি কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং একটি হাইড্রেটিং ক্রিম ঠোঁটে প্রয়োগ করুন।
লেবু ও পুদিনা পাতা
প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান হিসেবে পরিচিত লেবু। তাই ঠোঁটের কালচেভাব দূর করতেও লেবু দারুণ কার্যকর। শুকনো ঠোঁটকে বিদায় জানিয়ে নরম, হাইড্রেটেড এবং গোলাপী ঠোঁট পেতে সাহায্য করবে পুদিনা পাতা।
ব্যবহারবিধি
কয়েক ফোঁটা মধু, ২-৩ চা চামচ লেবুর রস এবং ৫-৬ টি পুদিনা পাতা একসাথে করে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর হালকা সুতি কাপড় কিংবা টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে ফেলুন। প্রতি তিন দিনে একবার এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে পারেন।