অপরিচ্ছন্ন মাস্ক ব্যবহারে ছড়াতে পারে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে সেরে ওঠার পর ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। ছত্রাকজনিত এ রোগ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও এ ছত্রাকজনিত রোগের বিস্তার হচ্ছে।
রাজধানী ঢাকায় কয়েকজন রোগী শনাক্তের পর এবার চট্টগ্রামে ব্লাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন একজন ৭০ বছর বয়সী নারী। ফলে করোনাকালে দেশে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের পেছনে বড় কারণ অপরিচ্ছন্নতা। না ধুয়ে টানা ২-৩ সপ্তাহ একই মাস্ক পরলে এ সংক্রমণ হতে পারে। এমনটিই দাবি করছেন ভারতীয় কয়েকজন চিকিৎসক।
অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সের (এমস) স্নায়ুবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ডা. পি শরৎচন্দ্র হালে জানিয়েছেন, অপরিচ্ছন্নতা ছত্রাক জাতীয় সংক্রমণের পেছনে বড় কারণ।
তার কথায়, ‘অনেকেই ২-৩ সপ্তাহের বেশি সময় না ধুয়ে একই মাস্ক ব্যবহার করে যান। তার থেকেও ছড়াতে পারে এই সংক্রমণ।’ এই সংক্রমণ এড়াতে নিয়মিত মাস্ক পরিবর্তন বা সেটিকে সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
দেশটির আরেকজন চিকিৎসক ডা. সুরেশ সিংহ নারুকা এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘এই ছত্রাকের সংক্রমণের পেছনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের বড় ভূমিকা থাকতে পারে।’
তার মতে, ‘এক মাস্ক পরা তো বটেই, তার পাশাপাশি বাতাস চলাচল করে না এমন ঘরে বসবাসও ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের পেছনে বড় কারণ হতে পারে।’
তবে এর পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত স্টেরয়েডের ব্যবহারকেও তিনি অনেকাংশে দায়ী করেছেন। ডা. সুরেশ সিংহ নারুকার মতে, ‘করোনা সংক্রমণ নিয়ে সন্দেহ হলেই অনেকে নিজে নিজে স্টেরয়েড নিতে শুরু করেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ নেন না। স্টেরয়েডের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারও ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের পেছনের কারণ হতে পারে।’