খুশকির সমস্যায় নিম পাতা
শীতকাল মানেই মাথা ভর্তি খুশকি। চিকিৎসা করার পরও বারবার ফিরে আসে। বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করে- খুশকি থেকে মুক্তি পেতে হলে নিয়মিত শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। তবে খুশকি সমস্যার সমাধানে নিম পাতার নানামুখী ব্যবহার সুবিধাজনক ও অব্যর্থ বলে বিবেচিত।
নিম পাতা ত্বক এবং চুলের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিকারে ব্যবহার করা হয়। এতে রক্ত পরিশোধন করার পাশাপাশি অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান রয়েছে। এটি অ্যান্টিফাংগাল এবং অ্যান্টিভাইরাস হিসাবেও পরিচিত। খুশকি থেকে মুক্তি, সুন্দর ও মজবুত চুল পেতে কীভাবে নিম পাতা ব্যবহার করবেন, তা জেনে নিন-
নিমের পাতা চিবানো
বিউটি স্পেশালিস্টদের মতে, খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায় হলো প্রতিদিন সকালে নিম পাতা চিবিয়ে খাওয়া। যেহেতু নিম পাতা খানিকটা তেতো স্বাদযুক্ত, তাই এটি খাওয়ার জন্য আপনাকে বদ্ধ পরিকল্প হতে হবে। এছাড়াও নিম পাতা মধুর সাথে মিশিয়ে কিংবা পাতা সিদ্ধ করে এর ছাঁকা পানি পান করতে পারেন।
নিমের তেল
নিম পাতার তেল খুশকি রোধে সহায়ক। নারকেল তেলে কয়েকটি নিম পাতা যোগ করে ফোঁড়ন দিয়ে শেষে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস যোগে এই তেলটি সহজেই ঘরে তৈরি করা যায়। এই তেলটি আপনার মাথার ত্বকে আলতো করে ঘষুন, ভালো ফলাফলের জন্য সারারাত রেখে দিন এবং সকালে ধুয়ে ফেলুন।
নিম এবং দই
নিম এবং দইয়ের সংমিশ্রণ হলো খুশকি রোধ করার আদর্শ উপায়। প্রথমে নিম পাতার একটি পেস্ট তৈরি করুন, এরপর দইয়ের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে আপনার মাথার ত্বকে ব্যাবহার করুন। এরপর ১৫-২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং পরে ধুয়ে ফেলুন। দই এবং নিমের অ্যান্টি-ফাঙ্গাল খুশকির বিরুদ্ধে লড়াই করে।
নিমের হেয়ার মাস্ক
ঘরে তৈরি নিমের হেয়ার মাস্ক খুশকির সবচেয়ে সহজ প্রতিকার। এটি তৈরির জন্য কয়েকটি নিম পাতা ও এক চামচ মধু মিক্সারে পিষে নিন। ঘন পেস্ট হয়ে গেলে চুল ও পুরো মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর এটি ধুয়ে নিন।
চুলের কন্ডিশনার হিসাবে নিম
কন্ডিশনার তৈরির জন্য কয়েকটি নিম পাতা সেদ্ধ করে ঠান্ডা হওয়া অবধি রেখে দিন। চুলে শ্যাম্পু করার পরে নিমের এই মিশ্রণটি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। আয়ুর্বেদের মতে, নিমের গুণাগুণ থাকায় চুলের যত্নে এটি খুবই কার্যকরী।
সর্বোপরি খুশকির সমস্যায় হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই। এই সাধারণ ঘরোয়া প্রতিকারগুলো ব্যবহার করুন। যা যাদুবিদ্যার মতো কাজ করবে