মেকআপ ছাড়াই সুন্দর আপনি
মেকআপ ছাড়াও নিজেকে সুন্দর দেখাতে পারে- এই ধারনাটা ভুলে গেলে চলবে না।
প্রতিটা মানুষের মাঝে রয়েছে নিজস্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। নিয়মিত পরিচর্যা ও সঠিক যত্নের মাধ্যমে খুব সহজেই যা ফুটিয়ে তোলা সম্ভব। এই ‘ন্যাচারাল বিউটি’ কে প্রকাশ করার জন্য প্রয়োজন কিছু সহজ নিয়ম মেনে চলা।
ত্বকের প্রতি যত্নবান হওয়া
আধুনিক মেকআপ কলাকৌশলের মাধ্যমে খুব সহজেই মুখের সমস্যাকে ঢেকে ফেলা সম্ভব। কিন্তু এটা স্থায়ী কোন সমাধান নয় মোটেও। ত্বকের ধরণ বুঝে সঠিক যত্ন নেওয়া, ত্বকের প্রতি খেয়াল রাখার মাধ্যমেই সুস্থ ও প্রাণবন্ত ত্বক পাওয়া যায়। তাই নিজের ত্বকের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে সবচেয়ে বেশি।
এই শীতে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত ত্বক পাওয়ার জন্য টমেটো ও চিনির মিশ্রণ ব্যবহার করতে হবে। টমেটো মাঝ বরাবর কেটে তার উপরে চিনি ছিটিয়ে দিতে হবে। এরপর চিনিযুক্ত টমেটোটি মুখে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে পনের মিনিট। ম্যাসাজ শেষে দশ মিনিট পর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।
মুখ থাকুক ব্ল্যাক হেডসমুক্ত
মুখের ত্বকের যত্ন নেওয়ার সঙ্গেই ব্ল্যাক হেডসের প্রতিও খেয়াল রাখতে হবে। নাক ও নাকের আশেপাশের অংশে ব্ল্যাক হেডসের প্রবণতা বেশি দেখা দেয়। ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকলেও, ব্ল্যাক হেডস সেই স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে একেবারেই নষ্ট করে দিতে পারে। যেহেতু বাইরের ধুলাবালি ও ময়লা মুখের রোমকূপে আটকে ব্ল্যাক হেডস তৈরি করে, তাই নিয়মিত মুখ পরিষ্কার রাখার পাশপাশি, ব্ল্যাক চারকোল পিলিং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
খেয়াল করুন চুলের অবস্থায়
ত্বকের পর সবচাইতে বেশি যত্নশীল হতে হবে চুলের প্রতি। সুস্থ ও সুন্দর চুল একজন মানুষের স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে প্রকাশ করে সবচেয়ে বেশি। চুল লম্বা বা খাটো যেমনটাই হোক না কেনো, তার প্রতি যত্ন নেওয়ায় হেলা করা যাবে না একদম।
প্রতি তিন মাস অন্তর অবশ্যই চুলের আগা ছেঁটে ফেলতে হবে। শুষ্ক ও ভঙ্গুর চুলের আগা চুলের সৌন্দর্যকে স্তিমিত করে দেয়। এছাড়া চুলকে কোমল ও সিল্কি রাখতে চাইলে ব্যবহার করতে হবে হেয়ার মাস্ক। সাধারণ নারিকেল তেল ব্যবহার চুলের জন্য যথেষ্ট নয়। বিশেষত আমাদের দেশের আবহাওয়া ও ধুলাবালির দরুন, খুব দ্রুত চুল নষ্ট হয়ে যায়।
চুলকে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে পাকা কলা, অলিভ অয়েল, মধু ও দইয়ের হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে হবে প্রতি সপ্তাহে একবার।
হাতকে ভুলে গেলে চলবে না
ত্বক ও চুলের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি হাতের প্রতিও খেয়াল রাখতে হবে সমানভাবে। চেষ্টা করতে হবে মুখ ও হাতের ত্বকের যত্ন একই সময়ে নেওয়ার জন্য। হাতের যত্নে প্রতি দুই সপ্তাহ পরপর মেনিকিউর করতে হবে। এছাড়া প্রতিদিন হাতের ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় স্ক্রাব ব্যবহারের পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
পায়ের প্রতি নয় অবহেলা
ত্বক, চুল ও হাতের প্রতি যত্ন নেওয়ার সঙ্গে অবশ্যই পায়ের প্রতিও খেয়াল রাখতে হবে। শীতে পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়ার সমস্যা ও পায়ের ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যাটি তুলনামূলক বেশি দেখা দেয়। তাই পায়ের যত্নে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার পেডিকিউর করার চেষ্টা করতে হবে।
আরও পড়ুন: সকল ধরণের ত্বকের পরিচর্যায় গ্রিন টি
আরও পড়ুন: কোঁকড়া চুলের যত্নে...