এক ধরনের ভাইরাসের কারণে আঁচিল হয়। আঁচিল বড়ে, ছোট সব ধরণের হতে পারে। আঁচিলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই বিভিন্ন ওষুধ খান। আঁচিল কমাতে এর পাশাপাশি ভরসা রাখতে পারেন ঘরোয়া কিছু টোটকায়।
ডিম
একটা কাঁচা ডিম ভেঙে কুসুম ও ডিমের সাদা অংশ একসঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে ব্রাশের সাহায্যে আঁচিলের উপর লাগান। পর পর দু’সপ্তাহ দু’দিন করে এটি আঁচিলের উপর লাগান। কিছুক্ষণ রাখুন। তার পর মিশ্রণটি শুকিয়ে এলে সাবান ও ঠান্ডা পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন।
পেঁয়াজের রস
পেঁয়াজের রসে আছে অ্যান্টিসেপ্টিকগুণ, যা বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়া মেরে ফেলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। পেঁয়াজের রসে রয়েছে আঁচিল কমানোর ক্ষমতাও। পেঁয়াজের রস তুলো ভিজিয়ে আঁচিলের উপর লাগান। এতে উপকার পেতে পারেন।
আপেল সিডার ভিনিগার
ভিনিগারে ভেজানো তুলো আঁচিলের উপর রেখে দিন সারা রাত। পর পর পাঁচ দিন করুন। আপেল সিডার ভিনিগারে প্রচুর অ্যাসিড রয়েছে। আঁচিলের সমস্যা কমাতে দারুণ সাহায্য করে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার।
বেকিং সোডা
ক্যাস্টর অয়েল এবং বেকিং পাউডারের একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। মিশ্রণটি আঁচিলের উপর ভাল করে লাগিয়ে রাখুন। সারা রাত রাখুন। বেশ কিছু দিন পর থেকে উপকার পাবেন।
রসুন
ত্বকের যত্নে রসুন খুবই উপকারী। রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন নামক উপাদান। অ্যালিসিন অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান। রসুন থেঁতো করে আঁচিলের জায়গা লাগালে উপকার পাবেন।
শরীরের কোনও অংশে আঁচিল দেখা দিলে ঘরোয়া টোটকার পাশাপাশি চিকিৎসকরে পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই উৎসব। ধর্মপ্রাণ মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম উৎসব এই ঈদ উল আজহার আনন্দকে আরও মাতিয়ে তুলতে চাই নতুন পোশাক। ‘সারা’ লাইফস্টাইল আসন্ন ঈদ উল আজহা উপলক্ষে নিয়ে এসেছে পোশাকের আকর্ষণীয় সব কালেকশন। বরাবরের মতোই সকল বয়সীদের জন্য থাকছে ‘সারা’র এবারের ঈদ কালেকশন।
সারা'র এবারের ঈদ আয়োজনের সকল পোশাকের অলংকরণে বেছে নেওয়া হয়েছে স্ক্রিন প্রিন্ট, ডিজিটাল প্রিন্ট, কারচুপি, এমব্রয়ডারির কাজ। জিওমেট্রিক, ট্র্যাডিশনাল, ফ্লোরাল এমন অনেক কিছুই থাকছে এসব পোশাকের মোটিফ হিসেবে। এ লাইন, সিমেট্রিক, এসিমেট্রিক নিয়ে বিভিন্ন কাজ থাকছে পোশাকগুলির প্যাটার্নে। এছাড়াও কালারের ক্ষেত্রে ভাইব্রেন্ট রাখা হয়েছে এবারের ঈদ কালেকশন।
প্রকৃতি ও ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সুতিসহ আরামদায়ক কাপড়ে তৈরি সারা’র পোশাকের কাটিং ও প্যাটার্নে রয়েছে বৈচিত্র্য। পাশাপাশি থাকছে ফেব্রিক্স এবং ট্রেন্ডের ভিন্নতাও। এসকল পোশাকে ব্যাবহার করা হয়েছে, কটন, ভিসকস, শার্টিন, নেট, ডেনিম ও টুইল ফেব্রিক্স, জ্যাকার্ড কটন, ডবি কটন, জর্জেট, সিল্ক ইত্যাদি। মেয়েদের জন্য ‘সারা লাইফস্টাইল’ এনেছে সিঙ্গেল পিস কামিজ, লন থ্রি পিস, আনইস্টিচ লন, আকর্ষণীয় পার্টি থ্রি পিস, এথনিক কূর্তি, ফ্যাশন টপস, কাফতান, সূতীর শাড়ি, ডিজিটাল প্রিন্টের শাড়ি এবং ডেনিম এর কালেকশন।। সারা’র এবারের আয়োজনে ছেলেদের জন্য থাকছে পাঞ্জাবী, কাবলি সেট, সিঙ্গেল পিস কাবলি, ক্যাজুয়াল শার্ট, ফরমাল শার্ট, টি শার্ট, পোলো শার্ট, ফতুয়া, কাতুয়া, ডেনিম প্যান্ট, চিনো প্যান্ট, কার্গো প্যান্ট, পায়জামা ইত্যাদি।
বরাবরের মতোই সারা’র ঈদ আয়োজনে গুণগত মান ও ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বিষয়টি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আকার, ডিজাইন ও প্যাটার্নের ভিন্নতার দিক বিবেচনা করে এসব পোশাকের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ক্রেতারা এসব পোশাক পেয়ে যাবেন ৫০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকার মধ্যে। পাশাপাশি এক্সক্লুসিভ পাঞ্জাবী থাকছে এবারের সারা’র ঈদের কালেকশনের মূল আকর্ষণ।
এছাড়াও সারা'র ঈদ আয়োজনে ছেলে শিশুদের শার্ট বা ফতুয়ায় প্রাধান্য পাচ্ছে শর্ট স্লিভ এবং ফুল স্লিভ। লং প্যান্টের পাশাপাশি রয়েছে কোয়ার্টার প্যান্ট। সাদা পাঞ্জাবীর পাশাপাশি ভাইব্রেন্ট কালারেরও পাঞ্জাবী থাকছে। মেয়ে শিশুদের জন্য থাকছে ফ্রক, পার্টি ফ্রক, থ্রি পিস, জাম্প সুট, ফ্যাশন টপ্স, নীমা সেট, টপ বটম সেট। এছাড়াও ছেলে শিশুদের জন্য থাকছে পাঞ্জাবী, কাতুয়া, লং ও শর্ট স্লীভ শার্ট, পলো টি-শার্ট, ফ্যাশনেবল শার্ট-প্যান্ট সেট, বয়েজ কার্গো ইত্যাদি। ছাড়াও থাকছে বাবা-ছেলের পাঞ্জাবী ও কাবলির মিনিমি। এছাড়াও সারা’র এবার ঈদের বিশেষ আয়োজনের মধ্যে থাকছে ফুল ফ্যামিলি একই ডিজাইনের পোশাকের সংগ্রহ।
স্নোটেক্স গ্রুপ এর লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা’ কাজ শুরু করেছে ২০১৮ সালের মে মাস থেকে। ঢাকার মিরপুর-৬ এ অবস্থিত ‘সারা’র প্রথম আউটলেট নিয়ে কাজ শুরুর পর বসুন্ধরা সিটির লেভেল ১, ব্লক এ এর ৪০ এবং ৫৪ নং শপটি ছিল সারা’র ২য় আউটলেট। ৩য় আউটলেটটি হল বাড়ি- ১৯ বি/৪সি ও বি/৪ ডি, ব্লক-এফ, রিং রোড, মোহাম্মদপুর এই ঠিকানায়। উত্তরায় সারার পোশাক পাওয়া যাবে হাউজ নং-২২ , সোনারগাঁ জনপদ, সেক্টর-৯, উত্তরা, ঢাকা- এই ঠিকানায়। বারিধারা জে ব্লকে আছে সারার আরেকটি আউটলেট। সম্প্রতি বনশ্রী ই ব্লকের ১নং রোডের ৪৮ নং বাড়িতে চালু হয়েছে যাচ্ছে সারা'র ৬ষ্ঠ আউটলেট। ঢাকার বাইরে সারা’র প্রথম আউটলেট এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে রংপুরে জাহাজ কোম্পানির মোড়েই। এছাড়াও রাজধানী ঢাকার অন্যতম জনপ্রিয় এলাকা ওয়ারীতে (বাড়ি ৩৬/১ নং, র্যাংকিন স্ট্রিট, ওয়ারী, ঢাকা- ১২০৩) সারা’র নতুন আউটলেটের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
‘সারা’ এর নিজস্ব ওয়েবসাইট (www.saralifestyle.com.bd), ফেসবুক পেজ ( https://www.facebook.com/saralifestyle.bd) এবং ইন্সটাগ্রাম (https://www.instagram.com/saralifestyle.bd/ ) থেকে ক্রেতারা ঢাকার ভেতরে অর্ডার করে বিনামূল্যে হোম ডেলিভারি পেতে পারেন। এছাড়াও ঢাকার বাইরে সারা দেশে কুরিয়ারের মাধ্যমেও আপনার অর্ডারকৃত পণ্য ডেলিভারি পাবেন।
কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থার করুণ পরিস্থিতি জানিয়ে মর্মস্পর্শী আর্তি জানিয়েছেন একজন ভোক্তভোগী রোগী। কিশোরগঞ্জ শহরের ফিশারি রোডের বাসিন্দা ব্যবসায়ী খালেদ শামস তুষার নিজের চরম কষ্টকর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার জানিয়ে বলেন, "আমাদের সকলের প্রাণের নেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের অনেক স্বপ্ন নিয়ে গড়া এই হাসপাতালের এহেন অবস্থা দেখে কিশোরগঞ্জের একজন নাগরিক হিসাবে আমি লজ্জাবোধ করছি। আমি এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে করজোড়ে আবেদন করছিযেন সৈয়দ আশরাফ সাহেবের আত্মার প্রতি সন্মান জানিয়ে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়।"
বার্তা২৪.কম'কে খালেদ শামস তুষার জানান, "গত রবিবার (১৯ জুন) বুকে ব্যথা নিয়ে আমি আত্মীয়-প্রতিবেশীদের সহায়তায় অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিয়াক সিসিসি'তে ভর্তি হই। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা অবর্ণীয়। সিসিইউ ইউনিটে না আছে বেড, না আছে এসি সাপ্লাই, না আছে সিসিইউ'র জন্য উপযুক্ত নার্স। এমন কি সিসিইউ'র জন্য কোনও ইমারজেন্সি ডাক্তার পর্যন্ত নেই। আছে শুধু ২ টা স্ট্যানড পাখা। আর যে বেডগুলো আছে, তা মোটেও সিসিও'র উপযুক্ত নয়।"
তিনি বলেন, "সবচেয়ে আশ্চর্য ঘটনা হলো, একজন কার্ডিয়াক মুমূর্ষু রোগীকে বাথরুমে যাবার জন্য প্রায় ৫০০ মিটার হেঁটে যেতে হয়। আর এটাকে বাথরুম বলব না অন্য কিছু বলব আমার জানা নাই। এই হলো কার্ডিয়েক সিসিইউ ইউনিটের অবস্থা। অন্যান্য ইউনিটের কি অবস্থা আমার জানা নাই।"
খালেদ শামস তুষার বলেন, "বর্তমানে কিশোরগঞ্জের বেসরকারি ক্লিনিক ও চেম্বার যারা পরিচালনা করছেন, তারা চায় না সরকারি হাসপাতলে রোগী যাক। তাই তারা কিছু অসাধু ডাক্তার সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় এই সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এই অবস্থা করে রেখেছে।"
উল্লেখ্য, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ কিশোরগঞ্জ জেলায় অবস্থিত চিকিৎসা বিষয়ক উচ্চশিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা দানকারী একটি প্রতিষ্ঠান। সরাসরি সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু মহল বিশেষের নানা অসহযোগিতা ও ষড়যন্ত্রের কারণে প্রতিষ্ঠার ৯ বছর পর অবশেষে মুজিববর্ষের প্রথম দিনে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হয় বহুল প্রত্যাশিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।
সরকারি সূত্রানুসারে, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য বাজেট হিসাবে আনুমানিক ৫.৪৫ বিলিয়ন টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পের মধ্যে ছয়তলা হাসপাতাল ভবন, একাডেমিক ভবনের জন্য পাঁচতলা কলেজ, নার্স প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, শিক্ষার্থী ছাত্রাবাস, ইন্টার্নি ডাক্তারদের হোস্টেল, ডাক্তারদের ছাত্রাবাস, স্টাফ নার্সদের ছাত্রাবাস, মসজিদ, মিলনায়তন, অধ্যক্ষ ও পরিচালকদের আবাসিক ভবন, জিমনেসিয়াম ইত্যাদি স্থাপনা তৈরিসহ সরঞ্জাম সংগ্রহ, একটি মাইক্রো-বাস, দুটি অ্যাম্বুলেন্স এবং আসবাবপত্র কেনার বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
প্রাকৃতিক উপাদানের সক্রিয় মিশ্রণে নতুনরূপে সানসিল্ক শ্যাম্পু
লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নতুনরূপে সানসিল্ক শ্যাম্পু
লাইফস্টাইল
ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের (ইউবিএল) সবচেয়ে জনপ্রিয় হেয়ার কেয়ার ব্র্যান্ড সানসিল্ক এবার প্রাকৃতিক উপাদানের সক্রিয় সংমিশ্রণে নতুনরুপে বাজারে এলো। গত সপ্তাহে একটি জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্র্যান্ডটি নতুন মোড়কে ও নতুনরুপে বাজারে সূচনা করা হয়েছে।
মূলত তিন ধরনের চুলের সমস্যার সমাধান এ নতুন প্রাকৃতিক উপাদানের মিশ্রণে গঠিত সানসিল্ক শ্যাম্পু থেকে পাওয়া যাবে। চুলকে আরও চকচকে কালো, ঘন ও লম্বা করতে সাহায্য করবে নতুন মোড়কের এই শ্যাম্পু। এছাড়াও চুল পড়া কমিয়ে চুলের গোড়াকে করবে মজবুত ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। চুলকে চকচকে কালো করার জন্য সানসিল্ক ব্ল্যাক শাইনে রাখা হয়েছে আমলা, পার্ল প্রোটিন ও ভিটামিন ই এর প্রাকৃতিক সংমিশ্রণ। কেরাটিন, দই ও নারিকেল তেল চুলকে ঘন ও লম্বা হতে সাহায্য করে তাই সানসিল্ক থিক এন্ড লং শ্যাম্পুতে রয়েছে এ সকল উপাদানের প্রাকৃতিক মিশ্রণ। এবং চুল পড়ার সমাধান নিয়ে হাজির হয়েছে প্রোটিন, কাঠ বাদাম ও ভিটামিন ই এর সংমিশ্রণে গঠিত সানসিল্ক হেয়ারফল সল্যুশন।
ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের বিউটি অ্যান্ড পার্সোনাল কেয়ারের পরিচালক আফজাল হাসান খান বলেন, “প্রচলিত রীতিনীতির ও সীমাবদ্ধতার বাইরে গিয়ে মেয়েদের জন্য সর্বত্র সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করতে বিশ্বাসী সানসিল্ক। ব্র্যান্ডটি এমনভাবেই চুলের যত্ন নেয় যেন প্রতি মুহূর্তে চুলকে সুন্দর দেখায় ও প্রতি মুহূর্তে আত্মবিশ্বাস তৈরি করে এবং এর ধারাবাহিক নতুন উদ্ভাবন প্রচেষ্টা সানসিল্ককে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় হেয়ার কেয়ার ব্র্যান্ডে পরিণত করেছে” ।
ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল) ৫৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে একটি ঐতিহ্যবাহী ও বৃহত্তম ফাস্ট মুভিং কনজিউমার গুডস কোম্পানি হিসেবে বাংলাদেশে কাজ করে যাচ্ছে। দেখা যায় যে দেশে ১০ টির মধ্যে ৯ টিরও বেশি পরিবার তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনের জন্য ইউনিলিভারের এক বা একাধিক ব্র্যান্ড ব্যবহার করে থাকে। লাক্স, লাইফবয়, সার্ফ, ক্লোজআপ, সানসিল্ক, পন্ডস, ভ্যাসলিন, ডাভ, তাজা এবং পিউরইট সহ ২৮ টিরও বেশি ব্র্যান্ডকে সাথে নিয়ে সংস্থাটি সারা বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ ভোক্তাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে গিয়েছে। ইউবিএল ইউনিলিভারের একটি সহায়ক সংস্থা, যা ১৯০ টিরও বেশি দেশে প্যাকেটজাত পণ্য সরবরাহকারী সংস্থার মধ্যে বিশ্বের অন্যতম নেতৃস্থানীয়। ইউবিএল- এর উদ্দেশ্য হল পরিবেশগত প্রভাব কমিয়ে ও ইতিবাচক সামাজিক প্রভাব বাড়িয়ে ব্যবসার প্রসার ঘটানো এবং জীবনযাত্রাকে সহজ টেকসই করা।
জামাইষষ্ঠী একটি লোকায়ত প্রথা। ষষ্ঠীদেবীর পার্বণ থেকেই এই প্রথার উদ্ভব। বৈদিক যুগ থেকেই জামাইষষ্ঠী পালন হয়ে আসছে। প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের ষষ্ঠী তিথিতে প্রথম প্রহরে ষষ্ঠী পূজার আয়োজন করা হয়।
শশুরবাড়ি থেকে ষষ্ঠীপূজোর দিন জামাইকে সাদরে নিমন্ত্রণ জানানো হয়। জামাই ষষ্ঠী পুজোর দিন সস্ত্রীক উপস্থিত হলে আনন্দের বন্যা বয়ে যায় বাড়িতে, ষষ্ঠীপূজো রুপান্তরিত হয় জামাই ষষ্ঠীতে।
বাঙালি হিন্দু সমাজে এ উৎসবের সামাজিক গুরুত্ব অনস্বীকার্য। বিশেষত্ব যে পরিবারে সদ্য বিবাহিত কন্যা রয়েছে সেই পরিবারে এই পার্বণটি ঘটা করে পালন করা হয়।