গোসল করতে গিয়ে কানে পানি ঢুকে যায় হামেশাই। পানি ঢুকে বেশ কিছুক্ষণ কানের ভিতর ফড়ফড় করে। এমন অস্বস্তি হয় যে, মনে হয় যেন কানের মধ্যে কোনও পোকামাকড় ঢুকেছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যে কানে পানি ঢুকেছে, সেই দিকে মাথা হেলিয়ে রাখলেই সমস্যা মিটে যায়। কিন্তু তা না হলে দেখা যায় কানে ‘ইয়ারবাড’ বা আঙুল ঢুকিয়ে খোঁচা দেন অনেকে। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, কানে পানি ঢুকে যত না ক্ষতি হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা কানে কাঠি বা আঙুল দিয়ে খোঁচা দিলে।
কাঠি বা ‘বাড’ দিয়ে খোঁচা দিলে কানের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়াগুলি আরও গভীরে প্রবেশ করতে থাকে। ফলে ককলিয়াতে সংক্রমণ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে সামান্য দু’-তিনটি জিনিস। একটি পরিষ্কার শুকনো তোয়ালে এবং সার্জিকাল স্পিরিট বা রাবিং অ্যালকোহল এবং সাদা ভিনিগার।
বিজ্ঞাপন
কী ভাবে কানের পানি বের করবেন?
প্রথমে শুকনো একটি তোয়ালে দিয়ে কানের আশপাশ পরিষ্কার করে নিন। এ বার স্পিরিট এবং ভিনিগার সমপরিমাণে মিশিয়ে নিন। ড্রপারের সাহায্যে কয়েক ফোঁটা কানের ভিতর দিন এই মিশ্রণ। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই মিশ্রণ সাহায্যে কানের ভিতরে জমে থাকা পানি সহজেই উবে যায়। পানি জমে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাকের সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কাও অনেকটাই কমে যায়। তবে যাদের কর্নকুহ্বরে আগে থেকেই কোনও রকম সংক্রমণ হয়ে আছে, তাদের এই মিশ্রণ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। যদি কানের ভিতর পানি জমে গিয়ে যন্ত্রণা শুরু হয় বা শুনতে সমস্যা হয়, সেক্ষেত্রে সময় নষ্ট না করে আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভাল।
হেমন্তর মাঝামাঝিতেই শীতের আগমন ঘটেছে। দেশের উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে কুয়াশাও। ফলে এখন থেকেই আবহাওয়া শুষ্ক হওয়ার কারণে অনুভূত হচ্ছে শীত।
শীতের এই শুষ্ক হাওয়া ত্বক থেকে সব আর্দ্রতা কেড়ে নিয়ে ত্বকের ক্ষতি করে। ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে অদৃশ্য ক্ষতিকর উপাদানগুলো ত্বকের সয়স্পর্শে আসে। তার উপর যদি শীতকালে ত্বক দূষিত হয় তাহলে অবস্থা আরও অবনতি হয়। তাই শীতে ত্বকের বিশেষ যত্ন বাড়িয়ে ত্বককে দূষণ মুক্ত রাখতে হবে। সেজন্য যা করতে পারেন-
১. ক্লিনজিং: ত্বকের যত্ন নেওয়ার মূল ভিত্তি হলো ক্লিনজিং অর্থাৎ পরিষ্কার রাখা। শীতকালে বাতাসের জন্য ত্বকে অনেক দূষিত পদার্থ এবং মেকআপের অবশিষ্টাংশ জমে থাকতে পারে। বায়োলিপিড সম্পন্ন ক্লিন্জার ব্যবহার করে মুখ পরিষ্কার করলে সহজে এসব দূর করা যায়। এতে ত্বকে আদ্র্রতাও বজায় থাকে এবং মুখ সতেজ দেখায়।
২. ক্রিম: কুয়াশা এবং ধূলাবালির কারণে ত্বক মলিন এবং বয়সের আগেই বয়সের ছাপ দেখাতে পারে। এই সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে প্রতিরক্ষাকারী ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। এতে মুখের লোপকূপে পাতলা একটি বাধা সৃষ্টি করে। ত্বক হাইড্রেটেড রাখতেও এই ক্রিমের ব্যবহার কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
৩. সিরাম: হাইপার পিগমেন্টেশন এবং ত্বক নিস্তেজ হয়ে যাওয়া শীতকালে প্রকাশ পাওয়া দুইটি বড় সমস্যা। শীতল বাতাসের সঙ্গে অণুগুলো যখন ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করে, তখন তা অক্সিডাইস করে কালচে ভাব নিয়ে আসে। ফলে ত্বকের সর্বত্র স্কিনটোন একরকম থাকে না। এইজন্য ত্বকের জন্য ভালো দেখে একটি সিরাম বাছাই করতে হবে। সাধারণত ত্বক ফর্সাকারী সিরামে কোজিক এসিড থাকে, যা ত্বকে অস্বস্তি অনুভব করাতে পারে। সেজন্য অরিওপেপটাইড-৩ সম্পন্ন সিরাম ব্যবহার করতে হবে, যা ত্বকের ভাজ দূর করতে সাহায্য করবে।
৪.প্রাকৃতিক উপাদান: ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহারের বিকল্প কিছু হতে পারেনা্। তরমুজ বা প্যাশন ফ্রুটের নির্যাস থেকে তৈরি তেল ত্বকে বেশ মজবুত প্রতিরক্ষা তৈরি করে। এসব ফলে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ‘ভিটামিন ই’ ত্বক হাইড্রেট করে মসৃণতা এনে দেয়।
৫. শরীর: সাধারণত ত্বকের যত্ন বলতে মুখের ত্বকেরই যত্ন নেওয়া হয়। শুধু মুখ নয়, সারা শরীরের চামড়াই শীতে প্রাধান্য পাবে। শীতে ত্বকের চামড়া কালো হয়ে যাওয়া রোধ করতে গোসলের সময় ভালো বডিওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে হাঁটু এবং কনুইতে বেশি কালশিটে পড়ে শীতকালে। এইসব এরিয়ায় বি-ওয়াক্স অর্থাৎ, মৌচাকের মোম, প্রাকৃতিক তেল, লোশন ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে। মোটকথা মুখের পাশাপাশি সারা শরীরের ত্বকেরই যত্ন নিতে হবে।
৬. ভেতর থেকে পুষ্টি: শীতকালে বাইরে থেকে ত্বকের যত্ন নেওয়া অবশ্যই উচিত। তবে যত্ন যতটা না বাইরের ততটা ভেতরের হওয়া উচিত। প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের চাহিদা মেটালে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পায়। অ্যাসটাক্সানথিন এবং অ্যান্থোসায়ানিন সমৃদ্ধ বিলবেরি নির্যাস খুবই উন্নতমানের প্রাকৃতিক উপাদান, যা ত্বকের ভেতর থেকে পুষ্টি সরবরাহ করে। প্রিজারভেটিভবিহীন প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান ত্বকের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী।
অনেকে কুকুর, বিড়াল, পাখি, খরগোশ সহ নানা ধরনের পোষা প্রাণীরাখতে পছন্দ করে। বাড়িতে পশুপাখি লালন পালন করা একটি নৈতিক এবং মানবিক দায়িত্ব। অনেকে প্রাণীপোষ মানানোকে বাড়তি ঝামেলা মনে করেন। তবে পোষা প্রাণীবৈজ্ঞানিকভাবে মানুষের জীবনে নানারকম ইতিবাচক প্রভাবও ফেলতে পারে। এমনকি শিশুদের মধ্যেও অনেক ভালো অভ্যাস গড়ে উঠতে সাহায্য করে।
পৃথিবী যতটা মানুষের ঠিক ততটাই অন্যান্য জীবজন্তুরও। মানুষ উন্নত প্রাণী হওয়ায় অন্যান্য পশুর তুলনায় মানুষ বেশি যত্নশীল হতে পারে। পোষা প্রাণী এবং মালিকের মধ্যে যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তা ব্যক্তি জীবনে ভালোবাসা, বিশ্বাস, সহানুভূতি এবং বোঝাপড়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ স্বভাব তৈরি করতে সাহায্য করে।
ভারতীয় প্রাণীখাদ্য প্রতিষ্ঠান কার্নিওয়েলের প্রতিষ্ঠাতা জে.এস. রমাকৃষ্ণ পশুপাখি পালনের উপকারিতা নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন,‘শিশুরা যখন বাড়িতে পালিত পশু সঙ্গে বেড়ে ওঠে, তখন তাদের মদ্যে সহানুভূতির আধিক্য দেখা যায়। এমনকি শিশুদের মধ্যে দায়িত্ববোধও বাড়তি থাকে। আমরা কার্নিওয়েল আপনার পশু এবং পরিবারের মধ্যে মজবুত স্নেহের বন্ধন তৈরিতে বিশ্বাসী।’
একটি সাক্ষাৎকারে শিশুদের পরিবারে গৃহপালিত পশু থাকার বেশ কিছু প্রভাবশালী দিকও তুলে ধরেছেন তিনি। যেমন-
১. মানসিক চাপ: ঘরে একটি পালিত প্রাণী থাকলে শিশুদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা শেখানো অনেক সহজ হয়ে যায়। বিশেষ করে যখন শিশুরা উদ্বেগ বা মানসিক অস্থিরতায় ভোগে। এছাড়া তাদের মধ্যে সহানুভূতি এবং অন্যের প্রয়োজনে নিজের পছন্দের সঙ্গে আপস করাও শেখায়। সামাজিকতা শেখানোর পাশাপাশি শিশুদের স্বাস্থ্যেও এর প্রভাব পরে। যেমন, শিশুরা পোষা প্রাণির সাথে খেললে অক্সিটোসিন নিঃসরণ হয় এবং কর্টিসলও কমে। এই প্রক্রিয়া শুধু ছোটদের নয়, বড়দের জন্যও অত্যন্ত উপকারী।
২. চঞ্চলতা: সাধারণত পোষ্যদের সঙ্গে সময় কাটানো শিশুরা শারীরিক কার্যক্রমেও বেশি সময় কাটায়। তাদের সাথে খেলাধুলা বা হাঁটাহাটি বেশিকরা হয় বলে শিশেুদের এরকম শরীরচর্চার মতো কাজ হয়। এতে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে আর হৃদয়ও ভালো থাকে।
৩. যোগাযোগ: পোষ্য প্রাণীর সাথে সময় কাটানো শিশুরা একা বেড়ে ওঠা শিশুদের তুলনায় বেশি সামাজিকতা বজায় রাখতে পারে। প্রাণী পালনের ফলে শিশুদের মধ্যে যত্নশীল এবং সহানুভূতির স্বভাব গড়ে ওঠে। যেহেতু পশুরা কথা বলতে পারে না, তাই তাদের অনুভূতি বুঝে নিতে হয়। এই কারণে শিশুদের মধ্যে অপ্রকাশিত অনুভূতিও আয়ত্তে আনার এক প্রকার দক্ষতা লক্ষ্য করা যায়।
৪. এলার্জির সম্ভাবনা: পালিত পশু-পাখিতে শিশুদের এলার্জির সমস্যা হওয়ার ধারণা একেবারেই ভিত্তিহীন। বরং এর বিপরীতে পশুসঙ্গে তাদের অ্যালার্জি আর অ্যাজমার মতো সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কমে। গবেষণায় জানা যায়, পশুদের সংস্পর্শে থাকার শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
৫. সমস্যা সমাধানের দক্ষতা: পোষা প্রাণীর সাথে মিথস্ক্রিয়া শিশুদের জ্ঞানের বিকাশকে উদ্দীপিত করে। পশু প্রাণিদের আবেগ ভাষায় প্রকাশ করতে না পারাই শিশুদের এই দক্ষতাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। শিশুদের বেশি চিন্তা করে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এবং মানসিক বুদ্ধিমত্তাকে উন্নত করে।
৬.ব্যক্তিত্বের উন্নতি: শিশুকে যখন পোস্যের যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়, যেমন- খাওয়ানো, গোসল করানো, পরিচ্ছন্ন করে সাজিয়ে রাখা, ট্রেনিং করানো তখন তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধ স্থাপিত হওয়ার কারণে এক ধরনের আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়।
প্রকৃতিতে এসে গেছে ফ্যাশন প্রেমীদের পছন্দের ঋতু শীত। শীতের আগমনকে কেন্দ্র করে ফ্যাশন সচেতন মানুষের মধ্যেও শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। আর তাই সবার জন্য শীতের হিম বাতাসে ফ্যাশন এবং উষ্ণতার মিশ্রণে বাহারি শীতের পোশাক নিয়ে এসেছে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা’।
বরাবরের মতো এবারও দেশের অন্যতম জনপ্রিয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা’ লাইফস্টাইলে নিয়ে এসেছে সাশ্রয়ী মূল্যে শতাধিক ডিজাইনের নতুন শীতকালীন পোশাকসামগ্রী। ‘সারা’র শীতকালীন কালেকশনে এবারের থিম-অভিযান। বৈচিত্র্যময় এসব পোশাক হালের ট্রেন্ডি ফ্যাশন ও স্বাচ্ছন্দ্যের সংমিশ্রণে প্রস্তুত করা হয়েছে। উষ্ণ ও আরামদায়কে কাপড়ের সঙ্গে কালো, নেভি ব্লু, লাল, মেরুন, ধূসর ও বাদামি রঙের সমন্বয়ে ডিজাইন করা হয়েছে এবারের সারা’র শীতকালীন আয়োজন। সিনথেটিক, ব্লেন্ডেড, টেনসিল, সুতি ও ডেনিম কাপড়ের তৈরি শীতের পোশাকগুলো দেখতে যেমন আকর্ষণীয় তেমনি পরতেও বেশ আরামদায়ক।
‘সারা’ লাইফস্টাইলের শীতকালীন পোশাকের এই সংগ্রহে থাকছে সব বয়সী ক্রেতাদের জন্য পোশাক। প্রাপ্ত বয়স্কদের পাশাপাশি সারা’তে আছে শিশুদের জন্যও বিশেষ কালেকশন। প্রায় শতাধিক কালার এবং ডিজাইনের ভিন্নতা থাকছে এই শীতকালীন পোশাকের আয়োজনে। শীতকালীন পোশাকের এই আয়োজনে হালকা এবং ভারী শীতে পরার জন্য বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক সারা’র সব আউটলেটসহ ই-কমার্সেও পাওয়া যাবে।
উষ্ণতা, ফ্যাশন, গুণগত মান এবং সাশ্রয়ী মূল্যের চমৎকার সমন্বয়ে ‘সারা’র শীত আয়োজনে পুরুষদের জন্য রয়েছে বাহারি ডিজাইনের জ্যাকেট, স্যুট সেট, ফুল স্লিভস টি-শার্ট, ডেনিম জ্যাকেট, ডেনিম শার্ট, ক্যাজুয়াল শার্ট, ডেনিম প্যান্ট, চিনো প্যান্ট, জগার্স ও শাল। একইসঙ্গে নারীদের জন্য ‘সারা’ এবার নিয়ে এসেছে বাহারি ডিজাইনের জ্যাকেট, ডেনিম জ্যাকেট, ডেনিম কুর্তি, ডেনিম টপস, শাল ও হুডি টি শার্ট। এছাড়াও ‘সারা’র রেগুলার ডিজাইনের পোশাক তো থাকছেই।
শীত এলেই শিশুদের প্রতি বাড়তি যত্ন, অধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। আর তাই ‘সারা’ লাইফস্টাইল শিশুদের জন্য নিয়ে এসেছে আরামদায়ক সব শীতকালীন পোশাকের সংগ্রহ। ছেলে শিশুদের জন্য ‘সারা’ এবার নিয়ে এসেছে বাহারি ডিজাইনের জ্যাকেট, ডেনিম জ্যাকেট, ডেনিম শার্ট, ডেনিম প্যান্ট, চিনো প্যান্ট, শার্ট-প্যান্ট সেট ও ফুল স্লিভস টি-শার্ট। একইসঙ্গে মেয়ে শিশুদের জন্য রয়েছে বাহারি ডিজাইনের জ্যাকেট, ফুল স্লিভস টি শার্ট, ডেনিম টপস ও ডেনিম কুর্তি।
‘সারা’ বরাবরই শীত আয়োজনে ক্রেতাদের পছন্দের কথা বিবেচনা করে অনাড়ম্বর ডিজাইনের জ্যাকেট বানিয়ে থাকে। ‘সারা’র চমৎকার সব স্টাইলিশ পোশাক হতে পারে আপনার এ সময়ের সঙ্গী। ‘সারা’ লাইফস্টাইলের বাহারি সব শীতের পোশাক মাত্র ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০০ টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন ক্রেতারা।
আরামদায়ক ফেব্রিক, মানসম্পন্ন এক্সেসরিজ এবং ট্রেন্ডি ডিজাইনের জ্যাকেটগুলো আপনাকে যেমন উষ্ণতা দেবে, তেমনি আপনার ফ্যাশনে যোগ করবে নতুন এক মাত্রা। আর সবসময় গ্রাহকদের স্বার্থে পোশাকের দামও সাধ্যের মধ্যে রাখার জন্য ‘সারা’র প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আউটলেটের পাশাপাশি সারা’র নিজস্ব ওয়েবসাইট (www.saralifestyle.com), ফেসবুক পেজ (https://www.facebook.com/saralifestyle.bd) এবং ইন্সটাগ্রাম (https://www.instagram.com/saralifestyle.bd/) থেকে ক্রেতারা ঢাকার ভেতরে অর্ডার করে হোম ডেলিভারি পেতে পারেন। এছাড়া ঢাকার বাইরে সারা দেশে কুরিয়ারের মাধ্যমেও আপনার অর্ডার করা পণ্য ডেলিভারি পাবেন।
বর্তমান বিশ্বের সাধারণ কিছু কঠিন অসুস্থতাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ডায়াবেটিস। বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস মেলাইটাস একটি দীর্ঘকালীন রোগ। রক্তে স্বাভাবিকের চেয়ে চিনি বা গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে গেলে ইনসুলিনের উৎপাদন বা কার্যকারিতা কমে গেলে এই রোগ হয়।
ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি দশজন মানুষের মধ্যে একজন ডায়াবেটিসে ভুগছেন। বর্তমানে পুরো বিশ্বে ৫৩ কোটির বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। অর্থাৎ বছরে ১৫ লক্ষের বেশি মানুষ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, অন্ধত্ব, কিডনি ফেইলিউর, পা কেটে ফেলার মতো ইত্যাদি আরও অনেক সমস্যার কারণ হতে পারে ডায়াবেটিস।
আজ ১৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস দিবস। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের মাধ্যমে সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে হয়। সবচেয়ে বেশি স্বস্তিতে থাকা যায়, যদি আক্রান্ত হওয়ার আগেই ডায়াবেটিস হওয়া প্রতিরোধ করা যায়। গুন্ডারসেন হেলথ সিস্টেমের একটি প্রতিবেদনে এই নিয়ে কিছু টিপস শেয়ার করা হয়েছে।
১. সাদা রুটি, আলুর মতো পরিশোধিত শর্করা এবং চিনিযুক্ত খাবার, রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় এবং রক্তে ইনসুলিনের তারতম্য ঘটায়। এর ফলে সময়ের সাথে সাথে ডায়াবেটিস সৃষ্টি করতে পারে। তাই খাদ্যতালিকায় আগে থেকেই চিনিজাতীয় খাবার সীমিত করুন এবং জটিল কার্বোহাইড্রেট যেমন শাকসবজি, ওটমিল এবং পুরো শস্য বেশি পরিমাণে রাখুন।
২. ধূমপান ইনসুলিনের কার্যকারিতা প্রতিহত করতে পারে। এর ফলে টাইপ-টু ডায়াবেটিস হতে পারে। তাই ধূমপানের অভ্যাস থাকলে দ্রুত ত্যাগ করুন।
৩. একবারে অনেক বেশি পরিমাণে খাবার খেলে স্বাভাবিকের তুলনায় রক্তে ইনসুলিন এবং শর্করার মাত্রার তারতম্য হতে দেখা যায়।
৪. হাঁটা, নাচ, শরীরচর্চা, সাঁতারের মতো শারীরিক পরিশ্রম হয় এমন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ৩০ মিনিট করে শরীরের ঘাম ঝরাতে হবে। সীমিত পরিমাণে শারীরিক পরিশ্রম করা বা একেবারেই না করা ডায়াবেটিস তৈরি হওয়ার কারণ হতে পারে।
৫. যদি আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে না চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। শুধু তাই নয়, অন্যান্য মিষ্টি পানীয় পান করাও কমিয়ে ফেলতে হবে। মিষ্টি পানীয় ডায়বেটিস হওয়ার কারণ হতে পারে।
৬. তন্তুজাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস অনেক রোগের মতো ডায়াবেটিস প্রতিরোধেও কার্যকর। তন্তু বা ফাইবারজাতীয় খাবার খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং পেট সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে, যার ফলে ডায়াবিটিসের সম্ভাবনাও কমে যায়।
প্রতিবছর ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালন করা হয়। এই দিবসের উদ্দেশ্য সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ডায়াবেটিস হওয়া প্রতিরোধ করা এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সুস্থতা নিশ্চিত করা।