যে ৩ পানীয় খেলে কমবে রক্তে শর্করার মাত্রা

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ডায়াবেটিস এখন ঘরে ঘরে। রোজকার জীবনে নানা রকম অনিয়ম মাঝবয়স থেকেই এই রোগের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলছে। অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অত্যধিক মানসিক চাপের কারণে বয়স ৩০-এর কোঠা পেরোতে না পেরোতেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। আবার, সুস্থ জীবনযাপন করেও জিনগত কারণে কারও কারও শরীরে ধরা পড়ছে ডায়াবেটিস। এই রোগের হাত ধরে শরীরে বাসা বাঁধে কোলেস্টেরল, থাইরয়েড, উচ্চ রক্তচাপের মতো হাজারটা অন্য অসুখ।

ডায়াবেটিসকে জব্দ করা সহজ নয়। খাওয়াদাওয়ায় নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি, রোজকার জীবনেও কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ তো রয়েছেই। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে খাওয়াদাওয়ায় চলে আসে একাধিক বিধিনিষেধ। তখন ইচ্ছেমতো খাবার খাওয়ার সুযোগ থাকে না। যে কোনও উপায়েই হোক, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। কিছু ঘরোয়া টোটকা দিয়েও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভরসা রাখতে পারেন ঘরোয়া পানীয়ে। জেনে নিন, কিসে পাবেন উপকার?

বিজ্ঞাপন

মেথি ভেজানো পানি

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভরসা রাখতে পারেন মেথির বীজে। হেঁশেলের এই মশলা রান্নায় স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি ডায়াবেটিস সামলাতেও পারদর্শী। মেথিতে রয়েছে থায়ামিন, ফোলিক অ্যাসিড, রাইবোফল্যাভিন, নিয়াসিনের মতো উপকারী উপাদান। এগুলি ছাড়াও পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম-সমৃদ্ধ মেথি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে দেয় না। ডায়াবেটিস রোগীর জন্য মেথি তাই মহৌষধ। ১০ গ্রাম মেথি রাতে এক গ্লাস গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এই পানি ভাল করে ছেঁকে নিয়ে খালি পেটে খেয়ে নিন। ডায়াবেটিকদের জন্য এই অভ্যাস দারুণ উপকারী।

বিজ্ঞাপন

দারচিনি চা

ডায়াবেটিস থাকলে সকালে দুধ-চিনি দেওয়া চায়ের বদলে দারচিনি দিয়ে তৈরি চা খেতে পারেন। দারচিনি রক্তের শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। টাইপ টু ডায়াবেটিসের মতো কোনও রোগ থাকলে শরীর ইনসুলিন হরমোনের সঙ্গে ঠিক মতো মানিয়ে চলতে পারে না। সেই কাজে সাহায্য করে দারচিনি।

গ্রিন টি

রোজ গ্রিন টি খেলেও কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গ্লুকোজ ফাস্টিংয়ের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। গ্রিন টি নিয়ম করে খেলে বিপাকহার বেড়ে যায়, ফলে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে। আর ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতাও বেড়ে যায়। ফলস্বরূপ, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।