ফুসফুস সুস্থ রাখার উপায়
শ্বাস নেয়া ও ছাড়ার কাজে ফুসফুসের বিকল্প নেই। বাতাস থেকে অক্সিজেন রক্তপ্রবাহে নেয়া ও রক্তপ্রবাহ থেকে অক্সিজেন বাতাসে ছেড়ে দেয় ফুসফুস।
কাজেই সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে ফুসফুসও রাখতে হবে স্বাস্থ্যকর। আর এজন্য কয়েকটি সহজ অভ্যাস গড়ার পরামর্শ।
আমাদের দেহের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ ফুসফুস। বায়ুদূষণের ফলে এটির স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। এ কারণে কীভাবে ফুসফুসের সমস্যা বা ক্যান্সার থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায় তা অবশ্যই জেনে রাখা প্রয়োজন। আমাদের দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসই ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফুসফুসকে ভালো রাখতে অবশ্যই নিজের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে। যাদের ধূমপান করার অভ্যাস রয়েছে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে তাদের ধূমপান ছাড়তে হবে। বাড়ির পরিবেশ সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ফুসফুস ভালো রাখতে দূষিত পরিবেশে বেশিক্ষণ অবস্থান কার ঠিক নয়।
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসে’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ সুষম ডায়েট ফুসফুস ভালো রাখতে অত্যন্ত সাহায্য করে। নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ কেবল সামগ্রিক স্বাস্থ্যকেই উন্নত করে না বরং ফুসফুসকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
ফলমূল, শাকসবজি এবং গোটা শস্য সমৃদ্ধ ডায়েট ফুসফুস সুস্থ রাখতে অত্যন্ত সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যায়াম ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে।
ফুসফুস সুস্থ রাখতে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন:
১. ফুসফুসের ক্যান্সার থেকে বাঁচতে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। নিয়মিত না হলেও সপ্তাহে কমপক্ষে ৩ ঘণ্টা ব্যায়াম করা বাধ্যতামূলক।
২. ফুসফুসের ক্যান্সার থেকে বাঁচতে কড়া রোদ এড়িয়ে চলাই ভালো। মারাত্মক রোদে বেশিক্ষণ থাকলে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৩. প্রোটিন ও পুষ্টির জোগান দিতে বাজারের যে পণ্যগুলি পাওয়া যায় তা ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। এ কারণে এসব খাবার এড়িয়ে চলুন।