শীতের সুপারফুড পালংশাক!
খাওয়া-দাওয়ার জন্য শীতকালকে আদর্শ বলে মানা হয়। কারণ আর কিছুই নয়, আবহাওয়া। ঠান্ডা বাতাস খাওয়ার আনন্দ যেন দ্বিগুণ কর দেয়। তবে খাওয়া-দাওয়ার সময় একটু সতর্কও থাকা উচিত।
বাজারে ইতিমধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে পালং শাক। শুধু যে খেতেই ভাল তা নয়, পালং শাকের রয়েছে হাজারও পুষ্টিগুণ। এক কাপ পালং শাক শরীরের দৈনিক ফাইবার চাহিদার প্রায় ২০ শতাংশ পূরণ করে। এছাড়াও এই শাক ভিটামিন এ ও কে-তে ভরপুর। আরও রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ফলিক অ্যাসিড ও সেলেনিয়াম। সুস্থ থাকার জন্য এই উপাদানগুলো আমাদের শরীরে খুবই জরুরি।
চলুন জেনে নেই শীতের এই 'সুপারফুড' সম্পর্কে।
পালং শাকের পুষ্টিগুণ
পালং শাক (Spinach) এর মধ্যে প্রচুর ক্যালোরি থাকে। ১০০ গ্রাম পালং শাক (Spinach) থেকে ২৩ ক্যালোরি পাওয়া যায়। এতে রয়েছে ২.৯ গ্রাম প্রোটিন, ৩.৬ গ্রাম কার্বন এবং ২.২ গ্রাম ফাইবার।
চোখের জন্য ভালো
পালং শাক (Spinach)-এ জেক্সেন্থিন এবং লুটিন থাকে প্রচুর পরিমাণে। এতে ক্যারোটিনয়েড থাকে। যা চোখের জন্য খুবই ভাল। চোখকে যে কোনও রকমের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, জেক্সেন্থিন এবং লুটিন চোখে ছানি পড়া থেকে আটকায়। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন এ মিউকাস মেমব্রেনকে রক্ষা করে। যা চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।
ক্যান্সার থেকে বাঁচায়
পালং (Spinach)-এ থাকে এমজিডিজি (MGDG) এবং এসকিউডিজি (SQDG)। যা ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর। কম্পাউন্ড টিউমারের আকার কমাতেও সাহায্য করে এটি। পালং শাক পুরুষদের প্রস্টেট ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়। মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকেও বাঁচায়।
ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
পালং শাক (Spinach)-এ থাকে নাইট্রেট। যা ব্লাড প্রেশারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য় করে। এর পাশাপাশি হার্টকেও ভাল রাখে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
শীতকালে ঠান্ডা লাগা খুবই সাধারণ ব্যাপার। আর এখানে কাজে আসতে পারে পালং শাক (Spinach)। আরও অনেক উপকারের মধ্যে পালং ইমিউনিটি বাড়াতেও সাহায্য করে। তাই বিশেষজ্ঞরা পালং শাক খাওয়ার পরামর্শ দেন।
হিমোগ্লোবিন বাড়ায়
অনেক মানুষের শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে যায়। তাঁদের জন্য উপকারী পালং শাক। কারণ এই শাক শরীরের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই খাবারের তালিকায় এটা রাখা যেতে পারে। পালং শাকে ফলেট থাকে। যা লোহিত রক্তকণিক বাড়াতে সাহায্য করে।