শীতে কেন ঘি খাবেন!
বাঙালির ঘি-এর প্রতি আকর্ষণ নতুন কিছু নয়। গরম ভাতে ঘি হলে আর কিছুই লাগে না। শীশুকালে অনেকেই মায়ের কাছে শুনে থাকে ঘি খেলে বুদ্ধি বাড়ে। আসলে কথা কিন্তু সত্য, ঘি-তে রয়েছে অনেক ধরনের উপকারিতা। বিশেষ করে শীতকালে নানা ভাবে শরীরের যত্ন নেয় ঘি। ‘ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, শীতকালীন সর্দি-কাশি কমাতে, শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে, ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে ঘি বিশেষভাবে কার্যকর।
চিকিৎসকদের মতে, শীতকাল ঘি খাওয়ার একেবারে উপযুক্ত সময়। শরীর উষ্ণ রাখতে ঘি বেশ কার্যকরী। ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে সমৃদ্ধ ঘি দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে। শরীরের পাশাপাশি ঘি ত্বকের যত্নেও দারুণ কাজ করে। শীতে ঘি খেলে কী কী উপকার পাবেন সেগুলো একনজরে দেখে নিন।
১. শরীর গরম রাখে
ঘি অনেক উচ্চ তাপমাত্রায় বাষ্পীভূত হয়। তাই শীতকালে খাবারে ঘি দিলে তা শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে।
২. পেট ভালো রাখে
বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ঘি-এর মধ্যে রয়েছে গ্যাস্ট্রিক রস। এই গ্যাস্ট্রিক রসগুলো আমাদের অন্ত্রের মধ্যেও থাকে। এদের প্রধান কাজ খাবারের কণা ভেঙে তা হজম করতে সাহায্য করা। তাই খাবারের সঙ্গে ঘি থাকলে হজমেরও সুবিধা হয়।
৩. সর্দি কাশি কমায়
ঘি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ঘি-এর বিশেষ গুণের জন্য সর্দি কাশির ওষুধ হিসেবে এটি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।
৪. ত্বক আর্দ্র করে
ত্বক আর্দ্র রাখতে ঘি বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে। ঘি-এর মধ্যে রয়েছে কিছু প্রয়োজনীয় ফ্যাট। এই ফ্যাটগুলো ত্বকের পর্দায় প্রবেশ করে ভিতর থেকে ত্বককে আর্দ্র রাখে। এছাড়াও মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে তাও আর্দ্র রাখে ঘি।
কীভাবে খাবেন?
রান্নায় তেলের পরিবর্তে ঘি ব্যবহার করা যেতে পারে। বেশিরভাগ রান্নাই ঘি-এর ব্যবহারে সুস্বাদু হয়ে ওঠে। স্যুপ বা ডাল পরিবেশনের আগে তার মধ্যে এক চামচ ঘি মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও অনেক রান্নায় মাখন ব্যবহার করা হয়। মাখনের পরিবর্তে ঘি ব্যবহার করতে পারেন। এতে রান্নার স্বাদও বেশ ভালো হবে।
তথ্যসূত্র-হিন্দুস্তান টাইমস