মিথ্যার প্রলেপে মোড়ানো মরণফাঁদ ‘ই-সিগারেট’



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
ভ্যাপিংয়ের অভ্যাসটি মোটেও নিরাপদ নয়

ভ্যাপিংয়ের অভ্যাসটি মোটেও নিরাপদ নয়

  • Font increase
  • Font Decrease

ধূমপান করা স্বাস্থ্যের জন্য কতখানি ক্ষতিকর, সেটা নিয়ে এর আগেও বেশ কয়েকবার কথা বলা হয়েছে।

আলোচনা করা হয়েছে সিগারেট পানের বিভিন্ন নেতিবাচক দিক সম্পর্কে। মূলত সিগারেট থেকে দূরে থাকার জন্যেই বিগত কয়েক বছরে ই-সিগারেটের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে এখনকার তরুণসমাজ। কিন্তু তাই বলে ই-সিগারেট ব্যবহার বা ভ্যাপিংকে নিরাপদ বলে ধরে নেওয়ার কোন অবকাশ নেই মোটেও। বরং ধূমপানের মতই ক্ষতিকর ও বিপদজনক বলা হচ্ছে ভ্যাপিংকেও।

ই-সিগারেট ও ভ্যাপিং কী?

vaping

ভ্যাপোরাইজার থেকেই ভ্যাপ বা ভ্যাপিং শব্দটির উৎপত্তি। বিশেষভাবে তৈরিকৃত যন্ত্রের সাহায্যে কোন সল্যুশন বা জ্যুসকে তাপের সাহায্যে অ্যারোসলাইজ করার প্রক্রিয়া হলো ভ্যাপিং। আর এই যন্ত্রটি হলো ই-সিগারেট। এতে প্রধানত নিকোটিন বেসড সল্যুশন ব্যবহার করা হয়।

ভ্যাপিং ডিভাইসটিই যেখানে আলাদাভাবে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, সেখানে এতে ব্যবহৃত ভ্যাপ সল্যুশন আরও বেশি ক্ষতিকর উপাদান হিসেবে দেখা দিচ্ছে। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের কার্ডিওলজিস্ট তামান্না সিং জানান, ই-সিগারেটে ব্যবহৃত উপাদানের সাথে কার্ডিওপালমোনারি টক্সিসিটি ও ক্যানসারের সংযোগ রয়েছে। এছাড়াও এই সল্যুশনে নিকোটিন উপস্থিত থাকে, যা অতি উচ্চমাত্রায় আসক্তি তৈরি করে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ড্রাগ অ্যাবিউজের তথ্য মতে, ভ্যাপিংয়ের ফলে ডোপামিন নিঃসরণের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং যা মস্তিষ্কের কাছে প্রশান্তিদায়ক অনুভূতি পৌঁছে দেয়। এতে করে খুব সহজেই মস্তিষ্ক ভ্যাপরকে তার প্রশান্তিদায়ক উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করে ফেলে এবং তার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে।

মানুষ কেন ই-সিগারেটের প্রতি ঝুঁকছে?

vaping

এখানে খুব সহজভাবে শুধু একটি কথাই বলতে হয়- মার্কেটিং। ই-সিগারেট বাজারজাতের শুরু থেকেই একে নিরাপদ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। সিগারেট ও ধূমপানের ক্ষতিকর বিষয়গুলো সবার কাছেই প্রকাশ্য ছিল এবং সকলেই এই বিষয়ে অবগত ছিল। সেখানে ই-সিগারেটকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় স্বাস্থ্যকর অপশন হিসেবে, যা সিগারেটের আসক্তিকে দূর করতেও সাহায্য করবে।

ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের পালমোনলোজিস্ট (বক্ষরোগ বিশেষজ্ঞ) জন কার্ল ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ভ্যাপিংকে ধূমপান থেকে নিবৃতিমূলক বিষয় হিসেবে দেখানো হয়। দেখানো হয় যে ভ্যাপিং এর ফলে কত ধরনের উপকার পাওয়া সম্ভব।’

এটা সত্য যে প্রতি বছর ধূমপানের কারণে ৪৮০,০০০ মানুষ মারা যাচ্ছে। এই সংখ্যা কমানোর উদ্দেশ্যে ও ধূমপান বিমুখ করতেই ই-সিগারেটের উদ্ভাবন। যেটা কিনা তুলনামূলক কম ক্ষতিকর। কিন্তু কতটা কম ক্ষতিকর সেটা নিশ্চিতভাবে জানাতে পারেনি কেউ।

এক্ষেত্রে জন কার্ল পরামর্শ দেন, যারা ধূমপায়ী এবং এই অভ্যাস ত্যাগ করার চেষ্টা করছেন, তারা ভ্যাপিং শুরু করতে পারেন। কিন্তু শুধুমাত্র আধুনিকায়ন বা শখের বশে এই অভ্যাস একেবারেই শুরু করা যাবে না।

ভ্যাপিং থেকে ফুসফুসের ক্ষতি

vaping

যদিও ভ্যাপিংয়ের প্রচলনটি কিছুদিন হলো শুরু হয়েছে, তাই এক্ষেত্রে বড় ধরনের কোন গবেষণা নেই। কিন্তু নিশ্চিতভাবেই ভ্যাপিং এর ফলে ফুসফুসে প্রদাহ ও সমস্যা তৈরি হয় বলে জানিয়েছেন কার্ল। ভ্যাপিং এর ফলে খুব সুক্ষভাবে ফুসফুসের উপর নেতিবাচক প্রভাবের সৃষ্টি হয়। যা থেকে ইনফেকশনের সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি।

২০১৯ সালের একটি গবেষণার ফলাফল থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, ভ্যাপিং থেকে শ্বাসকষ্টযুক্ত কাশি ও বক্ষব্যাধির নানা ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পেতে শুরু করে। অন্তত ৩০ হাজার নিয়মিত ই-সিগারেট ও ধূমপায়ীদের উপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে, যারা ভ্যাপিং বা ধূমপান করে না, তাদের তুলনায় যারা করে তাদের ফুসফুসজনিত সমস্যাগুলো প্রকট।

ভ্যাপিং থেকে হৃদরোগের প্রাদুর্ভাব

vaping

প্রথমেই বলা হয়েছে ই-সিগারেটেও থাকে নিকোটিনের উপস্থিতি। যেহেতু ই-সিগারেট ব্যবহারকারীরা ধরেই নেয় এতে তাদের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই, তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা অতিরিক্ত ভ্যাপিং করে। যা প্রবলভাবে হৃদযন্ত্রের উপরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

ডাঃ সিং জানাচ্ছে, হৃদযন্ত্রের উপর নিকোটিনের ক্ষতিকর ও নেতিবাচক প্রভাব নতুন কিছু নয়। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও সাডেন কার্ডিয়াক ডেথের মতো গুরুতর সমস্যাও দেখা দিতে পারে ভ্যাপিং এর ফলে। তিনি আরও জানান, ভ্যাপিং থেকে নিঃসৃত নিকোটিন উচ্চ রক্তচাপ তৈরি করে ও কোলেস্টেরলের মাত্রায় অসামঞ্জস্যতা তৈরি করে। যা খুব সহজেই হৃদযন্ত্রকে নাজুক অবস্থায় ফেলে দেয়।

২০১৭ সালের ন্যাচার রিভিউ কার্ডিওলজির তথ্যানুসারে, সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত যতজন ই-সিগারেট ব্যবহারকারীরা হৃদরোগের বিষয়ে জানিয়েছে, পরীক্ষা করে দেখা গেছে সকল সমস্যা তৈরি হয়েছে নিকোটিন থেকে।

এছাড়া ২০১৯ সালের একটি গবেষণার তথ্য জার্নাল অব অ্যামেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজিতে প্রকাশ হয়। যেখানে জানানো হয়, ই-সিগারেটে ব্যবহৃত লিকুইড থেকে এন্ডোথেলাইয়াল সেল ডিসফাংশন তৈরি করে, যা থেকে হৃদরোগের সৃষ্টি হয়।

বিস্ফোরণ ঘটতে পারে ব্যবহারের সময়

যেখানে ই-সিগারেট ব্যবহারের হাজারো ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে, সেখানে আরও বড় ধরনের অভিযোগও রয়েছে ই-সিগারেট ব্যবহারে। ২০১৯ সালের জুনে মার্কিন যুক্তরাজ্যের ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরের ই-সিগারেট বিস্ফোরিত হয় ব্যবহারের সময়। ফলে তার মুখের নিচের অংশ তথা চোয়াল মারাত্মকভাবে জখম হয় এবং গালের মাংসল অংশ ভয়াবহ ক্ষত হয়। পড়ে পরীক্ষা করে দেখা যায়, অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে এমন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

এখনও অনেকে ই-সিগারেট ও ভ্যাপিংকে নিরাপদ ভেবে ব্যবহার করে যাচ্ছে এবং এবং এটা ব্যবহারের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। অথচ এর পেছনেও রয়েছে অসুস্থতা ও স্বাস্থ্যহানীর কালো ছায়া।

আরও পড়ুন: কতখানি নিকোটিন থাকে একটি সিগারেটে?

আরও পড়ুন: ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে প্রাত্যহিক যে সকল কাজে

   

রমজানে অপচয় করার অভ্যাস ত্যাগ করুন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
টাকার অপচয়

টাকার অপচয়

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান মাস ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র মাস। হযরত মোহম্মদ (সা.) এর নির্দেশনায় মুসল্লীগণ রোজা রাখার মাধ্যমে সংযম করেন। এই এক মাস সর্বাঙ্গে আরও ভালো একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার চর্চা করে তারা। অনেকে মনে করেন, রোজার অর্থ শুধু না খেয়ে থাকা। তবে রোজা মূলত সংযম শেখানোর উদ্দেশ্যে রাখা হয়। এই সংযম শুধু খাদ্যের নয়, মনুষ্যের সকল ধরনের নেতিবাচক দিকের।   

অনেকে না জেনেই এমন কিছু কাজ করেন যা রমজান মাসে একদমই করা উচিত নয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো অকারণে টাকা নষ্ট করা। রমজান মাসে পরিপূর্ণভাবে ঈমান রক্ষাকারী কাজই করা উচিত। অপচয় করার অভ্যাস একদমই ভালো নয়। রমজান মাসে অপচয় করা একেবারে কমিয়ে ফেলতে হবে।  

অনেককেই দেখা যায় ইফতারে অনেক বেশি পদের খাবার আয়োজন করার চেষ্টা করেন। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে এখন অনেকেই ইফতারে দামি খাবারের ব্যবস্থা করেন। রমজান মাসে নিজের প্রয়োজনকে সংযত করা আবশ্যক। অপ্রয়োজনে খাবারের পেছনে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা এবং অতিরিক্ত খাবারের আয়োজন করে তা না খেয়ে নষ্ট করা- দুটোই অপচয় ঘটায়। তাছাড়া, বেশি খাবারের চাহিদার কারণে রান্নার কাজে যা ব্যয় থাকেন তাদের অতিরিক্ত পরিশ্রম হয়। এতে তাদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

এছাড়া সবাই ঈদে সকলেই নতুন পোশাক কেনে। তবে কারো মধ্যে সাধ্যের বাইরে গিয়ে পোশাক কেনা প্রবণতাও দেখা যায়। অনেকে কেনাকাটা করার জন্য শপিংমলে অতিরিক্ত সময় কাটান। রমজান মাস ইবাদত করার মাস। এই সময় যত বেশি সম্ভব ধর্মীয় কাজে এবং মসজিদে সময় কাটানো উচিত।

অনেক মানুষ আছে যারা প্রয়োজনীয় জিনিসও কিনতে পারে না। সম্ভব হলে তাদের সাহায্য করুন। এতে তাদের জীবনও ‍কিছুটা সহজ হবে, আপনারও মানসিক শান্তি মিলবে। 

তথ্যসূত্র: গ্রিণটেক

;

ঈদের ফ্যাশনে দেশীয় পোশাকের সমাহার নিয়ে এলো 'মিরা'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে মুসলিম ধর্মাবলম্বী অন্যতম ইবাদতের মাস পবিত্র রমজান। এরই মধ্যে চলে এসেছে ঈদ উৎসবের আমেজ। প্রস্তুত হচ্ছে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজগুলো হাল ফ্যাশনের পণ্য সম্ভার নিয়ে। প্রতি বছর ঈদকে কেন্দ্র করে বাজার ছেয়ে যায় নানারকম বিদেশী পোশাকে। এর ভিড়েও দেশীয় পোশাককে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ও জনপ্রিয় করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠান। তেমনি একটি দেশীয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড 'মিরা'।

দেশজ ও পরিবেশবান্ধব সব পণ্য নিয়ে ফ্যাশন হাউজ মিরা ইতোমধ্যেই নজরকাড়তে শুরু করেছে রুচিশীল ও ফ্যাশন সচেতন মানুষের। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে পান্থপথের মোড় কিংবা সাইন্স ল্যাবরেটরির মোড় যে কোন একদিক থেকে গেলেই গ্রিন রোডে কমফোর্ট হাসপাতালের পাশেই ১৬৭/এ নম্বর ভবনের তৃতীয় ফ্লোরে কাজ চলছে মিরা-র প্রথম নিজস্ব আউটলেট এর। সেখানেই কথা হয় মিরা ব্র্যান্ড এর কর্ণধারদের অন্যতম শুভ্রা কর এর সাথে।



শুভ্রা কর বলেন, এবার ঈদ এবং বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ প্রায় একই সময়ে। ঈদ এবং বর্ষবরণ দুটোই খুব বড় উৎসব। তাই এই উৎসবের সময়কে সামনে রেখে মিরা তার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। কিন্তু এই উৎসবে আয়োজনে দেখা যায় আমাদের বাজার ছেয়ে যায় সব ভিনদেশী পণ্যে। নিজের দেশের তৈরি সুন্দর সব পোশাক, গহনা বা অন্যান্য পণ্য ছেড়ে আমরা বিদেশি পণ্য খুঁজি। অথচ তার চেয়ে মানসম্মত ও সুন্দর কিছু দেশেই পাওয়া যায়, আমরা জানিই না! বিদেশী পণ্যের ভিড়ে মিরা তাই নিয়ে এসেছে দেশীয় সব পণ্য ও ডিজাইনের সমাহার। আমাদের কাছে পাচ্ছেন সঠিক কাউন্টের অথেটিক জামদানি শাড়ি, আমাদের নিজস্ব হ্যান্ডব্লক ডিজাইনে করা কাপল সেট বা ফ্যামিলি কম্বো। থাকছে হ্যান্ডপেইন্ট এর পাঞ্জাবি, পরিবেশ বান্ধব বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরী নিজস্ব ডিজাইনের গহনা, অলঙ্কার। এছাড়া ছোট বড় সবার জন্য টিশার্টও পাচ্ছেন।

'মিরা'র নিজস্ব হ্যান্ডব্লক ডিজাইনের দেশীয় শাড়ি

তিনি বলেন, আমাদের অনেক পণ্য দেখে অনেকে অবাক হন এবং প্রশ্ন করেন যে এগুলো দেশে তৈরি কিনা, কারণ দেশে এত সুন্দর বা ভালো পণ্য তৈরি হয় তাদের ধারণা ছিল না। মিরা-র মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের এই নিজস্ব ঐতিহ্য ও শিল্পকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া ও জনপ্রিয় করে তোলা। একইসাথে ফ্যাশনকে যথাসম্ভব পরিবেশবান্ধব রাখা। আমাদের সব পণ্য আমাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে কারিগর দ্বারা প্রস্তুত করা এবং সেখান থেকেই সংগ্রহ করা এবং মানের দিক থেকে আমরা কোন আপোষ করি না। আমি আশা করবো এদেশের মানুষ আরো বেশি দেশীয় পণ্য ক্রয়ে আগ্রহী হবে এবং উৎসবে আয়োজনে আমাদের নিজস্ব শিল্পকে গর্ব করে সবার কাছে তুলে ধরবে।

মিরা-র যেকোনো পোশাক কিনতে ভিজিট করতে পারেন তাদের ফেসবুক পেজ www.facebook.com/mirabrandbd অথবা ইন্সটাগ্রাম আইডি www.instagram.com/mirabrandbd/-এ। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনে শীঘ্রই মিরা-র প্রথম আউটলেট শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকার গ্রিন রোডে।

;

ইস্টার উৎসব ডিম দিয়ে কেন পালিত হয়?



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খ্রিস্টানদের গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ইস্টার। এই উৎসব মৃত্যুপুরীর মধ্য থেকে যিশু খ্রিস্টের পুনরুত্থান উদযাপন করে। গুড ফ্রাইডের পরে তৃতীয় রোববার পালিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে যিশু খ্রিস্টের পুনর্জন্ম হয়েছিল এবং তিনি আবার তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে বসবাস শুরু করেছিলেন, কিন্তু মাত্র ৪০ দিনের জন্য, তারপরে তিনি চিরতরে স্বর্গে চলে গিয়েছিলেন। এ কারণেই ইস্টারকে পুনরুত্থান দিবস বা পুনরুত্থান রোববারও বলা হয়।

ইস্টার উদযাপন

খ্রিস্টান সম্প্রদায় জুড়ে ইস্টারের ঐতিহ্য ব্যাপক। কেউ কেউ এই দিনে যিশুকে অভিনন্দন জানাতে ইস্টারের দিনে ডিম সাজিয়ে থাকেন। কেউ কেউ আবার ইস্টার প্যারেডগুলিতেও অংশগ্রহণ করে থাকেন। আসলে ইস্টারের বেশিরভাগই ছুটি থাকে। কিন্তু যেখানে ছুটি নেই সেখানে তিন ঘণ্টা কাজ বন্ধ থাকে কারণ যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল ৩টার সময়। এছাড়াও ইস্টার সানডে উদযাপনের জন্য খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের রাতে গির্জায় জড়ো হয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাতভর যিশু খ্রিস্টের নাম এবং তাঁর দেওয়া বাণীকে স্মরণ করেন।

ইস্টারে ডিমের ব্যাপক ভূমিকা

ইস্টার উদযাপনের প্রধান প্রতীক হল ডিম। ইস্টার নবায়ন, উদযাপন, পুনরুজ্জীবন, পৃথিবীতে বসবাসকারী প্রতিটি মানুষের জন্য অগ্রগতির প্রতীক। এই দিনে ডিম সজ্জিত করে একে অপরকে উপহার দেওয়া হয় যা একটি শুভ চিহ্নর ইঙ্গিত দেয়। তাই রঙিন ডিম ছাড়া ইস্টারের মজা নেই। ঐতিহ্যগতভাবে এই ডিম বাবা-মায়েরা লুকিয়ে রাখেন এবং বাচ্চাদের খুঁজে বের করতে হয়। খ্রিস্টধর্মে, ডিম পুনরুত্থানের প্রতীক। এটি বসন্তের সঙ্গে জড়িত।

ইস্টারে ডিমের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে কারণ পাখি প্রথম যেভাবে তার নীড়ে ডিম দেয়। এর পরে, এটি থেকে ছানা বেরিয়ে আসে। এই কারণেই, ডিমকে একটি শুভ স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং ইস্টারের সময় এটি বিশেষ সম্মানের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়। কোথাও পেইন্টিং করে, কোথাও অন্যভাবে সাজিয়ে একে অপরকে উপহার হিসেবেও তাই ডিম দেওয়া হয়। রাশিয়া এবং পোল্যান্ডের মতো দেশে, ইস্টার ডিম একটি নতুন জীবনের প্রতীক।

ইস্টারের তারিখ প্রতি বছর পরিবর্তিত হয়। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ৩১ মার্চ পালিত হবে ইস্টার।

;

যেসব খাবার খেয়ে রোজা ভাঙাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
স্বাস্থ্যকর ইফতার

স্বাস্থ্যকর ইফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান মাস মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র সময়। সংযমের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার সাথে গভীর সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ।

টানা একমাস রোজা রাখার কারণে, শরীর ধীরে ধীরে দুর্বল হতে শুরু করে। তাই সারাদিন রোজা থাকার পর এমন খাবার খাওয়া উচিত, যা সারাদিনের ক্লান্তি নিমেষেই দূর করে দিতে পারে। জেনে নিন, রোজা ভাঙার সময় যেসব খাবার বেশি উপকারী হতে পারে-

ফল: রোজা ভাঙার সময় এমন খাবার খাওয়া উচিত যা সহজেই হজম করা যাবে। এজন্য ফল একটি ভালো উপকরণ হতে পারে। সারাদিন নির্জলা উপবাসের কারণে শরীরে পানির ঘাটতিও হয়। তাই তরমুজ, আঙ্গুর, আপেল, নাশপাতির মতো ফল খেতে পারেন। এসব ফলে পানির পরিমাণ বেশি থাকে। তবে টকজাতীয় ফল এড়িয়ে চলাই ভালো।  

ডিম: রোজা রাখার কারণে যে পেশিক্ষয় হয়, সেই ক্ষতিপূরণ করার জন্য ডিম খেতে পারেন। ডিম যেমন প্রোটিনের একটি উত্তম মাধ্য, তেমন খাওয়ার জন্য রান্না করতেও সময় কম লাগে। ডিম অমলেট, মামলেট বা সিদ্ধ যেভাবেই খেতে চান, প্রস্তুত করতে মাত্র কয়েক মিনিট ব্যয় করলেই হয়।

মাছ: মাছে প্রোটিন ছাড়া আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ‘ভিটামিন ডি’ থাকে। তাছাড়া বেশিরভাগ মাছেই পর্যাপ্ত চর্বি থাকে। খাবার তেলের থেকে মাছের থেকে পাওয়া তেল অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হয়। সারাদিন রোজা রাখার পর প্রোটিনের উৎস হিসেবে, মাংসের চেয়ে মাছ উত্তম। বিশেষ করে রেডমিট (গরু, খাসি) খেয়ে একদমই রোজা ভাঙা উচিত নয়। কারণ, এসব হজম করা বেশ কঠিন।

প্রোবায়োটিকস: সারাদিন রোজা রাখার কারণে খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম হয়। তাই অন্ত্রে অস্বাভাবিকা দেখা দিতে পারে। হজমে সমস্যা ছাড়াও অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ইফতারে প্রোবায়োটিকস সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। যেমন- দই, কম্বুচা ইত্যাদি।  

অ্যাভোকাডো: অ্যাভোকাডো একপ্রকার বিদেশী ফল। এটি অনেক নরম হয়, তাই সহজেই হজমযোগ্য। একটু খাওয়ার নারকেল তেল বা জলপাই তেলের সাথে এই ফল খাওয়া যেতে পারে।

সবজি: রোজা রেখে ফল এবং সবজি খাওয়া অত্যন্ত ভালো। বিশেষ করে ফুলকপি, ব্রকলির মতো ফল রোজার পর অধিক কার্যকরী হতে পারে।   

তথ্যসূত্র: ফেয়ারপ্রাইস

;