ওসিডি: জানার মাঝেও অজানা এক মানসিক ব্যাধি



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
ওসিডি সাধারণ কোন সমস্যা নয়, এক প্রকার মানসিক ব্যাধি

ওসিডি সাধারণ কোন সমস্যা নয়, এক প্রকার মানসিক ব্যাধি

  • Font increase
  • Font Decrease

আমাদের পরিচিত এমন অনেকেই আছেন যারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে অন্যদের চাইতে বেশি খুঁতখুঁতে।

শুধু পরিচ্ছন্নতার বিষয়েই নয়, কোন জিনিস ময়লা হচ্ছে কিনা, ঘরের কোন জিনিসটি কোথায় কীভাবে রাখা আছে কিংবা কেউ ব্যথা পেল কিনা- এমন ধরনের বিষয়ে অকারণেই অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করেন। যারা এমন আচরণ প্রকাশ করেন তাদের প্রতি প্রায়শ আমরা বিরক্ত হই। এমন আচরণের প্রকাশ বেশি দেখা দিলে রেগেও যাই। অহেতুক কেন কেউ এমন অদ্ভুত আচরণ করবে- এমন ভাবনা কাজ করে। অথচ আমরা জানিই না এটা এক ধরনের মানসিক অসুস্থতা।

ocd

OCD (Obsessive-compulsive disorder) হলো এই মানসিক সমস্যাটির নাম। এর ফলে ভুক্তভোগী একই বিষয় নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করেন এবং সে কাজটি বারবার করার তাড়না বোধ করেন নিজের মাঝে।

ওসিডি কিন্তু দাঁতে নখ কাটার মতো কোন সাধারণ বা প্রচলিত বদভ্যাস নয়। এটা বেশ গুরুতর ধরনের মানসিক সমস্যা। যা চাকরি, পড়ালেখা, সম্পর্ক, পারিবারিক ক্ষেত্র এমনকি ব্যক্তিগত জীবনের উপরেও মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে দেয়। কিছু ক্ষেত্রে ওসিডি আক্রান্ত ব্যক্তির কাজকর্ম ও চিন্তাভাবনা তার নিজের নিয়ন্ত্রণের একদম বাইরে চলে যায়।

ocd

উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়- কোন অপরিষ্কার জিনিস হাতে নেওয়ার পর সাধারণত আমরা সাবান দিয়ে একবার ভালোভাবে হাত ধুয়ে নেবো। কিন্তু ওসিডি আক্রান্ত ব্যক্তি কিছুক্ষণ পরপর সাবান দিয়ে হাত ধুতেই থাকবে। সেটা ৬-৭ বারও হতে পারে। কারণ তার মাথা ও মনের মধ্যে অনবরত কাজ করতে থাকে যে হাতে এখনও ময়লা রয়ে গেছে। ফলে হাত পরিষ্কার করতে হবে। এই প্রবণতাই হলো ওসিডি।

ওসিডির লক্ষণগুলো কী?

ocd

বেশিরভাগ ওসিডি আক্রান্ত ব্যক্তিরাই জানেন যে তাদের কাজকর্ম ও আচরণগুলোর কোন মানেই হয় না। এমন নয় যে তারা এ ধরনের আচরণ করতে পছন্দ করেন। কিন্তু এটা অনেকটা ভাঙা রেকর্ডের মতো মাথার ভেতরে কাজ করতেই থাকে, ফলে একই কাজ বারবার করতে বাধ্য হন তারা। একজন ওডিসি আক্রান্ত ব্যক্তির মাঝে সাধারণ নিম্নোক্ত লক্ষণগুলো প্রকট আকারে দেখা যায়।

১. অপরিষ্কার হওয়া ও জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ভয়।

২. ব্যথা পাওয়া কিংবা অন্যের ব্যথা পাওয়ার আশঙ্কায় ভীত থাকা।

৩. যেকোন জিনিস একদম সঠিক স্থানে সঠিকভাবে রাখার প্রবণতা।

৪. নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যা ও রঙ ‘ভালো’ ও ‘খারাপ’- এই ধারনা বিশ্বাস করা।

৫. অনবরত চোখের পলক ফেলা, বারবার বড় করে নিঃশ্বাস নেওয়া এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের অনুভূতি অনুভূত হওয়া।

৬. সঙ্গীকে অকারণে ও ভিত্তিহীন কারণ প্রবল সন্দেহ করা।

৭. একধারে কিছুক্ষণ সময়ের মাঝে বারবার হাত ধোওয়া।

ocd

৮. কোন একটি কাজ একইভাবে পরপর কয়েকবার করা অথবা নিজের ধারনা মতো ‘ভালো’ সংখ্যক বার করা।

৯. দরজার লক, ফ্যান-লাইটের সুইচ, পানির কল, গ্যাসের লাইন অন-অফ আছে কিনা বারবার চেক করা।

১০. যেকোন জিনিসই গোনা। সিঁড়ির ধাপ, জামার কাপড়ে বৃত্তের সংখ্যা, শেলফে প্লেটের সংখ্যা।

১১. একই জিনিস একইভাবে সারিবদ্ধভাবে রাখা।

ocd

১২. অন্য বাসার দরজার হাতলা ধরা, পাবলিক বাস বা যানবাহন ব্যবহার, পাবলিক টয়লেট ব্যবহার ভয় কাজ করা এবং ভয় থেকে ক্ষেত্র বিশেষে হাত কাঁপার মতো সমস্যা তৈরি হওয়া।

কেন দেখা দেয় ওসিডি?

ocd

এখনও পর্যন্ত চিকিৎসকেরা নিশ্চিতভাবে জানাতে পারেনি কেন ওসিডির সমস্যাটি দেখা দেয়। তবে তারা এটা নিশ্চিত করেছেন, ওসিডি আক্রান্ত হওয়ার ফলে মস্তিষ্কের কিছু অংশ একজন সাধারণ মানুষের চাইতে ভিন্ন হয়। এই সমস্যাটি সাধারণত পুরুষদের চাইতে নারীদের মাঝে বেশি দেখা যায় এবং মাঝে মাঝে কিশোরকাল থেকেই অনেকের এই সমস্যাটির লক্ষণ দেখা দেওয়া শুরু হয়। ধারনা করা হয় ওসিডির সাথে জিনগত সম্পর্ক আছে। তবে চারটি ক্ষেত্রে ওসিডি দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

১. বাবা-মা, ভাই-বোন বা পরিবারের কারোর ওসিডির সমস্যা থাকলে।

২. বিষণ্ণতা, মানসিক চাপ থেকে।

৩. কোন বড় ধরনের ট্রমা থেকে।

৪. অল্প বয়সে শারীরিক বা যৌন নির্যাতনের শিকার হলে।

ওসিডির চিকিৎসা কী?

একদম সরল বাক্যে বলতে হয় ওসিডি আরোগ্যে কোন চিকিৎসা নেই। কিন্তু সঠিক ওষুধ সেবন, দিকনির্দেশনা পালন ও টক থেরাপিসহ অন্যান্য থেরাপির সাহায্যে এই রোগের প্রবণতাকে অনেকখানি কমিয়ে আনা সম্ভব হয়।

আরও পড়ুন: ফোবিয়া: ভীতি যেখানে গ্রাস করে সবকিছু

   

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের শুরু থেকেই আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে এবার তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ভাঙবে। ইতোমধ্যেই তাঁর প্রভাব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে দেশবাসীর বেহাল দশা। কোন না কোন কাজে সকলকেই বাড়ির বাইরে যেতেই হচ্ছে। তাই বাইরের গেলে নিজেকে রোদ থেকে রক্ষা করতে হবে।  জেনে নিই, যেভাবে এই গরমেও নিজেকে গরম থেকে রক্ষা করবেন-

পানি: নিজেকে সুস্থ রাখতে পানির কোন বিকল্প নেই। রোগ থেকে বাঁচতে হোক অথবা নিজেকে সুস্থ রাখতে, সবসময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। প্রচণ্ড তাপে নিজেকে রক্ষা করতে চাইলে কোন ভাবেই পানি পান করা বাদ দেওয়া যাবে না। তেষ্টা না পেলেও পানি পান করতে হবে। দিনে অন্তত ৮ গ্লাস বা তারও বেশি পানি পান করুন।

এছাড়াও, প্রতিবার বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই পানি সাথে রাখা প্রয়োজন। বিকল্প হিসেবে পানিসমৃদ্ধ ফল বা সবজি খেতে পারেন। যেমন- আপেল, তরমুজ, শসা, আপেল, পেয়ারা ইত্যাাদি।

পোশাক: বাইরে গেলে রোদের সরাসরি সংস্পর্শে আসার কারণে গরম অনেক বেশি লাগে। তাই বাইরে যাওয়ার সময় ঢিলাঢালা পোশাক পরা উচিত। এছাড়াও,কম ওজনের কাপড় ব্যবহার ক্রুন। যেমন, সুতি বা লিনেন। এছাড়াও, হাল্কা রঙের পোশাক বাছাই করা উচিত। কেননা, গাঢ় রঙ তাপ বেশি শোষণ করে বিধায় গরম বেশি লাগে।

রোদ আড়াল করা: যখন বাইরে যাবেন, নিজেকে যথাসম্ভব ছায়ায় রাখুন। সঙ্গে ছাতা রাখুন, যেন ত্বক রোদের সংস্পর্শে না আসে। 

গোসল: গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। এতে ফ্রেশ লাগে, তাছাড়া অনেক্ষ্ণ শরীর থাকে।

গাছ: বাড়িতে থাকলে তুলনামূলকভাবে গরম কম লাগে। তবে ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে চাইলে বাড়িতে বেশি করে গাছ লাগান। গাছ থাকলে পরিবেষ প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা হয়।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই গরমে মাথা ঘেমে চুল ভেজা থাকায় অনেকেই বিরক্ত থাকেন। ঘামে ভিজে চুলের অবস্থাও নাজেহাল হয়ে যায়। অনেক সময় চুলপড়া বেড়ে যায় গরমে। তাই চুলের বাড়তি যত্ন দরকার হয় এই মৌসুমে।

অনেকেই চুলের যত্ন নিতে নিয়মিত পার্লারে যান। এতে করে সময় এবং অর্থ দুই ব্যয় হয়। অনেকের সময় সুযোগ হয়ে ওঠে না নানা ব্যস্ততায়। তাই সময় এবং টাকা বাঁচিয়ে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই। 

কীভাবে চুলের যত্ন নেবেন চলুন তা জেনে নিই:

ব্যস্ত সময়ে আমরা অনেকেই চুলে তেল নেই না। আর গরমে তেল না নিলে চুল আরও রুক্ষ হয়ে যায়। তাই নিয়ম করে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে দু’দিন চুলে তেল দিতে হবে। চুলের গোড়া মজবুত করতে ‘হট অয়েল ট্রিটমেন্ট’ নিতে পারেন বাড়িতেই।

অনেকের অভ্যাস আছে তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে মাথার ওপর তুলে রাখার। এই অভ্যেস থাকলে ত্যাগ করুন। কারণ এতে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এর থেকে ভালো হয় পুরোনো ও নরম টি-শার্ট দিয়ে আলতো হাতে চেপে চেপে চুলের পানি শুকিয়ে নিন। চুল শুকিয়ে এলে মোটা দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াবেন। সেক্ষেত্রে প্লাস্টিক না বরং ব্যবহার করুন কাঠের চিরুনি ।

কাজুবাদামের হেয়ার ওয়েল তেল, মধু আর দইয়ের প্যাক চুলের রুক্ষতা দূর করতে বিশেষ কার্যকর। লেবুর রস আর ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিয়েও লাগাতে পারেন। এই প্যাক ফিরিয়ে আনতে পারে চুলের হারানো জেল্লা।

;

গরমে সুস্থ থাকতে যেসব খাবার খাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। এ সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ঘাম হয়ে বের হয়। এতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরে ক্লান্ত লাগে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে আপনাকে খেতে হবে পানি ও পানিযুক্ত খাবার।

গরমে কী ধরনের খাবার শরীরের জন্য ভালো চলুন তা জেনে নিই–

পানি

পূর্ণবয়স্ক একজন নারীর দিনে অন্তত ২.৫-৩ লিটার, পূর্ণবয়স্ক একজন পুরুষের ৩-৩.৫ লিটার সুপেয় পানি পান করা উচিত। তবে কিডনি রোগীদের অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে পানির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।

গরমে লেবু বা ফলের শরবত খাওয়া খুবই উপকারী। ডাবের পানিও খুব দারুণ কার্যকর। এসব পানীয় খুব সহজেই শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করবে। ডাবের পানি ও ফলের শরবত খেলে পানির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের চাহিদাও পূরণ হবে।

সবজি
কাঁচা পেঁপে, পটল, ধুন্দল, শসা, চিচিঙ্গা, গাজর, লাউ, পেঁপে, পালংশাক, টমেটো, শসায় পানির পরিমাণ বেশি থাকে। পানিশূন্যতা দূর করতে এই খাবারগুলো অবশ্যই খাবার তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া পাতলা করে রান্না করা টক ডাল, শজনে ডাল শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।


মৌসুমি ফল

পানিশূন্যতা দূর করার জন্য কাঁচা আম খুবই ভালো। কাঁচা আমে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। এ ছাড়া ভিটামিন সি ও ম্যাগনেশিয়ামও আছে, যা শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। তরমুজ শরীর ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। এতে আছে ভিটামিন ও খনিজ লবণ, যা এই গরমে শরীরের জন্য দরকার।

বাঙ্গি খুবই পুষ্টিকর একটি ফল, যা খুবই সহজলভ্য এবং দামেও তুলনামূলক সস্তা। শরীর ঠান্ডা রাখতে বাঙ্গির তুলনা নেই।

আখের রস

আখের রস শরীরকে ঠান্ডা রাখতে খুবই কার্যকরী। আখের রসের সঙ্গে বিট লবণ, পুদিনাপাতা এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এর স্বাদও বাড়ে, পুষ্টিগুণও বাড়ে।

বেলের শরবত

বেলের শরবত পাকস্থলী ঠান্ডা রাখতে খুব কার্যকর। বেলে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১ এবং বি২, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফাইবার।


পুদিনার শরবত

শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে এবং সতেজ অনুভূতির জন্য পুদিনার শরবত অতুলনীয়।

জিরা পানি
নোনতা স্বাদযুক্ত এই পানীয় হজমে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা শরবতে আলাদা করে চিনি বা মধু অ্যাড করবেন না।

যা খাবেন না

অনেক কার্বনেটেড বেভারেজ আমরা গরমের সময় প্রচুর খেয়ে থাকি, যা ঠিক না। এই পানীয়গুলো শরীরকে সাময়িক চাঙা করলেও এর কোনো পুষ্টিগুণ নেই, বরং শরীরকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করে। ঝাল, বাইরের খোলা শরবত, বাইরের খাবার, ভাজাপোড়া এ সময় যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন। পাতলা ঝোল ঝোল খাবার খাওয়া এ সময় সবচেয়ে ভালো।

 

;

হুপিং কাশিতে আক্রান্ত, মেনে চলুন এই বিষয়গুলো!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হুপিং কাশিতেন আক্রান্ত শিশু / ছবি:সংগৃহীত

হুপিং কাশিতেন আক্রান্ত শিশু / ছবি:সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হুপিং কাশি খুবই গুরুতর একটি রোগ। বোর্ডেটেলা পারটুসিস ব্যাকটেরিয়ার কারণে এই রোগ হয়। খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ব্যাকটেরিয়া। মূলত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ মানুষের শ্বাসনালীতে আক্রমণ করার ফলে হয়। হুপিং কাশির প্রাথমিক উপসর্গ হলো কাশির সাথে শ্বাসকষ্ট। ইদানিং বেশ কয়েকটি দেশে হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়তে দেখা যায়। গত বছরের তুলনায় এই বছর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা প্রায় ২০ গুণ বেশি। তাই হুপিং কাশির ক্ষেত্রে সতর্কতা বাড়াতে হবে।

সতর্কতা বাড়ানোর আগে অবশ্যই রোগের উপসর্গ সম্পর্কে জানতে হবে। এছাড়াও সংক্রমণ শিথিল করার উদ্দেশ্যে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। জেনে নিই হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হলে কি করতে হবে-

১. টিকা: যেকোনো রোগের প্রতিরোধের প্রাথমিক পদক্ষেপ হলো টিকাগ্রহণ। বেশির ভাগ রোগের জন্যই প্রতিরোধমূলক টিকা রয়েছে। শিশুদের ছোট থেকেই বাধ্যতামূলক কিছু টিকাদান করা হয়। সাধারণত ২ মাস বয়স থেকে শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু করা হয়।

২. স্বাস্থ্যবিধি: ছোট থেকেই সকলের পরিষ্কার করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অনুশীলন করতে হবে। বাড়ি বড়দের উচিত সাবান পানিতে দিয়ে হাত ধোয়ার জন্য শিশুদের উৎসাহিত করা। বিশেষ করের বাইরে থেকে ফেরত আসার পর, হাঁচি-কাশির পরে বা নোংরা কিছু ধরার পর। এছাড়া টয়লেট থেকে এসে এবং অবশ্যই খাওয়ার আগে হাত ধুতে হবে। এছাড়াও কাপ, চামচ, গ্লাস বা মগ ইত্যাদি জিনিস ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন ব্যবহার করাই ভালো।   

৩. নাক-মুখ ঢাকা: শুধু হুপিং কাশি নয়, বেশিরভাগ ছোঁয়াচে রোগই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। তাই অবশ্যই হাঁচি বা কাশি আসলে সবসময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা উচিত। অথবা কোনো কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে নিন যেন জীবাণু না ছড়াতে পারে। হাতের কাছে কিছুই না পেলে কনুই দিয়ে মুখ ঢেকে নিন। হাঁচি এবং কাশির সময় ‍মুখ ঢেকে নিলে রোগ ছড়ানো অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব।

৪. বাড়িতে থাকা: হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হওয়া নিশ্চিত হলে ঘর থেকে বাইরে যাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। একেবারেই বের না হলে আরও ভালো। অত্যাধিক সংক্রমণ ঝুঁকি থাকার কারণে অন্যদেরও উচিত আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাথে দূরত্ব বজায় রাখা।

৫. চিকিৎসা: আক্রান্ত নিশ্চিত হওয়ার পর অতি দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তাছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসাও গ্রহণ করতে হবে। 

;