অশিক্ষিতদের মাঝে স্মৃতিভ্রংশের সম্ভাবনা দ্বিগুণ
শিক্ষিত হওয়া কিংবা না হওয়ার উপরে পারিপার্শ্বিক অনেক কিছুই নির্ভর করে।
সে তালিকায় এবারে স্মৃতিশক্তিও নাম লেখাল। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকদের নতুন একটি পরীক্ষার ফল থেকে দেখা গেছে- পড়তে ও লিখতে পারার উপর বৃদ্ধ বয়সে স্মৃতিভ্রংশের সমস্যাটি (Dementia) দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা নির্ভর করে।
গত সপ্তাহে ‘দ্য জার্নাল নিউরোলজি’ পত্রিকায় তাদের গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেন গবেষকেরা। এই গবেষণার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের ওয়াশিংটন হাইটস এলাকায় বসবাসরত ৬৫ বছরের বেশি বয়সী ৯৮৩ জনের উপর পরীক্ষা চালানো হয়। যাদের প্রত্যেককেই চার বছর বা তার কম সময় স্কুলে পড়েছেন।
পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অংশগ্রহণকারীদের বাসায় গিয়ে তাদের উপর স্মৃতি, ভাষা, চোখে দেখা যায় এমন জিনিস ও স্থান-সংক্রান্ত বিষয়ে পরীক্ষা করেন। এ সময়ে তারা অংশগ্রহণকারীদের উপর স্ট্যান্ডার্ড ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ি ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশের ডায়গনসিস করেন। দেখা যায় অশিক্ষিত অংশগ্রহণকারীদের ফলাফল সবচেয়ে খারাপ।
যারা লিখতে ও পড়তে পারেন তাদের চেয়ে তিনগুন বেশি খারাপ অবস্থা যারা কখনোই লিখতে ও পড়তে শিখেননি। এছাড়া গবেষণার অংশগ্রহণকারী অশিক্ষিতদের মাঝে যাদের স্মৃতিভ্রংশের সমস্যা ছিল না, অন্যদের চাইতে চাঁদের মাঝে স্মৃতিভ্রংশের সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে দ্বিগুণ।
এমন ফলাফলের কারণ হিসেবে গবেষক বলছে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কম থাকায় সহজেই মস্তিষ্ক নিশ্চল হয়ে যায় এবং স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পরে।
কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির নিউরোসাইকোলজির প্রফেসর ও এ গবেষণার একজন জেনিফার ম্যানলি জানান, ১৯৯২ সাল থেকেই ওয়াশিংটন হাইতস এলাকার ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের উপর তথ্য সংগ্রহের কাজ করা হচ্ছে। বিগত তিন দশক্ত অন্তত ৬৫০০ জনের উপর পরীক্ষা চালিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
এতে করে খুব সহজে ও পরিষ্কারভাবেই উঠে এসেছে শিক্ষা একজন মানুষের জীবনে মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেও ভূমিকা রাখে। ফলে অশিক্ষিত বা অল্প পড়ালেখা যেমন মস্তিষ্কের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, শিক্ষা ও পড়ালেখা মস্তিষ্কে আনতে পারে ইতিবাচক প্রভাব।
আরও পড়ুন: