কোরবানির মাংসে করোনা ভয়: যা করা প্রয়োজন
এ বছরে কোরবানির ঈদ চলে এলো করোনাভাইরাস পরিস্থিতির ভেতরেই। ঈদুল আজহা মানেই নানান ধরণের বাড়তি কাজ ও কোরবানির মাংস নিয়ে সারাদিনের ব্যস্ততা। মাংস কাটা, ভাগ করা, বণ্টন করা, নিজেদের জন্য সঠিক পরিমাণে সংরক্ষণ করা- এ সকল কাজে ব্যস্ততায় দিন পার করে দেওয়া হয় কোরবানির ঈদে।
সাধারণত সবসময়ই কোরবানির ঈদের সময়ে পরিষ্কার-পরিছন্নতার দিকে বাড়তি নজর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে এবারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে আরও কিছুটা বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষভাবে মাংস কাটা থেকে শুরু করে মাংস বন্টন, সংরক্ষণ ও রান্না- প্রতিটি ধাপেই যথাযথ নিয়ম মেনে চলতে পারলে সুরক্ষিত থাকা সম্ভব হবে।
প্রথমেই নিশ্চিত করতে হবে কোরবানির মাংস যিনি কাটবেন, তিনি যেন ঠিকভাবে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস পরে থাকেন। মাংস যিনি আনা-নেওয়া করবেন তিনিও যেন মাস্ক ও গ্লভস পরে থাকেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মাংস বহনের জন্য নির্দিষ্ট একটি-দুইটি পাত্র আলাদাভাবে রাখতে হবে। এছাড়া মাংস যেখানে রাখা হবে, সে স্থানটি আগে থেকেই ব্লিচিং পাউডার ও পানির সাহায্যে মুছে নিতে হবে।
মাংস ঘরে চলে আসার পর সাথে সাথেই মাংস ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে। অন্তত ৩০-৪০ মিনিট সময় পর মাংস কাটা ও ভাগ করায় হাত দিতে হবে। এবং যিনি মাংস কাটবেন, অবশ্যই মাস্ক ও গ্লভস পরে থাকবেন। এই নিয়মের ব্যতিক্রম করা যাবে না।
এখানে জরুরি একটি বিষয় হল, মাংস যে সকল সরঞ্জাম তথা, বটি, ছুরি, কাঁচি, কাটিং বোর্ডে কাটা হবে, সেগুলোও আগে থেকে জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করে রাখা। এতে করে এই সকল জিনিস থেকে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিও থাকবে না।
মাংস কাটার পর মাংস ধোয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি নজর দিতে হবে। ছেড়ে রাখা প্রবাহমান কলের পানিতে অন্তত ৮-১২ মিনিট সময় নিয়ে মাংস পরিষ্কার করতে হবে। এতে করে কাঁচা মাংসে ভাইরাসের সংক্রমের ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
মাংসের ঝামেলা শেষে মাস্ক, গ্লভস সরাসরি ময়লার বালতিতে ফেলে দিয়ে হালকা গরম পানি ও সাবানের সাহায্যে গোসল সেরে নিলে সবচেয়ে ভালো হবে। যদি গোসল এড়িয়ে যেতে চান তবে পরিধেয় পোশাক পরিবর্তন করে মুখ-হাত-পা ভালোভাবে সাবানের সাহায্যে ধুয়ে নিতে হবে। এতে করে নিজেকেও নিরাপদ রাখা সম্ভব হবে।