রংপুর বিভাগে আরও ১৬ মৃত্যু, শনাক্ত ৬৭৮
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসরংপুর বিভাগে করোনায় একদিনে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬৭৮ জনের। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় আক্রান্তের হার ২৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এ নিয়ে বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৮৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার (২৬ জুলাই) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মোতাহারুল ইসলাম।
তিনি জানান, করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রংপুরের সাতজন, দিনাজপুরের তিনজন, ঠাকুরগাঁওয়ের তিনজনসহ পঞ্চগড়, নীলফামারী ও লালমনিরহাটের একজন করে রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে ২ হাজার ৪৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৭৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রংপুরের ১৯৫ জন, দিনাজপুরের ১০৩ জন, পঞ্চগড়ের ৯৪ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৮৫ জন, কুড়িগ্রামের ৭৭ জন, নীলফামারীর ৭৫ জন, গাইবান্ধার ৬৯ জন ও লালমনিরহাটের ২০ জন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭৯৬ জন।
করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিভাগে মৃত ৮৫৪ জনের মধ্যে দিনাজপুরে ২৫৯ জন, রংপুরে ১৮০ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৬৩, নীলফামারীতে ৬৪, পঞ্চগড়ে ৫২, লালমনিরহাটে ৫১, কুড়িগ্রামে ৪৬ ও গাইবান্ধায় ৩৯ জন রয়েছেন।
বিভাগের আট জেলায় এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ৭৪৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুুরে ১১ হাজার ৯৮৮ জন, রংপুরে ৮ হাজার ৯৩২ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৫ হাজার ৬২৬ জন, গাইবান্ধায় ৩ হাজার ৪৫৯ জন, নীলফামারীর ৩ হাজার ২২৩ জন, কুড়িগ্রামের ৩ হাজার ৭৪ জন, লালমনিরহাটের ২ হাজার ৯৭ জন এবং পঞ্চগড়ের ২ হাজার ৩৪৫ জন রয়েছেন।
করোনাভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ২ লাখ ৪ হাজার ৯৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুর, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। এ ছাড়া ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা জেলাগুলোয় বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যু।
করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মোতাহারুল ইসলাম বলেন, সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ মেনে চলার বিকল্প নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে।