নাসিক নির্বাচন: শেষ দিনের প্রচারণায় সরগরম নারায়ণগঞ্জ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নারায়ণগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনের বাকি ১ দিন। শেষ দিনের প্রচারণায় সরগরম নারায়ণগঞ্জ। শেষ দিনে জমে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা, চলছে মিছিল, মিটিং ও পথসভা। প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। নির্বাচন নিয়ে তুমুল উৎসাহ ও কৌতূহল বিরাজ করছে ভোটারদের মধ্যে।

প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই নির্বাচনী মাঠে সরব হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ৭ মেয়র প্রার্থী, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৪ প্রার্থী। তবে শেষ দিনের প্রচারণা ছিল চোখে পড়ার মতো।

নির্বাচন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ। নির্বাচনী প্রার্থীদের ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে শহরের বিভিন্ন সড়ক। বিভিন্ন এলাকায় মিছিল আর মিছিল। এলাকায় এলাকায় ব্যানার-পোস্টারের পাশাপাশি চলেছে ভোটের জন্য মাইকিং। নির্বাচনী প্রচারে ছিল শিশু-কিশোরেরাও।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় দুই হেভিওয়েট প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী (আওয়ামী লীগের মনোনীত) ও তৈমূর আলম খন্দকার (স্বতন্ত্র) সংবাদ সম্মেলন করেছেন। একই সঙ্গে প্রচারণা করেছেন অন্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। কাউন্সিলর প্রার্থীরা যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। চাইছেন দোয়া ও ভোট।

বেলা ৩টায় বিশাল পথসভা ও মিছিল করেন ড. সেলিনা হায়ৎ আইভী। এই সভায় কেন্দ্রীয় নেতাকর্মী, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ হাজার হাজার জনগণ অংশগ্রহণ করেন এই পথসভায় ও মিছিলে।

উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান ডা. সেলিনা হয়াৎ আইভী। চলমান কাজকে গতিশীল করার ওয়াদা নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভি।

আইভী বলেন, ভোটকেন্দ্রে কোনো ধরনের সহিংসতা কিংবা বিশৃঙ্খলা না হলে বিজয় সুনিশ্চিত। আমার ভরসা জনগণে। নেতারা আসতেই পারে ক্যাম্পিং করতেই পারে, পর্যবেক্ষণ করতেই পারে। কিন্তু তারা আমাকে ফ্রি করে দিয়েছেন। আমি সারাক্ষণই ভোটারদের কাছেই ছিলাম।’আইভীকে পরাজিত করতে অনেকগুলো পক্ষ এক হয়ে গিয়েছে। ঘরের-বাইরের সকল পক্ষ মিলে গিয়েছে। কীভাবে বিশৃঙ্খলা করে আমাকে পরাজিত করা যায় সেই চিন্তা করছে।

আইভী আরও বলেন, আমাকে পাঁচ বছরের জন্য সুযোগ দেন। যে কোনো সময় অনেক কিছু ঘটে যেতে পারে। আমি আপনাদের জন্য মৃত্যুকেও বরণ করতে রাজি আছি। আমি ঘর-সংসারের দিকে তাকাইনি। আশা করি আপনারা আমাকে ফিরিয়ে দেবেন না।

অপর দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার বেলা ৩টা থেকে বিশাল শোডাউন করে বন্দরে প্রচারণা চালান।

তৈমুর আলম খন্দকার সাধারণ মানুষকে দিচ্ছেন আগামী দিনে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। একই সাথে করছেন সাবেক মেয়রের উন্নয়ন কর্মকান্ডের সমালোচনা। তিনি বলছেন, পরিকল্পিতভাবে নগরায়ন হয়নি এই শহরের। জনগণের মনের ধারণা নির্বাচন কমিশন একটা ঠুটো জগন্নাথ তারা সেই পথেই হাঁটছেন। তারপরেও আমি নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখতে চাই। সরকারি দলের মেহমানরা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় তৈমুর আলম খন্দকার আনেন নানা অভিযোগ। তার ভিতরে শঙ্কা কাজ করছে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে।

ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুফতি মাসুম বিল্লাহ হাতপাখা প্রতীক নিয়ে শহরজুরে বিশাল শো-ডাউন করেছেন। ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।

মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, জনগণ এবার ইসলামী শক্তিকে বিজয় করার জন্য বদ্ধপরিকর। হাতপাখার যেভাবে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারলে বিজয় আমাদের হবে ইনশাআল্লাহ।

বিকেলে খেলাফত মজলিসের মেয়র প্রার্থী এবিএম সিরাজুল মামুন ১৪ প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন। পরে দেওয়াল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে বিশাল গণসংযোগ করেন।

সিরাজুল মামুন বলেন, আমরা আশাবাদী যে ভোটাররা ন্যায়নীতি সুবিচার ও জনকল্যাণের জন্যে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন শহর গঠনে আমাদেরকে সমর্থন দিবে। আমি নারায়ণগঞ্জ সিটির সম্মানিত ভোটারদের অনুরোধ করব তারা যেন আমাদের দেয়াল ঘড়ি মার্কায় সমর্থন দেন এবং নারায়ণগঞ্জ এর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখেন।

এছাড়া কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন। নিজ নিজ মার্কা নিয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। চাইছেন দোয়া ও ভোট।

তবে ১৮ দিনের এই প্রচারণায় শহরজুরেই আলোচনায় ছিল নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ সদস্য শামীম ওসমান। সাধারণ জনগণসহ সরকার দলীয় প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়ৎ আইভীও অভিযোগ তোলেন যে শামীম ওসমানই দাঁড় করিয়েছে তৈমুর আলম খন্দকারকে। আইভী বলেন, তৈমুর আলম খন্দকার ‘গডফাদার’ শামীম ওসমানের প্রার্থী। কেন্দ্রীয় নেতা আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকও এক বক্তব্যে বলেন, এমপি হয়েছেন নৌকার কারণেই আগামীতে আমরা বেচে থাকতে নৌকা পেতে দিব না। এই সকল অভিযোগের কারণেই হোক আর চাপে পরেই হোক ১০ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন এমপি শামীম ওসমান। ঘোষণা দেন ১৬ তারিখ খেলা হবে। নৌকার হয়ে কাজ করবেন তিনি। নারায়ণগঞ্জ নৌকার ঘাঁটি, নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক। সুতরাং নারায়ণগঞ্জে নৌকার জয় হবেই হবে। তবে এই নিয়ে এখনও শহরজুরে রয়েছে নানা গুঞ্জন।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) মধ্যরাতেই শেষ হবে নারায়ণগঞ্জ সিটি ভোটের প্রচার। পরে একদিন বিরতি রেখে আগামী রোববার ভোটগ্রহণ হবে। যেখানে ১৯২টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন ভোটার। কে হচ্ছে নগর পিতা তা নিয়েও দলে এবং দলের বাইরে জনগণের মধ্যে চলছে বিশ্লেষণ।

   

রংপুরে তুলা গবেষণা কেন্দ্রে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরে নগরীতে তুলা গবেষণা কেন্দ্রে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশকিছু তুলার বস্তা পুড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

বুধবার (১৫ মে) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তুলার গুদামে এ ঘটনা ঘটে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, হঠাৎ রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তুলার  গোডাউনে আগুন জ্বলে উঠে। এতে প্রাথমিকভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। 

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক শওকত আলী জানান, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের দোতলায় একটি পাকা গোডাউন ঘর ছিল, সেখানে আগুন লাগলে আমাদের খবর দেয়। খবর পেয়ে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। তুলার বস্তা ছাড়া অন্য কিছু পোড়া যায়নি।

তিনি বলেন, কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না।

;

রেস্তোরাঁয় নেই রান্নাঘর, চলে অসামাজিক কাজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর শিক্ষাপাড়া খ্যাত চকবাজার থানার অদূরে গুলজার মোড়ে অবস্থিত 'কফি ম্যাক্স' রেস্তোরাঁ। নামে রেস্তোরাঁ হলেও তার আসল কর্মকাণ্ড ধরা পড়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একটি অভিযানে। এসময় ওই রেস্তোরাঁ রান্নার কোনো আলামত না পেলেও পাওয়া যায় অসামাজিক কাজে বেশকিছু উপকরণ। পরে এই রেস্তোরাঁকে সার্বিক বিষয় বিবেচনায় সিলগালাসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশ দেয় আভিযানিক দল।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে চকবাজার এলাকায় পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মাদ ফয়েজ উল্লাহ। এরপর পৃথক একটি অভিযানে একই থানার কেয়ারি মোড়ে অবস্থিত দাবা রোস্তারাঁকে অস্বাস্থ্যকর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার উৎপাদন এবং পরিবেশনের দায়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়।

এ অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রানা দেবনাথ, সহকারী পরিচালক মোহাম্মাদ আনিছুর রহমানসহ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সহযোগিতা করেন।

ভোক্তা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মাদ ফয়েজ উল্লাহ জানান, কফি ম্যাক্স রোস্তোরাঁয় অভিযানের সময় আমরা বেশ কিছু অসামাজিক কার্যকলাপের আলামত ও উপকরণ পাই। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠানটিকে বন্ধের আদেশসহ সিলগালা করা হয়েছে। এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ট্রেড লাইসেন্স অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির মালিক জনাব নজরুল ইসলাম নামক ব্যক্তি। কিন্তু অভিযান পরিচালনার সময় প্রতিষ্ঠানটির কর্তব্যরত কর্মচারী প্রতিষ্ঠানের মালিকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করতে পারেনি।

তিনি আরও জানান, অন্যদিকে দাবা নামক ফাস্টফুড আন রেস্টুরেন্টে খুবই অস্বাস্থ্যকর এবং নোংরা পরিবেশে খাবার উৎপাদন ও পরিবেশন করা হচ্ছে। যেখানে পূর্বের দিনের নষ্ট খাবার গুলোও নতুন করে পরিবেশন করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ট্রেড লাইসেন্স অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। যিনি মেসার্স কফি ম্যাক্স নামক প্রতিষ্ঠানটিরও স্বত্বাধিকারী। দাবা নামক রেস্টুরেন্টে সার্বিক পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠানটিকে সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধের নোটিশ প্রদানসহ সিলগালা করা হয়েছে।

;

যাত্রী সংকটে বরিশাল-ঢাকা রুটে চলছে একটি লঞ্চ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল-ঢাকা নৌ-পথে যাত্রী সংকট চরম আকার ধারন করেছে। এ কারণে জনপ্রিয় এই রুটে এখন একটিমাত্র লঞ্চ চলাচল করছে। মঙ্গলবার বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে মাত্র একটি লঞ্চ। বুধবার (১৫ মে) ছেড়ে গেছে দুইটি। যা সাধারণ মানুষের কাছে বিস্ময় হিসেবে দেখা দিয়েছে।

পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকে বরিশাল-ঢাকা নৌ-পথে যাত্রী সংকট শুরু হয়। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পূর্বে প্রতিদিন উভয় রুটে ৭ থেকে ৮ টি লঞ্চ চলাচল করতো। সেখান থেকে কমে অর্ধেকে নেমে আসে। এখন তা একটিতে নেমে এসেছে।

বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া এমভি পারাবত-১২ লঞ্চের যাত্রী মো. লোকমান হোসেন বলেন, বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে মাত্র একটি লঞ্চ চলবে তা আমরা কখনো কল্পনাও করিনি। এ বিষয়ে বরিশাল নৌ-বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে একটি করে লঞ্চ চলাচল করছে। যাত্রী সংকটের ফলে মালিক পক্ষের রোটেশনের কারনে একটি করে লঞ্চ চালানো হচ্ছে। কিন্তু দুইটি করে লঞ্চ চালানোর কথা ছিল।

তিনি জানান, বর্তমানে প্রতিদিন ৫/৭ শ’র বেশি যাত্রী হয় না। একটি লঞ্চ দিয়ে তা পরিবহন সম্ভব। তাই হয়তো মালিকরা মিলে একটি করে লঞ্চ চালাচ্ছে।

একটি করে লঞ্চ চালানোর জন্য যাত্রী ভোগান্তি হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের সদ্য অবসরে যাওয়া পরিদর্শক মো. কবির হোসেন। তিনি বলেন, বরিশাল-ঢাকা রুটে চলাচলের জন্য ২০ টি লঞ্চ রয়েছে। 

প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৬/৭টি এবং একইভাবে বরিশাল থেকে ৬/৭টি ছেড়ে যেতো। ঈদ ও কোরবানির সময় একেকদিন ২০/২৫ টি লঞ্চও চলাচল করেছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর যাত্রী সংকট শুরু হয়। বর্তমানে যে যাত্রী রয়েছে তাতে দুইটি লঞ্চ ঠিক ছিল। কিন্তু একটি লঞ্চ চলাচল যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে। একটি লঞ্চ চালানোর কারণে কেবিন নিয়ে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ নয়-ছয় করে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, একটি লঞ্চে ঠাসা যাত্রী। তবে সেটি ধারণ ক্ষমতার বেশি নয়। লঞ্চের নিচতলা ও দুই তলার ডেকে যাত্রী ভর্তি। লঞ্চ যাত্রীরা জানিয়েছেন, দুইটি লঞ্চ থাকলে তারা স্বাচ্ছন্দে যেতে পারতেন। কিন্তু একটি লঞ্চ হওয়ায় গাদাগাদি করে যেতে হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, যত যাত্রী রয়েছে তা নিয়ে দুইটি লঞ্চ চললে আর্থিক ক্ষতি হয়। তাই একটি লঞ্চ চালানো হচ্ছে। তারা স্বীকার করেছেন, একটি লঞ্চ চলাচল করায় যাত্রীরা একটু গাদাগাদি হয়।

দেশের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় নৌ-রুট বরিশাল-ঢাকা। লিফটসহ নানা অত্যাধুনিক সুবিধার লঞ্চগুলোতে এক সময় যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড় থাকত। ভিভিআইপি, ভিআইপি, সেমি ভিআইপি,  প্রথম শ্রেণির এক শয্যা ও দুই শয্যার কেবিন, সোফা পেতে হেনস্তা হতে হতো। কিন্তু পদ্মা সেতু পাল্টে দেয় সেই চিত্র। যাত্রী সংকটের কারণে লঞ্চের সংখ্যা কমতে শুরু করে।

অভিযোগ রয়েছে, যাত্রী সংকটের অজুহাত দিয়ে বরিশাল-ঢাকা রুটের লঞ্চ মালিকরা সিন্ডিকেট করে। তারা রোটেশনের মাধ্যমে লঞ্চের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। এখনো যত সংখ্যক যাত্রী রয়েছে তাতে প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি লঞ্চ প্রয়োজন। কিন্তু মালিকরা বিআইডব্লিউটিএ ও যাত্রীদের জিম্মি করে একটি/দুইটি লঞ্চ চালায়। এতে ভোগান্তিতে যাত্রীরা।

তবে লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, যাত্রী সংকটে লঞ্চ এখন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। প্রত্যেক লঞ্চ মালিক কম বেশি ঋন নিয়েছেন। তারা এখন ঠিকমতো ঋনের টাকা পরিশোধ করতে পারেন না। একটি লঞ্চ ব্যাংক নিয়ে গিয়ে কেটে বিক্রি করছে। এক স্বনামধন্য কোম্পানীর একটি লঞ্চ বিক্রি করে দেয়া হয়েছে।

শুধু ঢাকা বরিশাল নয়, দক্ষিনাঞ্চলের সকল রুটে যাত্রী নেই জানিয়ে সুন্দরবন নেভিগেশনের মালিক রিন্টু বলেন, এ ব্যবসাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এজন্য সরকারকে পরিকল্পনা নিতে হবে।

;

মিতু হত্যা মামলায় ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
মিতু হত্যা মামলায় শেষ হল ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

মিতু হত্যা মামলায় শেষ হল ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন সাবেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দীন। এ নিয়ে মামলায় মোট ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহম্মেদ। তিনি জানান, মিতু হত্যা মামলার সাক্ষী হিসেবে সাবেক চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দীন স্যারের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এ নিয়ে মামলায় মোট ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সাতজনকে আসামি করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। এতে মামলার বাদি বাবুল আক্তারকেই প্রধান আসামি করা হয়।

অভিযোগপত্রে আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন, মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু এবং শাহজাহান মিয়া। আসামিদের মধ্যে শুধু মুসা পলাতক আছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে।

ওই বছরের ১০ অক্টোবর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ২০২৩ সালের ১৩ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ওই বছরের ৯ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম সাক্ষী হিসেবে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন সাক্ষ্য দেন। এ পর্যন্ত ৫০ জনের সাক্ষ্য সম্পন্ন হয়েছে।

;