করোনায় প্রাণ গেল আরও ৩৩ জনের, শনাক্ত ১১৫৯৬

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ২২ জন ও নারী ১১ জন। এ নিয়ে মহামারি শুরুর পর থেকে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৮ হাজার ৪৯৪ জন।

একই সময়ে নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৫৯৬ জন। এ নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৩৫ হাজার ৭৭৬ জনে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় ৩৬ জনের মৃত্যু ও নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ১২ হাজার ১৯৩ জন। ওইদিন শনাক্তের হার ছিল ২৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের ৮৬৮টি ল্যাবরেটরিতে ৪৪ হাজার ৮৫৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং ৪৪ হাজার ৮৪৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে দেশে মোট ১ কোটি ২৬ লাখ ১৩ হাজার ৬৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

এদিকে, একদিনে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৫ হাজার ৯৫৫ জন। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৮১ হাজার ৯২ জন।

বিভাগওয়ারি হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৮ জন, খুলনা বিভাগে ছয়জন, রাজশাহী বিভাগে চারজন, চট্টগ্রামে দুজন, সিলেটে দুজন এবং রংপুরে একজন। তবে বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে এ সময় কেউ মারা যাননি।

বয়স অনুযায়ী মৃতদের মধ্যে বিশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব দুজন, চল্লিশোর্ধ্ব দুজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব চারজন, ষাটোর্ধ্ব ১০ জন, সত্তরোর্ধ্ব আটজন, আশি বছরের বেশি বয়সী সাতজন।

এদিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বক্ষব্যধি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বার্তা২৪কে বলেন, গতবার থেকে এবার সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেলেও কমেছে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা। তবে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সাথে সমান তালে পাল্লা দিয়ে সংক্রমণ হচ্ছে ডেল্টা ধরনেরও।

তিনি বলেন, বর্তমানে আক্রান্ত অনেক রোগীর হালকা জ্বর বা কাশির সাথে মাথা ব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া, হাঁচি, ক্লান্তি, শরীরে ব্যথা, ডায়রিয়ার মত লক্ষণ দেখা দিচ্ছে ওমিক্রন ধরনে। মানুষ যদি সঠিক ও সচেতনভাবে সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ মেনে চললে খুব শীঘ্রই সংক্রমণের হারও কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওই বছরের শেষ দিকে সংক্রমণ কিছুটা কমলেও গত বছরের এপ্রিল থেকে জুন-জুলাই পর্যন্ত করোনার ডেল্টা ধরন ব্যাপক আকার ধারণ করে। বছরের শেষ কয়েক মাস পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল থাকলেও এ বছরের শুরু থেকে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টসহ করোনার বিস্তার আবারও বাড়তে শুরু করে।