‘ছবি তুলে চলে যায়, বই কিনে না’

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’


স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সামনের টেবিলে থরে থরে সাজানো বই। কাব্যগ্রন্থ থেকে উপন্যাস, আত্মজীবনী থেকে অনুবাদ-কি নেই! বইয়ের প্রচারেও কোনো কমতি রাখেনি প্রকাশনা কর্তৃপক্ষ। সবখানেই ঝুলছে কি কি বই আসল, তারই বিবরণীর ব্যানার-ফেস্টুনে। কিন্তু সেই বই ছুঁয়ে দেখার, কেনার পাঠক কোথায়?

তাই কেমন সাড়া পাচ্ছেন, এমন প্রশ্নে কণ্ঠজুড়ে মন খারাপের সুর বিক্রয়কর্মী জান্নাতুল ফেরদৌস সোনিয়ার। একরাশ হতাশা নিয়ে বইয়ের ওপর জমে থাকা ধুলো মুছতে মুছতে এই তরুণী বললেন, ‘সবাই এসে ছবি তুলে চলে যায়। বই কিনে না। বইমেলা শেষের দিকে। কিন্তু আমাদের প্রত্যাশার অর্ধেকও এখনো পূরণ হয়নি।’

চট্টগ্রাম বইমেলার ‘গলুই’ নামের একটি প্রকাশনীর স্টলের এই নারী বিক্রয়কর্মীর হাহাকার যেন পুরো মেলারই প্রতিকী চিত্র। অথচ প্রতিদিন বিকেল গড়াতেই মেলায় ভিড় নামে দর্শনার্থীদের। সেই ভিড় লেগে থাকে রাত পর্যন্ত।

চট্টগ্রামে এই প্রথমবারের মতো নগরীর রেলওয়ে সেন্ট্রাল বিল্ডিংয়ের (সিআরবি) শিরিষতলায় বসেছে অমর একুশে বইমেলায়। এর আগে চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণে বসত এই বইমেলা। ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে শুরু হওয়া এই বইমেলায় সহযোগিতা করছে চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ, চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজের সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠন। বইমেলায় চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ সারা দেশের মোট ৯২টি প্রকাশনা সংস্থার স্টল রয়েছে। সবমিলিয়ে মেলায় ১৫৫টি স্টল রয়েছে।

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল তিনটার দিকে বইমেলায় গিয়ে দেখা যায়, তখনো সেভাবে ভরে উঠেনি মেলা প্রাঙ্গণ। তবে সন্ধ্যার আগে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ে। অধিকাংশ স্টল ঘুরে দেখা যায় ক্রেতার চেয়ে বই নিয়ে ছবি তোলার মানুষই বেশি।

চারুলিপি প্রকাশনী সংস্থার স্টলে কথা হয় বিক্রয়কর্মী মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে। জানতে চাইলে এই তরুণ বলেন, ‘এবার আমাদের প্রকাশনী সংস্থা ১৫টি নতুন বই এনেছে। আর সবমিলিয়ে ১০০ লেখকের বই আছে আমাদের স্টলে। কিন্তু তেমন সাড়া পাচ্ছি না। অন্যান্য বছরে এই সময়ের মধ্যে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার বই বিক্রি হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র ১ লাখ টাকার মতো বই বিক্রি হয়েছে।’

একই সুর অক্ষরবৃত্তের রাজেশ শীলের কণ্ঠেও। তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু লেখকের বই ভালোই বিক্রি হচ্ছে। সাড়াও পাচ্ছি এসব বই নিয়ে। কিন্তু সার্বিকভাবে বই বিক্রির হার হতাশাজনক। মানুষ আসছে, বই দেখছে কিন্তু কিনছে কম। আরও ভালো কিছু আশা করেছিলাম আমরা।’

হাওলাদার প্রকাশনী নামের আরেকটি প্রকাশনী সংস্থার স্টলে গিয়ে দেখা যায় দুই বিক্রয়কর্মী অবসর সময় পার করছেন। জানতে চাইলে তাঁদের একজন বললেন, ‘হতাশাজনক। বই বিক্রি নেই, বসে আছি।’

কেন সাড়া কম:

বই বিক্রি কম হওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে কথা হলে সবাই একটা কারণকে সামনে এনেছেন। তাঁরা বলেছেন, স্থান পরিবর্তনের কারণে সাড়া মিলছে কম। আগে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণে মেলা হতো, সেখানে দর্শনার্থীদের ভিড়ও ছিল বেশি। কেননা এলাকাটি ছিল জনবহুল। অবশ্য সিআরবিতেও এখন মানুষের ভিড় থাকে, তবে সেখানে বেশিরভাগই মানুষ ঘুরতে-বেড়াতে যান। এ জন্য শুরুর দিকে প্রকাশনী সংস্থাগুলো এই জায়গায় মেলা করা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। তবে খেলার মাঠে মেলা নয়-জেলা প্রশাসনের এই নির্দেশনার কারণে তাঁদের সেই চাওয়া পূরণ হয়নি। এখন তাই বিক্রি কম হওয়ায় সেটি আবার সামনে আনছেন তাঁরা।

তবে প্রকাশনী সংস্থার এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে একটা অদ্ভূত কৌশলের বিষয় সামনে আনেন বইমেলার আহ্বায়ক ও সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বই কম বিক্রি হচ্ছে, এমন দাবি তাঁদের একটা কৌশল হতে পারে। আমি অনেক ভেবে বুঝলাম অধিক বই বিক্রির কথা প্রচার হলে লেখকেরা বেশি রয়্যালিটি দাবি করতে পারেন। এখন কম বিক্রির কথা প্রচার হলে লেখকেরা সেই দাবি করতে পারবেন না। সেজন্য হয়তো বই বিক্রি কম হচ্ছে এমন কৌশল সামনে আনতে পারে তাঁরা।’

আজ কোন এলাকায় কত সময় কারফিউ শিথিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আজ কোন এলাকায় কত সময় কারফিউ শিথিল

আজ কোন এলাকায় কত সময় কারফিউ শিথিল

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার। গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) থেকে শুরু হয়ে এখনও দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান রয়েছে। যদিও প্রতিদিনই কয়েক ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হচ্ছে।

এরই মধ্যে শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের সঙ্গে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলাপকালে জানিয়েছেন, শনিবার (২৭ জুলাই) কারফিউ তুলে নেয়ার বিষয়ে সিদ্দান্ত আসতে পারে। 

তবে আজও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও এলাকা কারফিউয়ের আওতায় থাকবে। তবে ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এরপর বিকেল ৫টা থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও গাজীপুরসহ চার জেলায় ফের শুরু হবে কারফিউ।

সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে রংপুর ও বরিশালে। রংপুরে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মোট ১৫ ঘণ্টা সেখানে কারফিউ শিথিল থাকবে। বরিশালেও একই সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে। 

এছাড়া চট্টগ্রামে সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা, রাজশাহীতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা এবং সিলেটে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা থেকে রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত সারা দেশে কারফিউ জারি করে সরকার। এরপর অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়। যদিও প্রতিদিন এর মাঝে কয়েক ঘণ্টা করে তা শিথিল করা হয়। পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাওয়ায় ধীরে ধীরে কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ানো হচ্ছে।

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’

;

জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ক ডিবিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিনজনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন- আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিবি বলছে, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’

;

কারফিউ তুলে নেয়ার ব্যাপারে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কারফিউ নিয়ে সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা, তা আমরা দেখছি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

কোটা আন্দোলনকারীদের আটকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।

পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও এখনো পুরোপুরি এখন তুলে নেয়া হয়নি।

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’

;

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আট বিভাগেই মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এতে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

এ অবস্থায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

একইসঙ্গে খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।

এ সময় টাঙ্গাইল, সিলেট ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। 

বর্ধিত ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’

;