একুশের বইমেলায় এসেছে ড. আতিউর রহমানের দুটি নতুন বই
‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমানের লেখা দুটি নতুন বই এবার একুশের বই মেলাতে পাওয়া যাচ্ছে।
কয়েকদিন হলো বই দুটি মেলাতে এসেছে। বই দুটির নাম- ‘নির্বাচিত প্রবন্ধ’ এবং ‘বাংলাদেশ: নেতৃত্বের পরম্পরা ও উন্নয়ন’। বই দুটি প্রকাশ করেছে যথাক্রমে জিনিয়াস এবং পুথিনিলয় প্রকাশনী।
এছাড়াও ‘সোনার বাংলার স্বপ্নসারথী রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে আরো একটি বই মেলা শেষ হওয়ার আগেই আসবে বলে জানা গেছে।
আতিউর রহমানের লেখা ‘নির্বাচিত প্রবন্ধ’ শিরোনামের বইটি প্রকাশ করেছে জিনিয়াস প্রকাশনী। এ বইটিতে আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ের ওপর মোট ৫০টি লেখা রয়েছে। এ লেখাগুলো মূলত বিভিন্ন জনবক্তৃতায় দেওয়া উপস্থাপনা বা বক্তব্য এবং বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত লেখাসমূহ।
অন্যদিকে, পুথিনিলয় থেকে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ: নেতৃত্বের পরম্পরা ও উন্নয়ন’ শিরোনামের বইটিতেও ৫০-এর কাছাকাছি প্রবন্ধ রয়েছে। বিগত ২-৩ বছরে দেশের শীর্ষ জনপ্রিয় পত্রপত্রিকাগুলোয় এ প্রবন্ধগুলো ছাপা হয়।
বইমেলা উপলক্ষে প্রকাশিত আতিউর রহমানের লেখা দুটি বই-ই অর্থনীতি, সমাজ, রাষ্ট্র, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যারা অনুসন্ধানী এবং উৎসাহী তাদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে। আতিউর রহমানের প্রতিটি লেখায় সমসাময়িক বিষয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মভাবনা, বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শন, বাংলাদেশের অমিত সম্ভাবনা ও বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার গল্পগুলো বলা হয়েছে।
যথারীতি অনেক লেখায় উঠে এসেছে রবীন্দ্রনাথ এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নতুন নতুন ভাবনার কথা।
ড. আতিউর রহমান বরাবরই হাত খুলে লিখতে পারেন। তাঁর লেখার সুষমা অন্যরকম। অর্থনীতি আর সমাজ বিশ্লেষণে সুরভিত তাঁর প্রতিটি সমকালীন পর্যালোচনা। ফলে, যেকোনো পাঠকের কাছে কঠিন বিষয়ও তিনি খুব সহজে বোধগম্য করতে পারেন। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিয়ে তিনি সবচেয়ে বেশি গবেষণাধর্মী লেখা লিখেছেন। অর্থনীতির শক্তিমত্তার দিকনির্দেশনাও তিনি দেন নানান লেখায়।
তিনি লিখতে পারেন নিরন্তর। প্রতিদিন সকালে কাগজ আর কলমের মিতালীতে তাই তিনি জীবনের অপরাহ্নেও অনবদ্য। ‘নির্বাচিত প্রবন্ধ’ বইটির মুখবন্ধে তিনি বলেছেন, ‘প্রায় প্রতি সপ্তাহেই কোনো না কোনো পত্রিকায় নানা বিষয়ে আমাকে কলাম লিখতে হয়। পাশাপাশি গবেষণা নির্ভর লেখা তো আছেই।’
তিনি আরো বলেছেন, ‘লিখতে যে আমার আনন্দ লাগে, না তা নয়; কিন্তু, আমি যে সব বিষয় নিয়ে লিখি, সেগুলো গবেষণামূলক কাজ। এসব সত্য ও পরিশ্রমের বিধায় মানুষ আমাকে অর্থনীতিবিদ হিসেবে চেনেন, জানেন, কিন্তু অর্থনীতির বাইরেও আমি বহু বিচিত্র বিষয় নিয়ে কাজ করছি।’
হাজার বছরের দুই শ্রেষ্ঠ বাঙালি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং শেখ মুজিব তাঁর অন্যরকম এক ভালোবাসার জায়গা। অনেক লেখাতেই তাই এগুলো প্রাসঙ্গিকভাবে উঠে এসেছে। রাজনীতির অমর কবি বঙ্গবন্ধুর নান্দনিক ভাবনা নিয়েও তিনি লিখে যাচ্ছেন আপন মনে। ড. আতিউর রহমানের নেশা বহু বৈচিত্র্যময় লেখার মাঝে ডুবে থাকা। অমর একুশে বইমেলাতে এই গুণীজনের যে দুটি বই নতুন সুবাস নিয়ে এসেছে, তা আপনি হাত দিয়ে ধরলেই সত্যিই এক আলাদা রোমাঞ্চ অনুভব করবেন। দুটি বই বাংলা আর বাঙালির বেঁচে থাকা এবং উন্নয়ন ও অগগ্রতির শত স্বপ্নে ভরা। বই দুটির প্রচ্ছদও আপনাকে ভীষণ আকৃষ্ট করবে।