‘উন্নয়ন’ খোঁড়াখুঁড়িতে সাদেক হোসেন খোকা সড়ক এখন ভোগান্তির কারণ



খন্দকার আসিফুজ্জামান, বার্তা২৪, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা খুঁড়ে চলছে বিভিন্ন পরিষেবা সংস্থার উন্নয়ন কার্যক্রম। তবে ধীরগতিতে চলা উন্নয়নের এই খোঁড়াখুঁড়িতে চরম ভোগান্তিতে সাধারণ জনগণ।

এইভাবে ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজধানীর কমলাপুর ও গোপীবাগ এলাকার মাঝামাঝিতে অবস্থিত সাদেক হোসেন খোকা সড়কটিও।

এই সড়কটিতে রয়েছে, একাধিক সরকারি বেসরকারি স্থাপনা, বেশ কয়েকটি মোটর ওয়ার্কশপ এবং অসংখ্য বহুতল আবাসিক ভবন। এখানে রয়েছে এলাকার একমাত্র কমিউনিটি সেন্টার সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টার।

এছাড়াও রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র মতিঝিল এলাকায় যাতায়াতের সহজ পথ হিসেবে এই সড়কটিই ব্যবহার করেন কমলাপুর, মুগদা, মাণ্ডা ও মানিকনগরসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা। তবে কথিত উন্নয়নের খোঁড়াখুঁড়ির কবলে পড়ে প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি। সে কারণে যাতায়াত ভোগান্তিতে অসংখ্য স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ পথচারী এবং এ এলাকার ব্যবসায়ীরা।

খোঁড়াখুঁড়িতে বোঝা যাবে না, এটা রাস্তা নাকি খাল খনন চলছে! ছবি- বার্তা২৪.কম

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সাদেক হোসেন খোকা সড়কে গিয়ে দেখা যায়, সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে রাস্তার কাটা অংশের কিছুটা বালি দিয়ে কোনোরকমে ভরাট করা হয়েছে।

বালির ওপর দিয়ে হেঁটে একটু সামনে আগাতেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়তে হলো এই ভেবে যে, এখানে কি কোনোভাবে খাল খননের কাজ চলছে!

দ্বিধাদ্বন্দ্ব নিয়ে আরেকটু আগাতেই দেখা গেল, বিশাল এক পানিভর্তি গর্ত। গর্তের পাশেই একটি সাইনবোর্ডে বড় করে লেখা- 'সাবধান উন্নয়ন কাজ চলছে, সাময়িক অসুবিধার কারণে দুঃখিত'!

বোর্ডে কর্তৃপক্ষের নাম দেখে বোঝা গেল, সড়কটিতে চলছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজ।

সড়কটির দুই ধারে শুধু ফুটপাত রেখে পুরো সড়কটিই খোঁড়াখুঁড়ির কারণে ফুটপাতও ঢেকে গেছে কাটা রাস্তার মাটি, বালি আর বর্জ্য দিয়ে। সে কারণে ফুটপাত দিয়ে চলাচল করতেও একধরনের যুদ্ধই করতে হচ্ছে পথচারীদের। এছাড়া খোঁড়াখুঁড়িতে রাস্তাটি বন্ধ থাকায় সেখানকার মোটর ওয়ার্কশপেও মেরামতের জন্য আসতে পারছে না কোনো গাড়ি। লোকজন না থাকায় অন্যান্য ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোতেও নেই বেচাকেনা। এতে করে অর্থনৈতিকভাবে কষ্টের মধ্য দিয়ে দিন পার করছেন মোটর ওয়ার্কশপের মালিক, শ্রমিক ও অন্যান্য ব্যবসায়ীরা।
এখানেই শেষ নয়! একই সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত মতিঝিলের ‘মধুমিতা’ সিনেমা হলের সামনের সড়কটিও মেরামত কাজের ধীরগতির কারণে অনেকটা যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে বছরের পর বছর- এমন তথ্যই জানা যায় স্থানীয় জনসাধারণের সঙ্গে কথা বলে।

সাদেক হোসেন খোকা সড়ক খোঁড়াখুঁড়িতে মানুষসহ কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না! ছবি- বার্তা২৪.কম

সাদেক হোসেন খোকা সড়কের ব্যবসায়ী মো. আলমগীর মনা বার্তা২৪.কমকে বলেন, পৃথিবীর কোথাও বাংলাদেশের মতোন এইভাবে রাস্তা কেটে উন্নয়ন কাজ করতে দেখিনি বা শুনিওনি। উন্নয়ন কাজ চলছে এতে আমরাও খুশি। কিন্তু প্রায় একমাস ধরে রাস্তাটার এই বেহাল দশা থাকবে কেন! একটা মানুষও ঠিকমতো এদিক দিয়ে হেঁটে যেতে পারেন না। আর গাড়ি-ঘোড়া তো বন্ধই! এদিকে যদি গাড়ি না আসে, আমাদের ব্যবসা কীভাবে হবে! এই এক মাস ধরে আমাদের কোনো ব্যবসা নেই। আমরা কীভাবে চলবো! স্টাফদের বেতনই-বা কীভাবে দেবো!

আরেক ব্যবসায়ী মো. শরিফ বলেন, এখানকার একটা মোটরওয়ার্কশপেও কাজ নেই। প্রায় এক মাস ধরে সব বন্ধ। আমাদের ব্যবসায়ীদের চলার মতো আর কোনো অবস্থা নেই। পুরো রাস্তাটা একসঙ্গে না কেটে সিটি কর্পোরেশনের উচিত ছিল, রাস্তার একপাশ করে কেটে কাজ করা। এক পাশের কাজ শেষ হলে আরেক পাশের কাজ ধরা। কিন্তু তারা করলো কী, সারা রাস্তাটা একবারে কাটলো আর রাস্তাটা বন্ধ হয়ে গেল! একবারে পুরো রাস্তা কেটেছে, তাতেও কোনো সমস্যা ছিল না, যদি তারা তাদের কাজটা তাড়াতাড়ি শেষ করতো।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, একদিন কাজ করলে তো দুইদিন তাদের কোনো খোঁজ থাকে না। রাতের বেলা কাজ করেন। রাস্তাটা যেহেতু বন্ধই, তারা তো পারেন দিনে-রাতে কাজ করে অল্প সময়ের মধ্যে রাস্তাটা খুলে দিতে! আজকে এতদিন ধরে রাস্তাটাকে পুরো নাজেহাল করে রেখেছে।

সড়কটির দুইপাশে অবস্থিত অন্যান্য মোটর ওয়ার্কশপের ব্যবসায়ীরাও একই কথা বলেন। খোঁড়াখুঁড়িতে প্রায় একমাস ধরে রাস্তাটি বন্ধ থাকায় প্রতিনিয়ত তাদের ব্যবসায়িক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। দেখা দিয়েছে, অর্থনৈতিক সংকট- এমনটিই জানিয়েছেন এ এলাকার ব্যবসায়ীরা।

রাস্তার দুইপাশ খুঁড়ে এমন অবস্থা করে রাখা হয়েছে তাতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী, ছবি- বার্তা২৪.কম

সাদেক হোসেন খোকা সড়ক দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করেন ব্যবসায়ী মো. মোস্তফা। কাটাছেঁড়া রাস্তার বেহাল দশায় অতিষ্ঠ এই ব্যবসায়ী বলেন, সাধারণ মানুষের কথা কেউ ভাবে না! আমাদের কথা শোনার কেউ আছে! এমন অবস্থা করে রেখেছে যে, পায়ে হেঁটে চলাচলেরও কোনো উপায় রাখেনি। রাস্তার এই হালের জন্য আমরা যারা প্রতিনিয়ত এখান দিয়ে যাতায়াত করি, তাদের ভোগান্তির কোনো শেষ নেই। রাস্তা বন্ধ রেখে তারা দিনের বেলায় কোনো কাজ করে না কেন! আবার একদিন কাজ করলে দুইদিন কোনো খবর থাকে না। তারা রাতেই যখন কাজ করবে তাহলে পুরো রাস্তাটা কেন খুঁড়লো! রাস্তার একপাশ খুঁড়তো অন্যপাশ মানুষ ও যানবাহনের জন্য খোলা রাখতো! উন্নয়ন কাজ করলে রাস্তা কাটতে হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্ত ধীরগতিতে কাজ করে তারা আমাদের কেন কষ্ট দিচ্ছে!

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নারী পথচারী রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যারা এই কাজগুলো করেছে, তারা কয়জন মানুষের কথা ভাবেন! আমাদের কথা বলে কোনো লাভ আছে! আমাদের কষ্টে তাদের কিছু যায়-আসে না। সুতরাং কিছু বলেও কোনো লাভ নেই। এইটুকু রাস্তা পার করতে আমার খুব কষ্ট হয়ে যায়। তারা মানু্ষের চলাচলের জন্য ফুটপাত পর্যন্ত রাখেনি। বালি, মাটি আর আবর্জনা দিয়ে ভরে রেখেছে। কাউকে কিছু বলার নেই। ওপরে একজন আছেন, তিনিই দেখছেন!

জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন, ধীরগতিতেই যদি কাজ করা হবে তাহলে পুরো সড়কটি কেন একসঙ্গে খোঁড়া হলো। এতদিন ধরে রাস্তাটি বন্ধ করে কেন সবাইকে ভোগান্তিতে ফেলা হলো!

এক মাস ধরে খোঁড়াখুঁড়ি করে রাখা হয়েছে কিন্তু কাজে নেই অগ্রগতি। ভোগান্তিতে আছেন এলাকাবাসী, ছবি- বার্তা২৪.কম

জনসাধারণ থেকে শুরু করে এখানকার ব্যবসায়ীদের দাবি, সিটি কর্পোরেশন যেন তাদের ভোগান্তির কথা আমলে নিয়ে দিনরাত টানা কাজ করে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন সড়কটি মেরামত করে দেয়।

প্রায় একমাস হয়ে গেলেও কেন এখনও পর্যন্ত সড়কটির এই বেহাল দশা বার্তা২৪.কমের এমন প্রশ্নে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান মিয়া বলেন, নগরবাসীর নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতেই উন্নয়ন কাজ চলছে। একদিনও কাজ বন্ধ থাকছে না। খুব তাড়াতাড়িই কাজ শেষ হয়ে যাবে। সাময়িক একটু অসুবিধা হলেও খুব শিগগিরই এর সুফল ভোগ করবেন এলাকাবাসী।

‘মধুমিতা’র সামনের সড়কটির কাজও খুব দ্রুত চলছে এবং সাদেক হোসেন খোকা সড়কের সঙ্গেই এই সড়কটির কাজও শেষ হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

রাস্তা কাটার ফলে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে স্বীকার করে কাউন্সিলর বলেন, সাধারণের অসুবিধার কথা চিন্তা করেই দিনের বেলা কাজ করা হয় না। রাতের বেলা কাজ করা হয়।

সিটি কর্পোরেশনের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই রাস্তার সব কাটাছেঁড়ার কাজ শেষ করতে হবে। হাতে বেশি সময় নেই। তাই একসঙ্গে পুরো রাস্তার কাজ ধরা হয়েছে। এখানে ধীরগতিতে কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। তবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের দেওয়া কথা অনুযায়ী আগামী ৩০ জুনের মধ্যে সব কাজ শেষ করা হবে এবং পরদিন থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কোনো রাস্তায় কোথাও কাটাছেঁড়া থাকবে না।

এর আগে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, এসব প্রকল্প আগে থেকেই নেওয়া হয়ে থাকে। জুনের আগেই এসব প্রকল্পের কাজ শেষ করার তাড়া থাকে। ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমে কাজগুলো করতে দেরি হয়ে যায়। তবে যেসব এলাকায় জনদুর্ভোগ বেশি হচ্ছে, সেসব এলাকার কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলছে। নগরের উন্নয়ন কাজের জন্য নগরবাসীকে সাময়িক একটু ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

   

সিলেটে পানি বন্দি মানুষের মাঝে পুলিশের ঈদ উপহার বিতরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সিলেট জেলা পুলিশের উদ্যোগে পানি বন্দি মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

রোববার (১৬জুন) দুপুর ২টা থেকে বিকেল পর্যন্ত গোয়াইনঘাট থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় বন্যার্ত মানুষের মাঝে এই ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা পুলিশ সহকারী পুলিশ সুপার ও মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা সম্রাট তালুকদার।

তিনি জানান, সাম্প্রতিক সময়ে অতিবৃষ্টির কারণে সিলেট জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় ব্যাপক বন্যার সৃষ্টি হয়। বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সিলেট জেলা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন'র দিক- নির্দেশনায় গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের ব্যবস্থাপনায় ১নং রুস্তুমপুর ইউনিয়ন ও ১৩ নং বিছনাকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ২০০ শত পানিবন্দি অসহায় পরিবারের মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

উপহার হিসেবে চাল, ডাল, পেয়াজ, তেল, আলু এবং বিস্কুটসহ শুকনো খাবার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।

;

২৪ ঘণ্টায় কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা কুসিক মেয়রের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে (কুসিক) ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানি পশুর সব ধরনের বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র ডা.তাহসীন বাহার সূচনা। এছাড়া ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পশুর হাটের বর্জ্য পরিষ্কার করা হবে বলেও জানান তিনি।

রবিবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় বার্তা২৪.কম-কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন মেয়র সূচনা।

মেয়র সূচনা বলেন, সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা টানা ৩-৪ দিন কাজ করেন। তাই কুমিল্লাবাসী ঈদের দুই দিনের মধ্যে কোরবানি শেষ করলে ভালো হয়।

মেয়র আরও বলেন, ঈদের দিন কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে স্থায়ী ও আউটসোর্সিং মিলে প্রায় ৪ শতাধিক শ্রমিক কাজ করবে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে বর্জ্য সরিয়ে নেওয়ার জন্য ৩৮ টি গাড়ী থাকবে। অন্যদিকে নগরীর ২৭ টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মাধ্যমে ২৪ হাজার ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে। ফলে নগরবাসী তাদের কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণ করতে পারবেন।

সি‌টি মেয়র আ‌রও বলেন, ঈ‌দের দিন দুপুর ৩ টা থেকে প্রতি ওয়ার্ড ভিত্তিক বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য গাড়ি যাবে ।গাড়ির নাম্বার, চালক এবং সহযোগীদের নাম ও ফোন নাম্বার ইতিমধ্যেই নির্বাচিত কাউন্সিলরদের সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে । তারপরও যদি সন্ধ্যার মধ্যে কোন বর্জ্য অপসারন না হয়। সেক্ষেত্রে একটি হটলাইন নাম্বার দেয়া হয়েছে। আমি আশা করছি, নগরবাসী সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ঈদুল আজহা উদযাপন করবে।

;

ময়মনসিংহে নিখোঁজের ৩ দিন পর নারীর মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহে সদর উপজেলায় নিখোঁজের তিন দিন পর মিনারা আক্তার (৩৫) নামে এক বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মিনারা জেলার ত্রিশাল উপজেলার ধলা এলাকার আনিসুর রহমানের স্ত্রী ও জেলা ফুলবাড়িয়ার রাধাকানাই ইউনিয়নের রমজান আলীর মেয়ে।

রবিবার (১৬ জুলাই) দুপুরের সদর উপজেলার চুরখাই এলাকার আব্দুল লতিফের বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

কোতোয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়াসিম কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, দুপুরের দিকে উপজেলার চুরখাই আব্দুল লতিফের বাসা থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে একটি ঘরের ভিতর খাটের উপর থেকে লেপ দিয়ে প্যাচানো বিবস্ত্র ও গলিত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেে মর্গে পাঠানো হয়। বাড়ির মালিক আব্দুল লতিফ ওই বাড়িতে বসবাস করে না। তবে, তার ছেলে রাজিব এই বাড়িতে বসবাস করতেন। ঘটনার পর থেকে রাজিব পলাতক রয়েছে।

নিহতের স্বামী আনিসুর রহমান বলেন, গত শুক্রবার সকাল ৮ টায় আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। যাওয়ার সময় আমার মোবাইলটি সাথে করে নিয়ে যায়। এরপর ওই দিন বেলা ১১ টা থেকে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায় এবং তখন থেকে সে নিখোঁজ ছিল। পরে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধ্যান মেলেনি। দুপুরে খবর পাই যে, চুরখাই এলাকায় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এমন খবরে মর্গে এসে মরদেহ শনাক্ত করি।

তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে মিনারাকে দ্বিতীয় বিয়ে করি। তবে, এই স্ত্রীর ঘরে কোন সন্তান ছিল না। আমার স্ত্রীর ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। দুই স্ত্রী এক বাড়িতেই থাকত। তবে, সংসার আলাদা ছিল। এমন ঘটনা কি কারণে তা আমার জানা নেই।

এসআই ওয়াসিম কুমার বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর ত্রিশালের আনিসুর রহমান নামে একজন ওই নারীকে তার স্ত্রী বলে দাবি করছেন। তবে, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছি। ধারণা করা হচ্ছে, তিন চারদিন আগে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় সাথে বাসার মালিকের ছেলে রাজিবকে সন্দেহ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি।

;

ফেনীতে আধুনিক তাঁবুতে হবে ঈদের জামাত, ৫ ঘন্টায় বর্জ্য অপসারণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদের প্রধান জামাতের জন্য প্রস্তুত হয়েছে ফেনীর ঐতিহাসিক মিজান ময়দান। ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে মুসল্লিদের জন্য নানা সুযোগ-সুবিধাসহ সার্বিক নিরাপত্তা ও আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে এ ময়দানকে। মিজান ময়দানে বসানো হয়েছে তাপ ও পানি নিরোধক আধুনিক তাঁবু। এ ময়দানে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জেলার প্রধান ঈদ জামাত।

এদিকে ঈদের দিন পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছেন ফেনী পৌরসভার মেয়র মোঃ নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী। এ ছাড়া ফেনী পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য ৪০ হাজার কোরবানির বর্জ্য অপসারণের ব্যাগ দেয়ার পাশাপাশি পশু কোরবানির স্থানও নির্ধারণ করে দিয়েছে পৌরসভা। বর্জ্য অপসারণের কাজে নিয়োজিত পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

ঈদের প্রধান ঈদ ময়দান ও বর্জ্য অপসারণের বিষয় তদারকি করে মিজান ময়দান পরিদর্শন করেছেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, জেলাপ্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার ও পুলিশ সুপার জাকির হাসান। এসময় তারা ফেনীবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বর্জ্য অপসারণে পৌরসভাকে সহযোগিতা করার আহবান জানান।

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য ঈদগাহে পাঁচ শতাধিক বৈদ্যুতিক ফ্যান লাগানো হয়েছে। ঈদকে আনন্দময় করে তুলতে দুই দিন ধরে আলোকসজ্জার পাশাপাশি মুসুল্লিদের জন্য খেজুর ও খাবার পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ময়দান প্রস্তুতির কাজ করছে আপন ইভেন্টস নামে অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান।

একই সূত্র জানায়, পৌরসভার নির্ধারিত ১০৯টি স্থানে পশু জবাই করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে মাইকিংও করা হয়েছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য দুই হাজার ব্যাগ দেওয়া হয়েছে। শহরের ১৮টি ওয়ার্ডে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে ১২টি দল গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি দলের জন্য একজন সুপারভাইজার ও একটি করে ট্রাক্টর দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একটি ভ্রাম্যমাণ দল ও পানির গাড়ি নিয়োজিত থাকবে। স্যানিটারি ইন্সপেক্টররা এসব দলের কাজ তদারকি করবেন।

ফেনী পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, ঈদের দিন বৃষ্টির পূর্বাভাসের বিষয়টি মাথায় রেখেই দ্বিতীয়বারের মতো জেলা পর্যায়ে এ তাঁবুটি স্থাপন করা হয়েছে। ঈদ জামাতের জন্য আমাদের প্রস্তুতি শেষ। মুসল্লিরা সুন্দর পরিবেশে নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করতে পারবে।

বর্জ্য অপসারণের বিষয়ে তিনি বলেন, পৌরবাসীর সহযোগিতায় গত বছর কোরবানির ছয় ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এ বছর কোরবানির বর্জ্য পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের জন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঈদের দিন বেলা একটা থেকে প্রায় দুই শতাধিক কর্মী ১২টি দলে ভাগ হয়ে মাঠে কাজ করবেন।

তিনি বলেন, সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যেই সব বর্জ্য অপসারিত হবে। কর্মীদের মধ্যে যে দল যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে, তাদের পুরস্কৃত করা হবে। শুধু শহরের প্রধান সড়ক নয়, অলিগলি থেকেও বর্জ্য অপসারণ করে পানি ও ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হবে বলে জানান তিনি। এছাড়াও প্রতিটি পাড়া মহল্লায় পৌরসভা থেকে ব্যাগ দেয়া হয়েছে, বর্জ্যগুলো ব্যাগে রাখলে পৌরসভার কর্মীরা গিয়ে নিয়ে আসবে।

এদিকে ফেনী ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য জামাতের মধ্যে ফেনী কেন্দ্রীয় বড় জামে মসজিদে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে, জহিরিয়া জামে মসজিদে ৭টা, সার্কিট হাউস জামে মসজিদ, মহিপাল চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদ, শান্তি কোম্পানি জামে মসজিদ, পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস জামে মসজিদ, ফেনী রেলওয়ে স্টেশন জামে মসজিদ, উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদ, হাজারীপাড়া জামে মসজিদ, বিরিঞ্চি কেন্দ্রীয় ছুফিয়া ঈদগাহ, মমিন জাহান জামে মসজিদ, মুন্সিবাড়ি জামে মসজিদ, জেলা কারাগার জামে মসজিদে সাড়ে ৭টা, তাকিয়া বাড়ি মসজিদ, লমি হাজারী বাড়ি জামে মসজিদ, দক্ষিণ চাঁড়িপুর ঈদগাহ, মধ্য চাঁড়িপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ঈদগাহে ৮টা, জিএ একাডেমি ঈদগাহ ও পুলিশ লাইনস জামে মসজিদে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

ফেনী ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্ল্যাহ বলেন, জেলার প্রধান ঈদ জামাত ঐতিহাসিক মিজান ময়দানে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে জামাতের জন্য

;