এমপি আনার হত্যা তদন্তে ভারত যাচ্ছে ডিবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ ৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনা তদন্তে ভারতের কলকাতায় যাচ্ছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)'র একটি দল। 

শনিবার (২৫ মে) দুপুরে মিন্টো রোডের ডিবি কনফারেন্স হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলায় বাংলাদেশে একটি মামলা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। এই ঘটনা তদন্তে কলকাতা পুলিশের চার সদস্যের একটি টিম বাংলাদেশে তদন্ত করছে। তাদের কাজ এখনো শেষ হয় নি। আজকেও তারা আসামিদের সঙ্গে কথা বলতে আসবে।

হারুন আরও বলেন, এই ঘটনা তদন্তে ডিবির পক্ষ থেকে একটি টিম কলকাতায় যাওয়ার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাদের অনুমতি পেয়েছি। আমিসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা আজ রাতে অথবা আগামীকাল সকালে রওনা দেবো। 

উল্লেখ্য, গত ১১ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। এরপর তিন দিন পার হলেও পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি। ভারতে গিয়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরানগর থানার ১৭/৩ মণ্ডল পাড়া লেনের বাসিন্দা ও তার দীর্ঘদিনের পরিচিত গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন।

মূলত ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে যান তিনি। পরে ১৩ মে দুপুরে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে বের হন। ওইদিন সন্ধ্যায় ফেরার কথা থাকলেও তিনি আর ফিরে আসেননি। পরবর্তীতে গত ১৮ মে বারানগর থানায় একটি নিখোঁজের অভিযোগ করেন গোপাল বিশ্বাস।

এদিকে, আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের উদ্দেশ্য অপহরণের মামলায় ৪ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) মামলার এজাহার আদালতে আসে। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহবুবুল হকের আদালত তা গ্রহণ করে আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে বুধবার (২২ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

মামলায় তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘মানিক মিয়া এভিনিউয়ের বাসায় আমরা সপরিবারে বসবাস করি। ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারুল আজীম আনার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। ১১ মে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাই।’

মামলায় তিনি আরও উল্লেখ করেন, ১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদেবার্তা আসে। এতে লিখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে। আমি অমিত সাহার কাজে নিউটাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেয়ার দরকার নাই। আমি পরে ফোন দেবো। এছাড়া আরও কয়েকটি বার্তা আসে। ক্ষুদে বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।’

   

ঈদ জামাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে দোয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে আজ উদযাপিত হচ্ছে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহা উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম এবং প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৭ জুন) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাতটায়। ঈদের প্রথম জামাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে দোয়া করা হয়।

এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। জামাত শেষ হতে সময় লেগেছে আট মিনিট। জামায়াত শেষে খুতবা পেশ করা হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় দোয়া ও মোনাজাত।

এদিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আসেন। কয়েক স্তরের নিরাপত্তা চেক অতিক্রম করে লম্বা লাইন ধরে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা।


এ জামাত ছাড়াও বায়তুল মোকাররমে ঈদের আরও চারটি জামাত পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় জামাত হবে ৮টায়, তৃতীয়টি ৯টায়, চতুর্থটি সকাল ১০টায় এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। হাফেজ মাওলানা মুহীউদ্দিন কাসেম দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন। তৃতীয় জামাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী, চতুর্থ জামাতে মিরপুরের জামেয়া আরাবিয়ার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ইমামতি করবেন।

এসব ইমামের মধ্যে কেউ অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন হাইকোর্ট মাজার মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. আশরাফুল ইসলাম। এ ছাড়াও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সাবেক মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান মোকাব্বির থাকবেন।

এদিন ঈদের নামাজ আদায় শেষে দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কোলাকুলির পাশাপাশি একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

;

জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার কোরবানির ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় এ জামাত শুরু হয়। জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার নামাজে ইমামতি করেছেন বায়তুল মোকাররমের জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন। এরপর দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। নামাজ শেষে প্রীতির বন্ধনে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সবাই।

জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের হাজারো মানুষ। ঈদের জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। এসময় দীর্ঘ সারি দেখা যায় সেখানে।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ঈদগাহে নারীদের জন্যও ছিল আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন ও হাইকোর্টের সামনে দি‌য়ে তিন‌টি চেকপোস্টের মধ্য দি‌য়ে ঈদগাহ ময়দানে ঢুকেন মুসল্লিরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্ত দিয়েও দীর্ঘ লাইনে ঈদগাহ ময়দানে আসেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

ঈদ জামাতে প্রবেশের মুখে র‌্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তীক্ষ্ণ নজরদারি ছিল। জামাতে আসা মুসল্লিদের তিন জায়গায় তল্লাশি করার পরই ঈদগাহে প্রবেশ করতে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

;

ঈদের নামাজ আদায় করতে বায়তুল মোকাররমে আসতে শুরু করেছে মুসল্লিরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে আজ উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহা উপলক্ষে নতুন পাঞ্জাবি-পায়জামা পরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করার জন্য আসতে শুরু করেছে মুসল্লিরা।

সোমবার (১৭ জুন) ভোর থেকেই বায়তুল মোকাররম মসজিদে প্রথম এবং প্রধান জামাতে অংশগ্রহণ করার জন্য রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসেন হাজার হাজার মানুষ। কয়েক স্তরের নিরাপত্তা চেক অতিক্রম করে লম্বা লাইন ধরে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা।

ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাত টায়। এতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক।

হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুসারে জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয়। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হজরত ইবরাহিমের (আ.) সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের অনুপম আদর্শ অনুসরণ করে সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই ঈদে পশু কোরবানি করেন। কোরবানিই ঈদুল আজহার প্রধান আনুষ্ঠানিকতা।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্রে আরও জানা গেছে, সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় জামাত। এতে ইমামতি করবেন বায়তুল মুকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন এই মসজিদের খাদেম আব্দুল হাদী।

এরপর সকাল ৯টায় তৃতীয় জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী। এতে মুকাব্বির থাকবেন জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে ঈদুল আজহার চতুর্থ জামাত। এতে ইমামতি করবেন জামেয়া আরাবিয়া মিরপুরের মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররমের খাদেম রুহুল আমিন।

আর সবশেষ বেলা পৌনে ১১টায় পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাতে ইমামতি করবেন ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। মুকাব্বির থাকবেন জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আক্তার মিয়া।

;

লালমনিরহাটে বাস মোটরসাইকেল সংঘর্ষে স্বামী স্ত্রীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট সদর উপজেলার ফকিরের তকেয়া নামক স্থানে ঢাকা-বুড়িমারী মহাসড়কে বাস ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষে স্বামী স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (১৬ জুন) রাত ১০টায় সদর উপজেলার ফকিরের তকেয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নাগরাকুড়া এলাকার আজগার আলীর ছেলে ডিস ব্যবসায়ী বাবু মিয়া (৪০) ও তার স্ত্রী রোকসানা বেগম (৩৫)। নিহত এই দম্পতির দুইটি শিশু সন্তান রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কুড়িগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সততা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি নৈশ কোচ ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। একই সময় লালমনিরহাটের মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে কুড়িগ্রামে নিজ বাড়ির দিকে যাচ্ছিল স্বামী বাবু মিয়া ও স্ত্রী রোকসানা। পথিমধ্যে ওই ফকিরের তকেয়া নামক স্থানে ঢাকাগামী ওই বাসের সাথে সংঘর্ষ হয়। এসময় রাস্তায় ছিটকে পড়ে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে স্বামী স্ত্রী ঘটনা স্থলেই মারা যায়।

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত কর বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনার স্থালে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।

;