ফেনীতে প্রস্তুত ৪৩ আশ্রয়কেন্দ্র, ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল


ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ে ফেনী উপকূলীয় এলাকায় ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। রিমালের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ফেনীর উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজীতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। চারটি ইউনিয়ন, বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল এবং উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়ের জন্য ৪৩টি স্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র এবং ১৪টি মেডিকেল টিম ও ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার।

রোববার (২৬ মে) দুপুরে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এতে সোনাগাজী উপজেলার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, ঘূর্নিঝড় মোকাবিলায় সোনাগাজীতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, প্রাণিসম্পদ বিভাগ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সিপিপি সদস্য এবং রোভার রেড ক্রিসেন্ট সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. আবদুর রহমান বলেন, ক্ষতি মোকাবিলায় ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও চিড়া, মুড়ি, গুড়, চিনিসহ পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুদ রাখা হয়েছে। স্যানিটেশন ও সুপেয় পানির জন্য বিশুদ্ধকরণ ৫০ হাজার ট্যাবলেট রয়েছে। খাবারের বরাদ্দের পরিমাণ নির্ধারণ না থাকলেও চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিপৎসীমা ও সংকেত অনুযায়ী উপকূল ও চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য উপজেলা প্রশাসন এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এছাড়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম (মোবাইল নম্বর-০১৭৬৬৫৯৮২৫৯) খোলা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পন কর্মকর্তা ডা. উৎপল দাস জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপজেলায় জরুরি স্বাস্থ্যসেবার জন্য ১৪টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) সহকারী পরিচালক মুনীর চৌধুরী বলেন, প্রতিটি এলাকায় সিপিপির সদস্যদের সহায়তায় ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করে জানমাল ও গবাদিপশুর নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া বিষয়ে বলা হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছে। জেলেদের দুর্যোগকালীন নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে। এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, ইতোমধ্যে ডিসি স্যার আমাদের সকল বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুযায়ী উপজেলার ৪৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ৪টি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের বলা হয়েছে যাতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় কাজ করে। পাশাপাশি সিপিপি সদস্য ও আনসার সদস্যদের সক্রিয় রাখা আছে এবং মানুষজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার জন্য কাজ চলেছে। এছাড়াও রাতে যারা আশ্রয়কেন্দ্রে থাকবে তাদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার মজুত করা আছে বলে জানান তিনি।

জেলা আবহাওয়া অধিদফতরের উচ্চমান পর্যবেক্ষক মুজিবুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমাল ধীরে ধীরে উপকূলের দিক অগ্রসর হচ্ছে। বর্তমানে ফেনীর উপকূলীয় এলাকায় ৯ নম্বর বিপদ সংকেত দেওয়া হয়েছে। আজ সন্ধ্যার পর থেকে উপকূলে এর প্রভাব শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

   

উৎপাদন বাড়লেও রংপুরে মাছের ঘাটতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
মাছ বাজার/ছবি: বার্তা২৪.কম

মাছ বাজার/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর বিভাগে গত ৫ বছরে মাছের উৎপাদন বেড়েছে। তারপরও বিভাগটিতে মাছের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। এ অঞ্চলে বছরে মাছের চাহিদা ৩ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন। বিপরীতে চলতি বছর উৎপাদন হয়েছে ৩ লাখ ৮ হাজার মেট্রিক টন। সেই হিসেবে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে ৩২ হাজার মেট্রিক টন।

পানি মিঠা ও সুস্বাদ হওয়ায় রংপুর অঞ্চলের নদ-নদী, খাল-বিলে একসময় ২০০ প্রজাতির মাছের নিরাপদ আশ্রয়স্থল ছিল। কালের বিবর্তনে জলবায়ুর পরির্বতন ও পরিবেশগত কারণে প্রায় ৩০ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে। ফলে এ অঞ্চলের মানুষের মাছের অপর্যাপ্ততায় রয়েছে নানামুখী সমস্যা। বিশেষ করে আমিষ জাতীয় খাদ্যের অভাবে স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

মৎস্য বিভাগ বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় মাছের ঘাটতি পূরণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভাগের ৫৮টি উপজেলায় গড়ে তোলা হয়েছে মাছের একাধিক অভয়াশ্রম। বিশেষ করে দেশি মাছ চাষে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। আগামী দুই এক বছরের মধ্যে এই অঞ্চলে মাছের ঘাটতি থাকবে না বলে মনে করা হচ্ছে। তিস্তার উজানে বাঁধ নির্মিত হওয়ায় এ অঞ্চলে জলশূন্যতা বিরাজ করছে। দিনাজপুর অঞ্চলের কাঁকর ও বালিযুক্ত মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা কম। সর্বত্রই প্রতিকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় মাছের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

তবে এই অঞ্চলে পানি স্বাদু হওয়ায় খুব দ্রুত মাছের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করছে মৎস্য বিভাগ। মৎস বিভাগ তথ্য সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগে শতাধিক নদী, খাল প্রায় ৪ লাখ হেক্টর, ৮৩৭টি বিলে ৪০ হাজার ২৮৮ হেক্টর, ২ লাখ ৪৮ হাজার ৭০২টি পুকুরে ১২ হাজার ২৬৯ হেক্টর জমিতে মাছ চাষ হয়। এছাড়া বর্ষাকালে প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষ হয়। রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় দেড় কোটি ওপর মানুষের বসবাস।

শিশু ও প্রাপ্ত বয়স্ক মিলে একজন মানুষের গড়ে প্রতিদিনে মাছের চাহিদা ৬০ গ্রাম। সেই হিসেবে একজন মানুষের প্রতিবছর মাছের চাহিদা প্রায় ২২ কেজি। কিন্তু চাহিদা অনুয়ায়ী মাছ খেতে পারছে না এই অঞ্চলের মানুষ। ফলে সারা বছরই মাছের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।

মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের সৃষ্টি পরিবেশগত পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রকৃতিতে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়ায় জলাশয়গুলোতে পড়েছে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব। দারি, টিলা, কালা বাটা, ঘোড়া, পুঁটি, বোল, চিতল, গজার, রিটা, বট শিং, ঘাউড়া, সালবাইম, কাচকি, ফলি, শিল বাইলা ইত্যাদি দেশি প্রজাতির মাছ হারিয়ে যেতে বসলেও কিছু কিছু দেশি মাছের উৎপাদন আগের চেয়ে বেড়েছে।

রংপুর মৎস্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, এই অঞ্চলে মাছের ঘাটতি পূরণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে দেশি পাবদা, টেংরা, শিং, মাগুর ইত্যাদি মাছের উৎপাদন বাড়াতে সরকারিভাবে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মৎস্য অভয়াশ্রম সংরক্ষণ ও মেরামত, সম্প্রসারণ কার্যক্রম চলছে।

এছাড়া মৎস্যকে যান্ত্রিকীকরণের প্রক্রিয়া হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন হলে এ অঞ্চলে মাছের ঘাটতি থাকবে না।

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল

;

নীলফামারীতে মাইন সদৃশ বোমা উদ্ধার করল পুলিশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে তিস্তা সেচ ক্যানেলের ধারে পড়ে থাকা একটি মাইন সদৃশ বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে এটি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে উপজেলার বাজেডুমরিয়া ক্যানেল বাজার এলাকা থেকে এটি উদ্ধার করা হয়।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তিস্তা সেচ ক্যানেলের ধারে শিশুরা খেলছিল। এসময় একটি মাইন সদৃশ বোমা পড়ে থাকতে দেখতে পায়। পরে শিশুরা আশেপাশের লোকজনকে জানায়। স্থানীয় লোকজন সেখানে গিয়ে মাইন সদৃশ বোমা দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে সেটি উদ্ধার করে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে সেটি নিরাপত্তা বেস্টুনি দিয়ে ঘিরে রেখে পুলিশের পাহারা জোরদার করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল বার্তা২৪.কমকে বলেন, তিস্তা সেচ ক্যানেল এলাকায় একটি মাইন সদৃশ বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এটি নিষ্ক্রিয় করার জন্য বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২২ এপ্রিল একই জায়গায় ক্যানেলের পাশে পতিত জমি খননের সময়ে একটি থ্রি নট থ্রি রাইফেল, দুইটি মাইন ও একটি মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়। পরে সেটি বোম ডিসপোজাল ইউনিট এসে নিষ্ক্রিয় করেন।

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল

;

বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি জনগণের আস্থা তৈরি করবে: তথ্যপ্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি জনগণের আস্থা তৈরি করবে: তথ্যপ্রতিমন্ত্রী

বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি জনগণের আস্থা তৈরি করবে: তথ্যপ্রতিমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের ক্ষেত্রে জনগণের আস্থা তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বুধবার (২৬ জুন) সকালে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের ক্ষেত্রে জনগণের আস্থা তৈরি করবে। সুশাসনের ক্ষেত্রেও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অবদান রাখবে। এ চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে এক ধরণের প্রতিশ্রুতি বা অঙ্গীকার প্রকাশ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে দালিলিক প্রমাণ থাকছে। এ বিষয়গুলো আরো জবাবদিহি নিশ্চিত করবে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির বিষয়গুলো তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রচার করে আমরা বাইরে নিয়ে আসতে চাই। সুশাসনের বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপগুলো আরো বেশি জনসাধারণকে জানানো দরকার। তাহলে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা আস্থা তৈরি হবে যে, সরকার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য এ প্রক্রিয়াগুলো শুরু করেছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এবং আওতাধীন ১৩টি দপ্তর-সংস্থার পক্ষে সংশ্লিষ্ট দপ্তর-সংস্থা প্রধানগণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল

;

মহাসড়কে লরির ধাক্কায় খাদে পড়ল যাত্রীবাহী বাস, শিক্ষার্থীসহ আহত ১৫



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মহাসড়কে মালবোঝাই লরির ধাক্কায় যাত্রীবাহী একটি বাস উল্টে খাদে পড়ে শিক্ষার্থীসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুর ১টার দিকে খৈয়াছড়া ঝরনা রাস্তার মাথা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহত যাত্রীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে তাদের মধ্যে ৫ জন নিজামপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রয়েছে। দুর্ঘটনার পরে স্থানীয়রা আহতেদর উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করে।

প্রত্যক্ষদর্শী নুরুল আলম বলেন, দুপুর ১টার দিকে উত্তরা পরিবহনের একটি বাসকে বিএসআরএম’র মাল বোঝাই লরি ধাক্কা দেয়। এতে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে মহাসড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। লরিটিও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে অন্তত ১৫ জনের মত যাত্রী আহত হয়েছেন। তাদের উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজন স্থানীয় নিজামপুর কলেজের শিক্ষার্থীও রয়েছেন। তারা কলেজ শেষে উত্তরা বাসযোগে বাড়ি ফিরছিলেন।

ওই বাসে থাকা নিজাম উদ্দিন নামে এক যাত্রী বলেন, আমি শুকলালহাট থেকে বারইয়ারহাটে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসটিতে উঠি। কিছু বুঝে উঠার আগেই পেছন থেকে একটি স্ক্র্যাপবোঝাই বিএসআরএমের লরি আমাদের বাসটিকে ধাক্কা দিলে এটি রাস্তার পাশে উল্টে খাদে পড়ে যায়। ভাগ্যক্রমে আমার কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে বাসে থাকা ১৫-২০ যাত্রী আহত হয়।

কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। এর আগে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি উদ্ধারে কাজ চলছে।

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল

;