সিলেটবাসীর নির্ঘুম রাত, ফের বাড়ল বন্যার পানি



মশাহিদ আলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সিলেট 
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগের দিনের বিকেলটাও ছিল রৌদ্রজ্জ্বল। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় থৈ থৈ পানি থাকলেও কিছুটা কমে আসায় স্বস্তি দেখা গিয়েছিল নগরবাসীর চোখে। কিন্তু সেই স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। রোববার(২ জুন) সন্ধ্যার আগ মুহুর্তের ঝটিকা বৃষ্টিতে ফের বাজলো বিপদের ঘণ্টা, পানিবন্দি হল ঘর-বাড়ি।

রোববার রাত ১২টার দিকে সিলেটে অতিবৃষ্টি শুরু হয়। টানা ৬ ঘণ্টা বৃষ্টিপাতের কারণে নিদ্রাহীন রাত কাটে সিলেটবাসীর। বিশেষ করে বন্যা-প্লাবিত উপজেলাগুলো ও নগরীর নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের।

টানা ৬ ঘন্টার বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের ৮টি উপজেলায় পানি বাড়ার পাশাপাশি সিলেট সিটি করপোরেশনের নতুন নতুন এলাকাও প্লাবিত হয়েছে। রাস্তাঘাট উপচে পানি ঢুকে পড়েছে বাসা-বাড়িতে। 

টানা ২ দফা বৃষ্টিতে ফের বাড়ল বন্যার পানি

সরেজমিনে দেখা যায়, সিলেট নগরীর মিরের ময়দান পায়রা, দরগাহ, মিরাবাজার, তালতলা, মাছুদিঘীরপার, জামতলা, তোপখানা, কাজির বাজার, যতপুর, তেররতন, উপশহর, সোবহানীঘাট, শেখঘাট, লালদীঘির পাড়সহ অনেক এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

নগরীতে বন্যার পানিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়া ও নির্ঘুম রাত কাটানো নিয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও সিলেটের স্থানীয় সংসদ সদস্যদের প্রতি দাবি জানিয়েছেন যেন সিলেটের সুরমা নদী এবং নদীর পাশের ছড়া ও খাল খনন করে দেওয়া হয়।

সিলেট নগরীর মিরের ময়দান পায়রা এলাকার বাসিন্দা মো. আজমল আলী তার ফেসবুক আইডিতে মেয়র ও এমপিকে উদ্দেশ্য করে লিখেন, ‘নগরবাসীর দাবি একটাই, সুরমা নদী খনন চাই। সুরমা নদী খনন করুন, বন্যা থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করুন।’

মডেল আশফাক রানা লিখেন, এই মুহূর্তে সিলেট শহরের অবস্থা খুবই নাজেহাল ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। বৃষ্টি না থামলে ২০২২ সালের মতো আবার বন্যা দেখা দিতে পারে।

ঘরবাড়ি প্লাবিত, উৎকণ্ঠায় সিলেটবাসী

এডভোকেট দেবব্রত চৌধুরী লিটন লিখেন, ‘আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায় নির্ঘুম রাত কাটছে সিলেটবাসীর। প্রথমে রাত ১ টায়, পরে ৩ টা ৫০-দুইবার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে সবকিছু, পানি বাড়ছেই।’

নগরীর তালতলার বাসিন্দা রজত কান্তি গুপ্ত বলেন, ২০২২ সালের পরে ঘরে আবারও পানি ঢুকল। পরিবার নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছি। বন্যার আগে যদি নদী, ছড়া, খাল, বিল খনন করা হত তাহলে নগরীতে পানি ঢুকত না।

এর আগে রোববার সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। বেশ কিছু স্থানে কমে এসেছিল পানি। কিন্তু রাতে বৃষ্টিতে ফের নগরীতে পানি বেড়েছে।

মেয়ের পরকীয়ার বলী মা

১৩ বছর পর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন পিবিআই’র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বনজ কুমার মজুমদার, ছবি: বার্তা২৪.কম

বনজ কুমার মজুমদার, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন সম্পর্কের জেরে মাঝে মধ্যেই প্রাক্তন সাংসদ খান মজলিসের বাড়িতে যাতায়াত করতেন আসামি সুবল কুমার রায়। যাতায়াতের এক পর্যায়ে ভিকটিম সেলিনা খান মজলিসের বড় মেয়ে শামীমা খান মজলিসের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পরেন আসামি সুবল। ঘটনা জানাজানি হলে ওই বাড়িতে আসামি সুবলের যাতায়াত বন্ধ করে দেন ভিকটিম সেলিনা খান মজলিস।

এর পরেও অভ্যন্তরীণভাবে তাদের যোগাযোগ এবং যাতায়াত চলতে থাকলে মা সেলিনা খান মজলিস দেখে ফেলেন এবং এবং চিৎকার চেঁচামেচি করলে মাকে থামাতে ছুরিকাঘাত করেন মেয়ে শামীমা খান মজলিস। এরপর মা জীবিত থাকলে মৃত্যু নিশ্চিত করতে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি সুফলের সহায়তায় মাথায় ইলেকট্রিক শকের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় মৃত্যু।

১৩ বছর পর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। রহস্য উদঘাটনের এসব তথ্য জানান পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি পিবিআই হেডকোয়ার্টার্সে আয়োজিত সাভারের সাবেক এমপির শামছুদ্দোহা খান-এর স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ইলেকট্রিশিয়ান সুবল কুমার রায় (৫০), ভিকটিমের নিজ কন্যা শামীমা খান মজলিস ওরপে পপি (৫৭) এবং গৃহকর্মী আরতি সরকার (৬০)। সাভার থানাধীন ভাগলপুর এবং পাকিজা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।

বনজ কুমার মজুমদার বলেন, দীর্ঘদিন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন না হলে একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় মামলার তদন্ত কাজ। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মামলা পুনরায় পুনর্জীবিত করতে নির্দেশনা আসে। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করি। তদন্ত শুরু হলে আমরা ভিকটিমের বড় মেয়ে আসামি শামীমা খান মজলিসের পাশাপাশি বাকি দুই মেয়েকেও সন্দেহের মধ্যে রাখি। আমরা খোঁজ নিতে গিয়ে দেখি যে ওেই বাসায় কারা কারা আসতেন। জানতে পারি একজন ইলেকট্রিশিয়ান মাঝে মাঝে ওই বাসায় আসতেন। কিন্তু তার বহুদিন ওই বাসায় আসা-যাওয়া নেই। জানতে পারি তিনি বিগত ৩০ বছর ধরে সাভার থানায় ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করছেন। সেই সঙ্গে পাশেই তার একটি বড় মুদির দোকানও আছে।

কিন্তু আমরা তদন্তকালে যেসব কথা জানতে পারি তার মধ্যে সুইচ বোর্ডটি ভাঙা এবং দুইটা তার বের করে রাখার একটা বিষয় উঠে আসছিল। এরপর আমরা আসামি ইলেকট্রিশিয়ান সুবল কুমার রায় (৫০) কে নিয়ে আসি।

আমাদের প্রাক্তন সাংসদ খান মজলিস তাকে পছন্দ করতেন তাই আসামি সুবল কুমার রায় মাঝেমধ্যে সেখানে যাতায়াত করতেন এবং বাড়ির ইলেকট্রিকের কাজ করে দিতাম। ১৯৯৮ সাল থেকে সুবল কুমার রায় প্রাক্তন সাংসদের বাড়িতে যাতায়াত করতেন।

আসামি সুবল কুমার রায়কে গ্রেফতারের পর আদালতের জবানবন্দমূলক স্বীকারোক্তিতে জানান, ভিকটিম সেলিমা খান মজলিস (৬৩)’র বড় মেয়ে তার স্বামীকে নিয়ে নিচতলায় বসবাস করতেন। সেখানে তিনি নিয়মিত যাতায়াতের এক পর্যায়ে আসামি শামীমা খান মজলিসের স্বামীর সাথে বিভিন্ন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ২০০১ সালে আসামি সুবল কুমার রায় এবং শামীমা খান পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এই বিষয়টি ২০০৫ সালে জানাজানি হলে তাকে মারধর এবং অপমান করা হলে তিনি বাসা থেকে চলে যান। তাকে আর এই বাসায় আসতে নিষেধ করা হয়। ২০০৮ সালে সুবল কুমার রায় বিয়ে করেন। ২০১১ সাল থেকে তিনি আবার সেই বাসায় যাতায়াত শুরু করেন।

যেদিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে সেদিন ভোরবেলা ফজরের নামাজের সময় ভিকটিম সেলিমা খান মজলিস ছাদে উঠেছিলেন এবং সেখান থেকে দেখতে পান সুবল চুপিচুপি তার বাড়ির দিকে আসছেন। এরপর তিনি এটা দেখে চিৎকার করতে করতে নিচে নামছিলেন। তখন আসামি সুবল এবং শামীমা খান মজলিস মায়ের চিৎকার থামাতে ওপরে যান। মাকে থামানোর জন্য মেয়ে শামীমা খান মজলিস তাকে জাপটে ধরেন এবং পাশে থাকা একটি ফল কাটার চাকু দিয়ে গলার দুই পাশে তিনটি পোচ দেন। এরপর যখন তারা দেখেন তার মা মারা যায়নি জীবিত আছে তখন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি আসামি সুবল ইলেকট্রিক বোর্ড ভেঙে সেখান থেকে দুইটি তার বের করে ভিকটিমের মাথায় ইলেকট্রিক শক দেয় এবং মৃত্যু নিশ্চিত করেন। ঘটনাটি ঘটে রান্না করে। কিন্তু আমরা ভিকটিমকে পেয়েছি বেডরুমে।

তিনি বলেন, জবানবন্দি থেকে জানা যায় যে, বিগত ২০০১ সালের ১৪ জুন তারিখ সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭ টার মধ্যে যেকোন সময় ভিকটিমের বড় মেয়ে শামীমা খান মজলিসের সহায়তায় ভিকটিমের বাসার ডাইনিং রুমে ভিকটিমের গলার দুই পার্শ্বে ফল কাটার ছুরি দিয়ে কেটে মেরে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রতিবন্ধী ছেলে সেতুর কক্ষে খাটের চাদরের ওপরে একটি পুরাতন পত্রিকা বিছিয়ে ভিকটিমের মাথার কাছে দুইটি বালিশ দিয়ে চাপা দিয়ে এবং ঘাড়ের নিচে তোষক দিয়ে শুয়াইয়ে রেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

;

কড়াইল বস্তিতে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত, রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে

ছবি: সংগৃহীত, রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর করাইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছ। এ ঘটনায় আগুন নির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট ঘটনা স্থলে যাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল কর্মকর্তা শাজাহান সিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেনছেন।

শাজাহান সিকদার বলেন, কড়াইল বস্তিতে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নি নির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসের ৬ ইউনিট ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।

;

শামসুদ্দোহা দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার/ছবি: সংগৃহীত

ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এডিশনাল আইজিপি) ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের অভিযোগ, এ দম্পতি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল সম্পদের মালিক।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করা হয়।

শামসুদ্দোহা দম্পতির বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।

দুদক বলছে, শামসুদ্দোহা দম্পতি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল সম্পদের মালিক। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১ হাজার ২৭ শতক জমি আছে তাদের নামে। দলিলে এসব জমির দাম ৭০ কোটি টাকা দেখানো হলেও আদতে বাজারদর প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। গত ১৮ মার্চ আদালত তার এসব সম্পত্তি জব্দ করার আদেশ দেন। পরদিন তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করলে ওই আদেশ স্থগিত হয়ে যায়।

জাতীয় একটি দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়, শামসুদ্দোহা খন্দকার শুধু গাছেরটা খান না, তলারটাও কুড়ান। চাকরিজীবনে শুধু সম্পদের শিখরে উঠে দমে যাননি; রাজধানীর বনেদি এলাকা গুলশানে অন্তত ২০০ কোটি টাকা দামের সরকারি জমি ও বাড়ি নিজের করে নিতে রকমারি কূটকৌশল চালাচ্ছেন। তার প্রতাপের কাছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কিংবা আবাসন পরিদপ্তরও যেন ‘ঠুঁটো জগন্নাথ’।

শামসুদ্দোহা ২০১১ সালে প্রেষণে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান পদে বসে সীমাছাড়া দুর্নীতিতে জড়ান। এ পটভূমিতে ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা ঠুকে দেয় দুদক। ওই মামলায় স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানাও আসামি। মামলাটি এখনও চলমান। এ ছাড়া তার রয়েছে হরেক রকমের ব্যবসা-বাণিজ্য। তিনি ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির মালিকদের অন্যতম একজন। ২০২১-২২ সালের পরিষদে শামসুদ্দোহা ছিলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান।

২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত শীর্ষ ১১ কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এর মধ্যে শামসুদ্দোহা খন্দকারও ছিলেন।

এ ব্যাপারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রাষ্ট্রীয় ও সরকারিভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকা ব্যক্তির বিরুদ্ধে একের পর এক সীমাহীন বিত্তবৈভবের মালিক হওয়ার অভিযোগ আসছে। এ ধরনের অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিলে অন্যদের কাছে শক্ত বার্তা যাবে। দৃষ্টান্ত স্থাপন করলে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকা দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তির কাছে অন্তত এ বার্তা পৌঁছাবে– এসব অপরাধ করে পার যাওয়া যায় না। বিচার একদিন হবেই। এ বার্তাটা আমাদের সমাজে নেই বললেই চলে।

;

দেশে বীজের উৎপাদন চাহিদার তুলনায় মাত্র ৩০ শতাংশ: পিকেএসএফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর মহাব্যবস্থাপক ড. মো. আব্দুল মালেক বলেছেন, বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ কিন্তু এ দেশে বীজের চাহিদার তুলনায় আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে দেশে বীজের উৎপাদন চাহিদার তুলনায় মাত্র ৩০ শতাংশ। আমাদের মূল উদ্দেশ্য উন্নত বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে অধিক ফলন করা। উন্নত বীজ ব্যবহার করলে ১৫ থেকে ২০ ভাগ ফলন বৃদ্ধি করা সম্ভব।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে "মানসম্পন্ন বীজের চাহিদা পূরণে পিকেএসএফ -এর উদ্যোগ " শীর্ষক এক কর্মশালার আয়োজন করে পল্লী কর্ম- সহায়ক ফাউন্ডেশন পিকেএসএফ এর সমন্বিত কৃষি ইউনিট, সেখানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

সেমিনারে আরও বলা হয়, দেশের কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে মানসম্পন্ন বীজের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে দেখা যায় ২০২২-২৩ বছরে বিভিন্ন ফসলের মোট বীজের চাহিদা ১২ লাখ ১০ হাজার ৩৫১ মে. টন হলেও বিএডিসি, ডিএই ও বিএমডিএ এর উৎপাদিত বীজ এবং বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে উৎপাদিত ও আমদানিকৃত বীজের পরিমাণ ৩ লাখ ৬১ হাজার ২৬৪ মে. টন। যা মোট দেশীয় চাহিদার মাত্র ৩০%।

শস্যভিত্তিক বিবেচনায় ধান, গম, ডাল ও তেল ফসলের ক্ষেত্রে এর শতকরা হার যথাক্রমে ৬৪, ৪৩, ১২ ও ২১। পিকেএসএফ সমন্বিত কৃষি ইউনিটের আওতায় ৪টি সহযোগী সংস্থা ও কৃষক পর্যায়ে স্বল্প পরিসরে ফসলের বীজ উৎপাদন (ধান, সরিষা, ডাল, পেঁয়াজ বীজ) করছে। তবে সমন্বিত কৃষি ইউনিটভুক্ত সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে এ কার্যক্রম ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে।

এ সময় বক্তারা দেশের কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বাড়ানোর ওপর গুরুত্তারোপ করার কথা বলেন।

পিকেএসএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার এনডিসি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ সীড এসোসিয়েশন এর উপদেষ্টা আনোয়ার ফারুক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণাইনষ্টিটিউট (ব্রি) এর মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর সদস্য পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

;