‘নতুন প্রকল্প গ্রহণে অনাবশ্যক ব্যয় পরিহার করতে হবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষ, ছবি: বার্তা২৪

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষ, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের অনাবশ্যক ব্যয় পরিহার করতে হবে বলে মন্তব্য করে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, ইতিমধ্যে গৃহীত প্রকল্পগুলোকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমাপ্ত করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সশরীরে সরেজমিনে পরিদর্শন করে যাচাই-বাছাই করে প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করতে হবে। প্রকল্প ব্যয় ও মেয়াদ যাতে পরবর্তীতে বাড়াতে না হয় সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।

সোমবার (২৪ জুন) রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, সম্প্রতি রাসেল’স ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) নামক বিষধর সাপের উপদ্রপ বেড়েছে, এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্য বিভাগকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতনতামূলক তথ্য প্রচার ও জনসাধারণের মাঝে পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ করতে হবে। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা অপসারণে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে হতদরিদ্রদের জমিসহ ঘর-বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে এবং এখন তাদের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করছে যাতে করে তারা খেয়ে পরে বাঁচতে পারে। অবৈধভাবে দখলকৃত জমিতে কোনো স্থাপনা করা হলে সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান সেখানে পরিষেবা দেবে না। এসব ক্ষেত্রে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ সব সরবরাহ লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জনগণকে জানাতে হবে সাপে কামড় দিলে তাদের প্রাথমিক পর্যায়ে করণীয় কী, কোথায় গেলে অ্যান্টিভেনম পাবে। হাসপাতালগুলোতে অ্যান্টিভেনমের যোগান সম্পর্কে বিভাগীয় কমিশনার জানতে চান এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন।

৩০ জুন শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় যাতে কেউ অসদুপায় অবলম্বন করতে না পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় সভায় বিগত মাসিক সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। সভায় কৃষি জমিতে তামাকের পরিবর্তে খাদ্যশস্য চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণে পদক্ষেপ গ্রহণ, আম বিক্রয়ের ক্ষেত্রে পরিমাপের একক হিসেবে ‘মণ’-কে নির্দিষ্ট কিলোগ্রামে নির্ধারণ, পদ্মাপাড়ে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, ক্রেতার সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের দৃষ্টিতে আনা, বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় ভাতা ভোগীরা যেন প্রতারণার শিকার না হয় সে লক্ষ্যে প্রচারণা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

রাজশাহী বিভাগের সব জেলার জেলা প্রশাসক, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এবং বিভিন্ন সরকারি দফতরের বিভাগীয় প্রধানগণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

বারিধারায় কনস্টেবলকে গুলি করে হত্যা, তদন্ত কতদূর এগোলো



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজধানীর বারিধারায় কনস্টেবলকে গুলি করে হত্যা, তদন্ত কতদূর এগোলো

রাজধানীর বারিধারায় কনস্টেবলকে গুলি করে হত্যা, তদন্ত কতদূর এগোলো

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর গুলশান-বারিধারার কূটনীতিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে সহকর্মীর গুলিতে পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম নিহতের ঘটনা তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রিফাত শামীমকে প্রধান করে তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। অন্য দুই সদস্য হলেন সদস্যসচিব ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগের পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. এলিন চৌধুরী ও সদস্য আইএডি বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আশফাক আহমেদ।

কমিটিকে সাত কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছিলো। তবে এখনো তদন্ত শেষ করতে পারেনি তারা। বেঁধে দেওয়া সাতদিনের সময় শেষ হওয়ার পরে আর ১০ দিন সময়ে চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তারা। ডিএমপি কমিশনার আরও ১০ কর্মদিবস সময় বাড়িয়ে দিয়েছেন।

গত ৯ জুন রাত ১২টার দিকে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনের নিরাপত্তার গার্ড রুমে কনস্টেবল কাউসার আলীর গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।

তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির ‍প্রধান গুলশানের ডিসি রিফাত শামীম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের কাজ প্রায় শেষ। আগামী দু একদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়ে দেওয়া হবে। আমাদের কাজ শেষের পথে।

১০ দিন সময় বাড়ানো হয়েছিলো। এই সময়ের মধ্যেই তদন্ত শেষ হবে কি না জানতে চাইলে রিফাত শামীম বলেন, ১০ দিনের আগেই আমাদের কাজ শেষ হয়ে যাবে। আমরা চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কাজ করছি। সেই কাজও প্রায় শেষের দিকে। ডিএমপি সদর দফতর প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরে স্যাররা আপনাদের জানাবে। আসলে এখানে গোপন করার কিছু নেই। আশা করি দ্রুতেই সব কিছুই আপনারা জানতে পারবেন। স্যাররা আপনাদের সব জানাবে।

সহকর্মীকে গুলির ঘটনায় অভিযুক্ত কনস্টেবল কাওসার আলী সাত দিনের রিমান্ড শেষে বর্তমানে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে অভিযুক্ত কাওসারের পরিবার দাবি করেছিলো মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন কনস্টেবল কাওসার। তার স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমীন দাবি করেন, রাঙ্গামাটির বরকলে চাকরি করার সময় তিনি মানসিক সমস্যায় ভোগেন। এরপর বিভিন্ন সময় সরকারিভাবেই তাকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে অন্তত তিনবার চিকিৎসা করানো হয়েছিল। নিয়মিত ওষুধও সেবন করতেন। কাওসারের কাছে প্রেসক্রিপশনও আছে। কিছুদিন ধরে কাওসার খুবই কম কথা বলতেন।

ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়াত আলীর ছেলে কাওসার আলী। ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন।

;

সিলেটে কাউন্সিলর আজাদের বাসায় হামলা-ভাংচুর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: কাউন্সিলর আজাদের বাসায় হামলা

ছবি: কাউন্সিলর আজাদের বাসায় হামলা

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে মধ্যরাতে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের বাসায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে নগরীর টিলাগড় ও পূর্ব শাপলাবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হামলাকারীরা ইট-পাটকেলে ছুড়ে কাউন্সিলরের দুটি বাসা ও আশপাশের কয়েকটি দোকানপাট, গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

হামলায় গুরুতর আহতরা হলেন-হিরক রঞ্জন দে পাপলু, ফয়সাল, মোতাছির ও তাহমিদুর রহমান নেহাল। এ ছাড়া আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর পুলিশের (এসএমপি) উপ-কমিশনার সোহেল রেজা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোরবানির পশুর হাটের টাকা নিয়ে স্থানীয় কবিরের লোকদের ও কাউন্সিলরের লোকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এ নিয়ে কবিরের পক্ষের রাব্বি, বিজয়, রিয়াদসহ কয়েকজন নগরীর টিলাগড় এলাকায় এসে ওই টাকার ভাগ কেন দেয়নি জিজ্ঞেস করে আজাদের লোক সুহেল ও আদিল ওয়াহিদকে মারধর শুরু করেন। তখন তারা পালিয়ে কাউন্সিলরের বাসার দিকে গেলে কবিরের পক্ষের লোকজন কাউন্সিলরের বাসা ও আশপাশের দোকানপাট ভাঙচুর করেন। এছাড়া সিলেট মহানগর যুবলীগের সদস্য শমশের আলীর বাসায়ও ভাঙচুর করা হয়।

পরে খবর পেয়ে কাউন্সিলরের লোকজন টিলাগড় পয়েন্টে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। কল্যাণপুরে কবিরের লোকজনের বাসাবাড়িতে পাল্টা হামলা করে আজাদ কাউন্সিলরের লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ বলেন, রাতে শিশুকন্যাকে নিয়ে ঘুমানোর সময় হঠাৎ চিল্লাচিল্লি আওয়াজ পাই। এরপর আমার বাসায় গেটে ঢিল মারার শব্দ শুনি। বের হয়ে দেখি কে বা কারা আমার বাসায় ইট-পাটকেল মেরে জানালার গ্লাস ভাঙচুর করেছে। আশপাশের অন্তত ২০টি দোকানেও ভাঙচুর চালিয়েছে। আমার সঙ্গে কারও বিরোধ নেই। গরুর বাজারের সঙ্গে আমি জড়িত নই। এখন মেয়েকে নিয়ে কীভাবে বাসায় থাকব বুঝতেছি না। পুলিশকে জানিয়েছি।’

এব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) উপ কমিশনার সোহেল রেজা বলেন, রাব্বি নামের এক ছেলেসহ কয়েকজন কাউন্সিলরের বাসায় ইট-পাটকেল মেরেছে। ওখানে একটা গাড়ির গ্লাসও ভাঙচুর করেছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এ বিষয়ে অভিযোগ দিলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।

;

আনসার আল ইসলামের নতুন জঙ্গী শাখা ‘আস-শাহাদাত’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার শহরের চৌফলদন্ডিতে একটি মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’র তিন সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে উগ্রবাদী বই, লিফলেট ও বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে র‌্যাব-১৫ সদর দপ্তরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

আটকরা হলেন, জামালপুরের ইসলামপুর এলাকার আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে জাকারিয়া মন্ডল (১৯), ভোলার বোরহান উদ্দিনের মো. নুরুল আমিনের ছেলে নিয়ামত উল্লাহ (২১) ও ফেনীর সোনাগাজীর ইদ্রীস আলীর ছেলে মোহাম্মদ ওজায়ের (১৯)।

এসময় কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১৫ এবং র‍্যাব-৭ এর যৌথ আভিযাত্রিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজারের চৌফলদন্ডি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’-এর তিন সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১০টি উগ্রবাদী বই, ২৯টি লিফলেট ও বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম।"

 ‘আনসার আল ইসলাম’র তিন সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব

আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আটকরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য। তারা আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে উদ্বুদ্ধ হয়ে আল কায়েদা মতাদর্শের এই জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেয়। র‌্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত অভিযানের ফলে আনসার আল ইসলামের কার্যক্রম প্রায় স্তিমিত হয়ে পড়ে।

আনসার আল ইসলামের নামে নতুন সদস্য সংগ্রহসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করতে ব্যাহত হচ্ছে বিধায় তাদের কার্যক্রমকে চলমান রাখতে আনসার আল ইসলাম মতাদর্শী ‘আস-শাহাদাত’ নামে নতুন একটি জঙ্গি গ্রুপ তৈরি করে নতুন সদস্য সংগ্রহসহ দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। এই গ্রুপটি পার্শ্ববর্তী একটি দেশ থেকে পরিচালিত হচ্ছে এবং এই সংগঠনের সদস্য সংখ্যা আনুমানিক ৮৫-১০০ জন। এই গ্রুপটির উদ্ভাবক হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশের নাগরিক হাবিবুল্লাহ এবং কথিত আমির সালাহউদ্দিন।’

জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ও নেতৃস্থানীয় অনেক সদস্য গ্রেফতার হয়। যেহেতু কিছু সংখ্যক সদস্যকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করেছে, তাই এই সংগঠনটিকে তারা পুনরুজ্জীবিত করতে নতুন রিক্রুটিং করছে।

উঠতি বয়সী কিশোরদের অপব্যাখা দিয়ে সহজে ব্রেন ওয়াশের মাধ্যমে ভূলপথে নেওয়া যায় বিধায় কোমলমতি কিশোরদের তারা প্রথমে টার্গেট করতো। তাই এই সংগঠনের বেশিরভাগ সদস্যই ১৯-২০ বছর বয়সী তরুণ। সাধারণ লেখাপড়ায় শিক্ষিত উগ্র মনোভাবাপন্ন লোকজনকে আকৃষ্ট করার জন্য দেশ বিরোধিতাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতো।’

;

হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়ল ২৫ কেজির পাখি মাছ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়ল ২৫ কেজির পাখি মাছ

হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়ল ২৫ কেজির পাখি মাছ

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদীতে পৃথক সময়ে জেলের জালে ধরা পড়েছে দুইটি পাখি মাছ। পরে ডাকের মাধ্যমে দুটি মাছ ৫ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি করা হয়।

শুক্রবার (২৮ জুন) চেয়ারম্যান ঘাটের মৎস্য আড়তে মাছগুলো বিক্রি করা হয়। ওই সময় পাখি মাছগুলো এক নজর দেখতে ভিড় জমায় স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, মেঘনা নদীতে মনির মাঝি মাছ ধরতে গেলে ২৫ কেজি ওজনের একটি পাখি মাছ পান। শুক্রবার দুপুরে চেয়ারম্যান ঘাটের মেঘনা ফিশিং এজেন্সিতে নিলামে মাছটি ৩ হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। এর আগে একই দিন সকালে ১ হাজার ২০০ টাকায় ২০ কেজি ওজনের আরেকটি পাখি মাছ বিক্রি করা হয়। দুটি মাছ নিলামে কিনে নেন এনায়েত বেপারী। ২০ কেজি ওজনের মাছটি নরম হয়ে যাওয়ায় কম দামে বিক্রি করা হয়েছে।

হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান বলেন, এটি একটি সামুদ্রিক মাছ। এ অঞ্চলে এই মাছ পাখি মাছ হিসেবে পরিচিত। খেতে খুব সুস্বাদু। তবে মেঘনা নদী থেকে দুটি পাখি মাছ পাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।

;