বালু বোঝাই ট্রাকের সাথে এনা পরিবহনের সংঘর্ষে চালক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ইউটার্ন নেয়া বালু বোঝাই ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে এনা পরিবহনের চালক স্বপন হোসেন (৫৫) মারা গেছেন।

নিহত স্বপন হোসেন ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার সাংঘর এলাকার মৃত আয়ুব আলীর ছেলে।

শনিবার (২৯ জুন) সকাল পৌনে ৬টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ঢালিবাড়ী মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আতিকুর রহমান বলেন, সকাল পৌনে ৬টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ঢালিবাড়ী মোড়ে বালু বোঝাই একটি ট্রাক ইউটার্ন নেয়ার সময় ঢাকাগামী এনা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এনা পরিবহনের চালক গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিয়ে কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বপন হোসেনকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্য ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মরদেহ পুলিশ হেফাজতে আছে। দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে এবং এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি।

গাইবান্ধায় নদী থেকে নারীর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে সাদুল্লাপুর থানা পুলিশ। গত ৫ হতে ৭ দিন আগে থেকেই মরদেহটি পানিতে ভাসছিল বলে ধারণা পুলিশের।

সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে উপজেলার ধাপেরহাট সংলগ্ন আখিরা নদীর জামদানিঘাট এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেন তারা।

মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি মুঠোফোনে বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম। এসময় তিনি জানান, সোমবার সকালে আখিরা নদীতে মরদেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা।

পরে স্থানীয়রা সাদুল্লাপুর থানায় খবর দেয়। কিন্তু ঘটনাস্থলটি সাদুল্লাপুর ও পীরগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় মরদেহ উদ্ধার বিষয় নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। পরে সীমানা নির্ধারণ করে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে মরদেহটি উদ্ধার কর হয় এবং পরে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

এসময় তিনি আরও জানান, ধারণা কর হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী ওই নারীর মরদেহ ৫-৭ দিন আগ থেকেই পানিতে ছিলো। এ কারণে মরদেহে কিছুটা পচন ধরেছে। ওই নারীর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এছাড়া নারীর শরীরে কাপড় না থাকলেও পড়নে পায়জামা ছিল বলেও জানান ওসি।

;

মোহাম্মদপুরে কাপড়ের শো-রুমে চুরি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
কাপড়ের শো-রুমে চুরি, ছবি: সংগৃহীত

কাপড়ের শো-রুমে চুরি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে চাঁদ উদ্যান হাউজিং এলাকায় ‘কজি আউটফিট’ নামে একটি কাপড়ের শো-রুমে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শো-রুমের ক্যাশে থাকা টাকা নিয়ে যায় চোর চক্রের সদস্যরা।

সোমবার (১ জুলাই) ভোর সাড়ে ৪টায় মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যানের ৪ নম্বর রোডে এ ঘটনা ঘটে।

কজি আউটফিটের মালিক ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী জাহিদ হাসান রাতুল বলেন, মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যানে আমার নিজস্ব কাপড়ের শো-রুমের ওয়্যারহাউজে রোববার (৩০ জুন) রাতে কাজ শেষ করে বাসায় যাই। সোমবার সকালে আমার স্টাফরা এসে দেখে ভেতরে প্রতিটি ড্রয়ারের তালা ভেঙে সব মালামাল নিচের ফ্লোরে এলোমেলো করে ফেলে রেখেছে। ওয়্যারহাউজের এডজাস্ট ফ্যানের জায়গা দিয়ে চোর চক্রের সদস্যরা ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় ক্যাশের তালা ভেঙে প্রায় দেড় লাখ টাকা নিয়ে যায়।


খবর পেয়ে আমি জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ এ বিষয়টি জানালে ঘটনাস্থলে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ আসে। তারা এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ছবি ও ভিডিও তুলে নিয়ে যায়। চোর চক্রের সদস্যরা আমার প্রায় দুই-তিন লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে।

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুল হক ভূঞা বলেন, এ ঘটনায় আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। আশপাশের সিসি ক্যামেরা দেখে চোর চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। খুব শীঘ্রই আমরা তাদের আটক করে আইনের আওতায় আনতে পারব।

;

পুলিশের অভিযানে স্বর্ণ প্রতারক চক্রের ৩ সদস্য আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
পুলিশের অভিযানে আটক চক্রের তিন সদস্য।

পুলিশের অভিযানে আটক চক্রের তিন সদস্য।

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল নগরীর কাউনিয়া থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্বর্ণ প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সদস্যরা।

সোমবার (০১ জুলাই) সকালে মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে রোববার (৩০ জুন) সন্ধ্যায় অভিযানে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো-নগরীর কাউনিয়া এলাকার মোতালেব হাওলাদারের ছেলে শামীম হাওলাদার, মরকখোলার পোল এলাকার ছিদ্দিক মৃধার ছেলে কালু মৃধা ও উজিরপুর উপজেলার হস্তিশুন্ড গ্রামের জব্বার হাওলাদারের ছেলে জসিম হাওলাদার।

আটকৃতদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি সচল ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, গোলাপি রঙ্গিন কাগজের টুকরায় মোড়ানো দুটি সোনালি কালারের পিতলের বার ও হাতে লেখা দুটি চিঠি সাদৃশ্য কাগজের টুকরা উদ্ধার করা হয়েছে।

ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. ছগির হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, নগরী ও বাহির থেকে আসা সহজ-সরল নারী-পুরুষদের টার্গেট করে তারা প্রতারণা করে আসছিলো।

;

বগুড়ায় মৌসুমী ফল উৎসব, ২৮ প্রজাতির ফল প্রদর্শন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
বগুড়া জেলা পুলিশের উদ্যোগ ফল উৎসব আয়োজন।

বগুড়া জেলা পুলিশের উদ্যোগ ফল উৎসব আয়োজন।

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় ২৮ প্রজাতির ফল নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো মৌসুমী ফল উৎসব। বগুড়া জেলা পুলিশের উদ্যোগে এই ফল উৎসবের আয়োজন করা হয়। সেখানে পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যাণ্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের সেসব ফল দেখানোর পাশাপাশি ফলের নাম ও গুণাগুণ সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

পরে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সকল শ্রেণিতে ভালো ফলাফল করা শিক্ষার্থীদের মিয়াজাকি (সূর্যডিম) আম উপহার দেওয়া হয়।

সোমবার (০১ জুলাই) বেলা ১১টায় বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীর সভাপতিত্বে পুলিশ লাইন্সের ড্রিল সেডে ফল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

বগুড়া জেলা পুলিশের উদ্যোগ ফল উৎসব আয়োজন।

এতে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন- বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন, সিআইডি’র পুলিশ সুপার কাউসার সিকদার, হাইওয়ে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, র‌্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের অধিনায়ক মীর মনির হোসেন, পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যাণ্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনু প্রমুখ।

অনুষ্ঠান আয়োজন সম্পর্কে পুলিশ সুপার বলেন, আমাদের মাটির উপযোগী দেশীয় ফলগুলো ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে। এখন যারা নতুন প্রজন্ম তারা সেই ফলগুলোর সাথে পরিচিত হতে পারছে না। এই প্রজন্মকে প্রদর্শনীর মাধ্যমে দেশীয় ফল সম্পর্কে জানাতে এবং ফলের স্বাদ ও গুণাগুণ সম্পর্কে ধারণা দিতেই এমন আয়োজন। এটি করা গেলে তারা দেশীয় ফলের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে এবং সেসব বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে প্রকৃতি সংরক্ষণে উদ্বুদ্ধ হবে।

উৎসবে আম, জাম, কাঁঠাল, কলা, আনারসের পাশাপাশি করমচা, ডেউয়া (বড়াল), ডালিম, বিট, কামরাঙ্গা, পেয়ারা, চালতা, জামরুল, গাব, আমলকি, লটকন, পেঁপে, বেল, খেজুর, তাল, জাম্বুরা, বাঙ্গি, তরমুজ, ডাব, সফেদা, বিচি কলাসহ ২৮ প্রজাতির ফল প্রদর্শন করা হয়।

;