পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলের প্রতিবাদে গ্রাহকদের মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চাঁদপুর
ভুতুড়ে বিলের প্রতিবাদে গ্রাহকদের মানববন্ধন

ভুতুড়ে বিলের প্রতিবাদে গ্রাহকদের মানববন্ধন

  • Font increase
  • Font Decrease

মাত্রারিক্ত বিদ্যুৎ বিল, ভায়াবহ লোডশেডিংসহ নানা অভিযোগে চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসের সামনে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা মানববন্ধন করেছে।

রোববার (৩০ জুন) দুপুরে ফরিদগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে উপজেলার চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামের লোকজন এই কর্মসূচী পালন করে। তাদের সাথে মানববন্ধনে যোগ দেন ফরিদগঞ্জ সদরের কিছু লোকজন। এসময় সড়কে কিছুক্ষণ যানজটের সৃষ্টি হয়।

থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার পর চাঁদপুর পল্লীবদ্যুৎ সমিতি-২ ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী কামাল হোসেন এসে গ্রাহকদের সমস্যা শুনে সমাধানের আশ্বাস দিলে গ্রাহকরা মানববন্ধন ত্যাগ করেন।

পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জানায়, চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসের আওতাধীন ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১ লাখ ৫ হাজার গ্রাহক রয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের মতে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় লোডশেডিং দিতে হচ্ছে তাদের।

চরদুঃখিয়া পুর্ব ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামের বিদ্যুৎ গ্রাহক ইলিয়াস কাঞ্চন, মো. রাশেদ আলম, রাব্বি, সাব্বির, রাব্বি সওদাগর, মোবারক হোসেন, আব্দুল হান্নান, আনোয়ার হোসেন, মনির হোসেনসহ লোকজন জানায়, দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাত্র কয়েক ঘন্টা বিদ্যুৎ পেয়ে থাকেন। ভয়াবহ লোডশেডিং হলেও গত কয়েকমাস ধরে বিদ্যুৎ বিলের পরিমানও মাত্রারিক্ত বেড়েছে। মিটার রিডাররা মিটারের কাছে না গিয়ে মনগড়া বিল তৈরি করছেন। এতে গ্রাহকরা বিপুল অংকের অর্থ গচ্ছা দিচ্ছেন। লোডশেডিং হ্রাস, প্রকৃত বিদ্যুৎ বিল প্রদান এবং লাইন সংস্কারে অনিয়মসহ নানা অভিযোগের সুরাহার দাবীতে তারা বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎ অফিসের সামনে মানববন্ধন করতে বাধ্য হয়েছেন।

এদিকে পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় মানুষ জনের জড়ো হওয়ার সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লোকজনকে শান্ত করেন। এসময় সড়কের পাশে তাদের সরিয়ে নিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।

মানববন্ধনের সংবাদ পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী ঘটনাস্থলে গিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের প্রধানসহ অন্য কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। তিনি দ্রুত বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নিতে বলেন।

চাঁদপুর পল্লীবদ্যুৎ সমিতি-২ ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী কামাল হোসেন জানান, তার অফিসের সামনে গ্রাহকদের জড়ো হওয়ার সংবাদে তিনি তাদের সাথে কথা বলে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

ভালুকায় বাসচাপায় বৃদ্ধ নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
নিহত বৃদ্ধ (৮০) /ছবি: বার্তা২৪.কম

নিহত বৃদ্ধ (৮০) /ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় যাত্রীবাহী বাসচাপায় অজ্ঞাত পরিচয়ের এক বৃদ্ধ (৮০) নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ভারাডোবা বাসস্ট্যান্ডে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ময়মনসিংহগামী লেনে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।

ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভারাডোবা বাসস্ট্যান্ডে ময়মনসিংহগামী একটি বাসে উঠার চেষ্টা করছিলেন ওই বৃদ্ধ। ওই সময় তৃতীয় লিঙ্গের (হিজরা) একাধিক ব্যক্তি একই বাসে উঠতে চাইলের বাস হেল্পার তাদের বাধা দেন। এতে, হুড়াহুড়ি লেগে গেলে নিজেকে সামলাতে না পেরে মহাসড়কের উপর পড়ে যান ওই বৃদ্ধ। একই সময় বাসটি ছেড়ে দিলে তিনি বাসের পেছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। খবর পেয়ে ভরাডোবা হাইওয়ে থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হিজরাদের হুড়াহুড়িতে ওই লোকটি পড়ে যান এবং বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিচয় উদঘাটনের চেষ্টা চলছে এবং এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

;

মেয়ের পরকীয়ার বলি মা

১৩ বছর পর সেলিনা খান মজলিস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন পিবিআই’র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন সংক্রান্ত  সংবাদ সম্মেলনে বনজ কুমার মজুমদার, ছবি: বার্তা২৪.কম

হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে বনজ কুমার মজুমদার, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন সম্পর্কের জেরে মাঝে মধ্যেই প্রাক্তন সাংসদ খান মজলিসের বাড়িতে যাতায়াত করতেন আসামি সুবল কুমার রায়। যাতায়াতের এক পর্যায়ে ভিকটিম সেলিনা খান মজলিসের বড় মেয়ে শামীমা খান মজলিসের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন আসামি সুবল। ঘটনা জানাজানি হলে ওই বাড়িতে আসামি সুবলের যাতায়াত বন্ধ করে দেন ভিকটিম সেলিনা খান মজলিস।

এর পরেও অভ্যন্তরীণভাবে তাদের যোগাযোগ এবং যাতায়াত চলতে থাকলে মা সেলিনা খান মজলিস দেখে ফেলেন এবং এবং চিৎকার চেঁচামেচি করলে মাকে থামাতে ছুরিকাঘাত করেন মেয়ে শামীমা খান মজলিস। এরপর মা জীবিত থাকলে মৃত্যু নিশ্চিত করতে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি সুবলের সহায়তায় মাথায় ইলেকট্রিক শকের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় মৃত্যু।

১৩ বছর পর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। রহস্য উদঘাটনের এসব তথ্য জানান পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি পিবিআই হেডকোয়ার্টার্সে আয়োজিত সাভারের সাবেক এমপির শামছুদ্দোহা খান-এর স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ইলেকট্রিশিয়ান সুবল কুমার রায় (৫০), ভিকটিমের নিজ কন্যা শামীমা খান মজলিস ওরপে পপি (৫৭) এবং গৃহকর্মী আরতি সরকার (৬০)। সাভার থানাধীন ভাগলপুর এবং পাকিজা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

বনজ কুমার মজুমদার বলেন, দীর্ঘদিন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন না হলে একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় মামলার তদন্ত কাজ। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মামলা পুনরায় পুনর্জীবিত করতে নির্দেশনা আসে। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করি। তদন্ত শুরু হলে আমরা ভিকটিমের বড় মেয়ে আসামি শামীমা খান মজলিসের পাশাপাশি বাকি দুই মেয়েকেও সন্দেহের তালিকায় রাখি। আমরা খোঁজ নিতে গিয়ে দেখি যে ওই বাসায় কারা কারা আসতেন। জানতে পারি একজন ইলেকট্রিশিয়ান মাঝে মাঝে ওই বাসায় আসতেন। কিন্তু তার বহুদিন ওই বাসায় আসা-যাওয়া নেই। জানতে পারি তিনি বিগত ৩০ বছর ধরে সাভার থানায় ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করছেন। সেই সঙ্গে পাশেই তার একটি বড় মুদির দোকানও আছে।

কিন্তু আমরা তদন্তকালে জানতে পারি তার মধ্যে সুইচ বোর্ডটি ভাঙা এবং দুইটা তার বের করে রাখার একটা বিষয় উঠে আসছিল। এরপর আমরা আসামি ইলেকট্রিশিয়ান সুবল কুমার রায় (৫০) কে নিয়ে আসি।

আমাদের প্রাক্তন সাংসদ খান মজলিস তাকে পছন্দ করতেন তাই আসামি সুবল কুমার রায় মাঝেমধ্যে সেখানে যাতায়াত করতেন এবং বাড়ির ইলেকট্রিকের কাজ করে দিতেন। ১৯৯৮ সাল থেকে সুবল কুমার রায় প্রাক্তন সাংসদের বাড়িতে যাতায়াত করতেন।

আসামি সুবল কুমার রায়কে গ্রেফতারের পর আদালতের জবানবন্দমূলক স্বীকারোক্তিতে জানান, ভিকটিম সেলিমা খান মজলিস (৬৩)’র বড় মেয়ে তার স্বামীকে নিয়ে নিচতলায় বসবাস করতেন। সেখানে তিনি নিয়মিত যাতায়াতের এক পর্যায়ে আসামি শামীমা খান মজলিসের স্বামীর সাথে বিভিন্ন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ২০০১ সালে আসামি সুবল কুমার রায় এবং শামীমা খান পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এই বিষয়টি ২০০৫ সালে জানাজানি হলে তাকে মারধর এবং অপমান করা হলে তিনি বাসা থেকে চলে যান। তাকে আর এই বাসায় আসতে নিষেধ করা হয়। ২০০৮ সালে সুবল কুমার রায় বিয়ে করেন। ২০১১ সাল থেকে তিনি আবার সেই বাসায় যাতায়াত শুরু করেন।

যেদিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে সেদিন ভোরবেলা ফজরের নামাজের সময় ভিকটিম সেলিমা খান মজলিস ছাদে উঠেছিলেন এবং সেখান থেকে দেখতে পান সুবল চুপিচুপি তার বাড়ির দিকে আসছেন। এরপর তিনি এটা দেখে চিৎকার করতে করতে নিচে নামছিলেন। তখন আসামি সুবল এবং শামীমা খান মজলিস মায়ের চিৎকার থামাতে ওপরে যান। মাকে থামানোর জন্য মেয়ে শামীমা খান মজলিস তাকে জাপটে ধরেন এবং পাশে থাকা একটি ফল কাটার চাকু দিয়ে গলার দুই পাশে তিনটি পোচ দেন। এরপর যখন তারা দেখেন তার মা মারা যায়নি জীবিত আছে তখন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি আসামি সুবল ইলেকট্রিক বোর্ড ভেঙে সেখান থেকে দুইটি তার বের করে ভিকটিমের মাথায় ইলেকট্রিক শক দেয় এবং মৃত্যু নিশ্চিত করেন। ঘটনাটি ঘটে রান্না করে। কিন্তু আমরা ভিকটিমকে পেয়েছি বেডরুমে।

তিনি বলেন, জবানবন্দি থেকে জানা যায় যে, বিগত ২০০১ সালের ১৪ জুন তারিখ সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭ টার মধ্যে যেকোন সময় ভিকটিমের বড় মেয়ে শামীমা খান মজলিসের সহায়তায় ভিকটিমের বাসার ডাইনিং রুমে ভিকটিমের গলার দুই পার্শ্বে ফল কাটার ছুরি দিয়ে কেটে মেরে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রতিবন্ধী ছেলে সেতুর কক্ষে খাটের চাদরের ওপরে একটি পুরাতন পত্রিকা বিছিয়ে ভিকটিমের মাথার কাছে দুইটি বালিশ দিয়ে চাপা দিয়ে এবং ঘাড়ের নিচে তোষক দিয়ে শুয়াইয়ে রেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

;

কড়াইল বস্তিতে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত, রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে

ছবি: সংগৃহীত, রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছ। আগুন নির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল কর্মকর্তা শাজাহান সিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

শাজাহান সিকদার বলেন, রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিনির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসের ৬ ইউনিট ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। 

;

শামসুদ্দোহা দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার/ছবি: সংগৃহীত

ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এডিশনাল আইজিপি) ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের অভিযোগ, এ দম্পতি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল সম্পদের মালিক।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করা হয়।

শামসুদ্দোহা দম্পতির বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।

দুদক বলছে, শামসুদ্দোহা দম্পতি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল সম্পদের মালিক। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১ হাজার ২৭ শতক জমি আছে তাদের নামে। দলিলে এসব জমির দাম ৭০ কোটি টাকা দেখানো হলেও আদতে বাজারদর প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। গত ১৮ মার্চ আদালত তার এসব সম্পত্তি জব্দ করার আদেশ দেন। পরদিন তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করলে ওই আদেশ স্থগিত হয়ে যায়।

জাতীয় একটি দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়, শামসুদ্দোহা খন্দকার শুধু গাছেরটা খান না, তলারটাও কুড়ান। চাকরিজীবনে শুধু সম্পদের শিখরে উঠে দমে যাননি; রাজধানীর বনেদি এলাকা গুলশানে অন্তত ২০০ কোটি টাকা দামের সরকারি জমি ও বাড়ি নিজের করে নিতে রকমারি কূটকৌশল চালাচ্ছেন। তার প্রতাপের কাছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কিংবা আবাসন পরিদপ্তরও যেন ‘ঠুঁটো জগন্নাথ’।

শামসুদ্দোহা ২০১১ সালে প্রেষণে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান পদে বসে সীমাছাড়া দুর্নীতিতে জড়ান। এ পটভূমিতে ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা ঠুকে দেয় দুদক। ওই মামলায় স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানাও আসামি। মামলাটি এখনও চলমান। এ ছাড়া তার রয়েছে হরেক রকমের ব্যবসা-বাণিজ্য। তিনি ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির মালিকদের অন্যতম একজন। ২০২১-২২ সালের পরিষদে শামসুদ্দোহা ছিলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান।

২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত শীর্ষ ১১ কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এর মধ্যে শামসুদ্দোহা খন্দকারও ছিলেন।

এ ব্যাপারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রাষ্ট্রীয় ও সরকারিভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকা ব্যক্তির বিরুদ্ধে একের পর এক সীমাহীন বিত্তবৈভবের মালিক হওয়ার অভিযোগ আসছে। এ ধরনের অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিলে অন্যদের কাছে শক্ত বার্তা যাবে। দৃষ্টান্ত স্থাপন করলে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকা দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তির কাছে অন্তত এ বার্তা পৌঁছাবে– এসব অপরাধ করে পার যাওয়া যায় না। বিচার একদিন হবেই। এ বার্তাটা আমাদের সমাজে নেই বললেই চলে।

;