লিবিয়ায় আটকে মুক্তিপণ আদায় চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
লিবিয়ায় আটকে মুক্তিপণ আদায় চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার

লিবিয়ায় আটকে মুক্তিপণ আদায় চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

চাকরি দেওয়ার নামে লিবিয়ায় নিয়ে দুই ভাইকে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতারের পর জিম্মি দুই ভাইকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে বগুড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আকতার একথা জানান।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার শিহিপুর গ্রামের আয়েন উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে পান্নু মিয়া (৩৫) ও একই উপজেলার নওদাবগা গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে শিপলু সরকার (৪০)।

পান্নুর ভাই লিবিয়া প্রবাসী পায়েল অপহণ করে মুক্তিপণ আদায় চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে পুলিশ জানায়।

এর আগে, গত ৮ জুন ওই ঘটনায় জড়িত দুই আসামিকে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া হতে গ্রেফতার এবং জিম্মি হওয়া দুই ভাইয়ের মধ্যে একজনকে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গত ৮ জুন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানায় মানব পাচার দমন ও প্রতিরোধ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন ওই উপজেলার বাসিন্দা রাব্বী খন্দকার। তিনি অভিযোগ করেন, তার দুই ভাই পাপ্পু খন্দকার(২৭) ও সাঈদ খন্দকারকে (২৪) ভালো বেতনে লিবিয়ায় চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেন উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার মোন্তাহা স্টোরের সত্ত্বাধিকারী উজ্জল হোসেন। পরে তার কথা মতো ১১ লাখ টাকা দিয়ে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর পাপ্পু খন্দকারকে এবং চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি সাঈদ খন্দকারকে লিবিয়ায় পাঠিয়ে দেয়। লিবিয়ায় অবস্থানরত উজ্জলের পূর্ব পরিচিত সাব্বির হোসেন ওই দু’জনকে লিবিয়ার হাসপাতালে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা ছিলো। লিবিয়ায় পৌঁছার পর ওই দুই ভাইকে কোন চাকরি না দিয়ে বসিয়ে রাখে সাব্বির। পরে চাকরির ব্যবস্থা হয়েছে বলে গত ২৫ মার্চ তাদের দুই ভাইকে পৃথক দুই শহরে নিয়ে আটকে রাখে। এরপর তাদের মাধ্যমে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

তিনি জানান, ওই ঘটনায় ৮ জুন মামলা দায়েরের পরপরই ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে উজ্জল হোসেন (৩৫) ও সফাত মণ্ডল (৩২) নামের দু’জনকে আটক করে। তাদের আটকের পর সাঈদ খন্দকারকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। গত ২৩ জুন সাঈদকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু ওই চক্রের হাতে আটক অপর ভাইয়ের কোন সন্ধান মিলছিলো না। সম্প্রতি অপহরণকারী চক্র পাপ্পু খন্দকারকে মুক্তি দিতে ৪ লাখ টাকা দাবি করে যোগাযোগ করে। এজন্য তারা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের একটি একাউন্ট নম্বর দেয়। বাদি ওই নম্বরে এক লাখ টাকা নেওয়ার পর অবশিষ্ট টাকা দিতে চাপ দেয় ওই চক্র। তখন পুলিশের পরামর্শে নগদ টাকা দিতে সম্মত হয় পাপ্পুর পরিবার। গত সোমবার সন্ধ্যায় সেই টাকা নিতে এলে পুলিশের হাতে আটক হয় সোনাতলা উপজেলার পান্নু ও শিপলু। তাদের মাধ্যমে যোগাযোগ করে পরে অপহৃত পাপ্পুকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয় বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

তিনি বলেন, দ্রুতই পাপ্পু খন্দকারকে দেশে ফিরিয়ে নিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া পাপ্পুর ভাইয়ের দায়ের করা মামলায় আটক পান্নু ও শিপলুকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

চট্টগ্রামে অনিয়মের অভিযোগে আবারও বন্ধ সেন্ট্রাল সিটি হাসপাতাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশে প্রবর্তক মো‌ড় এলাকায় অব‌স্থিত সেন্ট্রাল সিটি হাসপাতাল আগামী ৮ জুলাই থেকে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

নানা অনিয়মের অভিযোগে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এর আগে বুধবার (৩ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান সিভিল সার্জন বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে হাসপাতালটি সাময়িক বন্ধের নির্দেশনা দেন।

সি‌ভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ই‌লিয়াছ চৌধুরী বলেন, এর আগেও হাসপাতালটির নানা অনিয়ম পাওয়া যায়। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিঠির প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামী ৮ জুলাই থেকে প্রতিষ্ঠানটি সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি এ হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের অন্য হাসপাতালে রেফারের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, চলতি বছরের ৪ মার্চ এ হাসপাতালে সি‌ভিল সার্জন মোহাম্মদ ই‌লিয়াছ চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে একই অভিযোগে এটির কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

সেসময় সি‌ভিল সার্জন মোহাম্মদ ই‌লিয়াছ চৌধুরী জানিয়েছিলেন, নিয়ম অনুযায়ী যে প‌রিমাণ ডাক্তার থাকার কথা সে প‌রিমাণ ডাক্তারের উপ‌স্থি‌তি আমরা দেখতে পাই‌নি। তাদের ল্যাবেও অযোগ্য লোক কাজ করছে। পর্যাপ্ত প‌রিমাণ নার্স নেই। এসব অ‌ভিযোগে সেন্ট্রাল সি‌টি হাসপাতাল নামে এক হাসপাতাল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের অ‌ভিযান অব্যাহত থাকবে।

;

বসন্তপুর নদীবন্দর দ্রুত চালুর আশ্বাস নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
বসন্তপুর নদীবন্দর দ্রুত চালুর আশ্বাস নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর

বসন্তপুর নদীবন্দর দ্রুত চালুর আশ্বাস নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের বসন্তপুর নদীবন্দর দ্রুত চালুর আশ্বাস দিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) বিকালে বসন্তপুর নদীবন্দর পরিদর্শন শেষে সন্ধ্যায় এক সুধি সমাবেশে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এই আশ্বাস দেন।

বসন্তপুর রিভার ড্রাইভ ইকো পার্কে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কথা দিলে কথা রাখেন। তিনি যেহেতু বসন্তপুর নদীবন্দর উদ্বোধন করেছেন, তার মানে এটা হয়ে গেছে। এজন্য ভারতের সাথে কথা ও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং অচিরেই বসন্তপুর নদীবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প শুরু হবে। এই জনপদের বেড়িবাঁধ সংস্কার, সুপেয় পানিসহ জনকল্যাণমুখী কাজ এগিয়ে যাবে দুর্বার গতিতে।

প্রধানমন্ত্রী দেশের কল্যাণে দুই দুইবার ভারত সফর করেছেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরে ট্রেন, বিমান ও নৌ চলাচলের নানা বিষয়ে কথা হয়েছে, পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

ভারত যুদ্ধকালীন সময়ে আমাদের সহযোগিতা করেছিলে, একারণেই আমাদের বন্ধুত্ব অটুট রাখতে চাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাই বলে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিলিয়ে দিয়ে নয়। বরং জামায়াত-বিএনপিই দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে খেলা করে। তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। শেখ হাসিনা যখন আছেন, বাংলাদেশের মাটি মানুষের উন্নয়ন ও উৎপাদন চলমান থাকবে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংসদ সদস্য এসএম আতাউল হক দোলন।

অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আফম রুহুল হক, সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজ আহমেদ স্বপন, সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জামান আশু, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সেজুতি পারভীন লায়লা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য একেএম ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মেহেদী হাসান সুমন, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের বসন্তপুর নদীবন্দর বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক এজাজ আহমেদ স্বপন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ ইকবাল আলম বাবলু, ইউনিয়ন আ. লীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল হোসেন খোকন প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির, পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকী প্রমুখ।

;

ফুলে-ফেঁপে উঠেছে তিস্তা, রংপুরে ৫ হাজার পরিবার পানি বন্দি



আমিনুল ইসলাম জুয়েল,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারি বর্ষণে তিস্তায় পানি বৃদ্ধিতে কয়েক দিনের ব্যবধানে ফের বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে রংপুরের ৩টি উপজেলায় প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। অনেক বাড়ি ঘর ছেড়ে গবাদি পশুসহ উঁচু স্থানে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। বর্তমানে পরিবারগুলোর মাঝে খাদ্যসহ বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সাথে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের তালপট্টি, আলফাজ টারী, নরশিং, হরিণ চরা কোলকোন্দ ইউনিয়নের চর মটুকপুর, চর ছিলাখাল, মধ্য চিলাখাল, লক্ষ্মিটারী ইউনিয়নের চর ইচলি, পশ্চিম ইচলি, চল্লিশসাল ও নোহালী ইউনিয়নের বাগডহরা, মিনার বাজার এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বানভাসি ও বন্যায় ঘর-বাড়ি ভেঙে যাওয়া পরিবারগুলোর দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। গবাদিপশু-পাখি সঙ্গে নিয়ে ঠাঁই নিয়েছেন রাস্তার ধারে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও বিভিন্ন খোলা স্থানে। ভাঙন হুমকিতে থাকায় আগে-ভাগেই অনেক পরিবার তাদের বাড়ি-ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে টিউবওয়েল, রান্নার চুলা, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট। পানিবন্দি পরিবারগুলো দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। এ ছাড়া পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়েছে বাদাম খেত ও আমন ধানের বীজতলাসহ বিভিন্ন শাকসবজির খেত।

চরাঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ায় তলিয়ে গেছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট। মর্ণেয়া ইউনিয়নের আলফাছটারী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙনে গত চারদিনে ওই এলাকায় অন্তত অর্ধশত পরিবারের ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে পানিবন্দি পরিবারগুলোর। ভাঙন আতঙ্কে অনেকে বাড়িঘর-আসবাবপত্র সরিয়ে নিচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, এবার গঙ্গাচড়ায় তিস্তায় বিলীন হয়েছে শতাধিক পরিবারের ঘর-বাড়ি। কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টি আর ভারতের সিকিম থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফুলে-ফেঁপে উঠেছে তিস্তা নদী। এতে রংপুরের গঙ্গাচড়ার চারটি ইউনিয়নের প্রায় ১০০টি পরিবারের ঘর-বাড়ি তিস্তায় বিলীন হয়েছে। ২৫০ টিরও বেশি পরিবার ভাঙন আতঙ্কে তাদের ঘর-বাড়ি সরিয়ে নিয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে গঙ্গাচড়া উপজেলার প্রায় ৫ হাজার পরিবার।

মর্ণেয়া ইউনিয়নের বানভাসী আফসার আলী (৪৮) বলেন, ১০ দিন থাকি পানিবন্দি হয়্যা (হয়ে) আছি। হামার চেয়ারম্যান, মেম্বার, সরকারি লোক কায়ো (কেউ) একনা (একবার) দেখপার আইসে নাই (দেখতে আসেনি)।

কোলকোন্দ ইউনিয়নের খালেদা বেগম জানান, নদী থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে হামার বাড়িটি আছিলো। বুধবার রাতে রান্নাঘরসহ তিনটি ঘর নিমেষেই তিস্তার গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

এদিকে মর্ণেয়া ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান জানান, গত কয়েকদিনে তার ইউনিয়নে অর্ধশত পরিবারের বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এক হাজারের বেশি পরিবার।

গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না বলেন, ‘আমাদের কাছে তিস্তার ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়া মর্ণেয়া ইউনিয়নের এখন পর্যন্ত ২০টি পরিবারের তালিকা আছে। আমরা আরও খোঁজখবর নিয়ে তালিকা করছি। তবে ভাঙন হুমকিতে থাকায় কোলকোন্দ, নোহালী, মর্ণেয়া, লক্ষ্মিটারী ইউনিয়নের প্রায় দুইশ ৫০টির মতো পরিবার তাদের বাড়ি-ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে।

তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, অসময়ের বন্যা ও ভাঙনে প্রতি বছর এক লাখ কোটি টাকার সম্পদ তিস্তার গর্ভে চলে যায়। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য নদীখনন, সংরক্ষণ ও তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা ছাড়া বিকল্প নেই।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশের উত্তরাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন উজানে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এসময় তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেয়ে কতিপয় পয়েন্টে স্বল্পমেয়াদে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মাহবুব রহমান বলেন, প্রবল বর্ষণ আর উজানের ঢলে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তিস্তায় পানি বাড়া-কমায় গঙ্গাচড়ায় কিছু স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

ছেলের বিয়েতে ৫০০ টাকা করে দিতে অধ্যক্ষের নোটিশ!



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের প্রধান ফটক।

সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের প্রধান ফটক।

  • Font increase
  • Font Decrease

ছেলের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কর্মচারীদের দাওয়াত দিয়ে বাধ্যতামূলক ৫০০ টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মোহসীন কবীর!

বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) কলেজের প্রধান সহকারী মামুনের স্বাক্ষর করা একটি নোটিশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে সমালোচনায় মেতেছেন নেটিজেনরা।

২৪ জুনের সেই নোটিশে বলা হয়েছে, 'কলেজের সব কর্মচারীর জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১২ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় নগরীর বেইলি রোডে অফিসার্স ক্লাবে অধ্যক্ষের ছেলের বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত আয়োজনে আপনি নিমন্ত্রিত।'

আরও উল্লেখ রয়েছে, 'অনুষ্ঠান উপলক্ষে সব কর্মচারীকে শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে বাধ্যতামূলকভাবে ৫০০ টাকা কলেজের ক্যাশ সরকার মো. আবুল হোসেনের কাছে ৫ জুলাইয়ের মধ্যে জমাদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।'

ফেসবুকে এমন নোটিশ দেখে জাকির হোসাইন নামের একজন লিখেন, ‘স্মার্ট চাঁদাবাজির নমুনা সত্যিই নিদারুণ; এই মুহূর্ত থেকে নিজেকে সত্যি স্মার্ট দেশের নাগরিক মনে হচ্ছে!’

বিয়ের দাওয়াতে যেতে টাকা দেওয়ার নোটিশের বিষয়ে প্রধান সহকারী মামুনের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কর্মচারীদের দাওয়াত দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও টাকা নেয়ার এমন তথ্য জানতেন না বলেছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহসীন কবীর।

তিনি বলেন, ছেলের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কলেজ সংশ্লিষ্ট অনেক অতিথিকে কার্ড এবং মুখে দাওয়াত দিয়েছি। সবাইকে খালি হাতে আসার অনুরোধ করেছি।’

তবে যে বা যারা টাকা নেওয়ার নোটিশ দিয়েছেন, তাদের কারণ দর্শনোর নোটিশ দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অধ্যক্ষ।

;