সাতক্ষীরায় উচ্ছেদকৃত ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের দাবিতে মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের দাবিতে মানববন্ধন/ছবি: বার্তা২৪.কম

ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের দাবিতে মানববন্ধন/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরায় সড়কের পাশ থেকে উচ্ছেদকৃত অসহায় ভূমিহীন পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (০৩ জুলাই) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি, বারসিক এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিম এর আয়োজনে এ মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা উচ্ছেদকৃত ভূমিহীন পরিবারগুলোর দুর্দশার কথা তুলে ধরে বলেন, পরিবারগুলো বসতঘর হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। খোলা মাঠে পলিথিন টানিয়ে দিন-রাত কাটছে তাদের। কারো ঘরে চুলা জ্বলেনি গত দুইদিন। অনাহারে, অর্ধাহারে দিন কাটছে তাদের। নারীরা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জায়গাও পাচ্ছে না। বৃষ্টির মধ্যে শিশুদের কোলে জড়িয়ে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করছে পরিবারগুলো।

বক্তারা আরও বলেন, ৪০-৫০ বছর আগে এসব পরিবার জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নানা কারণে ভিটে-মাটি হারিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা, বাঙালের মোড় এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় খুপড়ি ঘর বেধে বসবাস শুরু করেন। কেউ ভ্যান-রিকশঅ চালায়, কেউ জোগাড়ি দেয়, কেউ দিনমজুরের কাজ করে। কেউ স্বামী পরিত্যাক্তা, কেউ বিধবা, কেউবা প্রতিবন্ধী। তাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই বলেই তারা খোলা আকাশের নিচে পলিথিন টানিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

তারা অভিযোগ করে বলেন, সংশ্লিষ্টরা সরকারকে প্রকৃত তথ্য সরবরাহ না করায় আজ পরিবারগুলো পথে বসেছে। শুধু ইটাগাছা বস্তি নয়, এমন হাজারো পরিবার এখনো সাতক্ষীরা জেলায় রয়েছে, যারা ভূমিহীন। যাদের থাকায় নিরাপদ জায়গা নেই। রাস্তার পাশে খুপড়ি ঘর বেধে জীবনযাপন করছেন। কিন্তু তাদের কথা বিবেচনায় না নিয়েই সাতক্ষীরাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে ফেসবুকে অনেকে ট্রলও করেন। এতে সরকারের ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার মহৎ উদ্যোগ ম্লান হচ্ছে। তাই অবিলম্বে উচ্ছেদ হওয়া ভূমিহীন অসহায় মানুষকে পুনর্বাসন করতে হবে।

মানববন্ধনে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক আজাদ হোসেন বেলালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, সিপিবির আবুল হোসেন, বাংলাদেশ জাসদের ইদ্রিস আলী, গণফোরামের আলী নুর খান বাবুল, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মুনসুর রহমান, ভূমিহীন নেতা আব্দুস সামাদ, প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের আব্দুস সামাদ, শিক্ষা সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের মুশফিকুর রহিম, উচ্ছেদ হওয়া প্রতিবন্ধী হাফিজা খাতুন, জবেদা খাতুন প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়ক উন্নয়নের লক্ষ্যে ০১ জুলাই থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এতে ইটাগাছা-বাকাল এলাকার শতাধিক অসহায় ও দরিদ্র পরিবার তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাদের দিন কাটছে খোলা আকাশের নিচে।

নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিটিশ লেবার পার্টির নেতা স্যার কেয়ার স্টারমারকে নির্বাচনে তার দলের ঐতিহাসিক বিজয়লাভ এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।

লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন এই চিঠিটি যুক্তরাজ্যের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছে।

তিনি যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছেন, "এই দ্ব্যর্থহীন ম্যান্ডেট আপনার দেশকে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি জোরদার করার জন্য আপনার নেতৃত্বের প্রতি ব্রিটিশ জনগণের আস্থার সুস্পষ্ট প্রতিফলন।"

এ উপলক্ষে শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় লেবার পার্টি ও দলের আইকনিক নেতা স্যার হ্যারল্ড উইলসন, টমাস উইলিয়ামস সিকে ও লর্ড পিটার শোরের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার দল আওয়ামী লীগের স্থায়ী বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেন যা প্রকৃতপক্ষে দুই দেশের গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রগতিশীল আকাঙ্খার অভিন্ন মূল্যবোধের উপর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ককে সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর গড়ে তুলেছে।

তিনি বলেন, "আমার সরকার আমাদের দুই কমনওয়েলথ দেশের পারস্পরিক স্বার্থে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, জলবায়ু ও কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করার জন্য আপনার সক্ষম স্টুয়ার্ডশিপের অধীনে লেবার পার্টি সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য উন্মুখ।"

তিনি আরো বলেন, "সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, একসাথে আমরা আমাদের দুই দেশের কল্যাণে ৭ লাখের বেশি প্রাণবন্ত ও উদ্যোগী বাংলাদেশী-ব্রিটিশ প্রবাসীদের অমূল্য অবদানকে কাজে লাগানোর প্রয়াস চালিয়ে যাব।"

তিনি যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকালে তার সুস্বাস্থ্য, সুখ ও সাফল্য এবং যুক্তরাজ্যের বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

সূত্র: বাসস 

;

'কানেক্টিভিটি'র মর্ম বিএনপি বোঝে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
'কানেক্টিভিটি'র মর্ম বিএনপি বোঝে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

'কানেক্টিভিটি'র মর্ম বিএনপি বোঝে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির নেত্রী বলেছিলেন সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হলে দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হবে, সেই বিএনপি কানেক্টিভিটির মর্ম বোঝার কথা নয়।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

ভারতের সাথে কানেক্টিভিটি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর নিয়ে বিএনপির সমালোচনাকে অবান্তর বর্ণনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ইউরোপে কোনো সীমান্ত চৌকি নেই। সেখানে কি দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব নষ্ট হয়ে গেছে? ভারতের ওপর দিয়ে আমরা নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করছি, এতে কি ভারতের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হয়ে গেছে? আমরা কানেক্টিভিটি বাড়ানোর জন্য ভারতের সাথে বিভিন্ন সমঝোতা করেছি। নেপালের সাথেও কানেক্টিভিটি হবে।

তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সাথেও অর্থাৎ আমরা 'রিজিওনাল কানেক্টিভিটি'র বাড়ানোর মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি, এই কানেক্টিভিটির মর্ম বিএনপি বোঝে না, বোঝার কথাও নয়।

দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের বুকে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। আমদের মূল শক্তি হচ্ছে দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ও জননেত্রী শেখ হাসিনা। জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি, সাহসিকতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিচক্ষণতা, সমস্ত সংকটে অবিচল থেকে সেটিকে মোকাবিলা করা, সমস্ত প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নেতৃত্বের ক্ষমতা, দলীয় ঐক্য এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রতি তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের অগাধ আস্থা, বিশ্বাস, সমর্থন এবং তাদের মেধা-শ্রম-ঘামের কারণেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পরপর চারবার এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর পাঁচবার রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছি।

পরপর চারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার কারণে কিছু নেতা-কর্মীদের মধ্যে যে আলস্য এসেছে, তা ঝেড়ে ফেলতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পশ্চিমবাংলায় বামফ্রন্ট ৩৪ বছর ক্ষমতায় ছিল এবং এর সবচেয়ে বড় কারণ, সংগঠন শক্তিশালী ছিল।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের পর বিএনপি-জামাত অপশক্তি ও তাদের সাথে যুক্ত আন্তর্জাতিক চক্র উন্মুখ হয়ে বসেছিল যে সরকার আন্তর্জাতিকভাবে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হয়। এ পর্যন্ত ৮১টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান, প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী এবং জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ, ওআইসি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কমিশনসহ ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা শেখ হাসিনাকে পরপর চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পরপর চতুর্থবার নির্বাচিত শেখ হাসিনার সরকারের সাথে কাজের অভিপ্রায় ব্যক্ত করে চিঠি লিখেছেন।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খান এমপির সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় সদস্য এ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, এ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি প্রমুখ বক্তব্য দেন।

;

কোটা ইস্যু: ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে জাবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখাসহ ৪ দফা দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। এর আগে টানা চারদিন মহাসড়কে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকাল ৪টায় মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে একটি বিক্ষোভ-মিছিল বের করে শহীদ মিনার প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা আরিচা মহাসড়কে গিয়ে শেষ হয়।

শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবিত ৪ দফা দাবিসমূহ হচ্ছে- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে; ১৮' এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে; দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যেকোটা ব্যবস্থার সমালোচনা করেন। এছাড়া কোটার মাধ্যমে বৈষম্য তৈরি হচ্ছে বলে তাদের মতামত তুলে ধরেন। এসময় হাইকোর্টে শুনানির তারিখ পেছানো এবং প্রধান বিচারপতির ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের করা মন্তব্যের সমালোচনা করেন শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মেহের আফরোজ শাওলী বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি সবোর্চ্চ আদালত তার ক্ষমতাকে ব্যবহার করে আমাদের উপর নিপীড়ন করছে। ওবায়দুল কাদের বলছে এই আন্দোলনে জামাত-শিবির ভর করেছে। আমাদের ন্যায়ের আন্দোলনকে প্রতিহত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা এদেশের ক্ষমতাসীন চক্র করে যাচ্ছে। আমরা এতে পরাস্ত হবো না। কারণ আমরা এদেশের মানুষ। এটি আমাদের অধিকার।

গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী স্বপন মাহমুদ বলেন, আমরা চাইনা আন্দোলন দীর্ঘায়িত হোক। ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল করে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করা হোক। একটি মেধা ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে কোটা বাদ দেয়া একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করি।

কোটা বিরোধী আন্দোলন গণমানুষের আন্দোলন মন্তব্য করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য-সচিব মাহফুজ ইসলাম মেঘ বলেন, আমাদের আন্দোলন গণ মানুষের আন্দোলন। এখানে কোনো নির্দিষ্ট দলের শিক্ষার্থীরা আসেনি। যারা এসেছে সবাই সাধারণ শিক্ষার্থী। যারা আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে চান তাদের বলছি, স্বাধীনতার চেতনা আমাদের শিখাইতে আইসেন না। যদি আজ মুক্তিযুদ্ধ হইতো এখানে যারা আছে তারাই যুদ্ধ করতে আসতো।

মানববন্ধন শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরিফ সোহেল পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে বলেন, শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে গিয়ে গণসংযোগ করা হবে। এছাড়া রবিবার বিকেল ৩টা থেকে পুনরায় মহাসড়ক অবরোধ করা হবে।

;

‘পদ্মা সেতু নির্মাণে অনেক ঝড়ঝাপটা পার করতে হয়েছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌজন্য: ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌজন্য: ফোকাস বাংলা

  • Font increase
  • Font Decrease

পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে অনেক ঝড়ঝাপটা পার করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৫ জুলাই) পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি একথা বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক ঝড়ঝাপটা পার করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে হয়েছে। সাধারণত কোনো প্রকল্প শেষ হলে সেই শেষ হওয়ার অনুষ্ঠান হয় না। কখনো করা হয় না, শেষ হয়ে যায়। তবে পদ্মা সেতু অনেক ঝড় ঝাপটা পার করে, অনেক বাধা অতিক্রম করে নির্মাণ করতে হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এতে সভাপতিত্ব করেন।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মনজুর হোসেন। প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই পদ্মা সেতুর থিমসং প্রচার করা হয়। এছাড়া পদ্মা সেতুর ওপর একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হয়। সুধী সমাবেশে সেতুমন্ত্রীর ও সেতু মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন, সেতু বিভাগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলামসহ অনেকে।

;