রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, নৈশ প্রহরী নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।

  • Font increase
  • Font Decrease

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘আধিপত্য বিস্তারের জেরে’ সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা ও আরএসও’র মধ্যে গোলাগুলিতে এক নৈশ প্রহরী নিহত এবং দু’জন আহত হয়েছে।

সোমবার (০১ জুলাই) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের হাকিমপাড়া ১৪ নম্বর ক্যাম্পের ই-৩ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি ) মো. আমির জাফর।

নিহত মো. সলিম (৩০) উখিয়ার ১৪ নম্বর হাকিমপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-৩ ব্লকের মো. মকবুলের ছেলে।

আহতরা হলেন, একই ক্যাম্পের মো. আলমের ছেলে মো. ইউনুস এবং আরিফ উল্লাহর ছেলে সবি উল্লাহ। হতাহতরা তিনজন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নৈশ প্রহরী হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।

স্থানীয়দের বরাতে মো. আমির জাফর বলেন, সোমবার মধ্যরাতে উখিয়ার হাকিম পাড়া ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-৩ ব্লকের বালুর মাঠ এলাকায় মিয়ানমারের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা ও আরএসও’র মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ঘটনাস্থল থেকে একজনকে মৃত এবং দু’জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

আহতদের উদ্ধার করে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান এডিআইজি।

আমির জাফর জানান, পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে আধিপত্য বিস্তারের জেরে রোহিঙ্গাদের দুই সন্ত্রাসী দলের মধ্যে সংঘর্ষে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় জড়িতদের চিহিৃত করে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতির আশঙ্কা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা

ছবি: সংগৃহীত, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বন্যার পরিস্থিতি আরো অবনতি হবে বলে জানা গেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলার ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদনদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যার পরিস্থিতি আরো অবনতি হতে পারে এবং টাঙ্গাইল জেলার কিছু পয়েন্টে পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

এ ছাড়া ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদী-নদীগুলির পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

পূর্বাভাসে বলা হয়, কুশিয়ারা ব্যতীত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য প্রধান প্রধান নদীগুলির পানি সমতল সার্বিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়া সংস্থাগুলির তথ্য অনুযায়ী বলা হয়, দেশের উত্তরাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলেরর সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও ঘাঘট নদীগুলির পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। এর ফলে তিস্তা ও দুধকুমার নদীগুলির পানি সমতল কিছু পয়েন্টে স্বল্পমেয়াদে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এবং সেইসঙ্গে ধরলা ও ঘাঘট নদীসংলগ্ন কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধা জেলার কিছু নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা অবনতি হতে পারে।

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যমুনাশ্বরী, করতোয়া, বাঙ্গালী, আপার করতোয়া, পুনর্ভবা, টাঙ্গন, ইছামতি-যমুনা, আত্রাই, মহানন্দা এবং ছোট যমুনার নদীগুলির পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।

;

থানচিতে নৌকা ডুবির তিনদিন পরও ২ শিক্ষার্থীর সন্ধান মেলেনি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
সাঙ্গু নদীতে ফায়ার সার্ভিস, ডুবুরি দলের উদ্ধার কার্যক্রম/ছবি: বার্তা২৪.কম

সাঙ্গু নদীতে ফায়ার সার্ভিস, ডুবুরি দলের উদ্ধার কার্যক্রম/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের থানচিতে নৌকা ডুবির ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজের ৭২ ঘণ্টা পার হলেও এখনো তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

বুধবার (০২ জুলাই) ঘটনার পর থেকে সাঙ্গু নদীতে ফায়ার সার্ভিস, ডুবুরি দল উদ্ধার কার্যক্রম চালালেও শিক্ষার্থীদের সন্ধান মেলেনি।

থানচি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা অরুন জ্যেতি বড়ুয়া জানান, গতকাল সারাদিন শিক্ষার্থীদের উদ্ধার অভিযান চালানো হয়েছে। তবে ৭২ ঘণ্টা পার হলেও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এখনও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও জানান, নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ সাঙ্গু নদীতে থাকলে ৪৮ ঘন্টা পার হলে ভেসে উঠার কথা। তবে সাঙ্গু নদীতে এখন যে পরিমাণ পানি এবং স্রোত রয়েছে, আমাদের ধারণা এতোক্ষণে নিখোঁজরা ভাঁটির দিক হয়ে সমুদ্রে চলে গেছে। তাই হয়তো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

থানচি সদর থেকে তিন্দু পদ্মঝিরি দূরত্ব ১৩ কিলোমিটার। এলাকাটি দুর্গম ও নেটওয়ার্ক বিহীন।

জানা যায়, সোমবার (০২ জুলাই) সকালে কয়েকজন শিক্ষার্থী নৌকা যোগে হরিসচন্দ্র পাড়া থেকে রুনাধন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দিকে যাওয়ার পথে তিন্দু ইউনিয়নের পদ্মঝিরি এলাকায় পৌঁছালে পানি স্রোতে নৌকাটি ডুবে যায়। অন্যান্য শিক্ষার্থীরা সাতার কেটে প্রাণ রক্ষা করতে পারলেও শান্তি রানী ত্রিপুরা (১০) ও ফুলবানু ত্রিপুরা (৯) দুই শিক্ষার্থীর পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়ে যায়। এরপর উদ্ধারের চালালেও এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

তিন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভাগ্যচন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, গতকাল ফায়ার সার্ভিস, ডুবুরি দল ও এলাকাবাসী যৌথভাবে নদীতে খোঁজখুজি চালিয়েছে। তবুও শিক্ষার্থীদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজকে আবার উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

;

মৃত্যুর আগেই চল্লিশা, ৫ শতাধিক গ্রামবাসীকে খাওয়ালেন মারফত আলী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
বৃদ্ধ মারফত আলী (৭০)/ছবি: সংগৃহীত

বৃদ্ধ মারফত আলী (৭০)/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রাম-বাংলার রীতি অনুযায়ী কেউ মারা গেলে চল্লিশ দিন পরে চল্লিশা মেজবানীর আয়োজন করে জানাজায় শরীক হওয়া মুসল্লি, দরিদ্র অসহায় ও আত্মীয়-স্বজনদের দাওয়াত করে খাওয়ার ব্যবস্থা করে। এতে মৃত ব্যক্তির আত্মা শান্তি পায় বলে জনশ্রুতি আছে। কিন্তু এর ব্যতিক্রম ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর ইউনিয়নে। ওই গ্রামের বৃদ্ধ মারফত আলী (৭০) জীবিত অবস্থাতেই গ্রামবাসী ও আত্মীয় স্বজনদের দাওয়াত করে চল্লিশার আয়োজন করেন। এমন ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেলে বড়হিত ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মারফত আলী ওই এলাকার মৃত উসন আলীর ছেলে।

এর আগে গত সোমবার (১ জুলাই) উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামে বৃদ্ধ মারফত আলী মারা যাওয়ার আগেই অগ্রিম চল্লিশার আয়োজন করে প্রায় ৫ শতাধিক গ্রামবাসীকে গরু-খাসি ছাড়াও পায়েশ খাইয়েছেন।

স্থানীয়রা জানায়, মারফত আলী দুই বিয়ে করে বেশ সুখেই দিন কাটাচ্ছেন। দুই সংসারে রয়েছে ৩ মেয়ে ও ৬ ছেলে। এলাকায় বিত্তশালী কৃষক হিসাবে ব্যাপক পরিচিত তিনি। মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেরা কেউ বিয়ে করে আলাদা আবার কেউবা লেখাপড়া করছেন।

যার যার মতোই ব্যস্ত থাকে। এ অবস্থায় মারফত আলী চিন্তাভাবনা করছেন নিজের জমিজমা ভাগ বাটোয়ারা করে দিয়ে দেবেন। এরপর অপেক্ষা পরপারে চলে যাওয়ার। এর মধ্যে মাথায় আসে তিনি মারা গেলে সন্তানরা যদি চল্লিশা না করে। এই জন্য তিনি নিজ সিদ্ধান্ত নিজের চল্লিশা জীবিত অবস্থাতেই করে যেতে মনস্থির করেন।

 মারফত আলীর দাওয়াতে এসেছেন গ্রামবাসী।

পরে ঘটনাটি নিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বললে তাদের সম্মতিতেই আয়োজন করেন মেজবানি বা চল্লিশার। এই জন্য তিনি বেশ কয়েকদিন সময় নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে লোকজনকে দাওয়াত দেন। গত সোমবার দুপুরের পর থেকেই বাড়ির ভেতরে ডেকোরেটর দিয়ে ত্রিফল টানিয়ে বাবুর্চি দিয়ে রান্না-বান্না করে খাওয়ানো হয় কমপক্ষে ৫ শতাধিক নারী-পুরুষকে।

মারফত আলী জানান, বর্তমানে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। নামাজ ছাড়া এখন তেমন কোনো কাজকর্ম করেন না। চল্লিশার জন্য এক লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গরু, ২০ হাজার টাকার খাসি, মুরগি ছাড়াও রয়েছে পায়েশ। পায়ে হেঁটে গ্রামের সব বাড়িতে গিয়ে দাওয়াত দিয়েছি। আমার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সবাই চল্লিশায় অংশগ্রহণ করেছে। এখন আমি মরেও শান্তি পাব।

দাওয়াত খেতে আসা আব্দুল কদ্দুস বলেন, এই রকম দাওয়াতে তারা অনেক দিন পর গেছেন। তবে, জীবিত ব্যক্তি নিজের চল্লিশার আয়োজন করেছেন তা ব্যতিক্রম ঘটনা। তৃপ্তি সহকারে আমরা খেয়েছি।

রশীদ মিয়া নামে একজন বলেন, আগত সবার জন্য তৃপ্তি সহকারে খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন মারফত আলী। আল্লাহ তার মনভাসনা পুর্ণ করুক।

মারফত আলীর ছেলে সুজন বলেন, বাবার ইচ্ছা তিনি জীবিত থেকেই এই মেজবানী বা চল্লিশা করবেন। তাই আমাদেরও সম্মতি ছিল।

মেয়ে রেনুয়ারা বলেন, বাবার একটা সন্দেহ দূর করতেই এই আয়োজনে সবার সম্মতি ছিল। এতে তাদেরও ভালো লাগছে।

মারফত আলী জানান, মহান আল্লাহ তাআলা আমাকে অনেক সুখে শান্তিতে রেখেছেন। মালিক আমাকে যে পরিমাণ ধনসম্পদ দিয়েছেন তাতে আমি সন্তুষ্ট। আমার দুই সংসারে ছয় সন্তান রয়েছে। কিন্তু আমার মৃত্যুর পর সন্তানেরা যে গ্রামের মানুষকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়াবে তার কোনো নিশ্চয়তা আছে? তাই আমি জীবিত থাকতে এই আয়োজন করেছি।

স্থানীয় মসজিদের ইমাম মওলানা আবুল কাশেম জানান, মারা যাওয়ার পর চল্লিশার আয়োজন এভাবে করার কোনো নিয়ম নেই। গরিব ও অসহায়দের আপ্যায়ন করা যেতে পারে। কিন্তু জীবিত থেকে ব্যাপক দাওয়াত দিয়ে যে কাণ্ড মারফত আলী করেছেন তা সম্পূর্ণ ইসলাম পরিপন্থী।

;

এডিসের লার্ভা পাওয়ায় স্কয়ার হাসপাতালসহ ৯ স্থাপনাকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
স্কয়ার হাসপাতালের নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান

স্কয়ার হাসপাতালের নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান

  • Font increase
  • Font Decrease

এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় স্কয়ার হাসপাতালসহ ৯টি স্থাপনাকে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) ভ্রাম্যমাণ আদালত। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ ও এডিস মশার প্রজননস্থল নিধনে করপোরেশন পরিচালিত ৭টি ভ্রাম্যমাণ আদালত এই জরিমানা করে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) করপোরেশনের কামরাঙ্গীরচর, পান্থপথ, নারিন্দা, স্বামীবাগ, করাতিয়া রোড, সারুলিয়া, ডেমরা, রানীমহল, নন্দিপাড়া এম ব্লক, বনশ্রী, খিঁলগাও এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এক নম্বর অঞ্চলে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পান্থপথ এলাকায় অবস্থিত স্কয়ার হাসপাতালের জন্য নির্মাণাধীন একটি ভবনের ৪র্থ তলার বেজমেন্টে মশার লার্ভা পাওয়ায় করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ টি এম মোর্শেদ হাসপাতালের প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। স্কয়ার হাসপাতালের নির্মাণাধীন ভবনটি ইউনিয়ন ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজিস লিমিটেড কর্তৃক নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও অঞ্চল-১ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও ৪৪টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন।

তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান আশিক ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের কামরাঙ্গীরচরের নূরবাগ এলাকায় ৫৮টি বাসাবাড়ি ও ৬ কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় তৈজসপত্র প্রস্তুতকারী ১টি কারখানায় ৬টি পাত্রে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করেন।

চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ইমামগঞ্জ আশপাশ এলাকায় ১১০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করে ২টি বাড়িতে লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমির হামজা ০৫ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের নারিন্দা, স্বামিবাগ, করাতিয়া রোড এলাকায় ৮৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করে ৩টি স্থাপনায় লার্ভা পাওয়ায় ৩ মামলায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

ছয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদুর রহমান ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দিপাড়া এম ব্লক, বনশ্রী, খিঁলগাও এলাকায় ৪৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করে ১টি বাড়িতে লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

আট নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পংকজ চন্দ্র দেবনাথ ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের সারুলিয়া, ডেমরা, রানীমহল এলাকায় ৪৬টি বাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করে কোন লার্ভা পাওয়া যায় নি।

নয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ শামসুল আরেফীন ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাতুয়াইল, শরিফপাড়া, যাত্রাবাড়ীর এলাকায় ৬০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করে ৯টি বাসা বাড়ি ও স্থাপনায় লার্ভা পাওয়ায় ১ টি মামলায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

বৃহস্পতিবারের অভিযানে সর্বমোট ৪৫৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ৯টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ৯টি মামলায় সর্বমোট ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

;