ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটন করলো পিবিআই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪, ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে নেমে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পিবিআই

ছবি: বার্তা২৪, ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে নেমে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পিবিআই

  • Font increase
  • Font Decrease

৮ মাসের চেষ্টার পর ক্লুলেস একটি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

জানা গেছে, মাদক ও অনলাইনে জুয়ার টাকা জোগাড় করতে পরিকল্পনা করা হয় ছিনতাইয়ের। এরপর ছিনতাইয়ে বাধার মুখোমুখি হতে হবে না এমন একজনকে নির্বাচন করে আসামিরা।

তারপর বন্ধুরা মিলে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে নির্দিষ্ট সময়ে নির্জন স্থানে ডেকে নেওয়া হয় ভিকটিমকে। বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে হত্যার উপযুক্ত স্থান খুঁজে হত্যা করা হয় ১৮ বছর বয়েসি তরুণ রবিউল ইসলামকে। ছিনিয়ে নেওয়া হয় তার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি।

এ  হত্যায় সরাসরি জড়িত ৩ জন আসামির ২ জনকে এবং বিক্রি চক্র ও রং পরিবর্তন চক্রের ৫ জনসহ মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)।এ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ১ জন এখনো পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।

বুধবার (৩ জুলা্ই) রাজধানীর ধানমণ্ডির পিবিআই হেডকোয়ার্টার্সে আয়োজিত ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নরসিংদী জেলার পিবিআই পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মো.এনায়েত হোসেন মান্নান।

গ্রেফতাররা হলেন, নাহিদ শেখ (২২), মো. হুমায়ুন (৪০), মো. লিটন খান (৪৫), জুবায়ের হাসান অমি (১৯), শাজিদুল ইসলাম হাসিব (১৯), রাকিবুল (২০) ও জুয়েল (২০)।

ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরে মো.এনায়েত হোসেন মান্নান বলেন, ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর সকালে জানা যায় যে, নরসিংদী জেলার শিবপুর থানা এলাকার সাতপাইকা পাকা রাস্তার পাশে ধানক্ষেতে অজ্ঞাতপরিচয় এক কিশোরের গলাকাটা মরদেহ পড়ে রয়েছে।

খবর পেয়ে নরসিংদী জেলার পিবিআই ও ক্রাইমসিন টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরপর তথ্যপ্রযুক্তি ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ভিকটিমের পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

পরবর্তীতে ভিকটিম রবিউল ইসলামের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। গুরুত্ব বিবেচনায় মামলাটি নরসিংদীর পিবিআই গ্রহণ করে। তদন্তকালে ঘটনার সম্ভাব্য কারণ, ঘটনার প্রকৃতি এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সম্ভাব্য আসামিদের শনাক্ত করার বিষয়ে নানান তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। 

ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে নেমে পিবিআই জানতে পারে যে, নেশার টাকার জোগাড় করতে এই অটোরিকশাটি ছিনতাই করা হয়, ছবি- বার্তা২৪.কম


জানা যায় যে, ভিকটিম একজন অটোরিকশা চালক। আসামিরা নেশার টাকা জোগাড় করতে ভিকটিম রবিউল ইসলামকে হত্যা করে তার ভাড়া করা অটোরিকশাটি নিয়ে যায়। ভিকটিম কোনো মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন না। ঘটনাস্থল থেকে সম্ভাব্য যেসব দিকে ছিনতাই করা অটোরিকশাটি নিয়ে যেতে পারে, অনুমান করে সম্ভাব্য ও সন্দেহজনক কিছু অটো গ্যারেজের প্রতি নজরদারি বাড়ানো হয়।

ঘটনার কোনো ক্লু না থাকায় শিবপুর অঞ্চলে যাদের চোরাই অটো বাইক/গাড়ি কেনাবেচার দুর্নাম রয়েছে, তাদের যাচাই করার পর সন্দেহভাজন আসামি রাকিবুলকে (২০) গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে রাকিবুল ঘটনায় সংশ্লিষ্ট অটোরিকশাটি নাহিদের মাধ্যমে বিক্রিতে সহায়তা করেছে বলে জানা যায়। কিন্তু হত্যার বিষয়ে কোনো কথা স্বীকার করেনি সে। রাকিবুলের দেওয়া তথ্যমতে, মো. নাহিদ শেখকে (২২) গ্রেফতার করা হয়।

নাহিদ অটোরিকশাটি বিক্রির কথা স্বীকার করে এবং যে গ্যারেজে বেচাকেনা হয়েছে, তা দূর থেকে শনাক্ত করে দেয়।

এরপর শিবপুর কলেজ গেট এলাকায় এধরনের একটি অটোরিকশা দেখেছে বলে সোর্স জানালে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ওই সব এলাকার একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে অটোচালককে শনাক্ত করে মো. হুমায়ুনকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়।

তার দেওয়া তথ্যমতে, হত্যাকাণ্ডের পরে ছিনতাই করা অটোরিকশাটি গ্যারেজ মালিক আসামি মো. লিটন খাঁনের (৪৫) গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করা হয়।

ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের বর্ণনা দিচ্ছেন পিবিআই কর্মকর্তারা, ছবি- বার্তা২৪.কম


পুলিশ সুপার মো.এনায়েত হোসেন মান্নান বলেন, জানা যায়, অটোরিকশাটি যাতে কেউ চিনতে না পারেন, সে কারণে এর রং ও কিছু পার্টস পরিবর্তন করা হয় এবং তা গ্যারেজ মালিক মো. লিটন খাঁনের কাছে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়

পরে আসামি নাহিদকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসময় যারা নাহিদের কাছে ছিনতাই করা অটোরিকশাটি নিয়ে এসেছিল তাদের নাম জানা যায়।

তিনি বলেন, হত্যার পর আসামিরা গা ঢাকা দেয়। মামলার ঘটনার তদন্তে তদন্তকারী একাধিক টিম নরসিংদী, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ভৈরব, কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

তিনি আরো বলেন, হত্যাকারী ২ জনসহ অটোরিকশা কেনাবেচা, রং ও মডেল পরিবর্তন ও সংরক্ষণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মোট ৫ জন আসাম নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

তাদের দেওয়া তথ্যমতে জানা যায় যে, ভিকটিম রবিউল হত্যাকাণ্ড ও অটোরিকশা ছিনতাইয়ে প্রত্যেক্ষভাবে জড়িত অমি, নিহাল, হাসিব একই সঙ্গে চলাফেরা করতো। তারা নিয়মিত মাদক সেবন করা ছাড়াও অনলাইনে জুয়া খেলতো। একপর্যায়ে আসামিরা মাদক ও জুয়ার টাকা সংগ্রহের জন্য অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। তারা সহজ-সরল অটোচালক ভিকটিম রবিউল ইসলামকে চিনতো এবং তাকে হত্যা করে অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে।

ঘটনার দিন ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর দুপুর ২টার দিকে আসামি অমি, নিহাল, হাসিব শিবপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে ভিকটিম রবিউল ইসলামকে পেয়ে তার অটোরিকশা নিয়ে বিকেল ৪টার দিকে শাজিদুল ইসলাম হাসিবের বাড়ির সামনে থাকতে বলে।

অমি ও নিহাল বিকেল ৪টার আগেই হাসিবের বাড়ির সামনে উপস্থিত হয়। রবিউল ইসলাম বিকেল ৪টার দিকে হাসিবের বাড়ির সামনে এলে অমি, নিহাল, হাসিব ভিকটিম রবিউল ইসলামের অটোরিকশা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে এবং বিভিন্ন জায়গায় আড্ডা দেয়।

একপর্যায়ে শিবপুর থানার সাতপাইকার ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১০ থেকে ১৫ মিনিট আড্ডা দেয়। আড্ডা শেষে বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার কথা বলে আসামিদের দুইজন পেছনে এবং একজন সামনের আসনে চালক রবিউল ইসলামের পাশে বসে।

পরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, গোপনে নিয়ে আসা চাপাতি বের করে এবং আসামি হাসিব ও নেহাল ভিকটিম রবিউলের হাত পা জাপটে ধরে রাখে। এ সময় অমি চাপাতি দিয়ে বেপরোয়াভাবে গলায় কোপাতে থাকে। ঘটনাস্থলেই রবিউলের মৃত্যু নিশ্চিত করে মৃতদেহটি ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশে থাকা ধানক্ষেতে ফেলে দিয়ে অটোরিকশাটি নিয়ে চলে যায়।

পরবর্তীতে রাকিব, নাহিদ, জুয়েল ও হুমায়ুন অটোরিকশাটির রং ও মডেল পরিবর্তন করে লিটন মিয়ার কাছে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়।

মো.এনায়েত হোসেন মান্নান বলেন, আসামি অমির স্বীকারোক্তি মতে নাহিদের চাচাতো ভাই বিশালের বাড়ি থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতিটি উদ্ধার করা হয়েছে। পলাতক আসামি নেহালকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

অটোরিকশা ছিনতাই প্রতিরোধে পরামর্শ পিবিআইয়ের

ভয়ঙ্কর নেশা থেকে জুয়া, ছিনতাই, হত্যা প্রতিরোধে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানান পুলিশ সুপার মো.এনায়েত হোসেন মান্নান। মো.এনায়েত হোসেন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অটোরিকশা ছিনতাই করে চালককে হত্যা করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এজন্য তিনি বেশ কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলি হচ্ছে-

ছিনতাই ও হত্যা প্রতিরোধে-
১. প্রতিটি অটোরিকশার ৩ দিকে গ্রিলের তৈরি গেট নির্মাণ করতে হবে।
২. চালকের পাশে কোনো ধরনের যাত্রী তোলা যাবে না।
৩. প্রয়োজনে গাড়িতে জিপিএস ট্রাকার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে
এবং
৪. এই সমস্ত গাড়িগুলি রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনতে হবে।

'আমি চিকিৎসক হয়ে যদি মন্ত্রী হতে পারি, আপনারাও একদিন প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন'



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তরুণ চিকিৎসকদের দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, 'আপনারা আপনাদের স্ব স্ব জায়গায় ভালোভাবে কাজ করুন। আমি আপনাদের মতো একজন চিকিৎসক যদি মন্ত্রী হতে পারি, তেমনি আপনারাও কোনো একদিন প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন।'

শুক্রবার (৫ জুলাই) রাতে চট্টগ্রাম রেডিসন ব্লুতে কার্ডিও চট্টগ্রাম ২০২৪' নামে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক কনফারেন্সস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা ডা. সামন্ত লাল সেন এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরা চিকিৎসকেরা উপরওয়ালার আশীর্বাদ নিয়ে জন্ম গ্রহণ করেছি। আমাদের টাকা পয়সাও যেমন রোজগার হয় তেমনি মানুষের সম্মানও পাই। সুতরাং যার যার দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করুন। আপনাদের পাশে আমি আছি।'

চিকিৎসকদের সুরক্ষার জন্য সবকিছু করা হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু বা অপবাদ আমি শুনতে চাই না। এটি বলার অধিকার কারও নাই। একমাত্র বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) বলতে পারবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভুল চিকিৎসায় কেউ মারা গেলে ভুক্তভোগীরা বিএমডিসিতে অভিযোগ দেবেন। তারপর বিএমডিসি-ই এটি তদন্ত করে বলবে রোগী কী কারণে মারা গেছেন। চিকিৎসকের সুরক্ষা দেওয়া যেমন আমার দায়িত্ব, তেমনি রোগীর সুরক্ষাও দিতে হবে। রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আজকে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে অভিযানে গেলাম। দুঃখজনক হলো-একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারও নেই। আমরা এ ধরনের কোনো কিছু চাই না।

যেখানে বদলী দেওয়া হয়েছে সেখানে দায়িত্ব পালনের জন্য চিকিৎসকদের অনুরোধ জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখন গ্রামে গঞ্জে পোস্টিং দিলেই তদবির শুরু হয়ে যায়। আমি এমনটা চাই না। দুই বছর পর তো এমনিতেই পোস্টিং হবে।

;

চট্টগ্রামে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

চট্টগ্রামে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে ঘটনার পর থেকে ওই নারীর স্বামী পলাতক রয়েছে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুরে উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের খালেক মেম্বারের বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের ধারণা ওই গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

খুনের শিকার ওই গৃহবধূর নাম নাছিমা বেগম (৩৮)। তিনি ইয়ংওয়ানের কেএসআই গার্মেন্টসে কাজ করতেন। এ ঘটনায় পলাতক নাছিমার স্বামীর নাম মো. সোলায়মান।

পুলিশ জানায়, নাছিমা তার দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার প্রথম স্বামী মারা গেছেন। তাদের সঙ্গে নাছিমার প্রথম ঘরের দুই সন্তানও থাকতেন। প্রায়ই রাতে নাছিমাকে সোলায়মান মারধর করতেন।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে সোলায়মানের সঙ্গে নাছিমার ঝগড়া হয়। আজ (শুক্রবার) সকালে নাছিমার বড় ছেলে তাকে ঘুম থেকে ডাকার সময় দেখতে পায় তিনি মারা গেছেন। পরিবারের লোকজন তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন ভেবে সৎকারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় তারা দেখতে পান নাছিমার গলায় কালো দাগ এবং তার জিহবা বের হয়েছে। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল দিয়ে বিষয়টি জানালে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ওই গৃহবধুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন বলেন, গৃহবধূ নাছিমার লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি। তার স্বামী সোলায়মানকে আমরা গ্রেফতার করার চেষ্টা করছি। আমি এখন অভিযান আছি।

;

সিলেটে ২৮ লাখ টাকার মাদক উদ্ধার, গ্রেফতার ৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে ২৮ লাখ টাকার মাদক উদ্ধার, গ্রেফতার ৩

সিলেটে ২৮ লাখ টাকার মাদক উদ্ধার, গ্রেফতার ৩

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের গোলাপগঞ্জে প্রায় সাড়ে ২৮ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য ও মাদক বিক্রির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকারসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোলাপগঞ্জ সার্কেল) সজল কুমার সরকার।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার বলদি গ্রামের মৃত নানু মিয়ার ছেলে এনাম আহমদ (৪৫), কোতয়ালী মডেল থানার কুমারপাড়ার মৃত ইয়াছির মিয়ার ছেলে আম্বিয়া টিপু (৪০) ও বলদি গ্রামের ফজল আলী।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টার দিকে একটি প্রাইভেট কারে বিদেশগামী যাত্রী সেজে সিলেট থেকে গোলাপগঞ্জের উদ্দেশ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ে আসছিলো দুই মাদক কারবারি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এমন খবর পেয়ে অভিযানে নামে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। এসময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে থাকে মাদক কারবারিরা। এসময় স্থায়ী যুবকের সহায়তায় উপজেলার পৌর এলাকার সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের ফুলবাড়ি পূর্বপাড়া নামকস্থান থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ ২ জনকে ও তাদের তথ্যের ভিত্তিতে আরও ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

এসময় তাদের সাথে থাকা একটি ট্রলি ব্যাগ থেকে ১৫০ বোতল ফেন্সিডিল, ৮ হাজার ২'শ পিস ইয়াবা, নগদ ১ লাখ ২ হাজার টাকা, একটি প্রাইভেট কার, দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের মূল্য আনুমানিক ২৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। 

এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুদুল আমিন বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

;

কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুইবোনসহ নিহত ৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই-বোনসহ নিহত ৩

কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই-বোনসহ নিহত ৩

  • Font increase
  • Font Decrease

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানা এলাকায় পৃথক বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনায় আপন দুই বোনসহ তিনজন নিহত হয়েছে।

নিহতরা হলেন উপজেলার কালিগঞ্জ ইউনিয়নের বেগুনী পাড়া গ্রামের শাহাদাৎ হোসেনের দুই মেয়ে সুমাইয়া (১১), মাছুমা (৬) এবং নারায়নপুর ইউনিয়নের ব্যাপারী পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান মুন্সির ছেলে সিরাজুল ইসলাম।

কচাকাটা থানার পুলিশ জানায়, শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে সুমাইয়া ও মাছুমা কলাগাছের ভেলা নিয়ে বাড়ির পাশে খালার বাড়িতে রওনা দেয়। এসময় বাড়ির অদূরে এক‌টি সেচ পাম্পের টানানো তারে দুইবোনের গলা জড়িয়ে যায়। এতে বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।

অপর দিকে প্রায় একই সময় উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের ব্যাপারীপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ভেলা যোগে পাশের বাড়িতে যাওয়ার সময় ভেলা ঠেলার লা‌ঠি বিদ্যুৎ সরবরাহের মেইন লাইনের তারে লাগে। এসময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিশ্বদেব রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তিনজনের মরদেহ পরিরারের কাছে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পৃথক অপমৃত্যুর মামলা হ‌য়ে‌ছে।

;