ব্যর্থতার মধ্যেই নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নে হাত জিইডির



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়/ছবি: সংগৃহীত

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি, বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণ, সরকারের রাজস্ব আহরণ ও ব্যয় বৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থতার মধ্যেই নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজে হাত দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)।

নতুন পরিকল্পনায় সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে রাজস্ব আহরণ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারা পুনরুদ্ধারের বিষয়টিকে শীর্ষ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের অংশ হিসেবে জিইডির আয়োজনে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে উচ্চ পর্যায়ের স্টিয়ারিং কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী আবদুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহিদুজ্জামান সরকার, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এম এ মান্নান, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে জিইডির সদস্য (সচিব) ড. মো. কাউসার আহাম্মদ বলেন, আগামীতে আমাদের প্রধান ফোকাস হবে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি বাড়ানো। এটা করা না গেলে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উচ্চ আয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।

তিনি আরও বলেন, জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়তে হলে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ প্রয়োজন। বেসরকারি বিনিয়োগ টানতে হলে অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যয় বাড়তে হবে। আর এর জন্যে প্রয়োজন হবে সরকারের বাড়তি রাজস্ব।

অবকাঠামো ছাড়াও বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা ও উৎসাহ দিতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের পর ভর্তুকি ও প্রণোদনা কমিয়ে দিতে হবে। এই অবস্থায় আগামীতে বিনিয়োগ, শিল্পায়ন ও রফতানিতে ভর্তুকি ও প্রণোদনার বিকল্প হিসেবে কী ধরনের সুযোগ দেওয়া যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতিগুলোকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আগামী পরিকল্পনায় দক্ষতা উন্নয়নের বিষয়কে বিশেষভাবে প্রধান্য দিয়ে শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়ানো হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

ড. মো. কাউসার আহাম্মদ বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর নমনীয় ঋণ পাওয়ার সুযোগ কমে আসবে। রফতানিতে প্রণোদনা বন্ধ করে দিতে হবে। কৃষি ও শিল্পসহ বিভিন্ন খাতে ভর্তুকিও কমাতে হবে। মেধাস্বত্বের রেয়াতি সুবিধাও থাকবে না। অগ্রাধিকার বাজার সুবিধা (জিএসপি) কমে আসবে। এ সব সমস্যার সমাধানে করণীয় সংক্রান্ত একটি আলাদা চ্যাপ্টার নতুন পরিকল্পনায় থাকবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

শিল্পায়নে আগামীতে চামড়া ও চামড়াজাত, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং কৃষি নির্ভর শিল্পকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জিইডি সদস্য।খাতভিত্তিক সিএমএসএমই শিল্প প্রাধান্য পাবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

আগামীতে ব্লু ইকোনমি ও স্পেস ইকোনমিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেছেন, নতুন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত ব্যবসা বাণিজ্য বাড়ানো হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন সরকারের দায়িত্ব নিয়ে প্রথম সভা করেছেন পরিকল্পনা কমিশনে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং ব্লু ইকোনমিতে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। নতুন পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এ সব নির্দেশনার প্রতিফলন থাকবে বলেও তিনি জানান।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০২০ সাল থেকে বাস্তবায়নে আসা অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৩২ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য থাকলেও গত অর্থবছরে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে প্রাথমিক হিসাবে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

চলতি অর্থবছরে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সাড়ে আট শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য থাকলেও নতুন বাজেটে ৬.৭৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বিদায়ী অর্থবছরে মুল্যস্ফীতির হার ৪ দশমিক ৭০ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য থাকলেও গত মে মাস পর্যন্ত আগের এক বছরের গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িযেছে ৯.৭৩ শতাংশে।

অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের সময় ২০২০ সালে বেসরকারি বিনিয়োগ ছিল জিডিপির ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা জিডিপির ২৬.১ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য থাকলেও পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে তা ২৩.৫১ শতাংশে নেমে এসেছে।

বিনিয়োগের মত রাজস্ব আহরণ এবং সরকারি বিনিয়োগেও লক্ষ্য পূরণ হয়নি বলে জানিয়েছে বিবিএস। রাজস্ব আহরণ ২০২০ সালে জিডিপির ৯ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে গত অর্থবছরে ১২ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য থাকলেও তা ৯ দশমিক ৫ শতাংশে সীমাবদ্ধ রয়েছে।

২০২০ সালে সরকার জিডিপির প্রায় ১৫ শতাংশ ব্যয় করলেও গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে তা জিডিপির ১৪ দশমিক ২ শতাংশে নেমে এসেছে। অথচ এ সময়ে সরকারি ব্যয় জিডিপির প্রায় ১৮ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য ছিল।

ইঞ্জিন বিকলের দুই ঘণ্টা পর ছেড়ে গেল তিস্তা এক্সপ্রেস



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে দেওয়ানগঞ্জগামী আন্তঃনগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকলের দুই ঘণ্টা পর গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

রোববার (৭ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে গফরগাঁও স্টেশন থেকে দেওয়ানগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। 

গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাষ্টার সেলিম আল হারুন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটি গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে গিয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে বাগুয়া এলাকায় ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। পরে তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনকে পুশব্যাক করে গফরগাঁও স্টেশনে নিয়ে আসে। ময়মনসিংহ থেকে রিলিফ ইঞ্জিন এসে প্রায় দুই ঘণ্টা পর ট্রেনটিকে নিয়ে যায়। রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।

;

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৭ জুলাই) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের গেট সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা বরিশাল নথুল্লাবাদ মহাসড়ক অবরোধ করে বন্ধ করে দেয়।

এর আগে, বেলা ১১টায় ববির গ্রাউন্ড ফ্লোরে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় ববির চার আবাসিক হলের সামনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায় আন্দোলনকারীরা। এরপর মহাসড়কে অবস্থান নেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ কারণে মহাসড়কের দুই পাশে শতশত যানবাহন আটকে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি হয়।

এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রতিবন্ধী ও অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর কোটা বাদে সব কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবি জানান।

বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে। তাই আমরা প্রতিবন্ধী ও অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর কোটা বাদে সব কোটা বাতিলের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে অবিলম্বে কোটা পদ্ধতি বাতিল সময়ের দাবি। যদি কোটা পদ্ধতি বাতিল না হয় তবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যোগ্য চাকরি থেকে বঞ্চিত হবে। তাই বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানায় শিক্ষার্থীরা।

বরিশাল নগর পুলিশের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহমান মুকুল বলেন, মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে বিএম কলেজ শিক্ষার্থী তানজিলা আক্তার বলেন, আমাদের দাবি যতক্ষণ না মেনে নেওয়া হবে আমরা রাজপথ ছাড়বো না।

এর আগে, সারাদেশের সঙ্গে একযোগে সোমবার বিক্ষোভ সমাবেশ, মঙ্গলবার, বুধ ও বৃহস্পতিবার মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন ববি শিক্ষার্থীরা। আজ আবার নতুন করে বিক্ষোভ মিছিল করে সরকারি বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা।

;

সাতক্ষীরায় কোটি টাকার সোনার বারসহ আটক ১



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরায় কোটি টাকার সোনার বারসহ আটক ১

সাতক্ষীরায় কোটি টাকার সোনার বারসহ আটক ১

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা সীমান্ত এলাকা থেকে ১ কেজি ৬৭ গ্রাম ৫০০ মিলিগ্রাম ওজনের একটি সোনার বারসহ মো. মাসুদ রানা (২৬) নামের এক পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

রোববার (৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভোমরা সীমান্তের লক্ষীদাড়ি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক মাসুদ রানা লক্ষীদাড়ি গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে।

বিজিবির সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আশরাফুল হক জানান, ভারতে সোনা পাচারের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির একটি দল হাবিলদার মো. শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে সীমান্তের লক্ষীদাড়ি এলাকায় অবস্থায় নেয়। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে থাকা মাসুদ রানাকে আটক করা হয়। এসময় তাকে তল্লাশি করে বড় একটি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ১ কেজি ৬৭ গ্রাম ৫০০ মিলিগ্রাম, যার বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি ৭ লাখ ৩৩ হাজার ৭১৩ টাকা।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা করে সোনার বারটি সাতক্ষীরা ট্রেজারি অফিসে জমার দেওয়া হচ্ছে।

;

আমদানি নয় ভবিষ্যতে আমরা চাল রপ্তানি করব: খাদ্যমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চাল আমদানি নয় ভবিষ্যতে আমরা চাল রপ্তানি করবো বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, বিগত দুই বছর সরকার চাল আমদানি করেনি। এবারও চাল আমদানির প্রয়োজন হবেনা।

রোববার (৭ জুলাই) দুপুরে সাপাহার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ;কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪; এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

কৃষি প্রণোদনা সরকারের পরিকল্পিত ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ অবিহিত করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'কৃষি প্রণোদনা দিয়ে-ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের পাশে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কৃষিকে প্রযুক্তিবান্ধব করতে নিরলস করে যাচ্ছেন। যে প্রণোদনা আজ বিতরণ করা হচ্ছে সেটা সঠিক ব্যবহার হলে বেশি জমিতে চাষাবাদ হবে আর উৎপাদন ও বৃদ্ধি পাবে।'

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তিত চিন্তাধারায় অল্প জমিতে বেশি ফসল ফলাতে কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি হয়েছে। অধিক জনসংখ্যার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার কৃষকের জন্য আশির্বাদ। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক পতিত জমিতেও এখন চাষাবাদ হচ্ছে। পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু কৃষকের উৎপাদন খরচের খবর কেউ নিচ্ছে না। দাম বাড়লে ভোক্তার সমস্যা আর পণ্যের দাম কমলে কৃষকের সমস্যা।'
উৎপাদন খরচ না উঠলে কৃষক উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি , ওএমএস ও টিসিবির ভর্তুকি মূল্যে চাল আটা বিক্রি করা হচ্ছে।'

এর আগে তিনি সাপাহার উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন করেন এবং স্টল পরিদর্শন করেন।
সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুদ হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নঈমুদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা খাতুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ রেজা সারোয়ার, উপজেলা কৃষি অফিসার শাপলা খাতুন এবং শিরন্টি ইউনিয়নপরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন।

পরে খাদ্যমন্ত্রী কৃষকদের মাঝে সরকারি আমন প্রণোদনা বিতরণ করেন এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তির চেক ও বাইসাইকেল বিতরণ করেন।

উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে খরিপ/২০২৪-২৫ মৌসুমে আমন প্রণোদনা হিসাবে ১২১০ জন কৃষকের প্রত্যেকে ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার সহায়তা বিতরণ করা হয়।

;