জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বৃদ্ধের মৃত্যু, আহত ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বৃদ্ধের মৃত্যু/ছবি: সংগৃহীত

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বৃদ্ধের মৃত্যু/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী সদরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে ভীস্ম দেব রায় (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) বিকেলে ওই বৃদ্ধ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

এর আগে সকাল ১১টার দিকে নীলফামারীর সদর উপজেলার চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের কাঞ্চনপাড়া ইন্দ্রমোহনপাড়া এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বৃদ্ধ ভীস্ম দেব রায় ওই এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় আহতরা হলেন, ভীস্ম দেব রায়ের ভাই ফুল কুমার রায় ও ভাতিজা মিলন চন্দ্র রায়।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, একই এলাকার জাহিদুল ইসলাম, পিয়ারুল ইসলাম ‍ও মো. হুমায়ুন সঙ্গে এক খণ্ড জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল নিহত ভীস্ম দেব রায়ের। পরে ভীস্ম দেব রায় বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করলে বিচারক উক্ত মামলার রায় তার পক্ষে প্রদান করে জাহিদুলদেরকে জমিটি ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ প্রদান করেন।

বৃহস্পতিবার সকালে সেই জমিতে ভীস্ম দেব রায় স্থানীয় কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ধান রোপণ করতে যায়। সেই সময় জাহিদুল আরও লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে জমিতে এসে তাদেরকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এ সময় জাহিদুল কাঁঠের পাড় দিয়ে ভীস্ম দেব রায়ের মাথা আঘাত করেন ও হুমায়ুনের লোহার রড দিয়ে ভীস্ম দেব রায়ের ভাতিজা মিলন চন্দ্র রায়ের মাথায় আঘাত করেন। আর পিয়ারুল ইসলাম ভীস্ম দেব রায়ের ভাই ফুল কুমার রায়ে হাত ভেঙ্গে দেন। এরপর বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান তারা।

শারীরিক অবস্থা বেগতিক দেখে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক ভীস্ম দেব রায়কে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়।

নীলফামারী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে একজন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। আহত রয়েছেন আরও দুইজন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

আধা ঘণ্টা পর মেট্রো চলাচল শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মেট্রো চলাচল শুরু

মেট্রো চলাচল শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে ত্রুটির কারণে আধা ঘণ্টা বন্ধের পর মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়েছে।

রোববার (৭ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে শেওড়াপাড়া স্টেশনে গিয়ে মেট্রো চলাচল বন্ধ দেখতে পান বার্তা২৪.কমের প্রতিবেদক।

পরে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে ত্রুটির কারণে মেট্রো চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।

মুফতি এনায়েত উল্লাহ নামের এক চাকরিজীবী বলেন, শেওড়াপাড়া স্টেশনে আধা ঘণ্টা ধরে আটকে আছেন। এসময় স্টেশনে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকের জন্য বন্ধ আছে।

মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর একজন যাত্রী বলেন, ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে একটি ট্রেন চলে যাওয়ার পর আরেকটি আসতে বেশ দেরি হচ্ছে।

এর আগে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুপুরের দিকে মেট্রোরেল চলাচল হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়।

;

মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে রোববার (৭ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে বিভিন্ন স্টেশনে হাজারো যাত্রীকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকের জন্য বন্ধ আছে। পরবর্তীতে চালু হলে জানানো হবে বলে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানায়।

মুফতি এনায়েত উল্লাহ নামের এক চাকরিজীবী বলেন, শেওড়াপাড়া স্টেশনে আধা ঘণ্টা ধরে আটকে আছেন। এসময় স্টেশনে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকের জন্য বন্ধ আছে।

মেট্রোরেল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ জানতে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তাকে ফোন করা হয়। তবে কেউ ফোন ধরেননি।

;

কোটা বিরোধী আন্দোলন

যানজটে বিপাকে সাধারণ মানুষ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
তীব্র যানজটে এক বাবা তার ছোট্ট সন্তানকে নিয়ে হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন। ছবি: বার্তা ২৪

তীব্র যানজটে এক বাবা তার ছোট্ট সন্তানকে নিয়ে হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন। ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্দিষ্ট সময়ের আগেই রাস্তা বন্ধ করে কোটা বিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ায় রাজধানীর নিউ মার্কেট, ধানমণ্ডিসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন পথচারীরা। বাধ্য হয়ে অনেকেই গাড়ি ছেড়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

কুমিল্লা থেকে রাজধানীর ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ওমর ফারুক। ঢাকায় ঢুকেই যানজটের কবলে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে অসুস্থ শরীরে স্বজনদের কাঁধে ভর দিয়ে এগিয়ে চলেছেন হাসপাতালের পথে।

 যানজটের কারণে অসুস্থ শরীরে হেঁটে হাসপাতালে যাচ্ছেন ওমর ফারুক। ছবি: বার্তা ২৪

সায়েন্সল্যাবের মোড়ে ফারুক বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'কুমিল্লা থেকে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে এসেছি। কিন্তু শাহবাগে এসে গাড়ি থেমে গেছে। সেখান থেকে হেঁটে আসলাম।'

ফারুকের মতো অনেক পথচারী পাঁয়ে হেটে গন্তব্যে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সৃষ্টি হওয়া যানজটের কবলে পড়েছেন এইচএসসি পরীক্ষার্থীরাও। তবে জরুরি রোগী বহন করা অ্যাম্বুলেন্স বিশেষ ব্যবস্থায় ছেড়ে দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সায়েন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান করবেন। এই সময়ে তারা কোটা বাতিলের দাবি বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। বিকেল ৩টার পর শিক্ষার্থীরা শাহবাগে বিক্ষোভ করবে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যানজটে সৃষ্ট ভোগান্তির বিষয় জানতে চাইলে ডিএমপির রমনা বিভাগের ধানমণ্ডি জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ইহসানুল ফিরদউস বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'আমরা শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানিয়েছি তাদের দাবি আদায়ে রাস্তা ছেড়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যেতে। কিন্তু তারা রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আন্দোলনে যে কোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে।'

;

কোটাবিরোধী আন্দোলনের ফাঁদে পা না দেয়ার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটাবিরোধী আন্দোলনের পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র আছে কি না, খুঁজে দেখতে আন্দোলনকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। সেই সঙ্গে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্যও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

রোববার (৭ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যদের সন্তানদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

রাজনৈতিক অধিকারের জায়গা থেকে কোটাবিরোধীরা আন্দোলন করছেন বলে মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা কোটা আন্দোলন করছেন তারা রাজনৈতিক অধিকারের জায়গা থেকে করছেন। ষড়যন্ত্রকারীরা এমন কোনো ইস্যু পেলে তা নিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। আমরা যেন সেই ফাঁদে পা না দেই। আমাদের দেখতে হবে, এখানে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র আছে কিনা।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনেকেই অপপ্রচার করে যে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সভা সমাবেশ বা সংগঠন করতে নাকি নিষেধ, চ্যালেঞ্জ করে তারা সমালোচনা করতে চায়। আজকে যারাই আন্দোলন করছেন, এ আন্দোলনে তাদের যে একটা রাজনৈতিক অধিকার হিসেবে স্টে (অবস্থান) করতে পারছেন এটা কি প্রমাণ হয় না বাংলাদেশে রাজনৈতিক অধিকারের প্রশ্নে বাকস্বাধীনতার চর্চার প্রশ্নে আমাদের সরকারের কারও ওপরে কোনো বিধিনিষেধ নেই। মানুষের বাকস্বাধীনতা অবশ্যই আছে।

তিনি আরও বলেন, যে কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক হয় তো রাস্তায় দাঁড়িয়ে মন্তব্য করতে পারেন। কিন্তু দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে আদালতের জন্য আবমাননাকর কোনো বক্তব্য দেওয়া আমার পক্ষে অবশ্যই সম্ভব নয়।

;