নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে কাভার্ডভ্যান চাপায় ভাই-বোনের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে কাভার্ডভ্যান চাপায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা আরোহী ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত মো.ইয়াছিন (১৭) ও বিউটি আক্তার (২৪) উপজেলার বজরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বগাদিয়া গ্রামের বশির উল্যার নতুন বাড়ির মৃত বশির উল্যার সন্তান।

শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুর পৌনে ১টার দিকে উপজেলার বেগমগঞ্জ টু সোনাইমুড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের বগাদিয়া উত্তর ব্রিজ সংলগ্ন মদিনা মসজিদের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে অন্তঃসত্ত্বা বিউটি ছোট ভাই ইয়াছিনকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে উপজেলার সোনাইমুড়ী বাজারে যায়। দুপুর পৌনে ১টার দিকে ডাক্তার দেখিয়ে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা যোগে ভাই-বোন বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। যাত্রা পথে অটোরিকশাটি বেগমগঞ্জ টু সোনাইমুড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের বগাদিয়া উত্তর ব্রিজ সংলগ্ন পৌঁছলে পিছনে না দেখে সড়কের কাটা দিয়ে আকস্মিক অটোরিকশা চালক রিকশাটি বাম দিক থেকে ডান দিকে ঢুকিয়ে দেয়। ওই সময় বেগমগঞ্জগামী পিছনে থানা বেপরোয়া গতির কাভার্ভভ্যান তাদের চাপা দিলেই ঘটনাস্থলে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে।

চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, সকালে কুমিল্লা থেকে বেগমগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা একটি কাভার্ডভ্যান অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থালেই ভাই বোনের মৃত্যু হয়। ঘটনার পরপরই ঘাতক চালকরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে হাইওয়ে পুলিশ কাভার্ড ভ্যান ও অটোরিকশা জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন।  

নড়াইলে আন্তঃজেলা ডাকাতসহ আটক ৮, স্বর্ণালংকার উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নড়াইল
নড়াইলে আন্তঃজেলা ডাকাতসহ আটক ৮

নড়াইলে আন্তঃজেলা ডাকাতসহ আটক ৮

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী এলাকায় ৬ ডাকাতকে আটক করেছে নড়াগাতী থানা পুলিশ। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহার করা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, ডাকাতি করা ১১ ভরি স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (০৮ জুলাই) দুপুরে জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার মোহা. মেহেদী হাসান সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহা. আনোয়ার হোসেন, তারেক আল মেহেদী, দোলন মিয়া, নড়াগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ০২ জুলাই দিনগত রাত আড়াইটার দিকে নড়াগাতি থানার নলামারা গ্রামের মফিজুর চৌধুরীর বাড়িতে ডাকাতি হয়। ডাকাতরা নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ০৭ জুলাই নড়াগাতী থানায় মামলা হলে পুলিশ ডাকাতদের চিহ্নিত করতে নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করে।

গত ৭ জুলাই রাতে একই এলাকায় ২য় দফায় ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিলে পুলিশ তাদের অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। আটককৃতরা হলেন-খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার নলিয়ারচর গ্রামের তারা ভূঁইয়ার ছেলে গোলাম রসুল (৩৪), একই গ্রামের জলিল মোল্লার ছেলে জাকির হোসেন মোল্যা (৪৫), একই উপজেলার আটলিয়া গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে রাকিবুল ইলাম (৩৩), গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ফলসী ফুকরা গ্রামের শাহেদ আলী মোল্লার ছেলে আল-আমীন (৩১), একই গ্রামের বালাম শেখের ছেলে তারিকুল ইসলাম (৩২) এবং নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানার কালো শশি ভৌমিকের ছেলে অরুণ ভৌমিক (৫২)।

আটককৃতদের মধ্যে গোলাম রসুলের নামে বিভিন্ন থানায় ৭টি ডাকাতি ও ১টি অস্ত্র আইনে মামলা এবং জাকির হোসেনের নামে বিভিন্ন থানায় ১টি ডাকাতি ও ২টি চুরির মামলা রয়েছে। এছাড়া লুণ্ঠিত স্বর্ণ কেনার অপরাধে কাশিয়ানী উপজেলার রামদিয়া বাজারের পূজা জুয়েলার্সের মালিক অমৃত বালা (৩৯) ও নড়াগাতী থানার বড়দিয়া বাজারের অপূর্ব জুয়েলার্সের মালিক অপরেশ শিকদারকে (৩৫) আটক করা হয়েছে।

;

অবরোধে স্থবির ঢাকা, হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছে মানুষ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছে মানুষ

হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছে মানুষ

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ডাকা বাংলা ব্লকেডে রাজধানীজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। একদিকে দীর্ঘ যানজট অন্যদিকে গরমে হাঁসফাঁস করছে নগরবাসী। এতে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।

সোমবার (৮ জুলাই) বিকেল ৫টায় সরেজমিনে দেখা গেছে, শাহবাগ, গুলিস্থান, মহাখালী, আগারগাঁও, আসাদগেট, পান্থপথ, কলাবাগান, মগবাজার, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর ও সায়েন্সল্যাবসহ বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট। গাড়ি চলতে না পারায় অনেককে বাস থেকে নেমে গন্তব্যে হেঁটে রওনা দিতেও দেখা যায়। আর বাসগুলো বন্ধ করে চালক ও সহকারীরা ভেতরে অবস্থান করতে দেখা যায়।

কারওয়ান বাজার মোড় অবরোধ

তুহিন শেখ নামে এক চাকরিজীবী বলেন, কাজ শেষে বাসায় গিয়ে একটু আরাম করবো। কিন্তু অবরোধের মুখে পড়ে বাস আটকে। তাই এখন বাস থেকে নেমে হাঁটা শুরু করেছি। অবরোধ ছাড়ার জন্য অপেক্ষা করলে রাত পর্যন্ত বসে থাকতে হবে। সেজন্য পায়ে হেঁটে কিছুদূর আগানোর চেষ্টা করছি।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মো. আরিফুজ্জামান। তিনি বলেন, গত দুই দিন থেকেই সকালে অফিসে যাওয়ার পথে যানজটে পড়তে হচ্ছে। এখন অফিস শেষ করে বাসায় ফেরার পথে বাসে বসে থাকতে হচ্ছে। কোনো আন্দোলন হলেই এভাবে রাস্তা বন্ধ করে ভোগান্তি যেন নিয়মিত দৃশ্য হয়েছে ঢাকার।

রাসেল সরকার বিকেল ৫টার দিকে প্রাইভেটকারে মতিঝিল থেকে খিলক্ষেতের দিকে যাচ্ছিলেন। কিছু দূর যেতেই অবরোধের মুখে পড়েন। পরে রুট বদলে অন্য পথে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

হাতে ব্যাগ, মাথায় বস্তা নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন তিনি

ব্যক্তিগত গাড়ি করে বাসায় ফিরছিলেন আফসানা আজাদ তানি। তিনি গতকালও এই একই অবস্থা হয়েছে। অফিস থেকে ঘরে ফেরার সময় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এর আসলে একটি সমাধান করা উচিত। প্রতিদিন এমন অবস্থা হলে কর্মজীবী মানুষের ভোগান্তি হয়। কর্তৃপক্ষের বিষয়টি নিয়ে সমাধানের পথে হাঁটা উচিত।

সামাজিক যোগাযোগ অনেকেই যানজটের ভোগান্তি নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে পোস্টদাতারা পরামর্শ দিচ্ছেন কোন রাস্তা এড়িয়ে চলতে হবে।

;

‘সিএমপির দরজা সবার জন্য খোলা, কোনো ব্যারিয়ার থাকবে না’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম, ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম, ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বলেছেন, আমার কার্যালয়ের দরজা সব মানুষের জন্য খোলা থাকবে, কোনো ব্যারিয়ার থাকবে না। আমি চেষ্টা করব আমার কার্যালয়ে যেন সবাই  এসে তাদের মনের কথা বলতে পারে।

সোমবার (৮ জুলাই) বেলা ১১ টার দিকে নগরীর দামপাড়া পুলিশ সাইন্সের মাল্টিপারপাস শেডে 'মিট দ্য প্রেস' অনুষ্ঠানের সাংবাদিকদের এসব কথা জানান নতুন এই পুলিশ কমিশনার।

সিএমপির নতুন কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, আপনারা আমাকে গাইড দেবেন। আমার প্রথম কোন কাজটা করা উচিত। আর কি কি সমস্যা রয়েছে সেটিও জানাবেন। প্রত্যেকটা জায়গায় অপরাধের ধরণ আলাদা আলাদা। চট্টগ্রামেও আলাদা হবে। যেকোনো জায়গায় যেকোনো সময় কোনো সমস্যা হলে আমাকে বলবেন। আমি সেটি সমাধান করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আমি চট্টগ্রামে আগেও দায়িত্ব পালন করেছি তাই এই এলাকার মানুষের সঙ্গে আমার একটা আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি এইটুকু নিশ্চিত করতে চাই আপনাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক হবে অন্যরকম। আপনাদের আর আমাদের কাজ একই রকম। যদি আপনারা কোনো তথ্য থানা থেকে না পান সরাসরি আমাকে ফোন দেবেন। জানাবেন যে, এই তথ্যটা পাচ্ছি না, এখানে লুকানোর কিছু নেই। আমি কখন কোন থানায় যাব, আমার বডিগার্ডও বলতে পারবেনা। আমি কোন থানা কোথায় এবং কার বাড়ি কোথায় সব জানি। সুতরাং আপনাদের সঙ্গে আমার কোনো গ্যাপ থাকবে না। অনেকে আননোন নম্বর ধরে না, আমি ধরি। একটা মার্ডার হয়েছে বা ডাকাতি। এটা লুকাবো কেন, যদি আমি লুকাই তাহলে যারা ওই কাজ করেছে তারা পার পাবে। আমি যখন ডিসি বা এসপি ছিলাম তখন বলতাম, একজন মানুষ খুন হয়েছে সেই আত্মাটা আমাকে তাড়া দেয়। যখন কোনো খুন হত, আমি আসামি ধরতে না পারলে রাতে ঘুম হতো না, অন্য কোনো কাজ করতে পারতাম না। অপরাধটা যে লেভেলের হোক না কেন। 

এরপর উপস্থিত সাংবাদিকরা নতুন কমিশনারকে বিভিন্ন প্রসঙ্গে পরামর্শ ও প্রশ্ন করেন। পরে তিনি প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন।

কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি এখানে এসে প্রথমে থানার জিডি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। আমি থানার সব ধরনের জিডি নিয়ে এসেছি। বিশেষ করে মানুষ নিখোঁজ এবং মোবাইল ছিনতাই। এইগুলো নিয়ে আমি কাজ শুরু করেছি। ছিনতাই হওয়া মোবাইলগুলো যদি উদ্ধার না হয়ে থাকে তাহলে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে আমি এটা জানতে চেয়েছি।

সম্প্রতি মানুষ নিখোঁজের একটি খবর বেরিয়েছে, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা আমি আসার আগে আমার অ্যাডিশনাল কমিশনার কাজ করছে। পুলিশ হেড কোয়াটার থেকেও এটা বলা হয়েছে। গতকাল আমার এক ব্যাচমেট ফোন দিয়েছে, তার ভাই অথবা বোনের ছেলে মাদ্রাসায় গিয়েছে তারপর আর ফেরেনি। ১৪ বছর বয়স তার। পরে আমি ইন্টারফেয়ার করে জানতে পারছি বাসার আশেপাশে ঘুরতেছে। আমার কাছে যে স্টেটমেন্ট রয়েছে এর মধ্যে ৮ জন প্রেম গঠিত। সবগুলো খুঁজে পেয়েছে। পারিবারিকভাবেও রাগ করে কয়েকজন চলে গিয়েছে পরে তাদেরকে পাওয়া গেছে। কেন জানি মনে হচ্ছে এই জিনিসটাকে ফলা করে একটি পক্ষ প্রচার করছে। যারা এটি প্রচার করেছে বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ তাদের থেকে আমরা স্টেটমেন্ট নিয়েছি, থানায় না গিয়ে এটা ফেসবুকে দিয়েছে, পরে তাদের কাছ থেকে আমরা জেনেছি। সবগুলোকে তারা খোঁজে পেয়েছে। এটা সম্পূর্ণ গুজব।

কিশোর গ্যাং নেতাদেরকে বিট পুলিশিং কমিটিতে রাখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি এসেই সবাইকে বলেছি বিট পুলিশিংয়ের যে কমিটি রয়েছে বা যারা রয়েছে, আমাদের যে পিসিপিআর বলে সেগুলা যাচাইয়ের জন্য কয়েকজনকে দিয়েছি। আমি ভালো মানুষগুলোকে ওখানে নিয়ে আসতে চাই। আমাদের যে ওপেন হাউস বা উঠান বৈঠক হয়। আমি আজকে বলে দিচ্ছি, আমার ওপেন হাউস ডে থানায় হবে না। এক থানায় চারটা ওয়ার্ড রয়েছে, আমি সব ওয়ার্ডে নিয়ে যাব। থানায় কেন মানুষ এসে তার অভিযোগগুলো জানাবে, আমি যাব মানুষের কাছে। সেই ওপেন হাউসগুলোতে আমার অনেক লোক দরকার নেই। ১০ জন লোক আসলেই যথেষ্ট। যাদের আসলেই সেবার জন্য প্রয়োজন। ওপেন হাউসে ডেতে যে মানুষগুলো আসবে তারা যেন সরাসরি আমার সঙ্গে কথা বলতে পারে এবং আইনি সহায়তা পাই।

ফুটপাতে পুলিশের সংশ্লিষ্টতা প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন, ফুটপাত যদি পুলিশের সংশ্লিষ্টতা না থাকে তাহলে ফুটপাতের কথা আসতে পারে না। আমার ঘাড়ে বন্দুক রেখে ২০০ টাকা নিয়ে আমাকে দুই টাকা দেবে এটা দরকার নেই। 

সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি চট্টগ্রামে এসে শুনেছি কিশোর গ্যাংয়ের কথা। এটা নিয়ে আমি এসেই কাজ শুরু করেছি এবং আমার একটা ওয়ে তৈরি করব, আমি প্রথমে কলেজ ইউনিভার্সিটি গুলোতে প্রোগ্রাম করব। আমার ধারণা দু একটা প্রোগ্রাম করার পরে কলেজ বা ভার্সিটির সঙ্গে থাকে, তারা আর থাকবে না। অভিভাবকদের প্রতি এমন একটা অনুরোধ থাকবে, আপনার সন্তান কোথায় যায় না যায় তা দেখেন। যদি আমি তাকে থানায় নিয়ে আসি তাহলে তার ক্যারিয়ারটা নষ্ট হয়ে যাবে। মানুষ বলবে, তিনি একজন খারাপ মানুষ। আমি চাইনা তার গায়ে একটা কালিমা লাগুক।

তিনি আরও বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স। এ কয়দিন আমরা যে পরিমাণ মাদক উদ্ধার করতে পেরেছি, এটাকে আমি একটা নেগেটিভভাবে দেখি। মাদক উদ্ধার বেশি মানে এখানে মাদক শিবির সংখ্যা বেশি। মাদক উদ্ধার বেশি হলে এটা অনেকে পজিটিভভাবে দেখে আমি কিন্তু নেগেটিভ ভাবে দেখি। মাদক উদ্ধার মানেই মাদকের এখানে ডিমান্ড রয়েছে। এটি নিয়েও আমরা কাজ করব।

থানায় মামলা বা জিডির প্রসঙ্গে কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি চাই মামলা বাড়ুক। না হলে কিন্তু আমি আইডেন্টিফাই করতে পারব না। মামলা না হলে কিন্তু রেকর্ড তৈরি হয় না। যে একটা ছিনতাই হয়েছে বা খুন হয়েছে। যখন প্রতিমাসে মামলা আসবে তখন আমরা খবর নিতে পারব এটার কি অবস্থা। আমি শুধুমাত্র মামলা না প্রতিটা বিষয়ে লায়াবিলিটি নিয়ে আসতেছি। একটা ছোট্ট জিডি একটা মানুষ হারিয়ে গিয়েছে, সেটিও আমি কোয়ারি করব। যখন আমি জিডি নিয়ে কাজ শুরু করছি তখন নিখোঁজ লোকগুলো পেয়ে গেছি এবং মোবাইল উদ্ধারের যে জিডি, সেগুলো এখনো পাইনি। একটা দুটো না কয়েকশো মোবাইলের জিডি হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে সিএমপির বিভিন্ন জোনের ডিসি ও সাংবাদিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

;

বেনাপোল স্থলবন্দরে ৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষমাত্রা



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: বেনাপোল স্থলবন্দর/সংগৃহীত

ছবি: বেনাপোল স্থলবন্দর/সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আমদানিকৃত পণ্যের শুল্ক আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। এ লক্ষমাত্রা গত অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭৫৭ কোটি টাকা বেশি।

বানিজ্যি সংশিষ্টরা বলছেন, ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ, বন্দরের অবকাঠামোগত সুবিধা আর পণ্য খালাস সহজিকরণ অব্যহত থাকলে নতুন বছরে লক্ষমাত্রা অর্জন অনেকটা সহজ হবে।

এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্বের লক্ষমাত্রা দেওয়া হয়েছিল ৫ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা। এসময় আদায় হয়েছিল ৬ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা। যা লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি ছিল ২১৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

বন্দর ও কাস্টমস সুত্রে জানায়, দেশের ২৩টি স্থলবন্দরের মধ্যে সচল আছে ১৩টি। এর মধ্যে ভারতের সাথে সবচেয়ে বেশি বানিজ্য হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। বেনাপোল থেকে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বানিজ্যিক শহর কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থা সুবিধায় ৫ ঘন্টায় পণ্যবাহী যানবাহন বেনাপোল থেকে ঢাকা পৌছাতে পারে ঢাকায়। প্রতি অর্থবছর শেষে আমদানি হওয়া পণ্যের সাম্ভব্য রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে থাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর।

বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয় ১৭ লাখ ২১ হাজার ৭৮০ মেট্রিক টন। এতে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে ২১৬ কোটি টাকা রাজস্ব আসে কাস্টমসের। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে সরকার পদ্মাসেতুসহ ১০০ সেতু নির্মান,আগামীতে পদ্মায় পণ্যবাহী রেল সেবা চালু এবং বন্দরের নতুন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন অব্যহত থাকলে আমদানি ও রাজস্ব আয়ের গতি আরো বাড়বে।

বেনাপোল আমদানি,রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, দিন দিন ভারত বাংলাদেশ বানিজ্যক সম্পর্ক্য বাড়ায় সামনের দিনে আমদানি ও রাজস্ব আরো বাড়বে বলে আশা করছি।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের ক্রিড়া সম্পাদক আসাদুজ্জামান জানান, বন্দর ও কাস্টমসে ব্যবসা বান্ধন পরিবেশ বজায় থাকলে লক্ষমাত্রা ১০ হাজার কোটি টাকাও অর্জন করা সম্ভব।

বন্দর থেকে পণ্যবাহী ট্রাক চালক কামরুল জানান, আগে বেনাপোল থেকে ঢাকা পণ্য পরিবহনে ১২ ঘন্টা থেকে দিন পার হয়ে যেত। এখন পদ্মা সেতুর কারণে তারা খুব সহজে মাত্রা ৫ ঘন্টায় পৌঁছাতে পারছে। এতে তারা এখন বেশি বেনাপোল বন্দরমুখি হচ্ছেন।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ জানান, সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয় ফেব্রিক্স, পচনশীল দ্রব্য, ইংগড, ট্রাক চেচিস, মটরপার্স এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাঁচামাল থেকে। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে বানিজ্য সহজ হয়েছে। এতে অনেক ব্যবসায়ী এখন বেনাপোল বন্দর ব্যবহার করছেন। ফলে চলতি অর্থ বছর কাস্টমসের যে রাজস্ব আয়ের লক্ষমাত্রা ৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা সেটা অর্জনের সুযোগ রয়েছে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান, বানিজ্য সম্প্রসারনে বন্দরে এবছর কার্গোভেহিকেল টার্মিনাল সহ আরো একাধিক প্রকল্প চালু হবে। এতে বানিজ্য ও রাজস্ব দুটোই বাড়াতে সহায়ক হবে।

;