`বিএনপির পুনরায় নির্বাচনের দাবি শিশুসুলভ আচরণ’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম, বার্তা২৪.কম
গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ / ছবি: বার্তা২৪

গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির পুনরায় নির্বাচনের দাবিকে শিশুসুলভ আচরণ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, ‘ফাইনাল খেলায় দশ গোল খেয়ে, খেলাটা ঠিক হয়নি আবার খেলব, বিএনপির নির্বাচনের দাবির আচরণ তেমনটাই মনে হচ্ছে।

শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এয়ার অব শেখ জায়েদ দিবসে লিডিং বাই এক্সাম্পল অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় প্রত্যয়, প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার আয়োজেন মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনকে এ গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়।

একাদশ সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অনিয়মের বিভিন্ন অভিযোগ তুলে পুনরায় নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্ট। দাবির সপক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন এবং সংবাদ সম্মেলনও করে দলটি।

এ প্রসঙ্গ টেনে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (বিএনপি) ভেবেছিল ২০১৪ সালে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার তিনমাস, ছয়মাস কিংবা ১ বছর পর নির্বাচন হবে। কিন্তু সরকার পাঁচববছর সফলতার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করেছে। এবারের নির্বাচনের হারের পর কয়েকদিন ধরে মির্জা ফখরুল ও মওদুদ সাহেবরা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে নির্বাচনের দাবি করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ছোট বেলায় আমরা খেলায় হেরে গিয়ে যেভাবে নতুন করে খেলার জন্য ঝগড়া করতাম, বিএনপি এমনটাই বলছে। খুবই হাস্যকর, উদ্ভট। আমি তাদের অনুরোধ করব আপনারা নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হন।’

এ সময় তথ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রে ঐক্যফ্রন্ট অংশ না নেওয়ারও সমালোচনা করেন।

দেশের বাইরে অবস্থান করা প্রবাসীদের প্রত্যেককে রাষ্ট্রদূত হিসেবে অভিহিত করে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের বাইরে এক কোটির বেশি প্রবাসী ভাই-বোনেরা সম্মানের সঙ্গে কাজ করছেন। সুইডেন, ডেনমার্কসহ অনেক উন্নত দেশের জনসংখ্যা এক কোটিও না। বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দার সময়ও তাদের পাঠানো রেমিটেন্সের কারণে একদিনের জন্য দেশের অর্থনীতি পর্যদুস্ত হয়নি। গত ৪০ থেকে ৪৫ বছরে তাদের মেধা, শ্রম, প্রজ্ঞার কারণে মধ্যপ্রাচ্য, মরুর বুকে সুউচ্চ অট্টলিকা তৈরি হচ্ছে। তাদের আচার-আচরণ, চিন্তা-চেতানার ওপর দেশের সম্মান ও ভাবমূর্তি নির্ভর করে। গুটি কয়েকজনের জন্য এ সম্মান নষ্ট হতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘কোনো প্রবাসী কোনো অন্যায় করলে ওই রাষ্ট্রের ব্যবস্থা নেওয়ার আগে আমাদের তাদের চিহ্নিত করতে হবে।’

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।

   

বৃষ্টি না তাপপ্রবাহ, ঈদের দিন কেমন থাকবে জানালো আবহাওয়া অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪
আবহাওয়া অফিস / ছবি: সংগৃহীত

আবহাওয়া অফিস / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বছর ঘুরে আবার এলো ঈদুল আযহা। অন্যদিকে প্রাকৃতিক হিসাবে ঋতুচক্রের আবর্তনে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে বর্ষাকাল। আষাঢ়ের প্রারম্ভে ঈদ হওয়ায় সবার মধ্যে একটা কৌতূহল, কেমন থাকবে কোরবানির ঈদের দিন আবহাওয়া! সেই কৌতূহলের ব্যাখ্যা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। জিলহজ্ব মাসে আকাশে চাঁদ দেখা যাওয়ায় কোরবানির ঈদ অনষ্ঠিত হবে আগামীকাল ১৭ জুন।  

অধিদপ্তর উপ-পরিচালক ওমর ফারুক বলেন, ‘বর্ষার শুরুতে দেশের সব অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তাই ঈদের দিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় একেক রকম আবহাওয়া থাকতে পারে। অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী,দেশের ঈদের দিন তিন বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া অন্য বিভাগগুলোরও কোনো কোনো অঞ্চলে কম-বেশি বৃষ্টি থাকতে পারে।’

ওমর ফারুক আরও বলেন, ‘ঈদের দিন, অর্থাৎ ১৭ জুন দেশের রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টিপাত হবে। একই সাথে চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া বইতে পারে। সাথে হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সাথে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অনেক ভারী বর্ষণ হতে পারে।’

ঈদের দিন বৃষ্টি না হলে তাপমাত্রার কেমন থাকবে এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।’

;

ঢাকায় মাংস কাটার কাঠের গুঁড়ি ও পাটির বাজারে মন্দা



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানি শুরু হতে আর মাত্র ২৪ ঘণ্টারও কম সময় রয়েছে। কিন্তু কোরবানির মাংস কাটার কাজে ব্যবহৃত কাঠের গুঁড়ি এবং হোগলা পাতার পাটি বাজার মন্দার কথা জানিয়েছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।

মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ধারদেনার বিনিয়োগ করে চরম বিপাকে পড়েছেন। মুনাফা তো দূরের কথা মূলধন তুলতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। যে কারণে ধার পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছেন তারা।

কল্যাণপুরে বিগত ১০ বছর ধরে পাটি ও খাটিয়ার ব্যবসা করে আসছেন মাহবুব মিয়া। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, আগে কখনও এমন বাজার দেখিনি। আমি ৬টি ঢোপ (প্রতিটিতে ৪০টি) পাটি এনেছি, এখন পর্যন্ত ১টিও বিক্রি হয় নি। আবার মাংস কাটার খাটিয়া (কাঠের গুঁড়ি) বাজারও খারাপ। ২০০ খাটিয়া এনেছিলাম এখন পর্যন্ত ৫০টিও বিক্রি করতে পারিনি। অথচ অন্যান্য বছর আগের দিন থেকেই বাজার চাঙ্গা হয়ে উঠতো। ঈদের আগের দিন বিকেলের মধ্যেই বেচাকেনা শেষ হয়ে যেতো।

মাহবুব মিয়ার পাশেই কাঠের গুঁড়ি ও পাটির পসরা সাজিয়ে বসেছেন আসাদুল ইসলাম। বেচাকেনা না থাকায় তারও মুখ মলিন। অন্য সময়ে সবজির ব্যবসায়ী আসাদুল ইসলাম ধার করে ৪০ হাজার টাকার বিনিয়োগ করেছেন। এখন পর্যন্ত অর্ধেক পাটিও বিক্রি করতে পারেন নি। পাটি ও কাঠের গুঁড়ি নিয়ে মহা টেনশনে রয়েছেন। ঈদের চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিলেও ধারের টাকা পরিশোধ নিয়ে টেনশন মুক্ত হতে পারছেন না।

আসাদুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, অর্ধেকের বেশি যদি বেঁচা না হয় তাহলে কি করব বুঝতে পারছি না। যেখান থেকে কিনে এনেছি তারাতো ফেরৎ নেবে না। আর এসব রাখবোই বা কোথায়।


তিনি বলেন, প্রতিটি পাটি কিনে এখানে আনতে ৮০ টাকার মতো খরচ পড়েছে। দেড় থেকে দুই’শ টাকা দরে বিক্রি করেছি। এখন আরও কমে ছেড়ে দিচ্ছি। কিন্তু তারপরও ক্রেতা নেই।

কম বিক্রি হওয়ার কারণ কি? এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুল ইসলাম বলেন, কোরবানির গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষ কম কোরবানি দিচ্ছে। কারো কাছে হয়তো ১ লাখ টাকা আছে কিন্তু তাতে হচ্ছে না। আবার ঈদের আগে পরে শুক্রবার শনিবার থাকায় বেশি লোক গ্রামে গেছেন।

এক প্রশ্নের জাবে আসাদুল ইসলাম বলেন, ছেলে-মেয়ের জন্য নতুন কাপড় থাকলো দূরের কথা ঈদের জন্য যে একটু মাংস কিনবো সেই অবস্থা আর থাকলো না। ধারের টাকা ঈদের আগেই শোধ দিতে হবে। সেভাবে ওয়াদা দিয়ে নিয়েছি, এখন খুবই চিন্তা হচ্ছে। আগের বছর যারা ব্যবসা করেছে, তারা অনেক মুনাফা করেছে। তাই শুনে এই পথে নেমে ফেঁসে গেছি।

তেঁতুল কাঠের গুঁড়ি সদরঘাট থেকে আর হোগলা পাতার পাটিগুলো এনেছেন মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ থেকে। সাধারণত কল্যাণপুরের স্থানীয় বাসিন্দা ও গাবতলীয় থেকে কোরবানির পশু কিনে ফেরার পথে পাটি ও কাঠের গুঁড়ি নিয়ে যান। বেচাকেনা না থাকায় মৌসুমী এসব ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত পড়েছে।

প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী করোনা মহামারীর আগপর্যন্ত প্রতিবছর কোরবানি দেওয়া পশুর সংখ্যা বাড়ছিল। ২০১৯ সালে দেশে ১ কোটি ৬ লাখ ১৪ হাজার ২৮১ পশু কোরবানি দেওয়া হয়। করোনার সংক্রমণ দেখা দিলে ২০২০ সালে কোরবানি সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ২৬৩। পরের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে পশু কোরবানির সংখ্যা আরও কমে (৯০ লাখ ৯৩ হাজারের কিছু বেশি) যায়। তবে ২০২২ সালে কোরবানি দেওয়া পশুর সংখ্যা কিছুটা বেড়ে হয় ৯৯ লাখ ৫৪ হাজার ৬৭২টি। সবশেষ ২০২৩ সালে পশু কোরবানি দেওয়া হয় ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি।

গত ১৬ মে সাংবাদিক সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা এবার ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি, যা গতবারের চেয়ে ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৩৪টি বেশি। আর চাহিদার তুলনায় ২২ লাখ ৭৭ হাজার ৯৭৩টি বেশি।

;

কবিরহাটে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পেল ৩৫০০ পরিবার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
কবিরহাটে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পেল ৩৫০০ পরিবার

কবিরহাটে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পেল ৩৫০০ পরিবার

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর কবিরহাটে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার হিসেবে ৩ হাজার ৫ শত ‍অসহায় পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। ঈদের আগে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের চাল পেয়ে খুশি এসব পরিবারগুলো।

রোববার (১৬ জুন) সকাল ৯টায় কবিরহাট পৌরসভা কার্যালয়ে এই চাল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মেয়র জহিরুল হক রায়হান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কবিরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রতন, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী মামুনুল হক মামুন প্রমুখ।

মেয়র জহিরুল হক রায়হান বলেন, গরিব ও অসহায় পরিবারের সদস্যরা যেন স্বস্তিতে ঈদ উদযাপন করতে পারেন সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ভিজিএফের ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। ঈদের আগে চাল পেয়ে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।

;

শেষ মুহূর্তে শঙ্কা-ঝুঁকি নিয়েই ট্রেনের ছাদে ঘরমুখী মানুষ



অভিজিত রায় কৌশিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদে পরিবারের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে কর্মব্যস্ত নগরী ছেড়ে পরিবারের কাছে ফেরার চিত্রটা নতুন কিছু নয়। তবে ঈদযাত্রার শেষ মুহূর্তে মানুষের ধল নেমেছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাঁদে গন্তব্যে ফিরছেন সাধারণ মানুষ।

রোববার (১৬ জুন) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এদিকে আজ ট্রেনে ঈদ যাত্রার পঞ্চম দিন। বিগত দিনগুলোতে ট্রেন যাত্রায় গন্তব্যগামী মানুষের এমন চিত্র না থাকলেও শেষ মুহূর্তে গন্তব্যে ফিরতে ঢল নেমেছে সাধারণ মানুষের।

এদিন সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রোববার সকাল হতেই ঢল নামতে শুরু করে গন্তব্যগামী সাধারণ মানুষের। এছাড়া ট্রেন যাত্রার প্রথম দিন শিডিউল বিপর্যয় থাকলেও পরবর্তী দিনগুলোতে কোনো শিডিউল বিপর্যয় দেখা যায়নি। তবে ঈদযাত্রার শেষ দিনে সকাল থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলো কিছুটা দেরিতে ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। প্রতিটি ট্রেন ১০ থেকে ১৫ মিনিট দেরিতে গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।

তবে এই স্বল্প সময় শিডিউল বিপর্যয়কে যাত্রীর চাপ বৃদ্ধি পাওয়াকে কারণ হিসেবে দেখছে কর্তৃপক্ষ।


এদিকে প্ল্যাটফর্মে যেন টিকিটবিহীন ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। প্লাটফর্ম এলাকায় প্রবেশের মুখে ‍তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হয়ে যাত্রীদের স্টেশনে প্রবেশ করতে হচ্ছে।

দেখা গেছে, স্টেশনের প্রবেশদ্বারে র‌্যাব, পুলিশ এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) কন্ট্রোলরুম স্থাপন করেছে। প্লাটফর্মে প্রবেশের মুখে ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনারদের (টিটিই) দেখা গেছে যাত্রীদের টিকিট চেক করতে, তবে এনআইডি মিলিয়ে দেখতে দেখা যায়নি এবার। যাদের টিকিট নেই, তারা ১-৬ নাম্বার কাউন্টারে গিয়ে দাঁড়িয়ে তাদেরকে টিকিট সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। তারপর যাত্রীরা পরিচ্ছন্ন একটি পরিবেশের মধ্য দিয়ে প্ল্যাটফর্ম হয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যের ট্রেনে উঠছেন।

স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, শেষ মুহূর্তে যে যেভাবে পারছে বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করছে। যাত্রীর চাপ বাড়ার কারণে ট্রেন ছাড়তে কিছুটা লেট হচ্ছে।

ঝুঁকি নিয়ে এভাবে ট্রেনের ছাদে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ট্রেনের যাত্রী রফিকুল বলেন, অনেক চেষ্টা করেও টিকিট পাইনি। কিন্তু ঈদ পরিবারের সঙ্গে উপভোগ করতে বাড়িতে যেতে হবে। তাই বাধ্য হয়েই ট্রেনের ছাদে উঠেছি।

অন্য এক যাত্রী মমিন শেখ বলেন, গতকাল অফিস করেছি। অফিস শেষ করে টিকিট না পাওয়ার কারণে যেতে পারিনি। ভেবেছিলাম আজ যাত্রীর চাপ কম থাকবে টিকিট পাবো বাড়ি যেতে পারবো। কিন্তু স্টেশনে এসে টিকিট না পেয়ে বাধ্য হয়ে ট্রেনের ছাদে উঠেছি।


এদিকে এবার ঈদে ভোগান্তিহীন ট্রেন যাত্রায় গোল্ডেন প্লাস পাওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম।

গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

জিল্লুল হাকিম বলেন, গত ঈদে রেলের সার্ভিস ভালো হয়েছে। এতে করে অনেকেই বলেছে আমি প্রথম পরীক্ষায় নাকি গোল্ডেন প্লাস পেয়েছি। আমাদের সীমিত সামর্থের মধ্যে নিরাপদে ঈদুল আজহার যাত্রা এবারও ভালো করতে চাই। এবারও গোল্ডেন প্লাস পাবো আশা করি। সব প্রস্তুতি আছে। ঢাকা থেকে ৬৪টি ট্রেন ছাড়ে, দুই একটা ট্রেন বাদে ৩০টা ট্রেন ইন টাইম যাত্রা করেছে। সবাইকে অনুরোধ করব এবারের যাত্রা যেন গতবারের চেয়ে ভালো হয়। আপনাদের জন্য রেল কাজ করে যাচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, পুরাতন কোচ রাতারাতি নতুন করতে পারব না। ফ্যান ঠিক করা হচ্ছে। আবার অনেক সময় যাত্রী বেশি হওয়ায় অতিরিক্ত কোচ লাগাতে হয় এতে সময় বেশি লাগে। কিছু ট্রেনে লম্বা দূরত্বে ক্রসিংয়ে সময় বেশি লাগে। আগামী ঈদ থেকে আর কোনো অভিযোগ থাকবে না।

;