ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে হাজারো মানুষ, খাবারের জন্য হাহাকার: রাফি

  বন্যা পরিস্থিতি
  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আলোচনায় আসা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের অন্যতম সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি চারটি দল দিয়ে বন্যাকবলিত ফেনীতে আটকা পড়া মানুষদের উদ্ধারে গিয়েছেন। তবে তিনি ও তার টিম ফেনীর লেমুয়া এলাকায় গিয়ে আটকা পড়েছেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শত শত যানবাহন আটকে থাকায় উদ্ধারকারী দল সামনে এগোতে পারছেন না।

সেই অসহায়ত্বের কথা বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাত সোয়া ১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তুলে ধরেছেন রাফি। লিখেছেন, 'জানি না কি হয়!

বিজ্ঞাপন

ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েতে আমরা হাজার হাজার মানুষ, শত শত বাস, ট্রাক, লেগুনা আটকে আছি। ১০০-১৫০শ বোট আছে, কিন্তু পরিস্থিতি প্রতিকূলে।কঠিন স্রোত। রাস্তায় আমাদের সবার খাবারের হাহাকার।

এর আগে লাইভে এসেও পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন রাফি। লেখেন, 'আমরা চারটা টিম চারটা বোট নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ফেনীতে উদ্ধারকাজে আসছি। কিন্তু ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কয়েক ফুট পানি থাকায় আমরা লেমুয়াতে আটকে আছি।আগে যেসব উদ্ধারকারী দল এসেছে তারা বন্যা কবলিত এলাকায় গিয়ে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করছে। রাতে আমরাসহ নতুন যারা এসেছেন তারা সামনে এগোতে পারছেন না।'

বিজ্ঞাপন

সেখানে আটকে থাকা কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লালপোল এলাকায় বন্যার পানির স্রোতের কারণে ফেনীর দিকে চট্টগ্রাম থেকে যাওয়া গাড়ি যেতে পারছে না। এ কারণে শত শত গাড়ি দুদিকে আটকে আছে। এই যানজটের কারণে ফেনী মুখী শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক টিম নৌকা নিয়ে রাস্তায় অপেক্ষায় আছে। এমন পরিস্থিতিতে নিজ উদ্যোগে যানজট নিরসন করতে স্বেচ্ছাসেবকেরা চেষ্টায় আছেন।

একদিকে গাড়িতে আটকে থাকা যাত্রী, অন্যদিকে মহাসড়কে আশ্রয় নেওয়া বন্যা কবলিত মানুষ আর উদ্ধারকাজে যাওয়া কয়েকশ স্বেচ্ছাসেবক-সবমিলিয়ে হাজারো মানুষ এখন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়কের লেমুয়া এলাকায়।

উদ্ধারকারী দলের অনেকেই জানিয়েছেন, অনেকে নৌকা, ট্রলার, স্পিডবোট নিয়ে ফেনী এসেছেন কিন্তু পরিমাণ মত ডিজেল বা তেল ম্যানেজ করে আসেননি। রাতে খোঁজ চালানোর জন্য লাইট বা কোনো প্রকার বাতি আনেননি, মোবাইল চার্জ দেওয়ার জন্য পাওয়ার ব্যাংকও নেই।

অনেকে আবার নিজেরা খাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবারও সঙ্গে নেননি। ফলে সংকট আরও বেড়েছে। কেননা ফেনীর বন্যা কবলিত এলাকায় কোনো প্রকার দোকানপাট খোলা নেই, নেটওয়ার্কও মিলছে না।