থমকে আছে রাজধানীর খাল উদ্ধার, জলাবদ্ধতা চরমে



আবু হায়াত মাহমুদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতি বছরের মতো এবারও বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পায়নি রাজধানীবাসী। সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু সমান পানিতে ডুবে যাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর উভয় সিটি কর্পোরেশনের অধিকাংশ সড়ক। আবার মহানগরীর পার্শ্ববর্তী নিচু এলাকাগুলোতে জমে যাচ্ছে কোমর সমান পানি।

ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যা নতুন কোনো সমস্যা নয়। প্রায় তিন দশক ধরে নগরীর খালগুলো বেদখল হওয়ার কারণে এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।

রাজধানীর খাল উদ্ধারে বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন ও সচেতন নগরবাসী বহু আন্দোলন করেছে। উন্মুক্ত জলাধার খাল ও নদ-নদী রক্ষা ও উদ্ধারে উচ্চ আদালত ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশও রয়েছে । এসব নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়:নিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (ঢাকা ওয়াসা), ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি), ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি), এবং বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ-কর্তৃপক্ষ ধারাবাহিক অভিযান চালায় বলে দাবি করে।

কিন্তু সংশ্লিষ্ট এসব কর্তৃপক্ষের দাবির কোনো প্রতিফলন দেখা যায় না বর্ষা মৌসুমে। জলাবদ্ধতা লেগেই আছে। তবে এ জলাবদ্ধতাকে ঢাকা ওয়াসার পক্ষ থেকে জলজট বলে দাবি করা হয়। কিন্তু ওয়াসার এ দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে ২০১৭ সালে ঢাকা উত্তরের সাবেক মেয়র প্রয়াত আনিসুল হক খালগুলো সিটি কর্পোরেশনের অধীনে নিয়ে দখলমুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আনিসুল হকের প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছিলো ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকনও।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/19/1563513074258.jpg

পরবর্তীতে আরো একটি প্রস্তাবনা আসে যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে খালগুলো দখলমুক্ত ও পুনরুদ্ধার করা যেতে পারে। কিন্তু পরবর্তীতে আনিসুল হকের আকস্মিক মৃত্যুতে থমকে যায় সব উদ্যোগ। এখনেই আড়ম্বরপূর্ণ অভিযানের ডিএনসিসি,  ডিএসসিসি ও ওয়াসা কারো মধ্যেই দেখা যায় না।

নগর পরিকল্পনাবিদ, ইতিহাস ভিত্তিক বিভিন্ন নথি থেকে জানা গেছে রাজধানী ঢাকায় এক সময় ৬৩ টি খাল প্রবাহিত ছিলো। এখন থেকে তিন দশক আগেও এ সংখ্যা ছিলো ৫০ টির বেশী। তাছাড়া নগরীর চতুর্দিকে চারটি নদী ও ব্যাপক উন্মুক্ত জলাধার ছিলো।

কিন্তু অবৈধ দখলের কারণে খালের সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ২৬ টিতে, তাও আবার বেদখলে হয়ে গেছে নালার মতো। তাছাড়া চারটি নদ-নদী তুরাগ, বুড়িগঙ্গা, বালু ও শীতলক্ষ্যাও এবং এসব নদীর তীরবর্তী বন্যা বিধৌত এলাকা ও উন্মুক্ত জলাধারও বেদখলে বেহাল দশা।

রাজধানীর বৃষ্টির পানিও পয়:নিষ্কাশনের প্রধান প্রবাহ বা গতিপথ হচ্ছে ২৬ টি খাল। এর মধ্যে প্রধান খালগুলো বিশেষ করে দ্বিগুণ, ইব্রাহীমপুর ও কল্যাণপুর খালের প্রবাহ গিয়ে মিলিত হয়েছে তুরাগ নদে। ধানমন্ডি লেক, পরিবাগ খাল, গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক ‍ও হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ী খালের প্রবাহ গিয়ে পড়েছে বালু নদীতে। সেগুনবাগিচা, জিরানী ও ধোলাইখাল গিয়ে পড়েছে বালু ও বুড়িগঙ্গা নদীতে। তাছাড়া অন্যান্য খাল এবং ধারা-উপধারাগুলো এসব প্রধান খালের সঙ্গে সংযুক্ত।

এই ২৬টি খালের মালিকানা ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের। তবে এখনও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ওয়াসা। বাকী সকল খাল বিলীন হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে বেদখল, সড়ক নির্মাণ, বক্স কালভার্ট এবং ড্রেন ও পয়:নিষ্কাশন লাইন নির্মাণ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/19/1563513096347.jpg

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওয়াসার এক কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে বলেন, ঢাকা ওয়াসার ২০১০ সালের এক জরিপ প্রতিবেদনে বেরিয়ে আসে বেদখল হওয়া খাল অবৈধভাবে গত তিন থেকে চার দশকে দখল করে নেয় প্রায় ১০ হাজার ৫০০ রাজনৈতিক ক্ষমতাধর দখলদার। যাদের অনেকেই এখন ভূমিদস্যু বলে পরিচিত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, খালগুলো বেদখল ও বিলীন হওয়ার কারণেই রাজধানীতে জলাবদ্ধতা তীব্র রূপ নিতে শুরু করেছে। যে ২৬ টি খাল আছে সেগুলোও এখন প্রায় নর্দমায় রূপ নিয়েছে। পরিদর্শন ও ঢাকা ওয়াসার নথি থেকে দেখা গেছে দেখা গেছে মিরপুর রূপনগর খালের প্রস্থ ৩ থেকে ৮ মিটার, ৪৬০ মিটার দৈর্ঘ্য বাইশটেক খালের প্রস্থ ৩০ মিটার, ২.৪ কিলোমিটার সাংবাদিক কলোনীর খালের প্রস্থও ২০ মিটারের বেশী হবে না, সেকশন ১৪ এর হাউজিং খালের দৈর্ঘ্য কমে ১.১ কিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ৮.৮ কিলোমিটার বাউনিয়া খালের প্রস্থ ১০ থেকে ১২ মিটার, ৪.৫ কিলোমিটার দ্বিগুণ খালের প্রস্থ ৫০ মিটার এবং ইব্রাহীমপুর খালের দৈর্ঘ্য ১.২ কিলোমিটার।

ঢাকা ওয়াসার ২০০৭ সারের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ২.২ কিলোমিটার কল্যাণপুর প্রধান খালটি ছিলো ১৮ থেকে ৩৬ মিটার প্রস্থ। কিন্তু এটির দুই পাড় দিয়ে দখলদারদের অবৈধ দখল ও ভরাটে এটির প্রস্থ কমে এখন আছে ১০ থেকে ১২ মিটার। এছাড়াও এই খালটির আরো পাঁচটি শাখা খালেরও অবৈধ দখলে প্রস্থ কমে এখন নর্দমায় পরিণত হওয়ার পথে। এমন অবস্থা শুধু কল্যাণপুর খালের ক্ষেত্রে নয়, বাকী খালগুলোরও একই হাল।

এ ব্যাপারে বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা ওয়াসা’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, খালগুলোকে অবৈধ দখলমুক্ত করা ওয়াসার রুটিন কাযর্ক্রম প্রতিনিয়তই চলছে। তবে অনেকক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হতে হয়।

তবে রাজধানীর খাল ও জলাধার বেদখলে উদ্যোগ রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। বৃহস্পতিবার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ মিলনায়তনে মৎস্য সপ্তাহ ২০১৯ এর উদ্বেধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, খাল, পুকুর ও নদীসহ অন্যান্য যত জলাধার বেদখল হয়ে আছে তা পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগেও বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এর অধীস্থ ঢাকা ওয়াসা এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে নির্দেশ দেন রাজধানীর খাল ও অন্যান্য জলাধারগুলো পুনরুদ্ধার করার। কিন্ত এ সকল প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বৃহৎ ও টেকসই কোনো পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি।

   

রংপুরে তুলা গবেষণা কেন্দ্রে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরে নগরীতে তুলা গবেষণা কেন্দ্রে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশকিছু তুলার বস্তা পুড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

বুধবার (১৫ মে) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তুলার গুদামে এ ঘটনা ঘটে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, হঠাৎ রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তুলার  গোডাউনে আগুন জ্বলে উঠে। এতে প্রাথমিকভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। 

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক শওকত আলী জানান, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের দোতলায় একটি পাকা গোডাউন ঘর ছিল, সেখানে আগুন লাগলে আমাদের খবর দেয়। খবর পেয়ে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। তুলার বস্তা ছাড়া অন্য কিছু পোড়া যায়নি।

তিনি বলেন, কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না।

;

রেস্তোরাঁয় নেই রান্নাঘর, চলে অসামাজিক কাজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর শিক্ষাপাড়া খ্যাত চকবাজার থানার অদূরে গুলজার মোড়ে অবস্থিত 'কফি ম্যাক্স' রেস্তোরাঁ। নামে রেস্তোরাঁ হলেও তার আসল কর্মকাণ্ড ধরা পড়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একটি অভিযানে। এসময় ওই রেস্তোরাঁ রান্নার কোনো আলামত না পেলেও পাওয়া যায় অসামাজিক কাজে বেশকিছু উপকরণ। পরে এই রেস্তোরাঁকে সার্বিক বিষয় বিবেচনায় সিলগালাসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশ দেয় আভিযানিক দল।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে চকবাজার এলাকায় পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মাদ ফয়েজ উল্লাহ। এরপর পৃথক একটি অভিযানে একই থানার কেয়ারি মোড়ে অবস্থিত দাবা রোস্তারাঁকে অস্বাস্থ্যকর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার উৎপাদন এবং পরিবেশনের দায়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়।

এ অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রানা দেবনাথ, সহকারী পরিচালক মোহাম্মাদ আনিছুর রহমানসহ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সহযোগিতা করেন।

ভোক্তা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মাদ ফয়েজ উল্লাহ জানান, কফি ম্যাক্স রোস্তোরাঁয় অভিযানের সময় আমরা বেশ কিছু অসামাজিক কার্যকলাপের আলামত ও উপকরণ পাই। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠানটিকে বন্ধের আদেশসহ সিলগালা করা হয়েছে। এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ট্রেড লাইসেন্স অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির মালিক জনাব নজরুল ইসলাম নামক ব্যক্তি। কিন্তু অভিযান পরিচালনার সময় প্রতিষ্ঠানটির কর্তব্যরত কর্মচারী প্রতিষ্ঠানের মালিকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করতে পারেনি।

তিনি আরও জানান, অন্যদিকে দাবা নামক ফাস্টফুড আন রেস্টুরেন্টে খুবই অস্বাস্থ্যকর এবং নোংরা পরিবেশে খাবার উৎপাদন ও পরিবেশন করা হচ্ছে। যেখানে পূর্বের দিনের নষ্ট খাবার গুলোও নতুন করে পরিবেশন করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ট্রেড লাইসেন্স অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। যিনি মেসার্স কফি ম্যাক্স নামক প্রতিষ্ঠানটিরও স্বত্বাধিকারী। দাবা নামক রেস্টুরেন্টে সার্বিক পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠানটিকে সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধের নোটিশ প্রদানসহ সিলগালা করা হয়েছে।

;

যাত্রী সংকটে বরিশাল-ঢাকা রুটে চলছে একটি লঞ্চ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল-ঢাকা নৌ-পথে যাত্রী সংকট চরম আকার ধারন করেছে। এ কারণে জনপ্রিয় এই রুটে এখন একটিমাত্র লঞ্চ চলাচল করছে। মঙ্গলবার বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে মাত্র একটি লঞ্চ। বুধবার (১৫ মে) ছেড়ে গেছে দুইটি। যা সাধারণ মানুষের কাছে বিস্ময় হিসেবে দেখা দিয়েছে।

পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকে বরিশাল-ঢাকা নৌ-পথে যাত্রী সংকট শুরু হয়। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পূর্বে প্রতিদিন উভয় রুটে ৭ থেকে ৮ টি লঞ্চ চলাচল করতো। সেখান থেকে কমে অর্ধেকে নেমে আসে। এখন তা একটিতে নেমে এসেছে।

বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া এমভি পারাবত-১২ লঞ্চের যাত্রী মো. লোকমান হোসেন বলেন, বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে মাত্র একটি লঞ্চ চলবে তা আমরা কখনো কল্পনাও করিনি। এ বিষয়ে বরিশাল নৌ-বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে একটি করে লঞ্চ চলাচল করছে। যাত্রী সংকটের ফলে মালিক পক্ষের রোটেশনের কারনে একটি করে লঞ্চ চালানো হচ্ছে। কিন্তু দুইটি করে লঞ্চ চালানোর কথা ছিল।

তিনি জানান, বর্তমানে প্রতিদিন ৫/৭ শ’র বেশি যাত্রী হয় না। একটি লঞ্চ দিয়ে তা পরিবহন সম্ভব। তাই হয়তো মালিকরা মিলে একটি করে লঞ্চ চালাচ্ছে।

একটি করে লঞ্চ চালানোর জন্য যাত্রী ভোগান্তি হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের সদ্য অবসরে যাওয়া পরিদর্শক মো. কবির হোসেন। তিনি বলেন, বরিশাল-ঢাকা রুটে চলাচলের জন্য ২০ টি লঞ্চ রয়েছে। 

প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৬/৭টি এবং একইভাবে বরিশাল থেকে ৬/৭টি ছেড়ে যেতো। ঈদ ও কোরবানির সময় একেকদিন ২০/২৫ টি লঞ্চও চলাচল করেছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর যাত্রী সংকট শুরু হয়। বর্তমানে যে যাত্রী রয়েছে তাতে দুইটি লঞ্চ ঠিক ছিল। কিন্তু একটি লঞ্চ চলাচল যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে। একটি লঞ্চ চালানোর কারণে কেবিন নিয়ে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ নয়-ছয় করে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, একটি লঞ্চে ঠাসা যাত্রী। তবে সেটি ধারণ ক্ষমতার বেশি নয়। লঞ্চের নিচতলা ও দুই তলার ডেকে যাত্রী ভর্তি। লঞ্চ যাত্রীরা জানিয়েছেন, দুইটি লঞ্চ থাকলে তারা স্বাচ্ছন্দে যেতে পারতেন। কিন্তু একটি লঞ্চ হওয়ায় গাদাগাদি করে যেতে হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, যত যাত্রী রয়েছে তা নিয়ে দুইটি লঞ্চ চললে আর্থিক ক্ষতি হয়। তাই একটি লঞ্চ চালানো হচ্ছে। তারা স্বীকার করেছেন, একটি লঞ্চ চলাচল করায় যাত্রীরা একটু গাদাগাদি হয়।

দেশের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় নৌ-রুট বরিশাল-ঢাকা। লিফটসহ নানা অত্যাধুনিক সুবিধার লঞ্চগুলোতে এক সময় যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড় থাকত। ভিভিআইপি, ভিআইপি, সেমি ভিআইপি,  প্রথম শ্রেণির এক শয্যা ও দুই শয্যার কেবিন, সোফা পেতে হেনস্তা হতে হতো। কিন্তু পদ্মা সেতু পাল্টে দেয় সেই চিত্র। যাত্রী সংকটের কারণে লঞ্চের সংখ্যা কমতে শুরু করে।

অভিযোগ রয়েছে, যাত্রী সংকটের অজুহাত দিয়ে বরিশাল-ঢাকা রুটের লঞ্চ মালিকরা সিন্ডিকেট করে। তারা রোটেশনের মাধ্যমে লঞ্চের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। এখনো যত সংখ্যক যাত্রী রয়েছে তাতে প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি লঞ্চ প্রয়োজন। কিন্তু মালিকরা বিআইডব্লিউটিএ ও যাত্রীদের জিম্মি করে একটি/দুইটি লঞ্চ চালায়। এতে ভোগান্তিতে যাত্রীরা।

তবে লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, যাত্রী সংকটে লঞ্চ এখন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। প্রত্যেক লঞ্চ মালিক কম বেশি ঋন নিয়েছেন। তারা এখন ঠিকমতো ঋনের টাকা পরিশোধ করতে পারেন না। একটি লঞ্চ ব্যাংক নিয়ে গিয়ে কেটে বিক্রি করছে। এক স্বনামধন্য কোম্পানীর একটি লঞ্চ বিক্রি করে দেয়া হয়েছে।

শুধু ঢাকা বরিশাল নয়, দক্ষিনাঞ্চলের সকল রুটে যাত্রী নেই জানিয়ে সুন্দরবন নেভিগেশনের মালিক রিন্টু বলেন, এ ব্যবসাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এজন্য সরকারকে পরিকল্পনা নিতে হবে।

;

মিতু হত্যা মামলায় ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
মিতু হত্যা মামলায় শেষ হল ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

মিতু হত্যা মামলায় শেষ হল ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন সাবেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দীন। এ নিয়ে মামলায় মোট ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহম্মেদ। তিনি জানান, মিতু হত্যা মামলার সাক্ষী হিসেবে সাবেক চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দীন স্যারের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এ নিয়ে মামলায় মোট ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সাতজনকে আসামি করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। এতে মামলার বাদি বাবুল আক্তারকেই প্রধান আসামি করা হয়।

অভিযোগপত্রে আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন, মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু এবং শাহজাহান মিয়া। আসামিদের মধ্যে শুধু মুসা পলাতক আছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে।

ওই বছরের ১০ অক্টোবর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ২০২৩ সালের ১৩ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ওই বছরের ৯ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম সাক্ষী হিসেবে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন সাক্ষ্য দেন। এ পর্যন্ত ৫০ জনের সাক্ষ্য সম্পন্ন হয়েছে।

;