জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতিতে প্রশাসনের কপালে ভাঁজ



জাহিদুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, (মেলান্দহ) জামালপুর থেকে
জামালপুর জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভা

জামালপুর জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বস্তি ফিরে পাবার আশায় গুড়ে বালি। পানি কমে আসায় জামালপুর জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির আশায় উল্টো হতাশা ছড়াচ্ছে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর অতিবৃষ্টি।

এ পরিস্থিতিতে ফের বন্যার অবনতির আশঙ্কায় কপালে ভাঁজ পড়েছে স্থানীয় প্রশাসনের। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতি বর্ষণে বেড়েই চলেছে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি।

বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি এখনও বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। এর মাঝে শোকের মাত্রা আরও বাড়িয়েছে সরিষাবাড়ীতে পানিতে ডুবে পাঁচ শিশুর মৃত্যুর ঘটনা।

এমন পরিস্থিতিতে বন্যাকবলিত জামালপুর জেলার দুর্গত এলাকায় সফর শুরু করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. এনামুর রহমান। তার সঙ্গে রয়েছেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামালসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) গভীর রাতে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভায় যোগ দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

কুড়িগ্রামের রৌমারি থেকে চর রাজীবপুর হয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে জামালপুরে আসতে প্রতিমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের ভয়ার্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়।

ঘুটঘুটে অন্ধকার রাতে আকাশে মেঘের গর্জন আর বিদ্যুতের ঝলক। ক্ষণে ক্ষণে বজ্রপাত। চারদিকে অথৈ পানি। এর মাঝে দিকভ্রান্ত হয়ে স্পিডবোট চালক ঘাটের সন্ধান না পেয়ে ভুল ঘাটে ভেড়ান।

সব মিলিয়ে অনিরাপদ যাত্রা শেষে বৃহস্পতিবার রাতে জামালপুরে পৌঁছান প্রতিমন্ত্রী। রাত ১২টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চলে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠক।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/26/1564111044903.jpg
জেলা প্রশাসক আহমেদ কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় জানানো হয়, জেলার দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ী, হাজরাবাড়ী, বকশীগঞ্জ, মেলান্দহ পৌরসভা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বন্যার ফলে বীজতলা, আউশ ধান, পাট ও শাক সবজির ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় জেলার অর্ধেকের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বন্যার্ত মানুষের সংখ্যা ১২ লাখ ৬৫ হাজার ৩৪০ জন।

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়তি চাহিদা হিসেবে ৫শ’ মেট্রিক টন জিআর চাল, নগদ সহায়তা হিসেবে ১৫ লাখ টাকা আর ২০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দের আবেদন জানানো হয়েছে।

সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান জানান, গত ১৯ জুলাই গাইবান্ধা থেকে জামালপুর জেলার বন্যা কবলিত ইসলামপুরে আসার কথা থাকলেও শুকনো জায়গার অভাবে তাদের বহনকারী বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার সেখানে অবতরণ করতে পারেনি। যে কারণে পূর্ব নির্ধারিত দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় বন্যা আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন এবং সেখানে ত্রাণ বিতরণে সেদিন তিনি যোগ দিতে পারেননি।

তবে বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা থেকে নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত চর অঞ্চল পরিদর্শন শেষে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে গভীর অন্ধকারের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এবং অনিরাপদ যাত্রা সত্ত্বেও জামালপুর এসেছেন প্রতিমন্ত্রী।

এ জেলায় সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের তরফেও বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানকার দুর্গত মানুষদের জন্য বাড়তি চাহিদা হিসেবে আরও ৩০০ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লাখ টাকাসহ বাড়তি শুকনো খাবার বরাদ্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বন্যার্তদের দুঃখ দুর্দশায় পাশে দাঁড়িয়েছে মানবতার জননী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার। ভবিষ্যতেও বন্যা-উত্তর পুনর্বাসন কার্যক্রমে সরকার দুর্গত মানুষের পাশে থাকবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি।

   

রেস্তোরাঁয় নেই রান্নাঘর, চলে অসামাজিক কাজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর শিক্ষাপাড়া খ্যাত চকবাজার থানার অদূরে গুলজার মোড়ে অবস্থিত 'কফি ম্যাক্স' রেস্তোরাঁ। নামে রেস্তোরাঁ হলেও তার আসল কর্মকাণ্ড ধরা পড়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একটি অভিযানে। এসময় ওই রেস্তোরাঁ রান্নার কোনো আলামত না পেলেও পাওয়া যায় অসামাজিক কাজে বেশকিছু উপকরণ। পরে এই রেস্তোরাঁকে সার্বিক বিষয় বিবেচনায় সিলগালাসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশ দেয় আভিযানিক দল।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে চকবাজার এলাকায় পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মাদ ফয়েজ উল্লাহ। এরপর পৃথক একটি অভিযানে একই থানার কেয়ারি মোড়ে অবস্থিত দাবা রোস্তারাঁকে অস্বাস্থ্যকর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার উৎপাদন এবং পরিবেশনের দায়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়।

এ অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রানা দেবনাথ, সহকারী পরিচালক মোহাম্মাদ আনিছুর রহমানসহ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সহযোগিতা করেন।

ভোক্তা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মাদ ফয়েজ উল্লাহ জানান, কফি ম্যাক্স রোস্তোরাঁয় অভিযানের সময় আমরা বেশ কিছু অসামাজিক কার্যকলাপের আলামত ও উপকরণ পাই। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠানটিকে বন্ধের আদেশসহ সিলগালা করা হয়েছে। এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ট্রেড লাইসেন্স অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির মালিক জনাব নজরুল ইসলাম নামক ব্যক্তি। কিন্তু অভিযান পরিচালনার সময় প্রতিষ্ঠানটির কর্তব্যরত কর্মচারী প্রতিষ্ঠানের মালিকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করতে পারেনি।

তিনি আরও জানান, অন্যদিকে দাবা নামক ফাস্টফুড আন রেস্টুরেন্টে খুবই অস্বাস্থ্যকর এবং নোংরা পরিবেশে খাবার উৎপাদন ও পরিবেশন করা হচ্ছে। যেখানে পূর্বের দিনের নষ্ট খাবার গুলোও নতুন করে পরিবেশন করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ট্রেড লাইসেন্স অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। যিনি মেসার্স কফি ম্যাক্স নামক প্রতিষ্ঠানটিরও স্বত্বাধিকারী। দাবা নামক রেস্টুরেন্টে সার্বিক পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠানটিকে সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধের নোটিশ প্রদানসহ সিলগালা করা হয়েছে।

;

যাত্রী সংকটে বরিশাল-ঢাকা রুটে চলছে একটি লঞ্চ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল-ঢাকা নৌ-পথে যাত্রী সংকট চরম আকার ধারন করেছে। এ কারণে জনপ্রিয় এই রুটে এখন একটিমাত্র লঞ্চ চলাচল করছে। মঙ্গলবার বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে মাত্র একটি লঞ্চ। বুধবার (১৫ মে) ছেড়ে গেছে দুইটি। যা সাধারণ মানুষের কাছে বিস্ময় হিসেবে দেখা দিয়েছে।

পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকে বরিশাল-ঢাকা নৌ-পথে যাত্রী সংকট শুরু হয়। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পূর্বে প্রতিদিন উভয় রুটে ৭ থেকে ৮ টি লঞ্চ চলাচল করতো। সেখান থেকে কমে অর্ধেকে নেমে আসে। এখন তা একটিতে নেমে এসেছে।

বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া এমভি পারাবত-১২ লঞ্চের যাত্রী মো. লোকমান হোসেন বলেন, বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে মাত্র একটি লঞ্চ চলবে তা আমরা কখনো কল্পনাও করিনি। এ বিষয়ে বরিশাল নৌ-বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে একটি করে লঞ্চ চলাচল করছে। যাত্রী সংকটের ফলে মালিক পক্ষের রোটেশনের কারনে একটি করে লঞ্চ চালানো হচ্ছে। কিন্তু দুইটি করে লঞ্চ চালানোর কথা ছিল।

তিনি জানান, বর্তমানে প্রতিদিন ৫/৭ শ’র বেশি যাত্রী হয় না। একটি লঞ্চ দিয়ে তা পরিবহন সম্ভব। তাই হয়তো মালিকরা মিলে একটি করে লঞ্চ চালাচ্ছে।

একটি করে লঞ্চ চালানোর জন্য যাত্রী ভোগান্তি হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের সদ্য অবসরে যাওয়া পরিদর্শক মো. কবির হোসেন। তিনি বলেন, বরিশাল-ঢাকা রুটে চলাচলের জন্য ২০ টি লঞ্চ রয়েছে। 

প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৬/৭টি এবং একইভাবে বরিশাল থেকে ৬/৭টি ছেড়ে যেতো। ঈদ ও কোরবানির সময় একেকদিন ২০/২৫ টি লঞ্চও চলাচল করেছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর যাত্রী সংকট শুরু হয়। বর্তমানে যে যাত্রী রয়েছে তাতে দুইটি লঞ্চ ঠিক ছিল। কিন্তু একটি লঞ্চ চলাচল যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে। একটি লঞ্চ চালানোর কারণে কেবিন নিয়ে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ নয়-ছয় করে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, একটি লঞ্চে ঠাসা যাত্রী। তবে সেটি ধারণ ক্ষমতার বেশি নয়। লঞ্চের নিচতলা ও দুই তলার ডেকে যাত্রী ভর্তি। লঞ্চ যাত্রীরা জানিয়েছেন, দুইটি লঞ্চ থাকলে তারা স্বাচ্ছন্দে যেতে পারতেন। কিন্তু একটি লঞ্চ হওয়ায় গাদাগাদি করে যেতে হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, যত যাত্রী রয়েছে তা নিয়ে দুইটি লঞ্চ চললে আর্থিক ক্ষতি হয়। তাই একটি লঞ্চ চালানো হচ্ছে। তারা স্বীকার করেছেন, একটি লঞ্চ চলাচল করায় যাত্রীরা একটু গাদাগাদি হয়।

দেশের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় নৌ-রুট বরিশাল-ঢাকা। লিফটসহ নানা অত্যাধুনিক সুবিধার লঞ্চগুলোতে এক সময় যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড় থাকত। ভিভিআইপি, ভিআইপি, সেমি ভিআইপি,  প্রথম শ্রেণির এক শয্যা ও দুই শয্যার কেবিন, সোফা পেতে হেনস্তা হতে হতো। কিন্তু পদ্মা সেতু পাল্টে দেয় সেই চিত্র। যাত্রী সংকটের কারণে লঞ্চের সংখ্যা কমতে শুরু করে।

অভিযোগ রয়েছে, যাত্রী সংকটের অজুহাত দিয়ে বরিশাল-ঢাকা রুটের লঞ্চ মালিকরা সিন্ডিকেট করে। তারা রোটেশনের মাধ্যমে লঞ্চের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। এখনো যত সংখ্যক যাত্রী রয়েছে তাতে প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি লঞ্চ প্রয়োজন। কিন্তু মালিকরা বিআইডব্লিউটিএ ও যাত্রীদের জিম্মি করে একটি/দুইটি লঞ্চ চালায়। এতে ভোগান্তিতে যাত্রীরা।

তবে লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, যাত্রী সংকটে লঞ্চ এখন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। প্রত্যেক লঞ্চ মালিক কম বেশি ঋন নিয়েছেন। তারা এখন ঠিকমতো ঋনের টাকা পরিশোধ করতে পারেন না। একটি লঞ্চ ব্যাংক নিয়ে গিয়ে কেটে বিক্রি করছে। এক স্বনামধন্য কোম্পানীর একটি লঞ্চ বিক্রি করে দেয়া হয়েছে।

শুধু ঢাকা বরিশাল নয়, দক্ষিনাঞ্চলের সকল রুটে যাত্রী নেই জানিয়ে সুন্দরবন নেভিগেশনের মালিক রিন্টু বলেন, এ ব্যবসাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এজন্য সরকারকে পরিকল্পনা নিতে হবে।

;

মিতু হত্যা মামলায় ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
মিতু হত্যা মামলায় শেষ হল ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

মিতু হত্যা মামলায় শেষ হল ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন সাবেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দীন। এ নিয়ে মামলায় মোট ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহম্মেদ। তিনি জানান, মিতু হত্যা মামলার সাক্ষী হিসেবে সাবেক চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দীন স্যারের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এ নিয়ে মামলায় মোট ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সাতজনকে আসামি করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। এতে মামলার বাদি বাবুল আক্তারকেই প্রধান আসামি করা হয়।

অভিযোগপত্রে আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন, মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু এবং শাহজাহান মিয়া। আসামিদের মধ্যে শুধু মুসা পলাতক আছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে।

ওই বছরের ১০ অক্টোবর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ২০২৩ সালের ১৩ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ওই বছরের ৯ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম সাক্ষী হিসেবে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন সাক্ষ্য দেন। এ পর্যন্ত ৫০ জনের সাক্ষ্য সম্পন্ন হয়েছে।

;

ব্রহ্মপুত্রে মাছ ধরতে নেমে পানিতে ডুবে জেলের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease
ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্রে মাছ ধরতে নেমে নদ খননের গর্তের পানিতে ডুবে আলমগীর মিয়া (৩৫) নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত আলমগীর মিয়া সদর উপজেলার  চর ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নের মধ্যপাড়া এলাকার আসাদুল্লাহ'র ছেলে।
বুধবার (১৫ মে) বিকেলে নগরীর চরকালীবাড়ি পাওয়ার হাউজ সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে এই জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ময়মনসিংহ জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. মাসুদ রানা বলেন, নদে জাল নিয়ে মাছ ধরতে নেমেছিল জেলে। এসময় শুকনো নদের একটি অংশে নদ খননের গভীর গর্তের পানিতে তলিয়ে যায় ওই জেলে। পরে ঘটনাটি স্থানীয়রা দেখে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কল দিলে ডুবুরি দল ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ইনচার্জ  (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
;